(পর্ব-৯)
বাতাসিয়া লুপ
বৃষ্টি পড়ছিল। ফিরছিলাম টাইগার হিলের পাশের ডাক বাংলো পয়েন্ট থেকে। মেঘ বৃষ্টির দাপটে কাঞ্চনজঙ্ঘা আমাদের সঙ্গে দেখা করেনি। এটা একটা দুর্ভাগ্যই বলা চলে। তবে একটা পরিসংখ্যান শুনলে তেমনটা মনে না-ও হতে পারে। বছরে ৩০০ দিনই নাকি বৃষ্টি থাকে দার্জিলিংয়ে। সুতরাং কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া এখানে অমাবস্যার চাঁদের মতোই।
তবে নেপাল থেকেই অন্নপূর্ণা, মাউন্ট এভারেস্ট এমনকি কাঞ্চনজঙ্ঘা ভালো দেখায়। (অবশ্য সিকিমের সাঙ্গু লেক থেকে দেখেছিলাম কাঞ্চনজঙ্গার অসাধারণ রূপ। সে গল্প পরে বলব।) যদিও দার্জিলিং কিংবা কালিম্পংয়ের খুব কাছে এই হিমালয় চূড়া। গাইড পার্থ বাসনেত। বসেছিলেন জিপের সামনে। পরবর্তী সিডিউল কী? জানালেন, বাতাসিয়া লুপ, ঘুম রেল স্টেশন, ঘুম মনেস্ট্রি।
প্রথমেই বলতে হয় ‘বাতাসিয়া লুপ’-এর কথা। জয়গাটা একটা পাহাড়ের মাথায়। চারদিকটা খোলা। হতে পারে প্রচুর বাতাস রয়েছে বলেই এরকম নামের। প্রশ্ন জাগতে পারে দার্জিলিংয়ের ভাষা কী? ওরা কি বাতাস বোঝে? দার্জিলিং হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা। এর পাশেই কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি। শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে বাংলাতেই কথা বলেন সবাই। দার্জিলিংয়ে অর্ধেক মানুষ বাংলায় কথা বলেন। বাকিরা হিন্দি কিংবা নেপালি লেপচা ভাষায় কথা বলেন। একেবারে স্থানীয় যারা, বহু বছর ধরে এখানে বাস করছেন তারা নেপালি ভাষাতেই কথা বলেন। নেপাল সীমান্ত এখান থেকে খুব কাছে। প্রথম যে সন্ধ্যায় দার্জিলিং আসি তখন গাইড পার্থ দেখিয়েছিলেন নেপাল-ভারত দার্জিলিং বোর্ডার লাইন। বলেছিলেন, দিনের বেলা হলে আমরা পাঁয়ে হেটে যেতেও পারতাম কিছুটা ভেতরে। দেখছিলাম, একটা কাঠের সরু গাছ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা। ভারতীয় বোর্ডার ফোর্সের দুজন সদস্যকে দেখেছিলাম বন্দুক কাঁধে দাঁড়িয়ে।
যাক সেসব। আর হ্যাঁ, লুপ শব্দটা অপচিতি লাগছে তো? লুপ হচ্ছে বক্রাকার বা বৃত্তাকার কোনো জায়গা। গ্রামে আমরা ঘোপনা বলে থাকি। কেউ বলে ঘুন্না। একদিকে ঢালু বা নিচু। বাতাসিয়ার বিশাল চত্বর। পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। ফুলের বাগান। সবুজে ছাওয়া ঘাস। পাতাপাতার-লতাবাহার ইত্যাদি। বাঁধানো পথ। চত্বরের মাঝখানে বিশাল উঁচু কালচে গোলাকার স্তম্ভ। ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে তৈরি হয়েছে এটি।
এই বাতাসিয়া পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচু শেষ মাথা ছুঁয়ে ঘুরে এসেছে রেল লাইন। ২ ফুটি শর্ট গেজের রাস্তা। অনেকটা খেলনা রেল লাইনের মতো। নাম যে এর টয় ট্রেন! যেহেতু এই লুপ লাইনটি গন্তেব্যে পৌঁছার জন্য নয়, বিনোদন দেওয়ার জন্য; আর তাই হয়তো এরকম লুপ তৈরি করা হয়েছে। বাচ্চাদের খেলনা রেল লাইনে সাধারনত এরকম বাঁক থাকে। কে জানে, খেলনা রেলের ধারণা হয়তো এখান থেকেও আসতে পারে।
