[মামুন রশীদ—একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক ও সাংবাদিক। কর্মজীবনে দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক আজকের কাগজ ছাড়াও পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে দৈনিক মানবকণ্ঠের সহকারী সম্পাদক পদে কর্মরত। এ পর্যন্ত তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো ‘কালোপাতা ওড়ো সাদা ছাই’, ‘কুশল তোমার বাঞ্ছা করি’, ‘তোমার পরে মেঘ জমলে’ ও ‘এই বইটির কোন নাম দিবো না’। প্রবন্ধগ্রন্থ হলো ‘বাংলাদেশের কবিতা, সৃজনে অর্জনে’, ‘ষাটের কবি: স্বাতন্ত্র্য ও বৈভবে’; জীবনীগ্রন্থ ‘ডিরোজিও’, ‘মাদার তেরেসা’, ও ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’; ছোটদের জন্য গল্পগ্রন্থ ‘ডাইনি বুড়ি ও অন্যান্য গল্প’, ‘ভূতের সঙ্গে একদিন’ ও ‘সবুজ বাড়ির ভূত’; উপন্যাস: ‘টিটু মিলনায়তন মুক্তিযুদ্ধ’; ইতিহাস: মুক্তিযুদ্ধের কিশাের ইতিহাস, বগুড়া জেলা। সম্পাদনা করেছেন সাহিত্যের কাগজ ‘দ্বিবাচ্য’। এছাড়া সম্পাদনা করেছেন, মোতাহার হোসেন তালুকদারের আমার রাজনৈতিক জীবনের ৫৫ বছর’। তাঁর কবিতা অনূদিত হয়েছে ইংরেজি ভাষায়।
মোহাম্মদ নূরুল হক—ছোটগল্প, ছড়া ও কবিতার পাশাপাশি লিখে চলেছেন প্রবন্ধ-গদ্য। তাঁর প্রবন্ধের বিষয় বিচিত্র। সাহিত্যের নানা শাখায় সমান বিচরণ থাকলেও প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবেই পরিচিত তিনি। পেশাগত জীবনে কিছুদিন দৈনিক ইত্তেফাকে সাহিত্য পাতায় কাজ করেছেন। ছিলেন দৈনিক আমাদের সময়ের বার্তা সম্পাদক। বর্তমানে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপেপার বাংলা ট্রিবিউনের উপ-বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। সম্পাদনা করেছে সাহিত্যবিষয়ক ছোটকাগজ, মেঠোপথ (১৯৯৬ থেকে), চিন্তাসূত্র (১৯৯৬ থেকে), প্রাকপর্ব (২০০০ থেকে ২০০৫) ও অনুপ্রাস (২০০১-২০০৫)। এই পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই: ‘মাতাল নদীর প্রত্নবিহার’, ‘স্বরচিত চাঁদ’, ‘উপ-বিকল্প সম্পাদকীয়’। প্রবন্ধগ্রন্থ: ‘সাহিত্যে দশক বিভাজন ও অন্যান্য’, ‘সমালোচকের দায়’, ‘অহঙ্কারের সীমানা ও অন্যান্য’, ‘সাহিত্যের রাজনীতি’, ‘সমকালীন সাহিত্যচিন্তা’ ও ‘কবিতার সময় ও মনীষার দান।’
সম্প্রতি চিন্তাসূত্রের আমন্ত্রণে এই দুই কবি-প্রাবন্ধিক-সংবাদকর্মী বসেছেন দীর্ঘ সংলাপে। তাঁদের সংলাপে উঠে এসেছে শিল্প-সাহিত্য-রাজনীতি-ধর্ম-দর্শন-সমাজ-শিক্ষাসহ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। সংলাপ গ্রন্থনা করেছেন তরুণ ছোটগল্প লেখক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ। দীর্ঘ এই সংলাপটির প্রথম কিস্তি আজ প্রকাশিত হলো।]
॥পর্ব-৩॥
