অদ্বৈত মারুত—শিশুসাহিত্যিক, কবি ও সাংবাদিক। গত শতকের অন্তিম লগ্ন থেকে তার লেখালেখি শুরু। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে। এই পর্যন্ত
তার প্রকাশিত শিশুতোষ ছড়া-কবিতার বই—‘ভাল্লাগে না’ ও ‘হাজার তারার আলো’। শিশুতোষ গল্প—‘ভূত খেলে কুতকুত’; ‘লাল পিঁপড়ার সেলফি মেয়ে’; ‘রুকু টুকুর গাছবন্ধু’; ‘পাখিগাছ ও বুড়ো কাকের গল্প’; ‘টুটলু ও কুড়িয়ে পাওয়া বিড়ালছানা’; ‘মেঘের মেয়ে বৃষ্টি’; ‘হাসির ফেরিওয়ালা’ ও ‘ভূতু কুতু আর তুমি’। কাব্যগ্রন্থ—‘নিস্তরঙ্গের বীতস্বরে’ ও ‘স্বর ভাঙার গান’। সম্পাদনা—ছড়া ও কিশোরকবিতাবিষয়ক ছোটকাগজ ‘পাঁপড়’।
শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০১৫’ ও ‘লাটাই ছড়াসাহিত্য পুরস্কার-২০১৭’। স্মারক ও সম্মাননা প্রদান করেছে সাহিত্যের কাগজ ‘মৌচাক’, রংপুর; মহীয়সী সাহিত্য পাঠচক্র, পাবনা; ত্রৈমাসিক ‘রঙধনু ছড়াপত্র’ ও ‘বিজয় দিবস সম্মাননা ২০১৭’। ‘পাঁপড়’ সম্পাদনার জন্য সম্প্রতি পেয়েছেন ‘কবি সম্পাদক আন্ওয়ার আহমদ স্মৃতি পদক’। সাহিত্যসাধনা, ছোটকাগজ সম্পাদনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চিন্তাসূত্র তার মুখোমুখি হয়েছে। নিচে সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
চিন্তাসূত্র: দীর্ঘদিন ধরে সম্পাদনা করছেন ছোটকাগজ ‘পাঁপড়’। এই কাগজের মাধ্যমে আপনি নতুন কোনো ধারা তৈরি করতে পেরেছেন?
অদ্বৈত মারুত: ছড়া ও কিশোরকবিতা বিষয়ক ছোটকাগজ ‘পাঁপড়’ প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ২০০১ খ্রিস্টাব্দের জুনে। একই বছর প্রকাশিত হয় কাগজটির দ্বিতীয় সংখ্যা। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের পর পুরোপুরি অনিয়মিত হয়ে যায়। নতুন করে আবার প্রকাশনা শুরু হয় ২০১২ খ্রিস্টাব্দে। এ পর্যন্ত পত্রিকাটির ১৩টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ১৪তম সংখ্যাটি ছাপা হয়ে গেলেও প্রচ্ছদে সামান্য ভুল এবং অতিমারি করোনার কারণে পুরো প্রক্রিয়া আটকে যায়। এই বছর ১৪তম সংখ্যা এবং ১৫তম সংখ্যা একসঙ্গে মেলায় আসবে বলে আশা করছি।
এই যে ছড়া ও কিশোরকবিতার সঙ্গে পাঁপড়ের সুদীর্ঘ যাপন, তাতে তো একটা ধারা তৈরি হয়েছেই বলা যায়। তবে এটা স্বীকার করে নিচ্ছি, পাঁপড়ের মাধ্যমে কোনো সাহিত্যগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সক্ষম হইনি আমরা। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিতদের পাশাপাশি নবীন ও তরুণদের লেখা দিয়ে সাজানো হয়েছে পাঁপড়। এই দীর্ঘ পরিক্রমায় আমরা বেশ কয়েকটি বিষয়ভিত্তিক কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমরা সমকালীন ছড়া নিয়ে একটি বিশেষ সংখ্যা করেছি। কিশোরকবিতা নিয়ে একটি বিশেষ সংখ্যা করেছি। এ রকমভাবে পাঁপড়ের প্রতিটি সংখ্যায় ছড়া ও কিশোরকবিতা নিয়ে অনেক বৈচিত্র্যময় লেখা থাকে, যা উৎসুক পাঠকের তৃষ্ণা মেটাতে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করি।
চিন্তাসূত্র: আপনার কাগজ থেকে নতুন লেখক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন? না প্রতিষ্ঠিত লেখকদের লেখা প্রকাশেই আপনি বেশি মনোযোগী?