এই লুপের বিশেষত্ব হলো এটি একটি পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত। অনেকটা মালভূমির মতো। ওপর থেকে নিচে ক্রমশ সুষম ঢালু। এখান থেকেও কাঞ্জনজঙ্ঘা দেখা যায়। অবশ্যই আকাশ পরিষ্কার থাকা সাপেক্ষে।
মাঝখানের মিনার বা স্তম্ভকে ঘিরে রয়েছে শ্বেতপাথরে বাঁধানো চত্বর। বৃষ্টি থেকে রক্ষা কিংবা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কিছু ছাউনিও রয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে পুরো চত্বরটি কাত হয়ে আছে। একদিকে হেলে পড়ে যেতে পারে। এই টয় ট্রেনে ওঠার প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে এর মধ্যে চেপে বাতাসিয়া লুপ পার হওয়া।
জায়গাটিতে প্রচুর বাতাস। ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি বাতাস পাওয়া যায় ওইখানে। সে কারণেই এর নাম বাতাসিয়া লুপ। মালভূমির মতো একটি জায়গা। চারপাশে উঁচু পাহাড়। মাঝখানে লুপ বা খাদ। ওই খাদ বেয়ে বাতাস আসে, পাস হয়ে যায় মালভূমি। দার্জিলিং শহর থেকে এটি মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে।
টয় ট্রেনে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে এটি পার হতে হয়। ওই ট্রেন বাতাসিয়া মালভূমিতে একটা চক্কর দেয়। বাতাসিয়া চত্বরে রয়েছে একটি দর্শনীয় ওয়ার মেমোরিয়াল। যোদ্ধা হিসেবে গোর্খারা বেশ নামকরা। একজন গোর্খা সৈনিকের ভাস্কর আছে। আছে একটি সুউচ্চ মিনার। সাহসী গোর্খা যোদ্ধাদের স্মরণে এটি নির্মিত হয়েছে। ১৯৯৫ সালের ২২ মার্চ এটি উন্মুক্ত করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে রয়েছে ফুলবাগান, শোভা বর্ধনকারী গাছের সারি।
বাতাসিয়া লুপ থেকে আশপাশের পাহাড় মনোমুগ্ধকর। পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকে পেঁজা তুলার মতো সাদা মেঘ। কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ হিমালয়ের নিকটবর্তী কিছু চূড়া দেখা যায় এই লুপ থেকে। আরেকটি কথা বলে রাখছি। ভ্রমন কাহিনীতে অনেকেই জানতে চান কিভাবে যেতে হবে, কোথায় থাকার ব্যবস্থা কী? খাওয়ার ব্যবস্থা কী? দিন বদলে গেছে। এখন এসব নিয়ে আর চিন্তা নেই। বিমান, রেল, বাস আরো কত কি উপায় আছে দার্জিলিং যাওয়ার। পর্যটন শহর বলে সেখানেও অসংখ্য হোটেল রয়েছে। আর খাবার? যা খেতে চান সবই পাবেন। চাইলে বাঘের চোখও!
বাতাসিয়া লুপ ও ঘুম রেল স্টেশন এখন ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ। দার্জিলিং শহরটি সমুদ্ররেখা থেকে ৬ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায়। সুতরাং এই বাতাসিয়া লুপ এবং রেল স্ট্রেশন বা রেল লাইনও অনেক ওপরে। যে কারণে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে এগুলো। ইন্টারনেটে অনেকেই দার্জিলিংয়ের এই টয় ট্রেনের মনোরম ছবি দেখে থাকবেন। ওটা এই বাতাসিয়া লুপ থেকেই নেওয়া।
