ক. ফেনী পর্ব:
এত বর্ণ বৈচিত্র্যময়, ভাঙাগড়া, ইতিহাস ঐতিহ্যে ভরপুর কিংবদন্তীতুল্য জেলা বাংলাদেশ তথা ভূ-ভারতে নোয়াখালীর মতো আর কোথায়ও নেই। পৃথিবীব্যাপী নোয়াখালীর লোক আছেন। নোয়াখালীর লোকের আতিথেয়তা, সম্প্রীতি, কষ্টসহিষ্ণুতা, গোষ্ঠীবদ্ধতা, সংগ্রামশীলতা, বীরত্বগাথা আজ ইতিহাসের অঙ্গ।
বৃহত্তর নোয়াখালীর ফেনীতে কর্মসূত্রে আমার অবস্থান ১৯৯৫ সালের ১৫ মে থেকে ১৯৯৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু কবি ও ছাড়াকার তৌহিদ আহমেদের বাড়ি ফেনী শহরে। তাই সিলেট থেকে যখন আমাকে ফেনী জেলায় বদলি করা হলো, তখন আমি সানন্দেই ফেনীকে বরণ করে নিয়েছিলাম দুটো কারণে। প্রথমত আমার বৃদ্ধ মাতা ও পুত্র-কন্যা পরিজন থাকতেন চট্টগ্রামে। দ্বিতীয়ত গোপাল হালদার, নবীনচন্দ্র সেনের স্মৃতিধন্য ফেনীতে পাগলা বাবার মাজার ও ঐতিহাসিক অনেক উপাদান সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে।
তৌহিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে আমার একব্যাচ জুনিয়র ছিলেন। ১৯৮২ সালের নিয়মিত বি.সি.এস পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা উভয়ে প্রশাসন: খাদ্য ক্যাডারে যোগদান করি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে এখনো তৌহিদ আমার ঘনিষ্ঠতম বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম। আশা করি, আমাদের এই নির্মল ও স্বার্থহীন বন্ধুত্ব আমৃত্যু টিকে থাকবে। তৌহিদের আব্বা-আম্মাও আমাকে পুত্রবৎ স্নেহ করতেন। তৌহিদের জেঠাতো ভাই কবি মনজুর তাজিমের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে ফেনীর সাহিত্য সংস্কৃতিজগতের সঙ্গে মেলামেশা ও পরিচয়ের সুযোগ ঘটে। ফেনীতে আমি উঠি ফেনীর তৎকালীন বাংলার অধ্যাপক ফেনীর রবীন্দ্রনাথ নামে খ্যাত কবি রফিক রহমান ভূঁইয়ার বাসভবনে ভাড়াটিয়া হিসেবে।
ফেনীতে খাদ্য বিভাগের নিজস্ব কোনো অফিস ভবন ছিল না। ট্রাংক রোড একটি দ্বিতল ভবন ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম চলছিল। কিছুদিন পর তৌহিদের ছোট ভাই মো. শাহেদউদ্দিন বাবর আমার অফিসে উচ্চমান সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। খাদ্য পরিদর্শক প্রয়াত মো. আনোয়ারউল্লা, আবদুল হাই, মো. সরোয়ার ও শাহেদকে কী দিয়ে জেলার অভ্যন্তরীণ ও বাণিজ্যিক নিরীক্ষার ফাইলগুলো হাল করে রেজিস্টারভুক্ত করা হয়।
দাপ্তরিক কাজের বাইরে বিবিধ পড়াশোনা, টুকটাক লেখালেখি ও বিকেলে অফিস শেষে জেলা পুলিশ সুপারের মাঠে টেনিস খেলতে যাওয়া, রাত ৯টা নাগাদ বাসায় ফিরে ১০টার টেলিভিশন সংবাদ শোনা ছিল আমার নিয়মিত রুটিন।
আমি যখন ফেনীতে, তখনো চট্টগ্রামের দেবাশীষ নাগ ছিলেন ফেনীর জেলা প্রশাসক। তিনি অত্যন্ত হৃদয়বান, মানবিক জেলা প্রশাসক ছিলেন। শিল্প ও সাহিত্যমনা উদার প্রকৃতির এ ক্যাডার অফিসারের কর্মকাণ্ড অনুসরণীয় ও দৃষ্টান্তমূলক। এরপর ফেনীতে আসেন জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭৭ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম। আমাদের ব্যাচের (১৯৮২ নিয়মিত) কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসেবে কর্মরত থাকায় সে সময়ের কঠিন দিনগুলো বৈরী স্রোতের বিপরীতে থেকেও ভালোয় ভালোয় উৎরে যেতে পেরেছি। বর্ণ-বৈচিত্র্যময় তিন বৎসর ফেনীতে কর্মকালের ভেতর উল্লেখযোগ্য দু’টো ঘটনার বর্ণনা করে ফেনী চাপটার করে চলে যাবো মূল নোয়াখালীর আলোচনায়।
ক.
