আশরাফুজ্জামান বাবু—টিভি নাট্যকার, ছড়াকার ও গল্পকার। তার প্রকাশিত ছড়াগ্রন্থ ‘মেঘের ফাঁকে ফাঁকে’। সম্প্রতি সাহিত্যের ওয়েবম্যাগ বিষয়ে চিন্তাসূত্রের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
চিন্তাসূত্র: একসময় যারা দৈনিকের সাহিত্যপাতায় ঠাঁই পেতেন না অথবা যারা দৈনিকে লিখতে স্বস্তি বোধ করতেন না, তারা লিটলম্যাগ বের করতেন। সম্প্রতি লিটলম্যাগের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বেড়েছে অনলাইন সাহিত্যপত্রিকা বা ওয়েবম্যাগ। আপনি কি মনে করেন লিটলম্যাগের জায়গাটাই এই ওয়েবম্যাগগুলো দখল করছে?
আশরাফুজ্জামান বাবু: শুরুতেই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, সাহিত্যের মাঠে আমি একেবারের নবীন চাষি হওয়ার পরও আপনারা আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই, ‘লিটলম্যাগের জায়গাটাই ওয়েবম্যাগগুলো দখল করছে’—এই কথার সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত নই। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, লিটলম্যাগের জায়গাটায় ওয়েবম্যাগের একটা প্রভাব পড়েছে। কিন্তু এই প্রভাবকে আমি ‘দখল’ বলতে রাজি নই। কারণ, এখনো প্রতিবছর অমর একুশের বইমেলায় লিটলম্যাগের জন্য একটা স্থান বরাদ্দ থাকে। সেখানে লিটলম্যাগকর্মীদের আড্ডা বসে। আলোচনা হয়। তবে এ কথা সত্য যে, লিটলম্যাগের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এ কারণে অনেকেই মনে করছেন, লিটলম্যাগের জায়গাটা ওয়েবম্যাগগুলো দখল করছে। এই প্রসঙ্গ ধরেই আমি বলতে চাই, আপনি বলেছেন, ‘একসময় যারা দৈনিকের সাহিত্যপাতায় ঠাঁই পেতেন না অথবা যারা দৈনিকে লিখতে স্বস্তি বোধ করতেন না, তারা লিটলম্যাগ বের করতেন।’ আমি আপনার এই কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করেই বলতে চাই, যারা লিগলম্যাগ বের করেন, করতেন, করবেন, তারা চলতি সময়ের থেকে এগিয়ে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। এই এগিয়ে থাকাটা অনেক সময় দৈনিকের সাহিত্যপাতা গ্রহণ করতে দেরি করে ফেলে। গ্রহণ যে করে না, পুরোপুরি তা নয়, গ্রহণ একসময় ঠিকই করে, কিন্তু দেরিতে। সময়ের চেয়ে ‘এগিয়ে থাকা’দের তো দেরি করার সময় নেই। তাকে তাই কোনো না কোনোভাবে শৃঙ্খল ভাঙার গান গেয়ে উঠতে হয়। বলতে হয়, সৃষ্টির শুরু থেকেই সব কিছু সর্বদা পরিবর্তনশীল। নবজাতককে একসময় শিশু বলে ডাকা হয়, শিশু হয় কিশোর, কিশোর থেকে যুবক। এভাবে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছেই। তাহলে সাহিত্যের মাঠে পরিবর্তন আসবে না কেন? একটা গঁৎবাঁধা নিয়মেই কেন হাঁটবে? তাই এই ‘এগিয়ে থাকা’রা দৈনিকের সাহিত্যপাতায় ঠাঁই পান না বা তাদের ঠাঁই দেওয়া হয় না। সপ্তাহে একদিন, তাও আবার দুই/একটি পাতা। তার ওপর ওই দিন বড় একটা বিজ্ঞাপন এলে তো কর্তৃপক্ষের প্রথমেই চোখ যায় ওই পাতায়। সঙ্গত কারণেই ‘এগিয়ে থাকা’রা দৈনিকের সাহিত্য পাতায় লিখতেও স্বস্তি বোধ করেন না। এটা ‘এগিয়ে থাকা’দের ব্যর্থতা নয়। আমি এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে চাই সবসময়। আমি যা বলতে চাই, যেভাবে বলতে চাই, সেভাবে বলতে না পারলে অস্বস্তি বোধ করাই স্বাভাবিক। আর এ কারণেই ‘এই এগিয়ে থাকা’দের লিটলম্যাগ বের করতে হয়। কারণ, তার তো বসে থাকার সময় নেই। তার ভেতরে একটা তাড়না আছে। তার প্রসব যন্ত্রণা আছে। তাই তাকে নিজ ব্যবস্থায় প্রসব করতে হয়।
