সৈয়দা আঁখি হক—লোকসাহিত্য সংগ্রাহক, গবেষক। এই পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুই। এগুলো হলো ‘আরকুম শাহ জীবনদর্শন ও গীতিবিশ্ব’, ‘পল্লিগীতির সুধাকণ্ঠ রুপালি সুরের’ ও ‘ছোটদের রকীব শাহ’। সম্প্রতি সাহিত্যের ওয়েব নিয়ে চিন্তাসূত্রের মুখোমুখি হয়েছেন এই লোকসাহিত্য সংগ্রাহক।
চিন্তাসূত্র: এক সময় যারা দৈনিকের সাহিত্যপাতায় ঠাঁই পেতেন না অথবা যারা দৈনিকে লিখতে স্বস্তি বোধ করতেন না, তারা লিটলম্যাগ বের করতেন। সম্প্রতি লিটলম্যাগের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বিপরীতে বেড়েছে অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা বা ওয়েবম্যাগ। আপনি কি মনে করেন, লিটলম্যাগের জায়গাটাই এই ওয়েবম্যাগগুলো দখল করছে?
সৈয়দা আঁখি হক: লেখকের রুচির সঙ্গে দৈনিকের সাহিত্য পাতার মিল না থাকলে লেখকের অস্বস্তি বোধ হয়। ফলে কিছু কিছু লেখক চিন্তা, চেতনার বিকাশ ঘটাতেন নিজের সম্পাদনায় লিটলম্যাগ বের করে, এটা অবশ্যই পজিটিভ। কিন্তু ওয়েবম্যাগ আলাদা ফর্ম ও আলাদা বৈশিষ্ট্যের হওয়ার কারণে এটি লিটলম্যাগের জায়গা নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে লিটলম্যাগ লিটলম্যাগই। বাংলা সাহিত্যে একটি বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে লিটলম্যাগ। যারা সাহিত্যচর্চা করেন, তাদের প্রায় বেশিরভাগেরই পড়ার টেবিলে কিংবা বিছানায় লিটলম্যাগ দেখা যায়। অলস সময়ে কিংবা চায়ের আড্ডার একটি অংশজুড়ে থাকে লিটলম্যাগ। যখন ইচ্ছে শুয়ে, বসে লিটলম্যাগ পাঠের স্বাদ কখনোই ওয়েবম্যাগে পাওয়া যাবে না। কারণ, ওয়েবম্যাগ পড়তে কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের স্কিনে চোখ রাখতে হয় দীর্ঘ সময়। এতে যেমন দেখা দেয় চোখের সমস্যা, তেমনি দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ইচ্ছে বা সময় সবার হয় না। তাই দেখা যায়, ওয়েবম্যাগে কেউ কেউ শুধু নিজের লেখাটুকু পড়েন, আবার অনেকে পড়েন না, কারণ এতে কী লিখেছেন, তিনি জানেন। সে ক্ষেত্রে লিটলম্যাগের অনেক সুবিধা। যেমন—১. নিজের লেখা ছাপার অক্ষরে দেখা বা লিটলম্যাগ হাতে পাওয়ার যে আনন্দ, তা কখনো ওয়েবম্যাগে হয় না। ২. লিটলম্যাগে নিজের লেখা ছাড়াও অন্যের লেখা পড়া যায় যেকোনো সময়। ৩. নিজের লেখা না থাকলেও লিটলম্যাগ সংরক্ষণ করি অন্যের গুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্য।
ওয়েবম্যাগ: ১. নিজের লেখা ছাড়া অন্যের লেখা সময় নিয়ে কেউ পড়েন কি না, সন্দেহ আছে। ২. মাঝে মাঝে সিনিয়র লেখকদের কিছু লেখা দেখা গেলেও শিক্ষণীয় বা সৃজনশীল লেখা তেমন দেখা যায় না। তাই লিটলম্যাগের জায়গাটা বা জনপ্রিয়তা ওয়েবম্যগগুলো দখল করতে সময় লাগতে পারে।
চিন্তাসূত্র: একসময় লেখাপ্রাপ্তির ওপর নির্ভর করে, পাঁচ থেকে দশ বা তারও বেশি ফর্মার লিটলম্যাগ বের হতো। এতে খরচও হতো বেশ। কিন্তু বর্তমানে ওয়েবম্যাগে সে খরচটি নেই। আপনি কি মনে করেন, অর্থব্যয়ের কারণ না থাকায় ওয়েবের দিকে ঝুঁকছেন সাহিত্যকর্মীরা?