ফেনীতে তখন রাজনীতির একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ফেনীর মুকুটহীন সম্রাট জয়লাল হাজারীর। হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো, শতশত তরুণ তখন মোহবিষ্ট হয়ে হাজারীর ভাবশিষ্য হিসেবে তাকে সর্বক্ষণ ঘিরে থাকতো। জেলার যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে সকল সামাজিক, রাজনৈতিক কাজে দিক নির্দেশনা আসতো হাজারীর কাছ থেকে। আর এসব কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতো হাজারীর বিশ্বস্ত তরুণ বাহিনী। সব সভা সমিতিতে, এমনকি সামাজিক রাজনৈতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজারী ছিলেন সভার মধ্যমণি। তাঁর অঙ্গুলি হেলনে ও নির্দেশনায় চলতো জেলার সব পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন। স্থানীয় লোকজন হাজারীর এ বাহিনীকে বলতো, হাজারীর ক্যাডার বাহিনী।
নতুন প্রজন্ম নবীন চন্দ্র সেন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ফেনী পাবলিক লাইব্রেরীতে আমি বহুচেষ্টা করেও খুঁজে পাইনি তাঁর আত্মজীবনী ‘আমার জীবন’ বইটি। ইতিহাস ঐত্যিহ্য সচেতন ফেনীর বর্তমান প্রজন্ম এ বিষয়ে গবেষণামূলক বিবিধ মৌলিক কাজের মাধ্যমে ফেনীকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন এটাই আমার একমাত্র প্রত্যাশা।
আমাদের একজন অভ্যন্তরীণ সড়ক পরিবহন ঠিকাদার মো. ছালামতউল্লাহর পুত্র রাসেল ছিল ওই বাহিনীর অন্যতম একজন কর্মনিষ্ঠ সদস্য। বলা যায় হাজারীর অনেকগুলো শক্তিশালী ডান হাতের ভেতর রাসেল ছিল অন্যতম এক হাত। হাজারী ‘হাজারিকা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ও ‘বুলেট’ নামে পাক্ষিক সাহিত্যপত্র বের করতেন। অকৃতদার হাজারী নিজে প্রচুর পড়াশোনা করতেন; লেখালেখিও। বিশেষত কবিতা ছিল তাঁর প্রিয়তম বিষয়। মৃত্যুর আগে ‘বিজুর মুক্তি চাই’ নামে একটি উপন্যাস ও একটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়।
ফেনীতে বছর খানেক ভালোভাবে চাকরির পর একদিন গভীর রাতে বাসার টেলিফোনে হাজারীর কার্ড দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা চেয়ে বসে এক ক্যাডার। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্যও আমাকে বেশ সতর্ক করেন। আমি প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরে স্থির করলাম, আমার যা হওয়ার হবে, আমি যেভাবেই হোক সরাসরি হাজারীর সঙ্গে কথা বলবো। মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হাজারীর সঙ্গে বেশ ক’বার মুখোমুখি দেখা হলেও, সালাম বিনিময় ছাড়া অন্যকোনো আলোচনা হয়নি। আমি হাজারীকে আমার লেখা ও সম্পাদিত ক’টা বই দিতে চাই, এ আবদার সালামতউল্লার মাধ্যমে হাজারীকে জানানো হলো। হাজারী শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে একদিন সময় দিলেন। ফেনী কলেজের এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি আমাকে তাঁর গাড়িতে উঠিয়ে সালামতউল্লাসহ বাসায় নিয়ে গেলেন। গাড়ি চলাকালীন সময়েই, ‘স্যার, আমি আপনার সাথে একান্তে কিছু কথা বলতে চাই’ বললাম। তিনি