সিরাজুল ইসলাম মুনির। কথাশিল্পী। জন্ম ২৬ জুলাই, ১৯৫৬; নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচরে। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট শহরে। ফেঞ্চুগঞ্জ এনজিএফএফ স্কুল থেকে এসএসসি, সিলেট সরকারি এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তোর। কৈশোরেই সাহিত্য-সংষ্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া। বাংলাদেশ বেতারের সিলেট ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ৮ বছর সংবাদ পাঠ। একযুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘বইপত্র’ গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা। ১৯৮১ সালে দৈনিক গণকন্ঠে মফস্বল বিভাগের সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। একই বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস বিভাগে সরকারি চাকরিতে যোগদান। ২০১৫ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ। বর্তমানে সাহিত্যজীবী।
প্রকাশিত গ্রন্থ: উপন্যাস, ছোটগল্প, শিশুতোষ রচনা, ভ্রমণ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৪০। বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ: স্মরণকালের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে ও মহাকাব্যিক পরিসরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে আখ্যান করে বাংলা সাহিত্যের বৃহত্তম অখন্ড ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক উপন্যাস ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে অন্য গ্রন্থগুলো হলো ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: পূর্বাপর অনুসন্ধান’ (২০২০), জীবনীগ্রন্থ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ (২০২২) ও গল্পগ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু হৃদয়ের গহিনে’ (২০১৯)। প্রকাশিত উপন্যাস: আবর্ত (১৯৮৭), যখন প্রপাত (১৯৮৯), পদ্মা উপাখ্যান (১৯৯৪), সব পাখি ঘরে ফেরে (২০০৪), কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি (২০০৪), রক্তভেজা অববাহিকা (২০০৫), প্রিয়প্রেম (২০০৭), উপন্যাসসমগ্র (২০১৫), একদিন চিরদিন (২০১৭), নদীজীবন চরজীবন (২০২১)। ছোটগল্প: অংকুরি (১৯৮৯), কালো কাইতন (১৯৯১), কমলা সুন্দরী ও অন্যান্য গল্প (২০০১), রাজনীতি রানুদি ও রঙধনু বৃষ্টি (২০১০) গভর্নরকে হত্যা করা হয়েছে (২০০৪), মুক্তিযুদ্ধের গল্প (২০১৯), বঙ্গবন্ধু হৃদয়ের গহিনে (২০১৯), সেই এক যুদ্ধ ও অন্যান্য গল্প (২০২২), ভালোবাসার ফুল (২০১৪), ‘গল্পসমগ্র’ (২০১৬)। শিশু-কিশোর উপন্যাস: বিলোনিয়া (২০০৪), তার ফিরে আাসা (২০০৪) ভোলার হাসি (২০১০), এক অভিমানী বালকের গল্প (২০০৯)। পুনর্লিখন: চীনদেশের লোককথা (২০২২)। ভ্রমণগ্রন্থ: মেপল পাতার দেশে (২০০৪), মহাচীনের মহাজাগরণ (২০১৭)। কাব্যগ্রন্থ: কাবাঘর তাওয়াফের ওপর দীর্ঘতম কবিতাগ্রন্থ ‘পৃথিবীর ভরকেন্দ্র’ (২০১৭)। সম্পাদিত গ্রন্থ: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গল্প সংকলন ‘বঙ্গবন্ধু: শতবর্ষে শতগল্প’ (২০২০), বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কিশোর গল্প সংকলন, ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত কিশোরগল্প’ (২০২২)।
