ইলিয়াস বাবর—সাহিত্যকর্মী। চট্টগ্রাম ‘সুচক্ররেখা’ নামে একটি সাহিত্যের কাগজ সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত। লেখালেখির ক্ষেত্র মূলত কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ। সম্প্রতি সাহিত্যের ওয়েব নিয়ে চিন্তাসূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন এই তরুণ সাহিত্যকর্মী।
চিন্তাসূত্র: একসময় যারা দৈনিকের সাহিত্যপাতায় ঠাঁই পেতেন না অথবা যারা দৈনিকে লিখতে স্বস্তি বোধ করতেন না, তারা লিটলম্যাগ বের করতেন। সম্প্রতি লিটলম্যাগের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বিপরীতে বেড়েছে অনলাইন সাহিত্যপত্রিকা বা ওয়েবম্যাগ। আপনি কি মনে করেন, লিটলম্যাগের জায়গাটাই এই ওয়েবম্যাগগুলো দখল করছে?
ইলিয়াস বাবর: সময়ের প্রয়োজনকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না, এড়াতে পারে না প্রাযুক্তিক প্রভাব। একসময় পোস্ট অফিসে গিয়ে খামে ভরে লেখা পাঠাতে হতো। এখন চিঠির যুগ পেরিয়ে মেইলে, এক ক্লিকেই লেখা পাঠাচ্ছি আমরা। কপি পেস্টও চলছে সমানতালে। এছাড়া সার্চইঞ্জিন ঘাঁটলেই পেয়ে যাচ্ছি অসম্ভব বা কল্পনাতীত সব তথ্য। ফেসবুক বা অন্যান্য দ্রুতগতির যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে সহজেই সম্পর্ক হচ্ছে, সম্পর্ক ভাঙছে। অপ্রত্যাশিতভাবে উন্মুক্ত হচ্ছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও। কিন্তু জনকোলাহলের অবসরে, স্মার্টফোনকেন্দ্রিক ব্যক্তিগত নির্জনতার অবসরে আমরা মিস করি আগের সময়গুলো। হয়তো কোরাস গেয়ে উঠি—‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!’ তাই বলে আমরা চিঠির যুগে ফিরে যেতে পারি না কিন্তু! তবে হ্যাঁ, বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে স্বীকার করেই আমাদের ঐতিহ্যসচেতন হওয়া দরকার। কেউ কারও কারও স্থান দখল করতে পারে না, কারও অভাব কাউকে দিয়ে পূরণ হয় না। আবার এ-ও সত্য, কারও জন্য থেমে থাকে না কোনো কাজও। ফলে, আমরা এভাবেই বলতে আরাম পাব—লিটলম্যাগের জায়গা ওয়েবম্যাগ দখল করেনি বরং প্রতিনিয়ত যোগ হতে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো ওয়েবম্যাগ দারুণভাবেই উন্মোচন করছে লিটলম্যাগের সামনে।
চিন্তাসূত্র: একসময় লেখাপ্রাপ্তির ওপর নির্ভর করে, পাঁচ থেকে দশ বা তারও বেশি ফর্মার লিটলম্যাগ বের হতো। এতে খরচও হতো বেশ। কিন্তু বর্তমানে ওয়েবম্যাগে সে খরচটি নেই। আপনি কি মনে করেন, অর্থব্যয়ের কারণ না থাকায় ওয়েবের দিকে ঝুঁকছেন সাহিত্যকর্মীরা?