আমার উত্তরটা সম্ভবত লম্বা হয়ে যাচ্ছে। তবু আরেকটু বলতে চাই। কমবেশি প্রতিটি দৈনিকের মালিকানা কোনো না কোনো গোষ্ঠী বা দলের হাতে। তাই মালিকপক্ষ তার পছন্দমতো একজনকেই বিভাগীয় দায়িত্ব দেয়। মালিক পক্ষের পছন্দের ব্যক্তিটি তখন মালিকের পছন্দ-অপছন্দ মাথায় রাখেন। এই ‘মালিকের পছন্দ-অপছন্দ’ আর নিজের কিছুটা পছন্দ-অপছন্দ মিলে তখন চলতে থাকে ওই দৈনিকের পাতা। তাই ঠাঁই পাওয়া না পাওয়া বা দেওয়া না দেওয়া কিংবা স্বস্তি-অস্বস্তির প্রসঙ্গও চলে আসে। তবে এর ব্যতিক্রমও যে নেই, তা নয়। নিশ্চয়ই সবাই এবং সব এক নয়। আবার এই সময়ের থেকে ‘এগিয়ে থাকা’দের সব কিছুই যে গ্রহণযোগ্য তাও না।
ছোট্ট করে আরেকটু বলতে চাই। আমি আগেই বলেছি যে, ‘লিটলম্যাগের জায়গাটাই ওয়েবম্যাগগুলো দখল করছে’ এই কথার সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত নই। আমি এখানে ‘দখল’ শব্দটা ব্যবহার করতে রাজি নই। ‘দখল’ শব্দটাতে একটা জোর জবরদস্তির গন্ধ আছে। লিটলম্যাগের জায়গায় ওয়েবম্যাগ আমাদের ওপরে কেউ কিন্তু জোর জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেয়নি। আমরা সাদরে গ্রহণ করেছি। আমরা একসময় দোয়াতের কালিতে গাছের ডাল চুবিয়ে লিখতাম। তারপর বলপয়েন্ট ধরলাম। এখন তো অনেক কবি সাহিত্যিক সরাসরি কম্পিউটারেই লেখেন। কবি নির্মলেন্দু গুণ তো মোবাইলে লিখে নাম দিলেন মুঠোফোনের কাব্য। তাই আমি বিষয়টাকে ‘দখল’ না বলে ‘রূপান্তর’ বলতে আগ্রহী। এটা সময়ের দাবি।
চিন্তাসূত্র: একসময় লেখাপ্রাপ্তির ওপর নির্ভর করে, পাঁচ থেকে দশ বা তারও বেশি ফর্মার লিটলম্যাগ বের হতো। এতে খরচও হতো বেশ। কিন্তু বর্তমানে ওয়েবম্যাগে সে খরচটি নেই। আপনি কি মনে করেন, অর্থব্যয়ের কারণ না থাকায় ওয়েবের দিকে ঝুঁকছেন সাহিত্যকর্মীরা?
আশরাফুজ্জামান বাবু: এ প্রসঙ্গে আমার কথা হলো, হ্যাঁ, এটা একাধিক কারণের অন্যতম একটা কারণ। কিন্তু একমাত্র কারণ নয়। সাহিত্যকর্মীদের ওয়েবের দিকে ঝুঁকে পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। একটা লেখা ওয়েবে প্রকাশিত হলে, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে পড়া যায়। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক দেশেই বাঙালি আছে। গল্প-কবিতা-উপন্যাস-নাটক, যার যা পছন্দ সে সেটা খুঁজে নিতে পারছে। টাকা ব্যয় করে কুরিয়ার সার্ভিস বা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে কারও কাছে পাঠাতে হয় না। শুধু টাকা খরচের কথাই বা বলব কেন, কুরিয়ার সার্ভিস বা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠালে অনেক সময় পাঠানো লিটলম্যাগটি প্রাপকের হাতে পৌঁছায় না। অথবা অনেক দেরিতে পৌঁছায়। আমার নিজের একটা ঘটনার কথাই বলি, আমি প্রায় মাস দু’য়েক আগে কলকাতায় একটা বই পাঠিয়েছি, কয়েকদিন আগেও জানতে পেরেছি, বই যাকে পাঠিয়েছি, তিনি সেটা এখনো পাননি। এদিকে ওয়েবম্যাগ কিন্তু আমাদের বহন করতে হয় না। শুধু হাতে একটা ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকলেই হয়। এর বাইরেও অনেক কারণ থাকতে পারে।
