বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) হলেন প্রথিতযশা কবি, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ নূরুল হুদা। সোমবার (১২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাকে ৩ বছরের জন্য এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী চলতি বছরের ২৫ মৃত্যুবরণ করলে এই পদটি শূন্য হয়।
উল্লেখ্য, মুহম্মদ নুরুল হুদা ১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতিসত্তার কবি হিসেবে পরিচিত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধ শতাধিক।
তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো: জন্মজাতি; মৈনপাহাড়; ব্যাঙ কুমার; চাঁদের বুড়ো চাঁদের বাড়ি; ছোটদের বেগম রোকেয়া; ছোটদের মাইকেল মধুসূদন দত্ত; ছোটদের রবীন্দ্র জীবন; ছোটদের রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ; দেখা হলে একা হয়ে যাই; রাজার পোশাক; রবীন্দ্র প্রকৃতি ও অন্যান্য; সাত্ ও অন্যান্য; সাত ভাই চম্পা; তুমি যদি জালদাস আমি জালদাসি; শুক্লা শাকুন্তালা; আমি একটি খাস প্রজাপাত্র চাই; শোভাজাত্রা দ্রাবিড়াভ প্রতি; মাটির নিচে কাট কয়লা হাজার বছর কাতর; আমরা তামাটে জাতি; বার বছরের গল্প; তেলাপোকা; স্বাধীন জাতির স্বাধীন পিতা; হুদা-কথা; আমিও রোহিঙ্গা শিশু; হাজার নদীর দেশ; কবিতার ভবিষ্যৎ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ; কবিতার কৌশল; দুটি লাল পাখি ও সব্যসাচী।
পুরস্কার: সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন, যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৩), আবুল হাসান কবিতা পুরস্কার (১৯৮৩), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৫), আওয়ামী শিল্প সংবর্ধনা (১৯৮৭), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৮৮), কক্সবাজার পদক (১৯৮৯), মহাদিগন্ত সহিত্য পু্রস্কার, কলকাতা (২০০৭) ও একুশে পদক (২০১৫)।