প্রথম পর্বের পর:
হল: আমি জানি কনরাড আইকেনই আপনাকে এবং আপনার কাজকে পাউন্ডের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।
এলিয়ট: হ্যাঁ, সে-ই। আইকেন খুব উদার হৃদয়ের বন্ধু ছিল। সে আমার কিছু কবিতা লন্ডনে চালানোর চেষ্টা করে, হ্যারল্ড মনরোসহ অন্যদের কাছে। কেউ সেগুলো ছাপতে রাজি হয়নি। সে ওগুলো আমার কাছে ফেরত আনে। তারপর ১৯১৪ সালে, আমার মনে পড়ে, আমরা উভয়ে গ্রীষ্মকালে লন্ডনে গিয়েছিলাম। সে বলল, ‘পাউন্ডের কাছে যাও। তাকে তোমার কবিতা দেখাও।’ সে ভেবেছিল পাউন্ডের সেগুলো পছন্দ হবে। আইকেন আমার কবিতা পছন্দ করত যদিও তার থেকে আমার কবিতা ছিল একেবারে আলাদা।
হল: পাউন্ডের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের ঘটনা আপনার মনে আছে?
এলিয়ট: আমার মনে হয় আমিই প্রথমে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। কেনসিংটনে তার ছোট্ট ত্রিকোণাকার বসার ঘরে আমি একটা ভাল ভাবমূর্তি তৈরি করতে পেরেছিলাম। তিনি বললেন, ‘আমার কাছে তোমার কবিতা পাঠাও।’ তিনি ফেরত চিঠিতে লিখলেন, ‘এ যাবৎ আমি যা কিছু দেখেছি তার মতোই সুন্দর এগুলো। আমার কাছে এস, আমরা এগুলো নিয়ে আলাপ করব।’ কিছুদিন পর তিনি ওগুলো হ্যারিয়েট মনরোর কাছে পাঠিয়ে দেন।
হল: আপনার ষাটতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত বইতে আপনার অ্যাডভোকেকালীন দিনগুলো নিয়ে লেখা এক প্রবন্ধে আইকেন আপনার একটা চিঠি উদ্ধৃত করেছেন। ইংল্যান্ড থেকে লেখা সেই চিঠিতে আপনি পাউন্ডের কবিতাকে বলেছেন ‘মর্মস্পর্শী রকমের দুর্বল’। কখন আপনার মন পরিবর্তন হলো?
এলিয়ট : হাহ-হা-হা! সেটা কিছুটা হঠকারী মন্তব্য, তাই না? দ্য হার্ভার্ড অ্যাডভোকেট-এর একজন সম্পাদক, ডব্লিউ. জি. টিংকম-ফার্নান্দেজ, সে আমার, কনরাড আইকেন, এবং তখনকার অন্যসব সিগনেট গ্রুপের কবিদের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল, সে-ই প্রথম আমাকে পাউন্ডের কবিতা দেখায়। সে আমাকে এলকিন ম্যাথ্যুজের ক্ষুদ্র রচনা এক্সাল্টেশন্স এবং পারসোনিও দেখিয়েছিল। সে বলেছিল, ‘এ হচ্ছে তোমার পথের যাত্রী; তোমার এটা পছন্দ হবে।’ তবে আমার পছন্দ হয়নি, সত্যিই। আমার কাছে এটা বরং অসংযত, পুরনো কেতার, রোম্যান্টিক, যান্ত্রিক ধরনের লেখা মনে হয়। আমাকে খুব একটা আকর্ষণ করতে পারেনি। যখন আমি পাউন্ডের সঙ্গে দেখা করতে যাই, তখন আমি বিশেষরূপে তার কাজের গুণগ্রাহী ছিলাম না, এবং যদিও আমি এখন তার সেই কাজগুলোকে খুব রুচিসম্পন্ন বিবেচনা করি, তবু এটা নিশ্চিত যে তার পরের কাজগুলোতেই উৎকর্ষ বেশি।
হল: আপনি লিখিতভাবে উল্লেখ করেছেন যে, পাউন্ড আপনার দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ডকে কেটে অনেক বড় কবিতা থেকে বর্তমান আকারে নিয়ে এসেছেন। সাধারণভাবে তার সমালোচনার দ্বারা আপনি কি লাভবান হয়েছেন?
এলিয়ট: হ্যাঁ। সেই সময়ে। তিনি চমৎকার একজন সমালোচক, কারণ তিনি আপনাকে তার মতো বানানোর চেষ্টা করেন না। আপনি কী করতে চেয়েছেন সেটাই তিনি দেখতে চেষ্টা করেন।
হল: আপনি কি আপনার কোনো বন্ধুকে তার কবিতা পুনর্লিখনে সাহায্য করেছেন? যেমন, উদাহরণ হিসেবে, এজরা পাউন্ডের?