ঘুম রেল স্টেশন রাস্তার পাশেই। অনেকবার এর সামনে দিয়ে গেলাম এলাম। বৃষ্টি হচ্ছিল বলে নামার আগ্রহ ছিল না। পরিকল্পনার মধ্যে রইলো পরে নামব স্টেশনে। সবাই মিলে এখানে গ্রুপ ছবি তুলব। জিপ গিয়ে থামলো ঘুম মনেস্ট্রির সামনে। এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়। একটা বিষয় খেয়াল করছিলাম, ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এই অঞ্চলে এই মন্দির কালচার পর্যটনের মধ্যে একেবারে গেঁথে গেছে। আমি বরাবরই উপাসনালয়ের প্রতি বিতৃষ্ণ। আমার ভালো লাগে প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্র। টিমের সবাই একমত হলেন, মনেস্ট্রিতে যাওয়ার দরকার নেই। ভুটানে এই টিমের সবাই এরকম মনেস্ট্রি দেখে ক্লান্ত ছিলাম। ওখানে মনেস্ট্রি ছাড়া দেখার বিষয়ও খুব কম।
রাতের বেলা হোটেলে ফিরছিলাম। ভাবছিলাম, এরকম সিনেমা দেখে আমরা কী শিখব? জঙ্গিবাদ, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, খুনোখুনিতে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয় এসব দেখেই। এটাতো প্রজন্ম ধ্বংস করে দেবে! ধ্বংস-বিদ্বেষ নয়; সুষ্ঠু সুন্দর মানবিক বাসযোগ্য পৃথিবী চাই।
ড্রাইভারকে বললাম সরাসরি হোটেলে যেতে। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সবাই ব্রেকফাস্ট টেবিলে। সারা দিনতো পরে থাকছে। কী করা যায়? কেউ একজন প্রস্তাব দিলো, আজকেও সিনেমা দেখতে পারি। আগের দিন অ্যাভেঞ্জারের টিকিট পাওয়া যায়নি। সকাল সকাল গেলে টিকিট মিলতে পারে। দার্জিলিং যাওয়ার আগে দেখে গিয়েছিলাম, ঢাকায় অ্যাভেঞ্জারের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বক্স অফিস হিট। তাহলে এখানে দেখে যেতে পারলে মন্দ হয় না। কিন্তু সেদিন ছিলো রোববার। ছুটির দিন। তাই টিকিট প্রাপ্তি নিয়ে সন্দেহ ছিল।
ব্রেকফাস্ট শেষে ঘোষণা এলো, টিকিট পাওয়া গেলে বিকেলে বা সন্ধ্যায় সবাই সিনেমা হলে থাকবো। গ্রুপে টাইম জানিয়ে দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত ফ্রি টাইম। নাস্তা সেরেই অনেকে বেরিয়ে গেলেন কেনাকাটা করতে। সত্যি বলতে কি বাংলাদেশিদের জন্য ওখানে কেনাকাটার তেমন কিছু নেই।
পশমিনা শাল, টুপি, নিম্নমানের কিছু সোয়েটার বা জ্যাকেট এই-ই। বিশ্বাস করেন, এই গরমের দিনে বাংলাদেশে এসব পরা যাবে না। বাংলাদেশে এখন শীত পড়েই না বলা চলে। শুধু শুধু টাকা নষ্ট। তবু অনেকেই বিদেশে যান কম। আত্মীয়-স্বজন পথ চেয়ে থাকে, জনি বিদেশ গেছে দেখি কী নিয়ে আসে। সোহাগ প্রথমবারের মতো বিদেশে গেছে দেখা যাক কী আনে। ওরা অনেক কিছুই চেনে না। না চিনুক। যা ইচ্ছে কিনুক।
লাঞ্চ টাইমে আবার সবাই একত্রে। সিনেমার টিকিট পাওয়া গেছে। বিকেল সাড়ে ৫ টায় শো। শাকিল এবারের ট্যুরে ফ্লপ। তার গলায় গান নেই। কন্ঠে কৌতুক নেই। টিকিট পেয়ে তার সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ভালোই হলো। টিকিট পাওয়ায় নুরুলের সে কী আনন্দ! মজা স্যার, ভীষণ ইয়া হবে, বলে হাসছিলেন। সাহেল চুপচাপ থাকলেও চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। সম্ভবত ভাবছিলেন, ছোটবেলায় কত কষ্টে গোপনে সিনেমা দেখতে হতো। এখন বিদেশে এসে সবাই মিলে এসকঙ্গে সিনেমা দেখব!