সাহিত্য পুরস্কার: রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (২০০২), কিউট সাহিত্য পুরস্কার (২০০৪), আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার (২০০৫), পালক অ্যাওয়ার্ড (২০০৫), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ পদক (২০০৯), চায়না মিডিয়া গ্রুপ সম্মাননা (২০১৯), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি, আগরতলা কর্তৃক সম্মাননা প্রদান (২০২০), দিগন্ত ধারা সাহিত্য পুরস্কার (২০২০)। এই কথাসাহিত্যিকের সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন কথাশিল্পী শফিক হাসান।
শফিক হাসান : আপনার গল্প লেখার শুরু কখন, কিভাবে?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : সে অনেক কথা। মুক্তিযুদ্ধের পরের বছর। কলেজে ভর্তি হয়েছি কেবল। তখন স্কুলপড়ুয়া একটি মেয়েকে ভালো লাগলো। কিন্তু কিভাবে বলি মনের কথা। মনের কথা বলা হয় না। কিন্তু মনের ভেতর হাজার কথার আকুলি-বিকুলি। তো সব কথা সাজিয়ে একটা গল্প লিখলাম। ‘যুগভেরী’তে গল্পটা পাঠালাম। ছাপা হলো পরের সপ্তাহে। এভাবেই শুরু।
শফিক হাসান : গল্প লেখেন কেন?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : সেই মন…। মন চায় লিখতে। লেখক না হলে কেউ বুঝবে না, একটা গল্প লেখা হয়ে গেলে মনের ভেতরে কী আনন্দ খেলা করে, কী যে আশ্চর্য প্রশান্তিতে মন ভরে যায়।
শফিক হাসান : কী ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে গল্প লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : আমি শৈশব কাটিয়েছি নদী-সমুদ্রের মোহনায়। নোনা জল অধ্যুষিত এক সুরম্য সুবর্ণ অঞ্চলে। আমার ছেলেবেলা, আমার কৈশোর এবং তারও পর বেশ কিছুটা সময় কেটেছে সিলেটের সবুজ অরণ্যানী, চা বাগানের ঢেউখেলানো সবুজ মখমল দেখে দেখে। কর্মজীবনে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে সারা বাংলায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি তারুণ্য অতিক্রম করছি। যুদ্ধের শেষের দিকে এসে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি কেবল, যুদ্ধের পর তারুণ্যের আবেগ দিয়ে দেখলাম স্বপ্ন আর স্বপ্ন ভাঙার নানা ঘটনা। জাতির জনকের নির্মম হত্যাকাণ্ড, রক্তমাখা স্বদেশ—সবকিছুই লেখার বিষয় হয়ে উঠেছে। স্বাচ্ছন্দ্য বোধের প্রশ্ন নয়, যে পথটি ফেলে এলাম পশ্চাতে, যে সময়টি পার করছি এখন অথবা যে সময়টির স্বপ্ন দেখি, সবকিছু নিয়েই লিখি। সমস্যা হলো, জীবিকার জন্য যে সময় গুনতে হয়, তা অনেক বেশি। লেখার সময় কম পাই, সে কারণে সৃষ্টির সম্ভার খুবই অল্প।
শফিক হাসান : পাঠকদের ওপর আপনার গল্পের প্রভাব কেমন?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : আমি জানি আমার পাঠক বেশি নেই। আমি তথাকথিত জনপ্রিয় লেখক হতে পারিনি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখকদের পাঠক যারা, তাদের পাঠ-লেভেল খুব উঁচু নয়। আমার গল্প কোনো সাধারণ পাঠকের মনোজগতের কোনো পরিবর্তন এনেছে কি না, আমার জানা নেই। তবে নব্বই দশকের শুরুর দিকে আবিদ আজাদ সম্পাদিত শিল্পতরুতে প্রকাশিত আমার গল্প ‘সোনারি’ পড়ে কলকাতা থেকে শ্রদ্ধেয় গৌরী আইয়ুব ‘একটি অসাধারণ গল্প’ বলে প্রশংসা করে সম্পাদককে পত্র পাঠিয়েছিলেন। শাহাবুদ্দীন নাগরীর সহধর্মিণী ডা. আফতাবুন নাহার মাকসুদা আমার প্রথম লেখা উপন্যাস ‘যখন প্রপাত’ পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কবি-সাংবাদিক শান্তা মারিয়া আমার কিশোর উপন্যাস ‘তার ফিরে আসা’ পড়ে একঘণ্টা স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি, গবেষক আবদুল মান্নান সৈয়দ, কবি আবিদ আজাদ, কবি আসাদ চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কবি ও গবেষক সালিম সাবরিন আমার লেখা পড়ে দীর্ঘ মন্তব্য, আলোচনা লিখেছেন। এটাকে কি প্রভাব বলা যায়!