এলিয়ট: কোনো উদাহরণের কথা আমি মনে করতে পারছি না। অবশ্য গত পঁচিশ বছর বা এই রকম সময় ধরে আমি তরুণ কবিদের অসংখ্য পরামর্শ দিয়েছি।
হল: ওয়েস্ট ল্যান্ড-এর মূল, অসংশোধিত পাণ্ডুলিপি আপনার কাছে আছে?
এলিয়ট: সে কথা জিজ্ঞেস করবেন না। সেটা আমি জানি না। এটা একটা অমীমাংসিত রহস্য। আমি সেটা জন কুইন-এর কাছে বিক্রি করেছিলাম। আমি তাকে আমার একটা অপ্রকাশিত কবিতার নোটবুকও দিয়েছিলাম, কারণ তিনি আমার বিভিন্ন কাজে খুব সহযোগিতা করেছেন। পরে তিনি মারা যান, সেগুলো আর বাজারে আসেনি।
হল: পাউন্ড দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড থেকে কী ধরনের জিনিস বাদ দিয়েছেন? কোনো পুরো অধ্যায় কেটে দিয়েছেন কি?
এলিয়ট: পুরো অধ্যায়? হ্যাঁ। জাহাজডুবি নিয়ে একটা দীর্ঘ অধ্যায় ছিল। আমি জানি না সেটার কী প্রয়োজনীয়তা ছিল, সেটা, আমার মনে হয়, দ্য ইনফার্নো-এর ইউলিসিস সর্গের অনুপ্রেরণার ফল। আর একটা পরিচ্ছেদ ছিল যেটা রেপ অফ দ্য লক-এর অনুকরণে লেখা। পাউন্ড বলেছিলেন, ‘এমন কিছু করার কোনো মানে নেই যা অন্য কেউ করেছে, তা যদি তার চেয়ে ভালো করা যায়। করো আলাদা কিছু।’
হল: এই অস্ত্রোপচার কি কবিতার বুদ্ধিবৃত্তিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন ঘটিয়েছে?
এলিয়ট: না। আমার মনে হয় এটা দীর্ঘ আকৃতিতে যে রকম কাঠামোহীন ছিল সে রকমই রয়েছে, কেবল কিছুটা নিরর্থকভাবে।
হল: এই কবিতা নিয়ে আমার একটা প্রশ্ন আছে, সেটা তার সংগঠন বিষয়ে। সমালোচকরা বলেছেন, আপনি দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড-এ ‘একটা প্রজন্মের মোহমুক্তি’র কথা প্রকাশ করেছেন, বা এটা যে আপনার পরিকল্পিত সে কথা আপনি অস্বীকার করেছেন। আপনি আপনার থটস আফটার ল্যাম্বেথ-এ সমালোচকদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এখন এফ. আর. লেভিস, আমার বিশ্বাস, বলছেন যে এই কবিতায় কোনো ক্রমোন্নতি দেখানো হয়নি; তাছাড়াও, অন্যদিকে, আরও সাম্প্রতিক সমালোচকরা আপনার পরবর্তীকালের কবিতা সম্পর্কে লিখতে গিয়ে দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ডকে খ্রিস্টান ধর্ম সম্পর্কিত বলে চিহ্নিত করছেন। আমার জানতে ইচ্ছে করে এটা আপনার পরিকল্পিত কিনা।
এলিয়ট: না, এটা আমার সচেতন পরিকল্পনার অংশ নয়। আমি মনে করি যে থটস আফটার ল্যাম্বেথ-এ আমি যে-পরিকল্পনার কথা বলেছি তা ইতিবাচকতার চেয়ে নেতিবাচক অর্থে বেশি বলেছি, কী আমার পরিকল্পনা ছিল না সেকথা বলার জন্যে। আমি জানতে উৎসুক ‘পরিকল্পনা’ বলতে কী বোঝায়! একজন চাচ্ছে তার বুকের মধ্যে যা আছে তা বের করতে। অথচ সে পুরোপুরি জানে না তার বুকের মধ্যে থেকে সে কী বের করতে চায়, যতক্ষণ না তা বের হচ্ছে। তবে আমি ‘পরিকল্পনা’ শব্দটিকে আমার কবিতার ক্ষেত্রে, বা কোনো কবিতার ক্ষেত্রেই, ইতিবাচক অর্থে প্রয়োগ করতে পারিনি।
হল: আপনি এবং পাউন্ড এবং আপনার প্রথম জীবন সম্পর্কে আমার আর একটা প্রশ্ন আছে। আমি কোথাও এক জায়গায় পড়েছি যে, আপনি এবং পাউন্ড, আপনাদের টিন-এজের শেষ দিকে, চতুষ্পদী লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কারণ মুক্তছন্দ নিয়ে অনেক হয়েছে।
এলিয়ট: আমার মনে হয় পাউন্ড সে রকম কিছু একটা বলেছিলেন। চতুষ্পদী রচনার পরামর্শ তারই। তিনি আমাকে এমঁক্স এত্ কামিস-এর (থিয়োফিল গোতিয়ের-এর কবিতা) দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন।
হল: আমার জানতে ইচ্ছে করছে আঙ্গিক ও বিষয়ের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারে আপনার ধারণা কী। আপনি কি তাহলে কী লিখতে যাচ্ছেন, সেটা পুরোপুরি জানার আগেই আঙ্গিক বাছাই করবেন?