ইলিয়াস বাবর: অর্থ সবসময়ই একটা বড় ফ্যাক্টর, সবকিছু নয়। এটা তো সত্য, একসময় দারুন সব লিটলম্যাগ হয়েছে। এখন কিন্তু দেশে ধনিক পরিবার আর কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে। বাড়ছে শিল্পউদ্যোক্তা গ্রুপ, এমনকি সাহিত্যপুরস্কারে শিল্পগ্রুপ বা ব্যাংক-বীমার পৃষ্ঠপোষকতা অতি পরিমাণে দৃশ্যমান। এসব পুরস্কারের দিকে অনেকেরই নজর পড়ছে কেবল হ্যান্ডসাম একটা অর্থসংযোগ আছে বলেই। লিটলম্যাগের প্রকাশ একেবারেই হচ্ছে না, তাও নয়। লিটলম্যাগকেন্দ্রিক মেলাও হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। অর্থকষ্ট থাকলে এখনো দারুন কিছু ঢাউস লিটলম্যাগ হতো না। এটা স্বীকার করা বোধহয় বাঞ্ছনীয়, এখন বদলে গেছে লিটলম্যাগের চরিত্র। নানা রকম ধান্ধাবাজি তাতে ঢুকতে চায়, কখনো পারে, কখনো পারে না। লিটলম্যাগকর্মীদের দুঃখও কি কম? একসময় যারা লিটলম্যাগে লিখে হাত পাকিয়েছেন, রুচিবোধ তৈরি করেছেন, তারা বড়কাগজে মুখ দেখিয়েই তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন, অবজ্ঞা করেন লিটলম্যাগকে। হয়তো কবিতা-ছড়া-গল্প পাওয়া যাবে ঢের; একটি সার্থক প্রবন্ধের খোঁজে, দুর্দান্ত একটি অনুবাদের খোঁজে লিটলম্যাগ সম্পাদককে দৌড়াতে হয় দিনের পর দিন; অনেক হামবড়া লেখকেই কথা দিয়ে কথা রাখার সৌজন্য পর্যন্ত দেখান না। এছাড়া লিটলম্যাগ বা সাহিত্যের গতিতে বাঁক দিতে যে ধরনের বড় ঘটনা জাতীয় জীবনে দরকার, তা অনেক দিন ধরেই অনুপস্থিত। তরুণপ্রজন্মের একটা অংশ ভালো ক্যারিয়ার বলতে বিসিএসকে ধরে নিয়ে এগুচ্ছে, দুনিয়ার বাদবাকি খবর না জেনেই। কেউবা অর্থ অর্থ করে হারিয়ে ফেলছে সৃষ্টির তাগিদ। কয়জন লেখকইবা সামাজিকভাবে মর্যাদাবান এদেশে? একজন মানুষ, তিনি লেখক, এর বাইরেও তাকে যাপন করতে হয় সামাজিক জীবন, থাকে নানা দায়বোধ। এছাড়া ওয়েব বা প্রাযুক্তিক দুনিয়ায় একদল লিটলম্যাগকর্মী যে বিলোড়ন তুলতে সক্ষম হন না, তারচে বেশি সফল একেকটি ওয়েবম্যাগ। দ্রুত শেয়ার, ফেসবুকে বন্ধুদের পড়ার আমন্ত্রণের কাগুলো যেভাবে পারে ওয়েবম্যাগ, তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে লিটলম্যাগ। মুখে নিভৃতচারী বললেও কে চায় না নিজের প্রচার? তো দেশের বাইরেও বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে যাওয়ার সহজ উপায় ওয়েবম্যাগ। এটাকে অর্থব্যয় বা অন্য ক্যাটাগরিতে না পেলে বরং স্বকালের প্রতি সাহিত্যকর্মীদের সাড়া দেওয়া হিসেবেই স্বাগত জানানো উচিত।
চিন্তাসূত্র: কারও কারও মতে, বেশিরভাগ ওয়েবই সম্পাদনা ছাড়াই লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। এমনকী বানানও দেখা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইলিয়াস বাবর: সেটা একেবারে অমূলক নয়। কিছুদিন আগে আমরা সবিস্ময়ে লক্ষ করি স্মার্টফোন বা একটি ল্যাপটপ থাকলেই (সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ) যে-কেউই নিউজ পোর্টাল নিয়ে বসে যেতেন। যার যা মন চায়, তাই নিউজ করছেন। কপি পেস্ট করছেন। অর্থসংক্রান্ত নয়-ছয়ের কথাও শোনা গেছে অনেক পোর্টাল নিয়ে। নেমপ্লেট বা কার্ডকেন্দ্রিক বাণিজ্যও হয়েছে দেদারছে, এখনও। কিন্তু দিন শেষে কয়টা নিউজপোর্টালকে আমরা গুরুত্ব দেই? নিজের অস্তিত্ব নিয়ে, পেশাদার মনোভাব নিয়ে কয়টা পোর্টাল বেঁচে আছে এখন? অনুরূপভাবে এখন আমরা লক্ষ করি—ওয়েবম্যাগ/ওয়েবজিনের অস্তিত্ব। নামে-বেনামে, সম্পাদনার যোগ্যতাহীন কিছু মানুষ নিজেদেরই রুচির পরিচয় দিচ্ছেন বানান বা সম্পাদনার দিকে নজর না রেখে। সময় যেখানে স্পেশালাইজড, সেখানে এসব হ-য-ব-র-ল ঠিকবে না শেষপর্যন্ত।
চিন্তাসূত্র: একসময় কারও পকেটে একহাজার/বারো শ টাকা থাকলেই তিনি একটি লিটলম্যাগ করার সাহস দেখাতেন। এখন ১৫/১৬ টাকা শত পকেটে থাকলেই কেউ কেউ ওয়েবম্যাগ করছেন, কেউ কেউ বিনেপয়সাতেই ব্লগজিন খুলছেন, লেখা সংগ্রহ করছেন। এ ধরনের ওয়েবজিন বা ব্লগজিন বের করার কারণ কী বলে মনে করেন? এটা কি নিছকই নিজের কর্তৃত্ব প্রকাশের উপায়, না কি সাহিত্যপ্রেমের জন্য?
