[পর্ব-২৩: প্রাইমারি স্কুল পর্ব]
ক্লাসে দশ মিনিট কান ধরে দাঁড়িয়েছিলাম, এই খবর রাষ্ট্র হতে বেশি সময় লাগলো না। ক্লাস ফোর থেকে থ্রির সবাই জেনে গেলো। ছুটির ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সবাই হই-হই করে বের হলো। আমি নতমুখে ধীরে ধীরে বের হলাম। আজ আর রাস্তায় উঠি না। স্কুলের দক্ষিণ পাশে মাঠ, মাঠ পেরোরে মসজিদ। মসজিদের দক্ষিণ পাশে বিস্তীর্ণ খেসারির ডাল ক্ষেত। যতদূর দক্ষিণে চোখ যায়, শুকনো নাড়া ছাপিয়ে খেসারির ডালের লকলকে ডগা বাতাসে দোল খায়। আমি সেই আদিগন্ত সবুজ দেখি, আর আল ধরে হাঁটি। রাসেল ও ইসমাইল পেছন পেছন আসে। কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি তারাও জেনে গেছে। কিন্তু সে বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি। সবুজ ডালের আল ধরে হেঁটে-হেঁটে যেই কাছারির সামনে পা রাখলাম, অমনি মনটা ভালো হয়ে গেলো। সেবাপ্রকাশনী থেকে আমার নামে পার্শ্বেল এসেছে। দাদার বয়সী ডাকপিওন এসে দাঁড়িয়ে আছেন। দ্রুত কাছারির দরজা খুলে তাকে বলি, ‘দাদা, ডাবের পানি খাবেন?’ শুনে তিনি এতটাই খুশি হলেন যে, সঙ্গে সঙ্গে রক্তিম সূর্যের দিকে তাকিয়ে দুই হাত তুললেন। বিড়বিড় করে অনেকক্ষণ আশীর্বাদ করলেন। আমার ইশারার সঙ্গে সঙ্গে রাসেল চলে গেলো ডাব আনতে। ডাকপিওনের আশীর্বাদপর্ব শেষ হওয়ার আগেই ডাবের পানি নিয়ে রাসেল হাজির।
এর কদিন পরেই পরীক্ষা শুরু। পরীক্ষা শেষে কারও আর পড়াশোনার কাজ নেই। কেবল ধনু কাকা রাতদিন এক করে পড়ছে। সে কেবল গণিত নিয়েই ব্যস্ত। তার একটা বৈশিষ্ট্য ছিল এমন যে, কোনো কিছু পেতে চাইলে, তার পেছনে জোঁকের মতো লেগে থাকতো। আর প্রায় সময়ই সে সফলও হতো। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কেউ কেউ নানার বাড়ি, কেউ কেউ খালার বাড়ি বেড়াতে চলে গেলেও ধনু কাকা, খোকন, আমি, রাসেল কোথায় যাইনি।
একদিন সন্ধ্যার পর খোকনসহ হাজির হলাম ধনুকাকার পড়ার ঘরে। গিয়ে দেখি, সে অঙ্ক কষায় মগ্ন। খোকন বারকয়েক ডাকলো—‘মামা। মামা। দেখেন, দেখেন কে আয়ছে?’ আমাদের ডাকে তান ধ্যানভঙ্গ তো হলো না, পরন্তু, সে আরও নিবিড় করে ঝুঁকে পড়লো টেবিলে। কী আর করা! আমরা দুজন তার খাটে গিয়ে বসলাম। খোকন ও আমি হারিকেনের আলোতে পড়াশোনা করি। তবে ধনু কাকাদের বিশাল বাড়িতে কোনো ঘরের সামনের রুমে হয়তো হ্যাজাক লাইট জ্বলে, নয়তো হারিকেন। কিন্তু ধনু কাকার পড়ার টেবিলে ওসবের বালাই নেই। সে যেমন আলাদা ঘরে থাকে, তেমনি তার আলোর ব্যবস্থাও আলাদা। সে টেবিল ল্যাম্পের আলোয় পড়াশোনা করে। তবে, সেই টেবিল ল্যাম্প কোনো ইলেকট্রিক কোম্পানির তৈরি নয়। তার নিজের। ঘরের বেড়া বাঁধার কাজে ব্যবহৃত হয়, এমন তার, নারিকেলের মালা, পাঁচ ব্যাটারি টচ লাইটের বাল্ব ও ফোল্ডার দিয়ে ওই টেবিল ল্যাম্প বানিয়েছে। আরও ল্যাম্পে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য