এলিয়ট: হ্যাঁ, একদিক থেকে তা-ই। একজন মূলটা পড়েছে। আমরা গোতিয়ের-এর কবিতাগুলো পড়লাম এবং ভাবলাম, ‘আমি কি এমন কিছু বলতে চাই যা এই আঙিকের জন্যে উপযুক্ত?’ আমরা পরীক্ষা করলাম। আঙ্গিকটা কথ্যবস্তুকে শক্তি যোগাল।
হল: আপনি আপনার প্রথম দিককার কবিতায় মুক্তছন্দকে আঙ্গিক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কেন?
এলিয়ট: আমার প্রথম দিককার কবিতায় মুক্তছন্দের ব্যবহার শুরু হয়েছিল লাফর্জের আঙ্গিক অনুশীলনের প্রচেষ্টা হিসেবে। এর অর্থ ছিল অনিয়মিত দৈর্ঘ্যের মিলযুক্ত পঙ্ক্তি এবং যত্রতত্র মিলযুক্ত শব্দের ব্যবহার। এটা ঠিক পুরোপুরি মুক্তছন্দ ছিল না, বিশেষ করে যে ধরনকে এজরা ‘অ্যামিগিজম’ বলেন (এমি লাওয়েল প্রসঙ্গে)। তারপর অবশ্য, পরবর্তী পর্যায়টা ছিল অনেক বেশি মুক্ত, যেমন ‘র্যাপ্সডি অন এ উইন্ডি নাইট’। আমি জানি না এটা করার সময় আমার মনের সামনে কোনো রকম মডেল বা অনুশীলন ছিল কিনা। এটা এইভাবে এসে গেছে আরকি।
হল: আপনার কি মনে হতো যে, সম্ভবত, আপনি কোনো কিছুর বিরুদ্ধে লিখছিলেন, যা কোনো মডেল থেকেও বেশি কিছু? সম্ভত কোনো প্রতিষ্ঠিত কবির বিরুদ্ধে গিয়ে?
এলিয়ট: না, না, না। আমি মনে করি না কেউ অবিরাম প্রত্যাখ্যানের চেষ্টা চালিয়ে যাবে, বরং তার জন্যে সঠিক কোনটা তার সন্ধান করতে হবে। কেউ কেউ সত্যি-সত্যিই রবার্ট ব্রিজেস-এর মতো কবি-ব্যক্তিত্বদের অবজ্ঞা করতে চেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি না কতকগুলো প্রতিষ্ঠিত আঙ্গিককে ছুঁড়ে ফেলার রাজনৈতিক প্রয়াস কোনো ভালো কবিতার জন্ম দিতে পারে। আমি মনে করি এটা কেবল অবস্থান বদল। লোকেরা তাদের নিজেদের কথা বলার জন্যে উপায় খোঁজে। ‘আমি বলতে পারি না এটা সেই পথ, আমি সেই পথ খুঁজছি যেটা আমার কাজে লাগবে।’ প্রচলিত রীতি নিয়ে কারও প্রকৃতপক্ষেই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।
হল: আমার মনে হয় ‘প্রুফ্রক’-এর পরে এবং ‘জেরোনটিওন’-এর আগে আপনি ফরাসি ভাষায় কিছু কবিতা লিখেছিলেন, সেগুলো আপনার কালেক্টেড পোয়েমস-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আমার জানতে ইচ্ছে হয় কী কারণে আপনাকে ওগুলো লিখতে হয়েছিল। তারপর কি আর লিখেছেন?