এ প্রসঙ্গে আমার একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেলো। একবার এক জায়গায় একটি লিটলম্যাগ প্রকাশিত হওয়ার কয়েকদিন পরেই ওই লিটলম্যাগে প্রকাশিত একটি লেখা নিয়ে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, ওই লিটলম্যাগের সব কপি পুড়িয়ে ফেলতে হয়েছিল। ওয়েবম্যাগের ক্ষেত্রে ওই রকম পরিস্থিতি যদি কোনো কারণে হয়েও যায়, তাহলে ওয়েবম্যাগ ডিলিট করতে হবে না। শুধু অভিযুক্ত লেখাটি মুছে দিলেই হয়ে যায়।
চিন্তাসূত্র: কারও কারও মতে, বেশিরভাগ ওয়েবই সম্পাদনা ছাড়াই লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। এমনকী বানানও দেখা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
আশরাফুজ্জামান বাবু: এ অভিযোগটি অনেকাংশেই সত্য বলে আমি মনে করি। কারণ, বেশির ভাগ ওয়েবে সম্পাদনা বোর্ড নেই। প্রয়োজনীয় জনবলও নেই। দুই/একজনকে দিয়ে পুরো ওয়েব পরিচলনা করেন। আবার যে দু’একজন আছেন, তাদেরও দক্ষতা, সামর্থ্য ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। বানান দেখার জন্য প্রুফ রিডার থাকে না। তবে ভালো মানের ওয়েবও রয়েছে।
চিন্তাসূত্র: একসময় কারও পকেটে একহাজার/বারো শ টাকা থাকলেই তিনি একটি লিটলম্যাগ করার সাহস দেখাতেন। এখন ১৫/১৬ শ টাকা পকেটে থাকলেই কেউ কেউ ওয়েবম্যাগ করছেন, কেউ কেউ বিনেপয়সাতেই ব্লগজিন খুলছেন, লেখা সংগ্রহ করছেন। এ ধরনের ওয়েবজিন বা ব্লগজিন বের করার কারণ কী বলে মনে করেন আপনি? এটা কি নিছকই নিজের কর্তৃত্ব প্রকাশের উপায়, না কি সাহিত্যপ্রেমের জন্য?
আশরাফুজ্জামান বাবু: আগেই ওয়েবের সুবিধা নিয়ে কথা বলেছি। ওই সব সুবিধার জন্যই ওয়েবগুলো বের হচ্ছে। তার সঙ্গে একেক জনের একেক রকমের ইন্টারেস্ট রয়েছে। কেউ নিজেকে সম্পাদক হিসেবে প্রকাশ করতে চায়। সম্পাদনা করার মতো যোগ্যতা থাক বা না থাক। কেউ অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে চায়। কেউ ভালো লেখার যোগ্যতা না থাকার কারণে কোথাও থেকে বিতাড়িত বা স্থান না পেয়েও খুলেছে। কেউ এটাকে ব্যবসার একটা নতুন ধারা হিসেবেও যে নিতে পারে। নতুন নতুন লিখিয়েদের তারা টার্গেট করছে। তবে দু’চার জন সত্যিকারভাবেই সাহিত্য চর্চার জন্যই ওয়েব খুলেছে বলে আমি মনে করি।
চিন্তাসূত্র: আপনি কি মনে করেন, ওয়েবম্যাগ-ওয়েবজিন-ব্লগজিন মানুষকে বইপাঠবিমুখ করে তুলছে?
আশরাফুজ্জামান বাবু: এখানে ‘বই’ বলতে যদি প্রিন্ট করা বই বোঝানো হয়, তা হলে বলব, ওয়েবম্যাগ-ওয়েবজিন-ব্লগজিন মানুষের প্রিন্ট করা বইপাঠে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলছে। কিন্তু পাঠবিমুখ করছে না। কারণ, ওয়েবম্যাগ-ওয়েবজিন-ব্লগজিনগুলোও কিন্তু একধরনের বই। এগুলোও পড়তে হয়। এগুলো কোনো অডিও ক্যাসেট সিডি নয় যে, পড়তে হয় না, শুনলেই হয়। ওয়েবম্যাগ-ওয়েবজিন-ব্লগজিন মানুষের প্রিন্ট করা বইপাঠে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলছে—এটার একটা ব্যাখ্যা আমার কাছে এরকম। প্রতিবছর একুশে বইমেলা হচ্ছে মাসব্যাপী। ব্যাপক সংখ্যক বইও প্রকাশিত হচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ওয়েবম্যাগ-ওয়েবজিন-ব্লগজিন বা ই-বুক আকারে ওই ক্রয় করা বইগুলো পাওয়া গেলে, পাঠক প্রিন্ট করা বইগুলো কেনার পরও পড়ছে না, ঘরের স্ট্যাটাস বাড়ানোর জন্য সাজিয়ে রাখছে, আর পড়ছে সুবিধামতো ডিজিটাল ডিভাইসের সাহায্য নিয়েই।
চিন্তাসূত্র: আপনি নিজে দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতা না লিটলম্যাগ না এই ওয়েবম্যাগে লিখতে /পড়তে পছন্দ করেন?
