নেপালি সাহিত্যের খ্যাতিপ্রাপ্ত উপন্যাস ‘বসাইঁ’-এর বাংলায় অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ভারত সরকারদ্বারা ‘পদ্মশ্রী’ তথা ‘সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার’প্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাহিত্যিক অসমের লীলবাহাদুর ছেত্রী ভারতীয় নেপালি সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক। তারই ‘বসাইঁ’ উপন্যাসটির বাংলায় অনুবাদ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের কবি ও অনুবাদক বিলোক শর্মা।
অনূদিত বই ‘বাস্তুহারা’-র উন্মোচন গত ২৩শে জুলাই অসমের গুয়াহাটির কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহে ভারত তথা নেপালের বিভিন্ন সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় কবিতা সমারোহ’-এ ভারতের দার্জিলিঙ, কালিম্পঙ, সিকিম, ডুয়ার্স অঞ্চল এবং নেপাল থেকে আগত নেপালি সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে কবিতা নিয়ে আলোচনাচক্র ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ‘বাস্তুহারা’-র উন্মোচন করেন ঔপন্যাসিক লীলবাহাদুর ছেত্রী, বিশিষ্ট কবি/আলোচক রুদ্র বরাল, অসম গোর্খা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রেম তামাং, অসম গোর্খা সম্মেলনের কার্যকারী অধ্যক্ষ প্রেম শর্মা, গুয়াহাটির বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. কমল ছেত্রী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ‘বসাইঁ’ উপন্যাস বিশ্বনেপালি সাহিত্যে মহাকবি লক্ষ্মীপ্রসাদ দেওকোটার ‘মুনামদন’ কাব্যগ্রন্থের পর সর্বাধিক মুদ্রিত, পঠিত ও বিক্রীত উপন্যাস। ‘বসাইঁ’-এর এখন পর্যন্ত ৩৭-টি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। ভারত ও নেপালের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে লম্বা সময় ধরে বইটি অন্তর্ভূক্ত ছিল। দুইজন ইংরেজ লেখক (ল্যারী হার্সেল ও মাইকেল হাট) বইটিকে ইংরেজিতে আলাদা করে অনুবাদ করেছেন। এছাড়া, চিনা, হিন্দি, অসমিয়া ভাষায়ও বইটি অনূদিত হয়েছে।
কবি ও অনুবাদক বিলোক শর্মার এটা তৃতীয় প্রকাশিত বই। পেশায় কৃষি আধিকারিক শর্মার এর আগে ‘সময়াভাস’ (নেপালি কবিতা সংকলন) ও ‘কবিতার রোটেপিং’ (ভারতীয় নেপালি কবিতার বাংলায় অনুবাদ সংকলন)-দুইটা বই প্রকাশিত রয়েছে।