প্রায় দেড় যুগ পর সন্ধ্যায় স্কুলের জীববিজ্ঞান ল্যাবে বসে রমিজকে খুব মনে পড়ছে রকিব জোয়ারদারের। ইতিহাসের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ ও রমিজউদ্দিন খোনকারের বাড়ি পদ্মা-মেঘনা অববাহিকায়। তারা দূরসম্পর্কের আত্মীয়। জাফর উল্লাহ অনেকটাই অজাতশ্মশ্রু, তবে থুতনিতে কয়েক গোছা সাদাপাকা দাড়ি লাচ্ছি সেমাইয়ের মতো লকলকিয়ে তিন-চার ইঞ্চি নেমেছে। অল্প সময় লক্ষ করলেই অনুমান করা যায়, জাফর পৃথিবী সেরা ধূর্ত। প্রবাদ আছে, নামে নামে যমে টানে; তার কাণ্ড দেখলে মিনিটে মিনিটে মনে হয় বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর আলী খান মরেনি, ছদ্মবেশে বেঁচে আছে।
জাফর উল্লাহ নজরে আসতেই রমিজকে মনে পড়ে রকিবের। সহোদর দুই ভাইয়ের মধ্যেও এত মিল সচরাচর দেখা যায় না। মিলটা চেহারা বা আকার-আকৃতিতে নয়, স্বভাব-চরিত্র ও কণ্ঠস্বরে। এই অত্যন্ত মিলের কারণে বিশেষ বিভ্রান্তিতে পড়েন রকিব। জাফরের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে, ঘনিষ্ঠতাও। জাফর উল্লাহ প্রকৃতির অদ্ভুত সৃষ্টি। এই ইস্যুতে রমিজ এক ডিগ্রি এগিয়ে।
রকিবের হাতেই ব্রহ্মপুর ল্যাবরেটরি স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে জাফর উল্লাহর চাকরি হয়। গ্রামের নাম অনুসারে স্কুলের নামকরণ। অজপাড়া গাঁয়ে বিশেষ ধরনের স্কুলটি মূলত পুরোটাই একটি ল্যাবরেটরি। ইংরেজি বর্ণ ইউ আকারে তিন ব্লকে তিনতলা তিনটি ভবন, দেখতে একই রকম। প্রতিটির দ্বিতীয় তলা পুরোটা ল্যাব; সত্যেন বোস ভবনে পদার্থবিদ্যা, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনে জীববিদ্যা আর জন ডাল্টন ভবনে রসায়ন ল্যাব। ছাত্র পাঁচ শ। প্রতি শ্রেণিতে দুই গ্রুপে একশ করে। এই তিন ভবনের মুখে স্যার আইজ্যাক নিউটন ভবনে চলে গণিতের ক্লাস, এটি দোতলা।
বিশেষ একটি প্রকল্পের বরাদ্দের অবশিষ্ট অর্থ রকিবের কাছ থেকে ফেরত নেয়নি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন। প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। সেই ডলার ভাঙানো টাকায় স্কুল দাঁড়িয়েছে বছর দুই হলো। মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকাশিত হিগস-বোসন ফিল্ডের ব্যাখ্যাসংবলিত রকিবের ৩৮১ পৃষ্ঠার গ্রন্থের রয়্যালটির অর্থ, শিক্ষার্থীদের বেতন এবং অনেকের অনুদানের স্কুল।
প্রতিষ্ঠার বছর পেরোতে স্কুলটি নজর কেড়েছে শুধু ভবনের নান্দনিকতায় নয়, বিজ্ঞানচর্চায় শৃঙ্খলা এবং প্রস্তুতিপর্বের কারণে। এ এক মহাযজ্ঞ।
রকিব তাদের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার করে ৮ হাজার টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়ে স্কুলের কাজে মন দেন। কিন্তু কিছুতেই কাজে মন বসছে না। মনটা পড়ে আছে রমিজের কাছে।
ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের পাকা সড়ক থেকে ব্রহ্মপুর ল্যাবরেটরি স্কুলের দূরত্ব এক কিলোমিটার। সরু রাস্তার দুই পাশে বিস্তীর্ণ হলুদ সরিষাখেত, আশপাশে বাড়ি বা উঁচু গাছপালা নেই। বড় রাস্তা থেকে স্কুলটি হলুদ সাগরে নোঙর করা জাহাজের মতো দেখায়। রকিবের দাদার সোয়া তিন একর জায়গায় গড়ে উঠেছে স্কুল। রকিব পরে দাদার ওয়ারিশদের হিস্যার সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে দিয়েছেন বাজারদরে।
দূর থেকে স্কুলটি ছবির মতো দেখালেও বাস্তবতা জটিল। দেশের প্রখ্যাত এক পদার্থবিদের স্কুলটি উদ্বোধনক্ষণ থেকে জটিলতা শুরু। ডান-বাম সবাই পই পই করে ক্ষেপে উঠল। প্রশ্ন একটাই, ওই নাস্তিক প্রফেসরকে দিয়ে উদ্বোধন কেন? কানাঘুষা শোনা যায়, লোকাল এমপি সাহেবও নাখোশ। ওত পেতে আছে এলাকার যুবশ্রেণি। ওদের হাতখরচ দরকার। এত শত প্রতিবন্ধকতায় রকিব নির্ভার।
গোটা পাঁচেক যুবক এক বিকেলে স্কুলে ঢুকে রকিবকে বলেন, মিয়া ভাই- আপনার আসল উদ্দেশ্যটা খুইলা কন, কী করতে চান? এই শান্ত গেরামটারে ক্যান গরম করতে আইছেন? কে পাঠাইছে আপনেরে? গেরামের মইধ্যে দেশ-বিদেশের নানা জাতের লোকজনের আসা-যাওয়া শুরু হইছে। রাইতে ট্রাকের ভিতরে কইরা কিসের যন্ত্রপাতি আসে? আমরা কিন্তু এইসব সহ্য করুম না।
রকিব বলে, আপনারা দশ সেকেন্ডের মধ্যে এক শব্দে বলবেন কী চান? আমাকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করবেন না, যা চান সাধ্যের মধ্যে হলে দেওয়া হবে। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি জেনেও এদিকে পা বাড়িয়েছেন। আপনাদের নির্বোধ সাহসে বিরক্ত হলেও ক্ষুব্ধ হইনি। দশ সেকেন্ড পেরিয়েছে, কেউ বলেননি কী চান। টাকা?
ওদের মধ্য থেকে সোলায়মান মামুন নামের একজন বলেন, স্কুল দিয়া মাল কামাইবেন আপনে আর আমরা চাইয়া চাইয়া দেখুম, তা হইবো না। মাল ছাড়েন। সুলতান স্মৃতি সংঘে আমরা তিরিশজন মেম্বার। সংগঠন চালাইতে খরচপাতি লাগে, বছরে একবার ফুটবল টুর্নামেন্ট অয়, এইবার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ক্রিকেটও অইবো, মেলা খরচ। ট্যাকা ছাড়েন। ত্যাড়া ত্যাড়া কথা আমগো লগে কইবেন না।
রকিব বলেন, আমি এই গ্রামেরই ছেলে, তোমাদের সম্মান দেবার চেষ্টা করেছি, তা আর হলো না। তোমাদের সঙ্গে আমার এক চাচাতো ভাইও আছে জানি, তাতেও আমি বিস্মিত নই। সব খোঁজখবর নিয়ে রেখেছি, আমাকে তেজপাতা ভেবে ভুল করছো। আমি এখানে টাকা কামাতে আসিনি, রাশান এক প্রতিষ্ঠান থেকে বেশকিছু টাকা পেয়েছি তার সব শেষ স্কুল প্রতিষ্ঠায়; এখন স্কুল চলবে এর নিজের আয়ে, সেই ব্যবস্থাও করছি।
সোলায়মান সেখ বলেন, প্যাচাল কম, টাইম নাই। কাইল দুপুরের মধ্যে মাল ছাড়বেন, সুলতান সংঘের সেক্রেটারি লোক পাঠাইবো, বুঝ কইরা দিয়া দিবেন, মনে থাকে যেন।
সুলতান কিভাবে মারা গেছে জানতে চান রকিব। বলেন, শুধু তুমি কথা বলছো কেন, অন্যরা কথা বলতে পারে না?