টেবিলের ড্রয়ার ভর্তি দশটি অলিম্পিক ব্যাটারি। এসবই তার ম্যাকগাইভার দেখার ফল। তো, সে তার নারিকেলের মালার তৈরি ল্যাম্পকে আরও নিচের দিকে নামিয়ে দিলো। এতে খাতার ওপর আলোর তীব্রতা বাড়লো বটে, কিন্তু আমরা দুজন প্রায় অন্ধকারে ডুবে গেলাম। অনেক পুরনো দিনের টিনের ঘর। ঘরের সিলিংয়ের ওপর চামচিকার ওড়াউড়ি-ইঁদুরের চিঁহি ডাকসহ দৌড়াদৌড়ি—সব মিলিয়ে এক ভৌতিক পরিবেশের সৃষ্টি হলো। ধনু কাকার নিস্পৃহতায় আমি মনে মনে আহত হলেও খোকন বেশ উপভোগ করছে। আমি বের হওয়ার জন্য যতবার উঠে দাঁড়াতে চাই, খোকন ততবারই হাত ধরে টেনে বসিয়ে দেয়।
আমাদের এই টানাপড়েনের মাঝখানে হঠাৎ ঘরে ঢুকলেন সাকু কাকা। ধনু কাকার সেজ ভাই। তিনি তখন কুমিল্লা ভিকটোরিয়া কলেজের ছাত্র। এসেই বললেন, ‘‘ও তোরা তিন পাণ্ডাই এখানে! আচ্ছা বল তো, ‘এফ-ইউ-টি-ইউ-আর’ দিয়ে ফুটার হবে, না ফাটার হবে?’’ আমরা ভেবে কূল পাই না। একজন ‘ফুটার’ বলছি তো, আরেকজন ‘ফাটার’। কিন্তু ধনু কাকার সে দিকে মন নেই। সে যেন আর্কিমিডিস। গভীর গবেষণায় ডুবেছে। তাকে আর কিছুতেই তোলা যাবে না। এদিকে আমরা যাই বলি না কেন, সাকু কাকা বলেন, ‘হয় নাই, হয় নাই—ট্রাই কর, ট্রাই কর। যে বলতে পারবে, সে পাবে দশ টাকা। না বলতে পারলে কান ধরে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।’
তখনো রাত আটটার সংবাদ চলছিল। আমরা যখন দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম দেখি, তিল ধারণের ঠাঁই নেই। লোকে লোকারণ্য। চিড়েচ্যাপটা হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তবু কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসে হা করে গিলছে টিভির সংবাদ। উঁকি মেরে দেখি, সাকু কাকা আর হেডস্যার পাশাপাশি বসে সংবাদ শুনছেন।
আমরা ট্রাই করেই যাচ্ছি। কিন্তু সমাধান কিছুই বের হচ্ছে না। এবার সাকু কাকা বললেন, ‘কাউন-ডাউন শুরু। সময় মাত্র দশ সেকেন্ড। এর মধ্যেই বলতে হবে। এতদিন কী পড়াশোনা করেছিস তোরা? গাধার দল!’ এই বলে তিনি সময় গণনা শুরু করলেন, ‘দশ…নয়…আট…সাত…ছয়…পাঁচ…চার…তিন…দুই….এ…।’ ‘এক’ বলে শেষ করার আগেই ধনুকা লাফিয়ে উঠলো চেয়ার ছেড়ে—‘ইউরেকা!’ আমাদের তিন জনের জিজ্ঞাসু চোখ তার দিকে। সাকু কাকা বলেন, ‘কী ইউরেকা? বল।’ ধনু কাকা বলে, ‘আমি বলতে পারলে বাকি দুজনের শাস্তি মাফ তো?’ প্রশ্ন শুনে আমরা বিস্মিত। আরে এ তো নিজের বাঁচার খবর নেই। উল্টো আমাদের পুলসিরাত পার করার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে! তার প্রশ্নে সাকু কাকা হেসে উঠলেন—‘আচ্ছা। তুই বলতে পারলে বাকি দুজনের সাজা তো মাফ। আর তিন জনরেই সমান পুরস্কার।’ এবার ধনু কাকা অনেকটা গম্ভীর। যেকোনো জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে সে বাম হাতের ঘড়িকে বার কয়েক ঝাকুনি দিয়ে সময় দেখে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এরপর যান হাতের তর্জনি বারকয়েক নাড়িয়ে বললো, ‘‘শোনো সবাই ‘এফ-ইউ-টি-ইউ-আর’ দিয়ে ‘ফুটার’ও হয় না, ‘ফাটার’ও হয় না। হয় ‘ফিউচার’। মানে আমাদের তিন জনের ফিউচার। আমাদের ফিউচার ভালো। আন্ডারস্ট্যান্ড?’’ আমরা দুজনে একযোগে বলি—‘ইয়েস স্যার।’