সৈয়দা আঁখি হক: আমি মনে করি না—অর্থ ব্যয়ের কারণে সাহিত্যকর্মীরা ওয়েবের দিকে ঝুঁকছেন। এটা সত্যি যে, বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহারে দুনিয়া আমাদের হাতের মুঠোয়। আমরা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। এমনকী আমি নিজেই অনলাইনে বাজার করছি। বর্তমানে সাহিত্যের বিষয়টি আরও বিস্তৃত। কারণ একটি লিটলম্যাগ বা পত্রিকা যদি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কিংবা বিশ্বের যে কোনো দেশে পাঠাতে চাই, সে ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ইচ্ছে থাকলেও কারও কাছে আমাদের বই কিংবা পত্রিকা পাঠানো সম্ভব হয় না। কিন্তু ওয়েবম্যাগ সহজেই পড়া যায় বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে। আমার দৃষ্টিতে এটাই হয়তো আমাদের আগের প্রজন্ম বা আমাদের সময়ের সাহিত্যকর্মীর কিছু অংশ ওয়েবম্যাগে ঝুঁকে পড়ার একটি বড় কারণ। তবে ইউরোপ, আমেরিকা বা উন্নত বিশ্বের কথা যদি বলি, তারা তো আরও বেশি প্রযুক্তিনির্ভর, কিন্তু প্রযুক্তি তাদের বই প্রেমে কোনো বাধা হয়নি। তবে আমাদের দেশে একটি প্রজন্ম কিন্তু এখনো লিটলম্যাগের ওপর নির্ভরশীল। কেননা বহু গুণী সম্পাদক আছেন বলেই এখনও ভালো মানের লিটলম্যাগ বের হচ্ছে। সেই সম্পাদকরা তো ওয়েবম্যাগে ঝোঁকেননি। সুতরাং আধুনিকতা যতই আমাদের স্পর্শ করুক কিন্তু নতুন বইয়ের গন্ধ কখনো ওয়েবম্যাগে পাওয়া যাবে না। লিটলম্যাগ বা বইয়ের পাঠক ঠিকই লিটলম্যাগ খুঁজে নেবেন।
চিন্তাসূত্র: কারও কারও মতে, বেশিরভাগ ওয়েবেই সম্পাদনা ছাড়া লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। এমনকী বানানও দেখা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সৈয়দা আঁখি হক: এটা সত্যি কথা। এতেই প্রমাণিত হয় যে, লিটলম্যাগ আর ওয়েবম্যাগের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু। লেখক একটি লেখা দিলেই তার কাজ শেষ, কিন্তু লেখাটিকে পাঠকপ্রিয় করে তুলতে সম্পাদকের ভূমিকা অপরিসীম। লিটলম্যাগের সম্পাদক একটি লেখা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করেন,পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরখ করেন এবং সম্পাদনা করেন ধৈর্য সহকারে। যার ফলে মানের দিক থেকে লিটলম্যাগ অনেক এগিয়ে। কিন্তু ওয়েবম্যাগে দেখা যায় ভিন্নচিত্র। ওয়েবম্যাগ যত্ন নেওয়ার সুযোগ হতো কম। ওয়েবম্যাগে সম্পাদনার বিষয়কে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয়। প্রায় সময় সম্পাদনা ছাড়া লেখা প্রকাশিত হওয়ার কারণে অনেক লেখাই পাঠকের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সম্পাদকের ধৈর্য ও অভিজ্ঞতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন লেখক তার চিন্তা, চেতনা, ভাবনার বহিঃপ্রকাশ করেন একটি লেখার মাধ্যমে। যদিও সব লেখকের লেখার মান এক নয়, কিন্তু একটি লেখা স্বাচ্ছন্দে পড়ার বিষয়টি মাথায় রাখেন একজন সম্পাদক। তাই আমি মনে করি শুধু ওয়েবম্যাগে নয়; একটি লেখা ছাপার আগে বা বই প্রকাশের আগে সম্পাদনা বিষয়টি অপরিহার্য এবং সম্পাদনার বিকল্প নেই।
চিন্তাসূত্র: একসময় কারও পকেটে এক হাজার/বারো শ টাকা থাকলেই তিনি একটি লিটলম্যাগ করার সাহস দেখাতেন। এখন ১৫/১৬ শত টাকা পকেটে থাকলেই কেউ কেউ ওয়েবম্যাগ করছেন, কেউ কেউ বিনেপয়সাতেই ব্লগজিন খুলছেন, লেখা সংগ্রহ করছেন। এ ধরনের ওয়েবজিন বা ব্লগজিন বের করার কারণ কী বলে মনে করেন আপনি? এটা কি নিছকই নিজের কর্তৃত্ব প্রকাশের উপায়, না কি সাহিত্যপ্রেমের জন্য?