ইলিয়াস বাবর: টাকা থাকলেই যেমন লিটলম্যাগ করা যায় না, তেমনি টাকা না থাকলেও ওয়েবজিন করা যাবে না, তা কিন্তু নয়। মুক্তিযুদ্ধের এতকাল পরে এসেও দেখবেন, কোনো কোনো চালাক রাজাকার মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে দিব্যি ভোগ করে যাচ্ছেন সব সুযোগ-সুবিধা। কেউবা বিপ্লবের ত্যাগে না থেকে পরবর্তী সময়ে নিজেকে বিপ্লবী পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। আসলে, সময়টা এখন ওয়েবজিনের—এখানে হয়তো অনেকেই শখ করে আসতে পারেন, সম্পাদনা করবেন। সাহিত্য তো আর শখের ব্যাপার না! জীবনের আয়ু খরচ করে এগুতে হয় সাহিত্যে। হ্যাঁ, দৈনিকের সাহিত্যপাতা কি লিটলম্যাগে যেমন গোষ্ঠীবদ্ধতার রীতি দেখা যায়, তেমনি ওয়েবজিনেও কেউ কেউ আছেন সত্যিকারের সম্পাদক—যারা তরুণদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন, অগ্রজদের হাতে লিখিয়ে নেন অসাধারণ সব মণিমুক্তো। সবচেয়ে বড় কথা, সম্পাদক নিজে সাহিত্যিক না হলে, সমালোচকের চোখ না থাকলে, তাকে দিয়ে আর যাই হোক সাহিত্য হবে না। ওয়েবজিনের ব্যাপারটা মুক্ত আকাশের মতো, যার যোগ্যতা আছে সেই-ই প্রকাশ করতে পারবে। যারা হীনমন্যতা থেকে বের হতে পারবে না, তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হবেন সাহিত্যের ইতিহাসে।
চিন্তাসূত্র: আপনি কি মনে করেন, ওয়েবম্যাগ-ওয়েবজিন-ব্লগজিন মানুষকে বইপাঠবিমুখ করে তুলছে?
ইলিয়াস বাবর: না, তা হবে কেন? গত বইমেলায়ও তো পর্যাপ্ত বই বিক্রি হয়েছে। প্রতিনিয়ত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বাড়ছে, প্রকাশনা শিল্পে পেশাদারিত্ব বাড়ছে, অধিকসংখ্যক বই বেরুচ্ছে; তাহলে কেমন করে বুঝব—ওয়েবম্যাগ-ওয়েবজিন-ব্লগজিন মানুষকে বইপাঠবিমুখ করে তুলছে! এগুলো বরং যাত্রাপথে পাওয়া খানিক সময়কে, ক্লান্তিকর অবসাদকে দূর করতে সহায়তা করছে এক ক্লিকেই! ডিভাইসের ব্যবহারটাও মাথায় রাখতে হবে কিন্তু, মানুষ তো এমনই যাকে দৃষ্টির কাছে পায়, তাতেই মেতে থাকে।
চিন্তাসূত্র: আপনি নিজে দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতা না লিটলম্যাগ না এই ওয়েবম্যাগে লিখতে /পড়তে পছন্দ করেন?
ইলিয়াস বাবর: প্রত্যেকটা মাধ্যমেরই আলাদা গুরুত্ব আছে। আছে সেন্সরের তারতম্য। কে কোথায় লিখবে তা তার অভ্যেস, রুচি আর পরিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপরই নির্ভর করছে। আমার মনে হয় একজন লেখক যেহেতু নিজেকে সর্বশেষ বিষয়টাতেও সংযুক্ত করেন তাই তিনি ওয়েবম্যাগকে বেঁচে নিতে পারেন স্বাভাবিকভাবেই। তবে তা হওয়া উচিত নিকট-অতীতকে ভুলে না গিয়েই। পড়ার বিষয়টাও সময় আর পরিবেশের ওপর এবং পাঠ-উপকরণপ্রাপ্তির ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
চিন্তাসূত্র: একটি লিটলম্যাগ দুই থেকে তিন শ কপি প্রকাশিত হয়, দৈনিকের সাহিত্যপাতাও একটি সীমিত পাঠকের কাছে যায়। কিন্তু অনলাইন সাহিত্যপত্রিকা যায় লাখ লাখ ইউজারের কাছে। সাহিত্যচর্চা, প্রসার ও প্রচারের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?