ধাঁধার জবাব দেওয়ার পর হো হো করে হেসে উঠলেন সাকু কাকা। এরপর বলরেন, ‘গুড। আজ না বুধবার? এখন তো রাত আটটা বাজে। তোরা ম্যাকগাইভার দেখবি না? চল-চল বাজারে চল। আবার সিট পাইবি না।’ ধনু কাকা বলে, ‘ধাঁধার উত্তর যে দিলাম, পুরস্কার কই?’ খোকন ও আমি চুপ। সে আবারও বলে, ‘পুরস্কার কই?’ এবারও খোকন আর আমি চুপ। ধনু কাকাও হয়তো আবারও প্রশ্ন করতে যাচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই সাকু কাকা দুষ্টুমির হাসি দিয়ে বললেন, ‘এই যে তোদের ম্যাকগাইভার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি, এটা পুরস্কার না? আরেকবার পুরস্কার-পুরস্কার করবি কান মলে লাল করে দেবো।’
আমরা ভয়ে আর কথা বাড়াই না। তার পেছন পেছন হাঁটি। অন্ধকার রাতে। একমাত্র সাকু কাকার হাতে ৫ ব্যাটারির টর্চ লাইট। বাকি তিন জনের হাতে কিছু নেই। অতএব, তার গতির সঙ্গে তাল মিলিয়েই হাঁটতে হবে। তিনি অনেক লম্বা। ফলে যখন জোরে হাঁটেন, আমাদের তিনজনকে প্রায় দৌড়াতে হয়। তাই বলি, ‘কাকা একটু আস্তে হাঁটেন।’ শুনে কপট রাগ দেখান। বলেন, ‘কে রে বললি এই কথা?’ আরেকবার বললে একদম অন্ধকারে রেখে চলে যাবো। ম্যাকগাইভার দেখতে হলে জোরে জোরে হাঁটতে হবে।’ আমরা আর কথা বাড়াই না। তার পেছন পেছন দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে উঠি। অবশ্যই ততক্ষণে বাজারে এসে গেছি। তার টচ লাইট না হলেও আমাদের এখন চলে। বাজারের দোকানগুলোয় জেনারেটরের মিটিমিটি আলো। আর মাঝখানে রাস্তায় আলো-আঁধারির খেলা।
সাকু কাকা আমাদের আগেই গিয়ে বসে গেলেন বাবলুদের দোকানে। তখনো রাত আটটার সংবাদ চলছিল। আমরা যখন দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম দেখি, তিল ধারণের ঠাঁই নেই। লোকে লোকারণ্য। চিড়েচ্যাপটা হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তবু কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসে হা করে গিলছে টিভির সংবাদ। উঁকি মেরে দেখি, সাকু কাকা আর হেডস্যার পাশাপাশি বসে সংবাদ শুনছেন। আমরা তখনো দোকানে ঢুকতে পারিনি। মন খারাপ হয়ে গেলো। একটু পর ম্যাকগাইভার শুরু হবে। বাইরে থেকে দেখা যাবে না। ভেতরেও যেতে পারছি না।
সঙ্গে সঙ্গে আমরাও তাকাই তার দিকে। এবার ধনু কাকা মুষ্ঠিবদ্ধ ডান হাত ওপরে তুলে বারকয়েক ঝাকুনি দেয়। বলে, ‘বাবলুরে টিভি বন্ধ করার বুদ্ধি আমি দিছি। ম্যাকগাইভারের না দেখানোর মিথ্যা কথা কইতে বলে দিয়েছি ওই কাগজে। নইলে কি আর ঢুকতে পারতাম? ম্যাকগাইভার দেখার সুযোগ পাইতাম?’