অদ্বৈত মারুত: পাঁপড় মানেই ছড়া ও কিশোরকবিতার বিশেষ সংখ্যা। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ ধারার বিচ্যুতি ঘটেনি। দেখুন, ছড়ার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এটি একটি নির্দিষ্ট ধারা বজায় রেখে লেখা হয়েছে। এখনো লেখকরা লিখছেন। পাঠকও এই ধারায় রচিত ছড়া পড়ে আনন্দ পান, পাচ্ছেন। ছড়ার (সে হোক শিশুতোষ কিংবা সমাজ, অর্থনীতি, রাজনৈতিক বিষয় অর্থাৎ সমকালীন) গতিপ্রকৃতি, বিষয়, ভাবপ্রকাশ সাহিত্যের অন্যান্য মাধ্যম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হিসেবেই এখন পর্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত। বলছি না যে, ফর্ম ভাঙা যাবে না। নানাজন চেষ্টাও করে যাচ্ছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত পাঠক সেভাবে গ্রহণ করেননি। আগামীই হয়তো তা মীমাংসা করে দেবে; তবে যেহেতু এখন পর্যন্ত একটি ধারা চলমান, কাজেই কোন ধরনের ছড়ায় কোন ধরনের শব্দ ব্যবহার উপযুক্ত, বিষয় উপস্থাপন কেমন হলে তা পাঠকহৃদয়ে জায়গা করে নেবে, কত কত মাত্রায় লিখলে পাঠক দ্রুত তা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে, এসব বিষয় যাতে সহজেই নবীন লেখকটি ধরতে পারে, এ জন্য প্রতিষ্ঠিত লেখকদের কিছুটা প্রাধান্য দেওয়া হয় বৈকি, তবে বেশি ছাপা হয় নবীন ও তরুণদের লেখাই। প্রথম সংখ্যা থেকে প্রকাশিতব্য ১৫তম সংখ্যা পর্যন্ত অসংখ্য নতুন লেখকের লেখা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এই সময়ে ভালো লিখছেন, এমন অনেকের প্রথম লেখা পাঁপড়ে প্রকাশিত হয়েছে।
চিন্তাসূত্র: সম্প্রতি ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি শুরু হয়েছে ওয়েব পোর্টাল। আপনি ছাপা সাহিত্য পত্রিকা বা ছোটকাগজ ও ওয়েবপোর্টালের মধ্যে বড় ধরনের কোনো পার্থক্য দেখেন?
অদ্বৈত মারুত: প্রযুক্তির উৎষর্কে সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয়। মোবাইলফোন নামক যন্ত্রটি যদি আপনার হাতে থাকে আর তাতে যদি নেট কানেকশন থাকে, তা হলে পুরো দুনিয়াই আপনার হাতের তালুতে। হ্যাঁ,প্রযুক্তির কল্যাণে লেখা প্রকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে ওয়েব পোর্টাল, ওয়েবজিন বা এমন আরও অনেক কিছু এবং বলতে গেলে বেশ দাপটের সঙ্গেই তা চলছে। মজার ব্যাপার হলো এবং আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, সুপাঠকের সংখ্যা খুবই কম। সব মাধ্যমেই (হোক ভার্চুয়াল বা ছাপা কাগজ) বেশিরভাগ পাঠক লেখকের নামটাই পড়ে, লেখা আর তার পড়া হয়ে ওঠে না। ‘অমুক জায়গায় কিংবা অমুক কাগজে আপনার নাম পড়লাম বা দেখলাম’ এ ধরনের মন্তব্য থেকে আমার এ ধারণা জন্মেছে। ওয়েবজিন বা পোর্টালে দুয়েকজন হয়তো মূল রচনায় ঢোকেন কিন্তু বেশিক্ষণ থাকেন না বলেও মনে হয়।
যিনি আমাকে কাগজটি প্রকাশ করতে উৎসাহ দিতেন, তার নামে প্রবর্তিত স্মৃতিপদক আমার জন্য, আমাদের জন্য বিশেষ মর্যাদার এবং এর মাধ্যমে ছড়া যে বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এবং এ নিয়ে প্রকাশিত কাগজও যে ছোটকাগজ হিসেবে গণ্য করা যায়, তা প্রতিষ্ঠা পেলো।