শফিক হাসান : গল্প লেখার সার্থকতা খুঁজে পান?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : যখন কোনো পাঠক বলেন, আপনার গল্পটি ভালো হয়েছে, তখন লেখক হিসেবে নিজেকে সার্থক মনে হয়।
শফিক হাসান : প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল সমাজে গল্প পাঠের প্রাসঙ্গিকতা কী?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : জনশক্তিকে সম্পৃক্ত করে, ঐক্যবদ্ধ করে কবিতা যেভাবে সমাজ পরিবর্তনে, রাষ্ট্র গঠনে একটি নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে, ছোটগল্প বা উপন্যাস ঠিক সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারে না। তবে হ্যাঁ, পরিবর্তনশীল সমাজ-রাষ্ট্রের ভালোমন্দ বিষয়গুলো, প্রাত্যহিক জীবনের অনুষঙ্গগুলো একজন কথাশিল্পীর রচনায় প্রাসঙ্গিকভাবে ধরা পড়ে।
শফিক হাসান : একজন পাঠক আপনার গল্প পড়বে কেন?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : পাঠকের পড়ার লেভেল যদি উচ্চতর হয়, অবশ্যই তিনি আমার লেখা পড়বেন। আমি সবার জন্য লিখতে চাই না। কারও কারও জন্য লিখি।
শফিক হাসান : বাংলা সাহিত্যে গল্পের যে নতুন ধারা তৈরি হয়েছে, সে প্রেক্ষাপটে আপনার লিখনপ্রস্তুতি কী রকম?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : নতুন ধারা বুঝি না, অথবা নতুন ধারা বলতে কী বলতে চেয়েছেন, বুঝতে পারছি না। সহজভাবে একটি বিষয় বুঝি, আমি, আমার প্রতিপাশ, আমার চেনা সমাজ, সমাজে ঘটমান বিচিত্র সব বিষয় নিয়ে আমি লিখি।
শফিক হাসান : গল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : অতীতে গল্পের ভুবন ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। একজন লেখকের কাজ হলো, তিনি তার সময়কালের কথা ভবিষ্যতের পাঠকের জন্য লিখে যাবেন। ভাষা ক্রমাগত পরিবর্তনশীল, সমৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। অতীতে যারা লিখেছেন, আজকের কালের বিচারে মনে হবে, তাদের লেখা জলীয়। তা কিন্তু নয়। সে কালের লেখকরা তাদের বর্ণমালার শ্রেষ্ঠ বুনটের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ রচনা কর্মটিই করেছেন, সেটা তাদের কালের প্রেক্ষাপট, আমরা যেটা করছি সেটা আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ রচনারীতি। আগামী ভবিষ্যতের লেখকদের কাছে হয়তো মনে হতে পারে, আমরা খুব সাদামাটা লিখেছি! কিন্তু আমাদের রচনাকে ভবিষ্যতের পাঠকরা আমাদের সময়কাল বিবেচনাতেই গ্রহণ করবেন। ভবিষ্যতের লেখক-পাঠকদের জন্য আমার অগ্রিম শুভেচ্ছা।
শফিক হাসান : বিশ্বসাহিত্যে বাংলা গল্পের অবস্থান কোথায়?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : সমস্যাটি হলো কমিউনিকেশনের। ইংরেজি ভাষায় লেখা সাহিত্য অনূদিত হয়ে বাংলা সাহিত্যে আসছে। আরবি, জাপানি বা স্প্যানিশ ভাষায় লেখাও ইংরেজি হয়ে বাংলায় অনূদিত হয়ে আসছে। কিন্তু বাংলা সাহিত্যে যারা কাজ করছেন, তাদের রচনা সেভাবে ইংরেজি অথবা ইংরেজি পরবর্তী আরবি, জাপানি বা স্প্যানিশ বা চীনা ভাষায় অনূদিত হয়ে যাচ্ছে না। কাজেই তুলনা করার সুযোগটি কোথায়! বিশ্বসাহিত্যে বাংলা কবিতা যেটুকু গিয়েছে, সেটা কেবল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পাওয়ার সূত্র ধরে। কথাসাহিত্যের যাতায়াত সেক্ষেত্রে খুব একটা ঘটেনি। হুমায়ূন আহমেদ-এর বিশাল রচনাসম্ভারের খুব ক্ষুদ্রাংশই ইংরেজি বা জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, সেটাও নানা সম্পর্ক-সূত্রে। প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলা একাডেমি, বিশেষ কোনো মাধ্যমে আমাদের সাহিত্যের অনুবাদ করে বিশ্বপাঠকের দরবারে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে। তখনই বোঝা যাবে, বিশ্বসাহিত্যে আমাদের সাহিত্য তথা আপনার জিজ্ঞাসিত গল্পের অবস্থান কোথায়!