আশরাফুজ্জামান বাবু: দৈনিকের সাহিত্যপাতা বা লিটলম্যাগ ও ওয়েবম্যাগ—এই তিন মাধ্যমের উল্লেখযোগ্য দুই ধরনের সুবিধার জন্য আমি নিজে এই তিন মাধ্যমেই লিখতে পছন্দ করি। বিষয়টি পরিষ্কার করি। দৈনিকের পাতা বা লিটলম্যাগের কিছু বিশেষত্ব আছে। এটা সংরক্ষণ করলে যুগের পর যুগ থাকবে। আপনি কোনো বিশেষ কাজে প্রমাণ বা রেফারেন্স বা সংযুক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। সেখানে যদি আপনার লেখার, যা ওয়েবে প্রকাশিত, লিংক দিয়ে দেন, তা কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। এছাড়া প্রতিদিন যত ওয়েব আসছে, তা টিকে থাকছে কত দিন? আমার নিজেরই লেখার পুরনো অনেক লিংক এখন এরোর দেখায়। তার মানে দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতা বা লিটলম্যাগ ও ওয়েবম্যাগ এক অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। দুটিই নিজের স্থানে সাড়ে তিন হাত। একটিকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তাই আমি নিজে এই তিন মাধ্যমেই লিখতে পছন্দ করি। তবে শুধু পড়ার জন্য ওয়েবম্যাগই অগ্রাধিকার পায় আমার কাছে।
চিন্তাসূত্র: একটি লিটলম্যাগ দুই থেকে তিন শ কপি প্রকাশিত হয়, দৈনিকের সাহিত্যপাতাও একটি সীমিত পাঠকের কাছে যায়। কিন্তু অনলাইন সাহিত্যপত্রিকা যায় লাখ লাখ ইউজারের কাছে। সাহিত্যচর্চা, প্রসার ও প্রচারের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?
আশরাফুজ্জামান বাবু: এই প্রশ্নের উত্তরে বিস্তারিত কিছু বলার নেই। কারণ, ইতোমধ্যে আমি এ ব্যাপারে বলেই ফেলেছি। তবে ছোট্ট করে বলি। এই বিষয়টিকে আমি অত্যন্ত ইতিবাচকভাবেই দেখি। সাহিত্যচর্চা, প্রসার ও প্রচারের ক্ষেত্রে ভালো মানসমৃদ্ধ অনলাইন সাহিত্যপত্রিকা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জরুরি।
চিন্তাসূত্র: ওয়েবম্যাগের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকলে একসময় কি দৈনিকের সাহিত্যপাতা গুরুত্ব হারাবে?
আশরাফুজ্জামান বাবু: ওয়েবম্যাগের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকলেও কোনোসময়েই দৈনিকের সাহিত্যপাতা গুরুত্ব হারাবে না। কারণ, দৈনিকের সাহিত্যপাতার একটা পাঠকশ্রেণী আছে। তারা কম বেশি এটা পড়ে। যদি এই আশঙ্কাই থাকতো, তাহলে প্রায় সব দৈনিকেরই তো ওয়েব ভার্সন আছে, তবু প্রিন্ট সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে কেন?
চিন্তাসূত্র: একটি ওয়েবম্যাগকে আপনি কিভাবে দেখতে চান? অর্থাৎ একটি ওয়েবম্যাগে আপনি কী ধরনের লেখা পড়তে চান?
আশরাফুজ্জামান বাবু: একটি ওয়েবম্যাগকে আমি পরিপূর্ণ একটি ম্যাগাজিন হিসেবেই দেখতে চাই। তবে যদি কোনো ওয়েবম্যাগের ট্যাগলাইন থাকে যে, সাহিত্য পত্রিকা, বিনোদন পত্রিকা বা লাইফস্টাইল বা বিজ্ঞান পত্রিকা এসব থাকে, সেসব ওয়েবম্যাগের কথা আলাদা। কারণ, তারা বলেই দিয়েছে, তারা কী কী পরিবেশন করবে। যাদের এই রকম বিধি নেই, আমি ওই সব ওয়েবের কথা বলছি। সেখানে আমি সব বিষয় চাই। এমনকী, ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যবইবিষয়ক লেখাও থাকতে পারে। তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিবিষয়ক লেখাও। অল ইন ওয়ান।