প্রতিক্রিয়াও এসব মাধ্যমে সরাসরি পাওয়া যায়। ফলে অনুমান করা যায়, না পড়েই পাঠক অসাধারণ, বাহ, ওয়াও, দারুণ ইত্যাদি প্রশংসাসূচক বাক্য দিয়ে লেখককে সন্তুষ্ট করতে চাচ্ছেন। ওয়েব পোর্টালগুলোয় একটু বড় লেখার পাঠক সংখ্যা খুবই কম বলে আমার ধারণা। আমার সঙ্গে একমত না হওয়া ব্যক্তির সংখ্যাও খুব বেশি হবে বলে মনে হয় না। যা-ই হোক, ছাপা কাগজ এখনো পাঠক কিনে পড়েন। মন্তব্যও পাওয়া যায় নানাভাবে।
চিন্তাসূত্র: নিজের লেখালেখি, চাকরির পাশাপাশি ছোটকাগজ সম্পাদনায় কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছেন?
অদ্বৈত মারুত: লেখালেখি আর ছোটকাগজ সম্পাদনা একইসূত্রে গাঁথা হলেও চাকরি ব্যাপারটার সঙ্গে রুটিরুজি জড়িত। আবার চাকরিটা যদি লেখালেখি সংক্রান্তের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে, তা হলে এক প্রকার অসম্ভব কর্ম বলেই ধারণা করি। লেখালেখি সংক্রান্ত মানে এই যে আমি সংবাদপত্রে কাজ করি কিংবা আরও অনেকেই আছেন, যারা সৃজনশীল কাজে যুক্ত আছেন, সেসব কাজের ফাঁকেও নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা, মমত্ববোধ এবং এক ধরনের লেগে থাকার মনমানসিকতা থাকলে যে কোনো বাঁধা বা বিপত্তি এড়িয়ে সহজেই কাজটি করা সম্ভব।
চিন্তাসূত্র: কেন এলেন ছোটকাগজ সম্পাদনায়?
অদ্বৈত মারুত: এটা আসলে হুটহাট করেই হয়েছে। তখন বয়সটা ছিল মন চাইলেই যা খুশি তাই করার। লেখালেখি তো শুরু করেছি গত শতাব্দীর নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে। তখন বগুড়ার দৈনিক কাগজগুলোয় লিখতাম। পরে রাজশাহী যাওয়ার পর ছোটকাগজগুলো পড়া শুরু করলাম। সেইসব কাগজের কোনো পৃষ্ঠাজুড়ে সম্পাদকের দফতরে আসা নতুন কাগজগুলোর প্রাপ্তি স্বীকারসহ পূর্ণ ঠিকানা থাকত। খ্যাত, অখ্যাত সব ছোটকাগজে লেখা পাঠানোও শুরু করলাম। বেশিরভাগ ছোটকাগজেই লেখা ছাপা হতো না। যোগাযোগ মাধ্যম বলতে চিঠি। ক্রমে বন্ধুত্ব হতে লাগল অনেকের সঙ্গে। বর্তমানে বিখ্যাত প্রকাশনী ইত্যাদির আদিত্য অন্তর, বেহুলা বাংলার চন্দন চৌধুরী, সবুজ তাপস থেকে শুরু করে সারা দেশের অসংখ্য লেখকের সঙ্গে চিঠি আদান-প্রদান হতো নিয়মিত। কাগজ পাঠাত। একদিন হঠাৎ মনে হলো, একটা ছোটকাগজ বের করি। তখনো ছড়া তেমন না লিখলেও কী করে যেন মগজে ঢুকে গেল যে, ছড়াকাগজ করব। যা ভাবা, তাই কাজ। বেরও করে ফেললাম হুট করেই। সত্যিকার অর্থে, শুরুতে বিশেষ কোনো চিন্তা মাথায় নিয়ে এ কাজ শুরু করিনি। তবে এটুকু ভেবেছিলাম, লেখালেখির ক্ষেত্রে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাগজ সম্পাদনা ভালো কাজে দিতে পারে; এটুকুই।
চিন্তাসূত্র: সাম্প্রতিক কবিতা-গল্প-প্রবন্ধ-ছড়া সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
অদ্বৈত মারুত: নেতিবাচক কিছু বলার নেই। তবে লেখালেখির ক্ষেত্রে সময়টা গুরুত্বপূর্ণ বোধকরি। লেখক তো তার সময়ই বুকে ধারণ করে আগামীর কথা লিখে থাকেন, লিখবেন। লিখছেনও হয়তো তেমন কালজয়ী রচনা কেউ কেউ। সময় এলেই তা প্রকাশ পাবে। আলোচনার ঝড় উঠবে। তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
চিন্তাসূত্র: সম্প্রতি ছোটকাগজ সম্পাদনার জন্য পেয়েছেন আনোয়ার আহমদ স্মৃতিপদক। কেমন লাগছে?