শফিক হাসান : আপনার গল্প লেখার প্রেরণা কী?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : প্রেরণা আমি নিজেই। নিজের তাগিদে, নিজের আনন্দে লিখি।
শফিক হাসান : আপনার প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাশের নেপথ্য গল্প কী?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : আমার প্রথম গ্রন্থ উপন্যাস। এটি আবিদ আজাদের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শিল্পতরুর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। উপন্যাসের নাম আবর্ত। সমুদ্রোপকূলবর্তী চর অঞ্চলের মানুষের জীবনশৈলী নিয়ে লেখা উপন্যাস আবর্ত। উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি পড়ে আবিদ আজাদ লিখছেন— ‘আমি যথেষ্ট ঢিলেঢালা আগ্রহ নিয়েই চোখ রেখেছিলাম সদ্যপরিচিত তরুণ কথাসাহিত্যিকের রচনাটিতে। আমার সেই ঢিলেঢালা ভাবটা কখন যে সংহত হয়ে ছোট উপন্যাসটির দৃশ্য-দৃশ্যান্তর, চরিত্ররাজি, ঘটনাভূমি ও দক্ষিণবাংলার উপকূলবর্তী সদাচঞ্চল ঘূর্ণি আবহাওয়ার মধ্যে শিকড়বদ্ধ হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। বুঝতে পারিনি প্রকাশোন্মুখ এক তরুণ ঔপন্যাসিক তার উপজীব্য লবণতাড়িত জনপদের ছিন্নচিত্ররাশি, সংগ্রামী ও শঠ জীবনধারার আর্তনাদ ও রক্তমাংসময় প্রেম ও প্রত্যাঘাতের কাহিনীর আবর্তে ফেলে দেবে আমাকে এবং ভাবিনি নাতিদীর্ঘ গ্রন্থটি শেষ না করে ক্ষ্যান্ত হতে পারব না কিছুতেই।’
আবিদ ভাই শিল্পতরু নামে একটি সাহিত্যপত্রিকা প্রকাশ করতেন। শিল্পতরু আর তদানীন্তন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু গল্প নিয়ে আমার প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘অংকুরি’। অবশ্যই কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করছি, আবিদ ভাইয়ের প্রেরণাতেই শিল্পতরু থেকে ১৯৮৭ সালে ১৯টি গল্প নিয়ে ‘অংকুরি’ প্রকাশিত হয়।
শফিক হাসান : আপনার প্রিয় গল্পকার কারা, কেন প্রিয়?
সিরাজুল ইসলাম মুনির : অনেকেই আছেন। প্রথম পছন্দ আল মাহমুদ। দ্বিতীয় পছন্দ আবুল বাশার। তারপরের তালিকা বড়। বুদ্ধদেব বসু, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ শামসুল হক, হাসান আজিজুল হক, শহীদুল জহির। আর একজন আছেন, জাহানারা নওশীন। তার একটি ক্ষীণকায়া গ্রন্থ আছে ‘পিতামহীর পাখি’। কেন প্রিয় পড়ে দেখবেন!