বাসায় ঢুকেই সালামতউল্লাকে নিচে বসিয়ে আমাকে ওপর তলায় সরাসরি তার বেডরুমের পাশে মিনি ড্রয়িং রুমে নিয়ে বসালেন। আমি আমার বইয়ের প্যাকেট তার হাতে দিতেই তিনি প্যাকেটটি খুলে চোখ ছানাবড়া করে অবাক বিস্ময়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, এগুলো সব কি আপনার লেখা? আমি হ্যাঁ সুচক জবাব দিয়ে অকপটে আমার সমস্যার কথা তাকে বুঝিয়ে বললাম। তিনি মৃদু হেসে বললেন, ‘আমার কথা অনেকেই বলতে পারে, আপনি সততার সাথে নির্বিঘ্নে সরকারি দায়িত্ব পালন করে যান, কাউকে একটি পয়সাও দিতে হবে না, দেবেন না।’ সত্যিকারেই আরও দু’টি বৎসর আমি কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নিষ্ঠার সঙ্গে ফেনীর ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোতে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করে সম্মানের সঙ্গে অন্য জেলায় বদলী হই।
খ.
অধ্যাপক মিজানুর রহমান, যিনি টাইগার মিজান নামে ফেনী কলেজের ছাত্রদের কাছে পরিচিত ছিলেন। আমি ফটিকছড়ি কলেজ অধ্যাপনা করার সময় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের কলেজ শাখার অফিসার ইনচার্জ ছিলাম। অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঙ্গে ১৯৮০ সালে সাভারের ৮১ নম্বর বিগ্রেডে আমরা বিভিন্ন কলেজের ভারপ্রাপ্ত ৫০ জন অধ্যাপক প্রি কমিশন ট্রেনিংয়ের জন্যে অবস্থান করি। মিজান ভাইয়ের গুরু গম্ভীর হাঁক-ডাক, জমিদারি চালচলনে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই মুগ্ধ ছিলাম।
মিজান ভাই যে তৌহিদের মামা এবং সত্যিকার অর্থে জমিদার বংশের সন্তান, তা জেনেছি ফেনীতে আসার অনেক পরে। শিলুয়ার জমিদারদের উত্তরাধিকার আমাদের মিজান ভাইয়ের বাড়ি এবং ঐতিহাসিক শিলুয়ার পাথর দেখার দুর্লভ অভিজ্ঞতাটি হয় বন্ধু তৌহিদ আহমদের সৌজন্যে। ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার শিলুয়া গ্রামটির প্রাচীন নাম রত্ননগর। গ্রামটি উপজেলা সদর থেকে ১৬ কি. মি. দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত। তৌহিদের গ্রামের বাড়ি ও একই উপজেলায়। রত্ননগরে আবিষ্কৃত প্রায় কয়েক শতাব্দীর পুরানো একটি মুর্ত্তির ধ্বংসাবশেষ এখনো রয়েছে। শিল পাথরটির নামানুসারে গ্রামটির নাম হয় শিলুয়া। পাথরটি তৎকালীন বৃটিশ সরকারের অধীনে জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়। বিশ্বাস করা হতো যে পাথরটি একসময় জীবিত ছিল, কালের পরিক্রমায় দিব্য প্রাণীটি পাথরে রূপান্তরিত হয়। এই শিল পাথর দেখতে দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকেরা এখানে বেড়াতে আসেন।
খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে প্রচলিত ব্রাহ্মীহরফের লিপি থেকে এখানে আর্য সভ্যতা বিকাশের অনেক প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। তাই ব্রিটিশ আমল থেকে প্রাচীন ঐতিহাসিক এই স্মৃতিচিহ্নটি প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ওখানে সংরক্ষিত হচ্ছে। তৌহিদের সঙ্গে একদিন প্রোগ্রাম করে ওর গ্রামের বাড়ি এবং শিলুয়ার পাথর দেখে ওর এবং আমার গ্রামীণ জীবনের শৈশব স্মৃতি উভয়ে হাতড়ে বেড়ালাম।