মোহাম্মদ নূরুল হক: আমাদের লেখায় রাজনীতি নেই, সমকাল নেই, সমাজের বড় অংশ নেই—এই অভিযোগ সর্বাংশে সত্য নয়; আংশিক সত্য। আমাদের সময়ের, মানে তোমার-আমার বয়সী লেখকদের কথা যদি বলো, তাহলে আমি বলব, মেজর লেখকদের লেখায় সমাজ-রাজনীতি-সমকাল; সবই আছে। তবে এই শ্রেণীর লেখক হাতেগোনা। কিন্তু তাদের বৃহত্তর পাঠকসমাজ কম চেনে। বেশি চেনে তাদের, যাদের লেখায় রাজনীতি নেই, সমকাল নেই, সমাজের বড় অংশ নেই। অথচ তারাই আত্মপ্রচারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। মিডিয়াবাজি থেকে শুরু করে মঞ্চবাজি, কোথায় নেই তারা? অবশ্যই আমাদের আগেও এমন লেখকদের দৌরাত্ম্য ছিল। যাদের লেখায় সমাজ-রাজনীতি-সমকাল নেই, তারা তো আমাদের এই সমাজের কানুন, নিয়ম, কিছুই জানে না। অবশ্যই তাদের দাবি, তারা এসব মানে না। এই শ্রেণীর লেখকদের দেখবে, এরা জানে কম, বোঝে বেশি। শেখে কম, প্রকাশ করে বেশি। আর সব রকমের নিয়ম-কানুনের বিরুদ্ধে বলে।
গত চল্লিশ বছরের সাহিত্যে বিশেষত কবিতার ধারাবাহিক পাঠে কোনো বাঁকবদল দেখতে পাও তুমি? পেলে সেটা কী রকম, না পেলে কেন কোনো বাঁকের সৃষ্টি হলো না?
মামুন রশীদ: সাহিত্যে কি আসলে বাঁক বদল হয়? হলে কিভাবে? কাকে বলে বাঁক বদল? সাহিত্যের বাঁক বদলের যে কথা বলা হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিলে আমাদের সামনে এ রকম প্রশ্ন উঠে আসা কিন্তু যৌক্তিক। বাঁক বদল বলতে তো পরিবর্তনকে বুঝবো, তাই তো? এখন এই পরিবর্তন কি ভাষাভঙ্গির ক্ষেত্রে? উপস্থাপনার ক্ষেত্রে? বিষয়ের ক্ষেত্রে না কি সব মিলিয়ে? চল্লিশ বছরের সাহিত্যের প্রসঙ্গ টেনে আনার আগে আমরা আরও অনেক পেছনে যাই। চর্যাপদের কালেই যাই প্রথমে—দ্যাখো চর্যার পদগুলোতে আমরা যে ভাষার দেখা পেয়েছি—সেই ভাষা থেকে আজ আমাদের ভাষার অবস্থান অনেক অনেক দূরে। চর্যার ভাষা তো ছিল আলো আঁধারির ভাষা। কিন্তু চর্যার পদগুলোতে পদকর্তারা যে বর্ণনা দিয়েছেন, বিষয়ের যে উপস্থাপনা করেছেন, তা কিন্তু পাল্টায়নি। চর্যায় বলা হচ্ছে—‘নগর বাহিরে ডোম্বী তোহারি কুড়িয়া/ছই ছই যাইছি বাহ্ম নাড়িয়া’, এই যে বর্ণনা, কবিতায় বিষয়ের উপস্থাপন, তা কি আমরা পাল্টাতে পেরেছি? আমরা পাল্টেছি শুধু ভাষা এবং শব্দের ব্যবহার। একইভাবে চর্যা-পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন অথবা বৈষ্ণব পদাবলীতেও ভাবের, বিষয়ের বা উপস্থাপনের কিন্তু বড় পরিবর্তন নেই, পরিবর্তন শুধু ভাষার। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে আমরা বড়ু চণ্ডীদাসের হাতে রাধার বিরহী মনের অবস্থার বর্ণনা পড়তে গিয়ে পাঠ করছি—‘কে না বাঁশি বাএ বড়ায়ি কালিনি নই কূলে’/ বন পোড়ে আগ বড়ায়ি জগ জনে জানি মোর মন পোড়ে যেন কুম্ভারের পণি’। আবার আমরা বৈষ্ণব পদাবলীতে পড়ছি—‘সই কেমনে ধরিব হিয়া আমার বধূয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া’। চর্যাপদ থেকে শত বছরের ব্যবধানে রচিত কাব্যে আমরা শুধু ভাষা পরিবর্তনটিই বড় পরিসরে দেখতে পাচ্ছি। ভাবের উপস্থাপনে খুব বড় পরিবর্তন কি চোখে পড়ে? একইভাবে মধ্যযুগের অনুবাদ সাহিত্যে যদি আসি সেখানেও কিন্তু ওই ভাষার ব্যবহারে পরিবর্তন। দৌলত উজির বাহরাম