ইলিয়াস বাবর: এটা নিশ্চয়ই ইতিবাচক। যেকোনো শিল্পই অধিকসংখ্যক পাঠক-শ্রোতার কাছে যাওয়া মানে বেশি প্রতিক্রিয়া পাওয়া। প্রতিক্রিয়া হতে পারে নীরব কিংবা সরব; তাতে অসুবিধা নেই। যেকোনো আলোচনায় আমরা সহজেই বলে দেই—ইউরোপে প্রথম সংস্করণেই এত কপি বই প্রিন্ট হয়, আমাদের দেশে? এই সংকোচন থেকে যে মাধ্যমটি আমাদের উদ্ধার করে, তাকে অভিনন্দিত করতেই হয়!
চিন্তাসূত্র: ওয়েবম্যাগের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকলে একসময় কি দৈনিকের সাহিত্যপাতা গুরুত্ব হারাবে?
ইলিয়াস বাবর: ঠিক সেভাবে ভাবি না আমি। বিভিন্ন দেশে অনেক দৈনিকের প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ হয়ে গেছে। আবার তাদের অনলাইন ভার্সনকে আরও আপডেট করছে। আবার আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলো পর্যন্ত অনলাইন ভার্সন রাখছে, যুগের সঙ্গে তাল না মিলিয়ে উপায় নেই। আমাদের দেশেও নজির আছে দৈনিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার। বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু নতুন দৈনিক আসছে তারচে বেশি। দৈনিকের সাহিত্যপাতার গুরুত্ব ইতোমধ্যেই একশ্রেণীর পাঠকের কাছে আগের মতো নেই এখন। কিছু পরিচিত নাম ঘুরেফিরে আসে প্রতি শুক্রবারে। এছাড়া পৃষ্ঠাজুড়ে বিজ্ঞাপনগুলো দেখবেন সাহিত্যপাতাকেই দখল করে; তার মানে অন্য পাতাগুলোর ভ্যালু আছে তাদের কাছে। শুধু নাই সাহিত্যপাতার। সত্য হয়তো এরকমও হতে পারে—দৈনিকগুলোর মালিকপক্ষও চায় না সাহিত্যপাতাটি সমৃদ্ধ হোক। ওয়েবম্যাগের পরিমাণ বাড়লেই সাহিত্যপাতা গুরুত্ব হারাতে পারে না; যদি দৈনিকের মালিকপক্ষ ইতিবাচক হয়, সাহিত্যসম্পাদক সমৃদ্ধ হন, তবে ওয়েবম্যাগের ইতিবাচকতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ফিরিয়ে আনতে পারে আদর্শ মান। দুঃখের বিষয় তা হবে না হয়তো।
চিন্তাসূত্র: একটি ওয়েবম্যাগকে আপনি কিভাবে দেখতে চান? অর্থাৎ একটি ওয়েবম্যাগে আপনি কী ধরনের লেখা প্রত্যাশা করেন?
ইলিয়াস বাবর: ওয়েবম্যাগ যেহেতু সর্বশেষ সংযুক্ত মাধ্যম। তাই, আশা করব এখানে আশাবাদী লেখা থাকবে, অন্বেষণ আর মননশীল লেখা থাকবে। সৃজনশীল লেখাকে উৎসাহ দেওয়ার ব্যাপারটা এবং তরুণদের প্রেষণা দেওয়ার দিকটায় কখনো বিস্মৃত হবেন না তারা। অগ্রজের সঙ্গে অনুজের মুখোমুখি, খোলামেলা আলোচনা, শিল্পের অন্যান্য মাধ্যমের সঙ্গে সাহিত্যের মিথস্ক্রিয়া, পাঠক-লেখক মুখোমুখি, অনুবাদ সাহিত্য—সর্বোপরি সমালোচনা সাহিত্যকে ওপরের দিকে নিয়ে যাওয়াই হতে পারে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রত্যাশা।