ফেনীতে রয়েছে মহীপাল নামে একটি জনপদ এবং মহীপালের দিঘি। ইতিহাসবিদ রমেশ চন্দ্র মজুমদারের মতে, পাল বংশের রাজা মহীপালের নামে স্থান ও দিঘির নাম করণ করা হয়েছে। তাছাড়াও ফেনীর প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে ত্রিপুরার রাজার কাটানো বিশাল রাজারঝির দিঘি। এ দু’দিঘির পাড়ে প্রাত: এবং সান্ধ্য ভ্রমণসহ ভ্রমণ পিপাসুদের মনোরঞ্জনের জন্য বিবিধ লৌকিক ব্যবস্থা রয়েছে। উভয় দিঘির পাড়ে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় বিবিধ লোক-সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষ্ঠান। রাজাঝির পাড়ে প্রতিদিন বসে নিত্য প্রয়োজনীয় বিবিধ জিনিষপত্রের দোকান। বিবিধ স্থানীয় চারু ও কারুকর্ম ছাড়াও ঘর গেরস্থলীর সব জিনিষের দোকান বসে বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে। জানা গেছে, মহাত্মা গান্ধী তাঁর জীবদ্দশায় ১৯২১ সালের ৩১ আগস্ট ফেনীতে আগমন করেন। রেলস্টেশনের বাইরে একটি জনসভা করেন। ওইদিনই ফুলগাজী উপজেলার নতুন মুন্সীহাটে গান্ধী আশ্রম ও খাদি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেন। প্রয়াত খাদ্যপরিদর্শক মো. আনোয়ারউল্লাসহ ওই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানের জীর্ণদশা ও অবহেলা অযত্ন দেখে দুঃখ পেয়েছি।
ফেনী শহরে অবস্থিত পাগলা মিঞার মাজারেও খাদ্য পরিদর্শক সরোয়ারসহ বেশ ক’বার গিয়েছিল। পাগলা মিঞার আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডের অলৌকিক কাহিনি শুনে শ্রদ্ধানত হয়েছি। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে ফেনী অঞ্চলে অসংখ্য লোক কাহিনি এবং কিংবদন্তি চালু আছে। বর্তমানেও জাতিধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ তাঁর মাজারে আসেন। তিনি ফেনীর জনগণের মধ্যে অসম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনা এবং আধ্যাত্মিক দর্শন প্রচার ও প্রসারে অনন্য সাধারণ ভূমিকা রাখেন। এজন্য তাঁকে ফেনী শহরের আধ্যাত্মিক স্থপতিও বলা হয়।
আধুনিক ফেনীর স্থপতি কবি নবীন চন্দ্রসেন ১৮৮৩ সালের ২৩ মে নভেম্বর ফেনীর মহকুমা হাকিম হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। রাজারঝির দিঘিকে সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন প্রশাসনিক ভবনসহ ফেনীতে বিভিন্ন বাজার প্রতিষ্ঠা, যোগাযোগ ব্যবহার উন্নয়ন, আধুনিক শিক্ষার বিস্তার এবং উন্নয়নে তাঁর অবদান অপরিসীম। দুঃখের বিষয় ফেনীবাসী তাঁর অবদানকে আজো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনি। নতুন প্রজন্ম নবীন চন্দ্র সেন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ফেনী পাবলিক লাইব্রেরীতে আমি বহুচেষ্টা করেও খুঁজে পাইনি তাঁর আত্মজীবনী ‘আমার জীবন’ বইটি। ইতিহাস ঐত্যিহ্য সচেতন ফেনীর বর্তমান প্রজন্ম এ বিষয়ে গবেষণামূলক বিবিধ মৌলিক কাজের মাধ্যমে ফেনীকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন এটাই আমার একমাত্র প্রত্যাশা।
চলবে…