খানের লাইলী মজনু কাব্যে—‘ঘরে বড় জঞ্জাল বাহিরেতে দুখ, পিরিতি করিলে মনে নাহি সুখ’—বাক্যের মধ্যে ভাবের যে উপস্থাপন তার পরিবর্তন তো পরবর্তী সময়ে শুধু উপস্থাপনে। তুমি মঙ্গলকাব্যের যুগে আসো, বা আধুনিকতার শুরুতে, তখনো আসলে ভাষা বা শব্দের ব্যবহার নিয়েই কাজ হয়েছে—বাঁক বদলের ক্ষেত্রে। বিষয়ে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। কারণ বিষয় হয়তো নির্দিষ্ট। যেহেতু লেখায় অভিজ্ঞতা একটি বড় বিষয়, অভিজ্ঞতার বাইরে গিয়ে লেখাকে বড় পরিসরে উপস্থাপন করা সবার জন্য সম্ভব না। তাই গত চল্লিশ বছরে আমাদের সাহিত্যের বাঁক পরিবর্তনের ধারাটিকে এই ধারাবাহিকতা থেকেই দেখতে হবে। এই সময়ে আমরা অনেক বড় কবির দেখা পেয়েছি। যাদের কবিতা পরবর্তীদের প্রভাবিত করেছে, সেও কিন্তু তাদের ভাষা-শব্দের ব্যবহার কুশলতার জন্য। কবি হলো শব্দের কারিগর। গড়পড়তা একজন মানুষ কয়েক শ শব্দ দিয়ে তার জীবনের প্রয়োজনীয় সব কাজ সেরে ফেলতে পারে। মাত্র কয়েক শ শব্দ ভাণ্ডার থাকলেই ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে একজন সাধারণ মানুষ তার জীবন অতিবাহিত করতে পারেন। কিন্তু একজন কবির ভাণ্ডারে শুধু কয়েক শ শব্দ থাকলে, তা দিয়ে ভাষার ওই কারিগরি করা কিন্তু তুলনামূলকভাবে কঠিনই। তাই বাঁক পরিবর্তনের জন্য শব্দের ব্যবহার, শব্দের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আমার কাছে। তুমি কী মনে করো? এই অর্থে বাঁক বদল হয়েছে?
মোহাম্মদ নূরুল হক: তুমি যে অর্থে বাঁক বদলের কথা বলছ, সে অর্থে চর্যাপদের পর অনেক বাঁকই বদল হয়েছে। ভাষা, আঙ্গিক, প্রকরণ এমনকী বিষয়েও। দ্বৈবকাহিনী, নর-নারীর হৃদয়ঘটিত সম্পর্ক থেকে আর্থ-সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটেছে বাংলা কবিতার দীর্ঘ পরিক্রমায়।পদাবলীর যুগের পর সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে মাইকেলে, কী ভাষা, কী বিষয়। এরপর রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ কিংবা জসীমউদ্দীন, প্রত্যেকেই বিষয়-ভাষায় পরিবর্তন এনেছেন। এই দিক থেকে দেখলে তুমি মোটা দাগে ভাগ করতে পারো, মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, পঞ্চপাণ্ডব (সম্মিলিতভাবে জীবনানন্দ-সুধীনদত্ত, বিষ্ণুদে, বুদ্ধদেব বসু, অমিয় চক্রবর্তী)।এভাবে যদি বিশ্লেষণ করো, তাহলে দেখবে সত্যি বড় ধরনের বাঁক পরিবর্তন হয়েছে। এখন কথা হলো, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বাঁকপরিবর্তন হয়েছে কি না। পূর্ববর্তী বাঁকগুলোর কথা মনে রেখে বিবেচনা করলে তেমন কোনো বাঁক পরিবর্তন হয়নি। একথা সত্য। কিন্তু ভেতরে ভেতরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ব্যক্তি থেকে সামষ্টিকে, কেবল রোমান্টিকতা থেকে জাতীয়-আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সন্ত্রাবাদ, যুদ্ধবিগ্রহ—ইত্যাকার বহু অনুষঙ্গ কবিতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সঙ্গে বিষয়-ভাষায় পরিবর্তন এসেছে এই সময়ের কবিতায়। কিন্তু সেটা কতটা দৃশ্যমান? এই প্রশ্ন তুলতেই পারো। তাহলে আমি বলবো, নদীতে যখন প্রবল বাতাস বয়, তখন ঢেউগুলো বড় দেখায়, কিন্তু সে ঢেউ ততটা মারণাস্ত্র হয়ে ওঠে না, যতটা জলের তলের চোরা ঢেউ সবকিছুকে তলিয়ে নিয়ে যায়।