খোকনকে ডেকে ধনু কাকা বলে, ‘এই ভাইগনা তুই উঁকি মারি দ্যাখ তো, গদিতে কে?’ খোকন অনেক কসরত করে ঘাড় বাঁকিয়ে, মাথা গলিয়ে প্রায় ঢুকলো মাত্র, অমনি কে একজন তাকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেয়। কাঁদো কাঁদো স্বরে সে জানায়, গদিতে বাবলু আছে। শুনে ধনু কাকা বলে—‘ইউরেকা!’ খোকন বলে, ‘কী?’ কিচ্ছু না বলে, সে আমাদের নিয়ে ঢুকলো রাস্তার উত্তর পাশে সেলুন দোকানে। সেলুনের মালিক পরীক্ষিত। আমাদের ক্লাসমেট। সেলুনে ঢুকেই ড্রয়ার থেকে একটুকরা কাগজ নিলো। এরপর খস খস করে কী যেন লিখলো। আমাকে বললো, ‘যা তো, বাইরে ছোট্ট একটা ঢিল পাওয়া যায় কি না?’ তার নির্দেশ মতো বাইরে গেলাম। পায়ের তলায় শক্ত কিছু একটা লাগতেই উপুড় হয়ে হাত তুলে দেখি—ঢিল। এনে দিলাম তাকে।
আমাদের জন্য বিস্ময় অপেক্ষা করছিল। এবার ধনু কাকা কাগজের টুকরো দিয়ে ঢিলটাকে মুড়িয়ে ফেললো। এরপর খোকনকে দিয়ে বললো, ‘নে ব্যাটা, গদির ওপর এমনভাবে মারবি, যেন বাবলুর পায়ের ওপর পড়ে।’ কেন কী কারণে গদিতে ঢিল ছুড়তে হবে, এসব প্রশ্ন খোকনের মাথায় আসেনি, আমারও না। খোকনকে দোকানের দিকে পাঠিয়ে দিয়ে আমরা পরীক্ষিতের বেঞ্চের ওপর দাঁড়ালা। সবার মাথার ওপর দিয়ে বাবলুকে দেখছি। ততক্ষণে খোকন ভিড়ের ভেতর মাথা গলিয়ে দিলো। মুহূর্ত অপেক্ষা। এরপরই কাগজে মোড়ানো ঢিল ছুড়ে মারলো বাবলুর পায়ের দিকে। কিন্তু ঢিল পায়ে না পড়ে পড়লো তার কোলের ওপর। চমকে উঠলো বাবলু। সোজা তাকালো উত্তর দিকে। ধনু কাকা কী যেন ইশারায় বললো। বাবলু কাগজখানা খুলে দেখলো। এরপরই দিলো টিভি অফ করে। এবার শুরু হলো তার হাঁকডাক—‘যান। যান। যার যার কাজে। দোকানে ভিড় কমান। টিভি বন্ধ। আজ আর ম্যাকগাইভার দেখাবে না।’ টিভি বন্ধ। তাই লোকজনও একে একে কেটে পড়লো। খোকন এবার এগিয়ে এলো আমাদের দিকে—‘কী মামা? এইটা কী হইলো? তুই কাগজে কী লিখছস? বাবলু টিভি বন্ধ করে দিলো ক্যান? এত কষ্ট করে আইলাম!’
ধনু কাকা বিজয়ের হাসি দিয়ে বলে, ‘উস্তাদের মাইর শেষ রাইত। ব্যাটা এবার দেখবি আসল খেল। চল চল আগে গদির ওপর বসি। তারপর কইতেছি কাহিনী কী।’ তিন জন দোকানে ঢুকতেই হেডস্যার বললেন, ‘ এই তোদের বাজারে কী? যা। যা। বাড়ি যা। আর শোন কাল রেজাল্ট দিমু। সকাল সকাল চলি আসবি।’ হেড স্যারের কথায় আমরা দমে গেলাম। ঠিক ওই সময়ে ত্রাণকর্তার ভূমিকা নিলেন, ‘সাকু কাকা। বললেন, ‘স্যার, তিন জনরেই আমি নিয়ে এসেছি। ম্যাকগাইভার দেখবে তারা। খুব শিক্ষণীয় নাটক। নাটক শেষ হলেই আমার লগে নিয়ে যামু।’
সাকু কাকার কথা শুনে হেড স্যার বলেন, ‘আচ্ছা। আমি গেলাম।’ তিনি বেরিয়ে তার আদ্যিকালের নড়বড়ে সাইকেলে চড়ে বসলেন। প্যাডেল ঘোরাতেই মুচকি হাসি ধনু কাকার। হাসির কারণ জানতে চাইলে সে কিছু বলে না। বলে, ‘ধৈর্য, সবুরে মেওয়া ফলে। প্রায় নয়টা বাজে। ওই বাবলু্ এইবার টিভি অন কর।’ সঙ্গে সঙ্গে বাবলু টিভি অন করে। তখনো বিজ্ঞাপন চলছিল। কিছুক্ষণ পর পর্দায় ভেসে উঠলো ঘোষকের মুখ। স্নিগ্ধ হাসি ছড়িয়ে দিয়েই একটুপর যে ম্যাকগাইভার শুরু হবে, সেই ঘোষণা দিয়ে মিলিয়ে গেলেন ঘোষক। সঙ্গে সঙ্গে কে একজন বলে উঠলেন, ‘এই বাবলু! আগে মিথ্যা কথা কইলি ক্যা?’ বাবলু মুচকে হেসে ধনু কাকার দিকে তাকায়। সঙ্গে সঙ্গে আমরাও তাকাই তার দিকে। এবার ধনু কাকা মুষ্ঠিবদ্ধ ডান হাত ওপরে তুলে বারকয়েক ঝাকুনি দেয়। বলে, ‘বাবলুরে টিভি বন্ধ করার বুদ্ধি আমি দিছি। ম্যাকগাইভারের না দেখানোর মিথ্যা কথা কইতে বলে দিয়েছি ওই কাগজে। নইলে কি আর ঢুকতে পারতাম? ম্যাকগাইভার দেখার সুযোগ পাইতাম?’
চলবে…