অদ্বৈত মারুত: এখানে দুটো কথা বলার আছে। প্রথমত, আন্ওয়ার আহমদ। আন্ওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় গড়ে ওঠে এই পাঁপড় সম্পাদনার মধ্য দিয়েই। আমি রাজশাহী থেকে কাগজটি মেকআপ ও ছাপার কাজটি করতে যেতাম বগুড়ায়। এম আর কম্পিউটারর্সে কাজটি সম্পন্ন করতাম। আন্ওয়ার ভাই খুব উৎসাহ দিতেন।
দ্বিতীয়ত, ছড়া-কিশোরকবিতা বিষয়ক ছোটকাগজ বেশিরভাগ সম্পাদক, প্রাবন্ধিক, আলোচক ছোটকাগজের মর্যাদা দিতেন না। কেন গাত্রদাহ, কোথায় সমস্যা আজও অজানা। এই দুটো বিষয় এক করে দেখলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এ কারণে যে, কবি, সম্পাদক আন্ওয়ার আহমদ, যার হাত ধরে অনেক লেখকের সৃষ্টি হয়েছে, যিনি আমাকে কাগজটি প্রকাশ করতে উৎসাহ দিতেন, তার নামে প্রবর্তিত স্মৃতিপদক আমার জন্য, আমাদের জন্য বিশেষ মর্যাদার এবং এর মাধ্যমে ছড়া যে বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এবং এ নিয়ে প্রকাশিত কাগজও যে ছোটকাগজ হিসেবে গণ্য করা যায়, তা প্রতিষ্ঠা পেলো।
চিন্তাসূত্র: সাহিত্য পুরস্কার কিভাবে দেখছেন? সবসময় কি যোগ্যরা পুরস্কৃত হচ্ছেন?
অদ্বৈত মারুত: পুরস্কার মানে তো কাজের স্বীকৃতি। কাজটাকে সম্মান জানানো। তবে সবসময় সব ক্ষেত্রে যোগ্য লোকের হাতে তা তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, বিষয়টি নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন করা যায় না। ফলে পুরস্কার বিষয়টি এখন হাস্যকর ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
চিন্তাসূত্র: ছোটকাগজ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
অদ্বৈত মারুত: আগেও বলেছি, পাঁপড় প্রকাশের শুরুতে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কাজ করতে করতে হঠাৎ করেই একটা পরিকল্পনা তৈরি হয়ে যায়। এই যেমন পাঁপড়ের ১৫তম সংখ্যাটি হবে ছড়া নিয়ে বিশেষ গদ্য সংখ্যা। তবে, যতদিন বেঁচে থাকি, কাজটি চালিয়ে যেতে চাই। আগাম বলার কিছু নেই।
চিন্তাসূত্র: আপনাকে ধন্যবাদ।
অদ্বৈত মারুত: পাঁপড় প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত সব নিষ্ঠাবান কর্মীর পক্ষ থেকে আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন:
- পুরস্কার সবসময় লেখককে মূল্যায়ন করে না ॥ বীরেন মুখার্জী
- যোগ্য লেখক পুরস্কৃত হলে ভালো লাগে ॥ জব্বার আল নাঈম