নদীতে ঢেউ আছে, এটা বোঝার জন্য কেবল চোখ থাকলে হয় না, অনুভবেরও প্রয়োজন আছে। গত চল্লিশ বছরে বাংলা কবিতায় কাকে কাকে তুমি গুরুত্বপূর্ণ মনে করো।
মামুন রশীদ: হুম, তুমি যে অর্থে বাঁক বদলের কথা বললে, তাও কিন্তু সত্যি। ভাষার পরিবর্তনের সঙ্গে যেমন বিষয়ের পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি প্রকাশ ভঙ্গিরও পরিবর্তন হয়েছে। চর্যাপদের কাল থেকে বিশ শতকের ষাটের দশক পর্যন্ত এই পরিবর্তনগুলো যেমন আলোচকরা মোটা দাগে আমাদের চিনিয়ে দিয়েছেন, পরের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটি হয়নি। ষাটের দশকের পরের পরিবর্তন হয়েছে ধীরে। আর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকালে অনেক কবিই তাদের স্বাতন্ত্র্য চেনাতে সক্ষম হয়েছেন। দশক হিসেবে যদি ধরি, তাহলে সত্তরের দশকে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ও আবিদ আজাদের নাম প্রথমেই আনতে হবে। এমনিভাবে আশি এবং নব্বইয়ের দশকেও শুধু কবিতা দিয়েই নিজেকে চেনানোর মতো কবির দেখা বাংলা সাহিত্য পেয়েছে। তাদের কবিতায় একইসঙ্গে যেমন ভাষার বৈচিত্র্যময় ব্যবহার দেখা যায়, তেমনিভাবে ভাবের প্রকাশের ক্ষেত্রেও তারা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। তবে যে অর্থে আমাদের পূর্ববর্তী কবিরা ছিলেন প্রভাববিস্তারী, তাদের ভাষা, ভঙ্গি পরবর্তীদের উৎসাহী করে তুলতো, তাদের আলোতে অনেকে হারিয়েও গেছে—সে রকম সর্বার্থে প্রভাব বিস্তারী কবি ও কবিতার জন্য আমাদের অপেক্ষা কিন্তু রয়েছেই। কারণ যে অর্থে তুমি প্রবল বাতাসে ফুলে ওঠা ঢেউকে গুনতে যাবে, সেই ঢেউ যদি তলিয়ে নিয়ে না যায়, তাহলে—তা শুধু দৃশ্যমান আতঙ্কই তৈরি করে। সর্বগ্রাসী হয় না।
গত চল্লিশ বছরের বাংলা কবিতায় আমার ভালোলাগা কবির সংখ্যা অসংখ্য। আবার কারও কারও একটি-দুটি পঙ্ক্তি আমার মনের মধ্যে এমনভাবে গেঁথে গেছে—যা অস্বীকার করা সম্ভব না। তারা হয়তো খুব বেশি আলোচিত নন, তবু এমন কিছু পঙ্ক্তির জন্ম দিয়েছেন—আমি মুগ্ধ বিস্ময়ে সেইসব পঙ্ক্তি পাঠ করি। তোমাকে শহীদুজ্জামান ফিরোজের একটি পঙ্ক্তির কথা বলি—‘আমি আছি, আমি নেই। ছিলাম না কোনদিন তোমাদের সাথে এই পথে/ অর্থহীন শুধু অর্থহীন কেঁটে গেছে জীবনের অনেকটা সময়।/….আমি জানি কী করে জীবনে আসে নারী, নক্ষত্র, বন্ধু ও প্রেম/ কী করে মানুষ আজ কিনে নেয় ভুল ভালোবাসা।’ এমনিভাবে অনেকের নাম আমি বলতে পারি, তাতে করে হয়তো নাম উল্লেখে অনেক ভারবাহী হবে আমাদের কথাবার্তা।
আমাদের কবিতার পালাবদলকে তুমি কিভাবে দেখো? কাদের সেই কাতারের সামনে দেখতে পাও?
চলবে…