লাঞ্চ টেবিলে সবার পেছনে সাইফুল আর নারকেল জাহিদ। দেরি কেন? সাইফুল কিনেছিলেন রাইস কুকার! আর নারকেল জাহিদ চাল। এই নিয়ে সবাই হাঁসাহাসি। সবাই কেনে শাল, আর পিচ্চি জাহিদ কিনেছিলেন চাল। ওদিকে সাইফুলের কান্ড নিয়ে বেশ হাঁসাহাসি। দার্জিলিং গিয়ে কেনে রাইস কুকার। কী করে বোঝাবে বুদ্ধিটা কত বোকার! জনা পাঁচেক সিনিয়র বাদে বাকিদের সবার অবস্থা একই। কী কিনতে হবে, কোনটা কেনার দরকার নেই, সেটুকু বুদ্ধিও অনুপস্থিত। মিজান, আলভি, মামুন, কোচ জাহিদ এরা মুচকি হাসছিলেন। যাক, যে যার মতো থাক।
দার্জিলিংয়ে আসার পর থেকে ল্যাপটপে চার্জ দিতে পারছিলাম না। একটা প্লাগের অভাবে। মিলটন নাকি আগের দিন অনেক খুঁজেছিলেন। পাননি। ফিরোজ আলমও তাই। বিকেলে সময় পেয়ে ভাবলাম, এবার নিজেই যাই। মিজানকে পেয়ে গেলাম রাস্তায়। শপিং করে হন্তদন্ত হয়ে বিগ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। রিপোর্টিং টাইম সোয়া ৫ টায়, বিগ বাজার পয়েন্টে। তখনো ঘণ্টাখানেক সময় ছিল। বেশ কিছু দোকান, শপিং সেন্টার ঘুরলাম। এটা সেটা দেখলাম। কেনা হলো না তেমন কিছু। মাথায় ঘুরছিলো ইলেকট্রিক প্লাগ।
যে যেদিকে দেখিয়ে দিচ্ছিল সেদিকেই যাচ্ছিলাম। উঁচু-নিচু মার্কেটের খাড়া পথ বেয়ে বার দুয়েক নিচে নামলাম, ওপরে উঠলাম। নেই কোথাও। কেউ বলছিলেন এদিকে হার্ডওয়্যারের দোকান নেই। কেউ বলছিলেন, রোবরার, দোকান বন্ধ। শেষে ঢাকার বঙ্গোবাজারের মতো একটা ওপেন মার্কেটে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই একজন দেখিয়ে দিলেন পথ। ৩৫ রুপি দিয়ে কিনলাম প্লাগ।
আবারও সেই একই কাহিনী। পিচ্চি জাহিদ (নারকেল জাহিদ) নেই। ফিরোজ আলম টিম লিডার। ক্ষেপে গেলেন। আবার নিজে নিজেই শান্ত হলেন। সবার বুদ্ধিতো এক না এই ভেবে বোধহয়। সবাই টিকিট বুঝে নিয়ে ছুটলাম হলের দিকে। আইনক্সের একটি ছোট হল এটি। একেবারেই ছোট বলা চলে। এমনিতেই জায়গা কম, সিট কম তার ওপর থ্রিডি ছবি চলে বলে সামনের দিকের কয়েক সারি ফাঁকা রাখতে হয়। এ কারণেই টিকিট পাওয়া মুশকিল।
অন্যদের থ্রিডি চশমা দিয়েছিল। আমাদের দেয়নি। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না, এটি থ্রিডি ফিল্ম কি না। পরে ফিরোজ আলম আর মিল্টন গিয়ে সবার জন্য চশমা নিয়ে এলেন। ঝড়ের মতো মারামারি দিয়ে শুরু হলো সিনেমা। ভাবছিলাম পরে বোধহয় সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। কই? হচ্ছিলো না। মিনিট পনেরো চলে গেলো, কাহিনি বুঝলাম না। অয়েট করি, পরে হয়তো বুঝব। আধা ঘন্টা চলে গেলো। বুঝছিলাম না কাহিনি! ইন্টারভেল এসে গেলো। বিরতির সময়ও বসে আছি। কী দেখলাম এতোক্ষণ! মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতেছিলাম না। সিনেমা একসময় শেষও হয়ে গেলো। কিছুই বুঝলাম না!
এই ছবি দেখার জন্য মানুষ পাগল! সত্যিই পাগল! ন্যূনতম কোনো কাহিনি নেই। যুক্তিহীন, বিবেকহীন যুদ্ধ, মারামারি। ঘটনার কোনো পরম্মরা নেই। ম্যুরালিটি নেই। শিক্ষা নেই। এই যদি হয় একটা হিট সিনেমার উপজীব্য! তাহলে আমাদের ভবিষ্যত কী? রাতের বেলা হোটেলে ফিরছিলাম। ভাবছিলাম, এরকম সিনেমা দেখে আমরা কী শিখব? জঙ্গিবাদ, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, খুনোখুনিতে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয় এসব দেখেই। এটাতো প্রজন্ম ধ্বংস করে দেবে! ধ্বংস-বিদ্বেষ নয়; সুষ্ঠু সুন্দর মানবিক বাসযোগ্য পৃথিবী চাই।
চলবে…
দার্জিলিঙে বৃষ্টি, কালিম্পঙে রোদ-৮॥ উদয় হাকিম