সৈয়দা আঁখি হক: এটাকে আমি সাহিত্যপ্রেম বলব না, আবার বাস্তবতাকেও অস্বীকার করি না। নিজেকে প্রচার ও পরিচিত করে তোলার একটি সহজ মাধ্যম টেকনোলজি। যোগাযোগ কিংবা বিশ্বকে জানার এই সহজ মাধ্যমটি প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষিত-অশিক্ষিত মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। এ কারণে সবাই নিজের প্রয়োজনীয় বিষয়টি অল্প সময়ে জানতে পারছে। বেশিরভাগ সময় আমি নিজেও ইন্টারনেটে পড়াশোনা করি, তথ্য সংগ্রহ করি, জানার চেষ্টা করি। একটা সময় নিজের নামটি ছাপার অক্ষরে দেখার আনন্দই ছিল অন্যরকম। কিন্তু এখন আর কাগজ-কলমে লিখতে হয় না। নিজেই কম্পোজ করছি, প্রিন্ট করছি বলে সেই আনন্দটি এখন আর পাই না। তাই বলে কি কাগজ-কলমের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে? শুধু সাহিত্যপ্রেম নয়, একজন মানুষের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম এবং জানার মাধ্যম হিসেবেও টেকনোলজি অপরিহার্য। কিন্তু সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার বিষয়টিও এখানে লক্ষ করা যায়। এছাড়া বই, পত্রিকা কখনো চুরি হয় না, কিন্তু ল্যাপটপ, মোবাইল চুরি হয়, নষ্ট হয়। এ কারণে অনেক মূল্যবান তথ্য আমিও হারিয়েছি। তাই অস্থায়ী একটি বিষয় কখনো সাহিত্যপ্রেম হতে পারে না। সাহিত্য দীর্ঘস্থায়ী, সাহিত্য মানে প্রমাণ। তাই আমার মতে, লিটলম্যাগ চিরস্থায়ী আর ওয়েবম্যাগ তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে অগ্রণী।
চিন্তাসূত্র: আপনি কি মনে করেন, ওয়েবম্যাগ-ওয়েবজিন-ব্লগজিন মানুষকে বইপাঠবিমুখ করে তুলছে?
সৈয়দা আঁখি হক: প্রিন্ট মিডিয়ায় অবশ্যই দক্ষ লোক আছেন, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু পাশাপাশি থাকবে। একটা সময় হয়তো অনলাইনেই পড়াশোনা করবে আগামী প্রজন্ম। কিন্তু আমার মতে, যার ভেতরে বই প্রেম রয়েছে, সে বই পড়বেই, বইয়ের পাঠক কখনোই কমবে না। এটা সত্যি যে, টেকনোলজি বা আধুনিক প্রযুক্তি অনেক কঠিন বিষয়কেও সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু বইয়ের যে ঘ্রাণ তা কখনো ওয়েবম্যাগ দিতে পারবে না। জাপান, ইউরোপ, আমেরিকার মতো উন্নত দেশে বইয়ের পাঠক কমেনি কিন্তু তারা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। আমরা মনে-প্রাণে বাঙালি, তাই মা-মাটির গন্ধ যেমন আমাদের আপন, তেমনি বইয়ের গন্ধও চির আপন। বইয়ের তুলনা আর কিছুতেই হয় না। তবে আকাশ সংস্কৃতি, টেলিভিশন ও মোবাইলফোন ব্যবহারের একটা বড় কারণে হতে পারে বইপাঠবিমুখতা। এছাড়া ভালো মানের বই না হওয়ার কারণেও পাঠক ও বইয়ের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে, কিংবা পাঠক মনের মতো বইটি পাচ্ছেন না, এটাও হতে পারে। তবে লেখক, সম্পাদক—যারা ভাল কাজ করছেন, তারাই টিকবেন। মন্দরা একসময় ঝরে পরবেই—সেটা ওয়েবম্যাগ হোক আর লিটলম্যাগই হোক।
চিন্তাসূত্র: আপনি নিজে দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতা না লিটলম্যাগ না এই ওয়েবম্যাগে লিখতে পছন্দ করেন?