এলিয়ট : না, এবং আর কখনও লিখব না। সেটা খুবই কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার যার কোনো ব্যাখ্যা আমি দিতে পারি না। সেই সময় আমি চিন্তা করেছিলাম আমি পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে গেছি। আমি কিছু কাল কিছুই লিখিনি এবং হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ফরাশি ভাষায় লিখতে শুরু করলাম এবং দেখলাম আমি পারি, সেই সময়। আমার মনে হয় আমি যখন ফরাসি ভাষায় লিখছিলাম তখন কবিতাকে ততটা গুরুত্ব দেইনি, এবং গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়ার কারণে, আমি যে লিখতে পারছিলাম না সেজন্যে ততটা উদ্বিগ্ন হইনি। আমি এসব করেছিলাম আমি যে পারি সেটা দেখার জন্যে এক ধরনের দুঃসাহসিক অভিযাত্রা হিসেবে। কয়েক মাস এটা চলে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালোগুলো ছাপা হয়েছে। আমাকে অবশ্যই বলতে হবে যে এজরা পাউন্ড সেগুলো পড়েছেন, এবং এডমন্ড ডুলাক, আমাদের পরিচিত লন্ডনবাসী ফরাসি, এ ব্যাপারে কিছু সাহায্য করেছেন। কিছু কিছু আমরা বাদ দিয়েছি, সেগুলো মনে হয় সম্পূর্ণরূপে লুপ্ত হয়েছে। তারপর হঠাৎ আমি আবার ইংলিশে লিখতে শুরু করি এবং ফরাসি ভাষায় লেখার সকল উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। আমার মনে হয় কোনো কিছু আমাকে আবার লেখা শুরু করতে সাহায্য করে থাকবে।
হল: আপনি কি গত শতাব্দীর দু’জন আমেরিকানের মতো ফরাসি প্রতীকবাদী কবি হওয়ার চিন্তা করেছিলেন?
এলিয়ট : স্টুয়ার্ট মেরিল এবং ভিয়েলি-গ্রিফিন। আমি এটা করেছিলাম কেবল হার্ভার্ডের পর প্যারিসে যে-রোম্যান্টিক বছর কাটিয়েছি সে সময়। তখন ইংলিশ ত্যাগ করা, কোনোভাবে প্যারিসে থিতু হওয়া এবং ধীরে ধীরে ফরাসি ভাষায় লেখার চিন্তা করেছিলাম। যদিও আমি আগের যে কোনো সময়ের চাইতে অনেক বেশি দ্বিভাষী হয়েছিলাম, তবু সেটা একটা নির্বোধ চিন্তা ছিল, কারণ, একটা ব্যাপার হলো কি, আমি মনে করি না কারো পক্ষে দ্বিভাষিক কবি হওয়া সম্ভবপর। এমন কোনো লোকের কথা আমার জানা নেই, যে দুই ভাষায় সমতুল্য মহৎ বা সুন্দর কবিতা লিখেছে। আমি মনে করি একটা ভাষা থাকে একমাত্র যার মাধ্যমে আপনি আপনার নিজেকে, কবিতায়, প্রকাশ করেন, এবং আপনাকে অন্যটাকে সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা ত্যাগ করতে হবে। আর ইংলিশ ভাষা কোনো কোনো বিবেচনায় ফরাসি ভাষার চেয়ে অধিকতর সমৃদ্ধ। আমি মনে করি, অন্য কথায়, আমি সম্ভবত ফরাশি ভাষার চেয়ে ইংলিশেই বেশি ভাল করেছি, যদিও আপনি যে-কবিদের কথা বললেন তাদের মতো আমিও ফরাশি ভাষায় সমান দক্ষ।
হল: আপনার কি এখন কবিতা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
এলিয়ট: না। এই মুহূর্তে কোনো পরিকল্পনা নেই, আমি এখন দ্য এলডার স্টেটসম্যান-এর কবল থেকে মুক্তি নিয়ে (লন্ডন ছাড়ার আগে সেটার চূড়ান্ত সংশোধনী দিয়ে এসেছি) সমালোচনা ধরনের কিছু গদ্যের কাজ করতে চাই। আমি কখনও এক ধাপের বেশি সামনের কথা ভাবি না। আমি কি আরেকটা নাটক করতে চাই, নাকি আরো কিছু কবিতা লিখতে চাই? আমি জানি না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি তা করার অভিপ্রায় খুঁজে পাই।
চলবে….
কবিতার শিল্পরূপ: টি এস এলিয়ট ॥ ভূমিকা ও অনুবাদ : নাজিব ওয়াদুদ