সৈয়দা আঁখি হক: যদিও লিটলম্যাগে আমার অসংখ্য লেখা ছাপা হয়েছে, তবু আমি ভালো মানের দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতায় লিখতে পছন্দ করি। একটা সময় প্রত্রিকায় বা লিটলম্যাগে নিজের লেখা ছাপলে খুশিতে নেচে উঠতাম। এখন যদিও নিজে কম্পোজ করি, প্রিন্ট করি; তবু পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা দেখতে খুব ভালো লাগে। যেহেতু লেখকের কাছে তার প্রতিটি লেখা সন্তানের মতো, তাই ভালো সম্পাদকের মাধ্যমে লিটলম্যাগ ও ওয়েবম্যাগের বিস্তৃত পাঠকের কাছে আমার লেখাও পৌঁছে যাক, এই আমার আকাঙ্ক্ষা।
চিন্তাসূত্র: একটি লিটলম্যাগ দুই থেকে তিন শ কপি প্রকাশিত হয়, দৈনিকের সাহিত্যপাতাও সীমিত-সংখ্যক পাঠকের কাছে যায়। কিন্তু অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা যায় লাখ লাখ ইউজারের কাছে। সাহিত্যচর্চা, প্রসার ও প্রচারের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?
সৈয়দা আঁখি হক: যেহেতু আমরা অনলাইনে পত্রিকা পড়ছি, নিজেদের লেখা দিচ্ছি, তাই ভালো মানের লেখা হলে অনলাইন পত্রিকাগুলো অবশ্যই প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সাহিত্যচর্চায় সুফলও বয়ে আনবে। তবে এজন্য সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সময় থেকে যদি বলি বা এর পরের লেখকদের যে সাহিত্য আড্ডা হতো, ভাব বা জ্ঞানের আদান-প্রদান হতো, এখন তেমনটি হয় না। দিনে দিনে সবাই অনলাইনের প্রতি আসক্ত হচ্ছি। এতে মনে হয়, শুদ্ধ সাহিত্যচর্চার চেয়ে নিজেকে প্রচার করা হচ্ছে বেশি।
চিন্তাসূত্র: ওয়েবম্যাগের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকলে একসময় কি দৈনিকের সাহিত্য পাতা গুরুত্ব হারাবে?
সৈয়দা আঁখি হক: ওয়েবম্যাগের পরিমাণ যতই বৃদ্ধি পাক, দৈনিকের সাহিত্যপাতার গুরুত্ব কখনোই হারাবে না, রবং পাঠকপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ, একটি সাহিত্যপাতায় যদি চল্লিশ জন লেখকের লেখা ছাপা হয়, তবে ওই চল্লিশ জন লেখকই চল্লিশটি পত্রিকা সংগ্রহ করবেন। কিন্তু আমার জানা মতে নিজের লেখা ছাড়া কবে, কার, কোন লেখা ছাপা হলো, এ বিষয়টি অনেকেরই মনে থাকে না। তাই সংরক্ষণের বিষয়টি জটিল মনে হয় আমার কাছে। তবে কোনো কোনো পত্রিকার প্রচার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। অনলাইনে দুইশো’রও অধিক দেশে পাঠক সংখ্যা প্রায় দশ থেকে বারো লাখ হয়। সামনে হয়তো এর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে লিটলম্যাগ বা দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সন থাকলে দুই শ্রেণীর পাঠকের কাছেই জনপ্রিয়তা বাড়বে, ভালো মানের লেখক তৈরি হবে, পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
চিন্তাসূত্র: একটি ওয়েবম্যাগকে আপনি কীভাবে দেখতে চান? অর্থাৎ একটি ওয়েবম্যাগে আপনি কী ধরনের লেখা পড়তে চান?
সৈয়দা আঁখি হক: সস্তায় নাম কুড়ানোর মতো লেখকের লেখা প্রকাশ করে যেমন সম্পাদক সমালোচনার সম্মুখীন হন, তেমনি কিছু দুর্বল লেখার কারণে পাঠকও বিরক্ত হন। তাই ভালো সম্পাদনায়, সৃজনশীল, শিক্ষণীয়, শৈল্পিক এবং তথ্যবহুল ওয়েবম্যাগ আমি দেখতে চাই। যেখানে একজন সম্পাদকের রুচির প্রকাশ থাকবে। তবেই হয়তো একটা সময় গিয়ে অনলাইন পত্রিকায় পাঠক তুষ্ট হবেন। ভালো কিছুর জন্য একটু অপেক্ষা করতেই হবে।