কথা বলে ওঠেন আবদুল জলিল। বলেন, সুলতান মরে নাই, ট্রাকচাপায় পঙ্গু হইছে, দুই পা নাই। তার চিকিৎসার জন্য টেকা তোলা লাগছে, তখন এই সংগঠন হইছে, এ কারণে তার নামে নাম।
রকিব মুচকি হেসে বলেন, মরে নাই তবু স্মৃতি সংঘ? ধরো তোমাদের মধ্যে আরও দুইজনের পা নাই হয়ে গেলো বা মারা গেলে সংঘের নাম কি বদলাবে?
সোলায়মান ক্ষেপে উঠে বলেন, ইতরামি বাদ দেন। কাইল দেখা হইবে বলে মোটরসাইকেল স্টার্ট দেন। দুই বাইকে পাঁচজন।
পরদিন ভোরে ব্রহ্মপুর গ্রামে শ্মশানের নীরবতা। বাদ জোহর জানাজার প্রস্তুতি। ভেতরে চাপা ক্ষোভের পাশাপাশি ভয়। নীরব আলোচনা-সমালোচনা। সবার চোখে শোক, কপালে দুশ্চিন্তার ছাপ। শেষ গোসল সম্পন্নের পর সোলায়মান মামুন ও আবদুল জলিলের মরদেহ ধবধবে সাদা কাফনে মোড়ানো হলো। সুলতান স্মৃতি সংঘের সামনে স্টেনলেস স্টিলের দুই খাটের চারপাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উড়ছে আগরবাতির। শ্রীকৃষ্ণপুর মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিশুরা সুরে-বেসুরে কোরআন শরিফ পড়ছে। এমপি সাহেব এলে জানাজায় শরিক হন গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ, এরপরই দাফন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, সদর থানার ওসি, সুলতান সংঘের পঙ্গু সুলতানের পাশাপাশি দাফনবিষয়ক পুরো আনুষ্ঠানিকতায় রকিবের সঙ্গে জাফর উল্লাহও ছিলেন।
জানাজার মধ্যেই রকিবের কানে মুখ লাগিয়ে জাফর বলেন, গ্রামের কিছু লোক আপনাকে সন্দেহ করতেছে, অনেকে অ্যাকসিডেন্ট বলতে নারাজ। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বোঝা মুশকিল, যে যার মতো কইরা গল্প বানাইতেছে। কেউ বলতেছে, আপনার সঙ্গে জিন আছে; কারও কারও ধারণা আপনি বিরাট গুন্ডা। আপনার সঙ্গে তর্ক করে যাওয়ার পথে দুই হোন্ডাকে ট্রাকচাপা, দুইটা স্পট ডেড, তিনটা সদর হাসপাতালে যায় যায় অবস্থা, যেকোনো সময় ভালো-মন্দ ঘটে যাবে। এই অবস্থায় পুলিশকে আপনার বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিছে, মরার মুহূর্তে আপনারে ভেজালে জড়াইল। মামলা হইছে।
রকিব বলেন, মামলা হয়েছে ভালো হয়েছে, আর কিছু হবে না। মামলার সাক্ষী তো আপনি। ওদের সঙ্গে কথা বলার সময় আপনি লুকিয়ে সব শুনেছেন, তালগোল না পাকালেই চলবে। আপনার স্মরণশক্তি প্রখর, অতএব সমস্যা হবে না। কারণ, সাক্ষী সাধারণত দফায় দফায় ঘটনা বর্ণনায় নানা সময় নানা কথা বলে, মূল ঘটনায় নিজের মনগড়া বক্তব্য জুড়ে দেয়, সমস্যা বাধে তখন।
দাফন শেষে যে যার মতো চলে গেছে। রকিব ফেরার পথে পেছন ফিরে দেখেন, জাফর দু’চারজনকে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করছেন, বিষয়টা তখনই জানা গেল না।
পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে মামলা ফাইলবন্দি হয়ে পড়েছে। রকিবকে ফাঁসাতে জাফর উল্লার দৌড়ঝাঁপ ভেস্তে গেছে। রকিব সব জেনে-বুঝেও উদাসীন রইলেন। সুলতান স্মৃতি সংঘের নাম বদলে গেছে, নতুন নামকরণ ‘জলিল-সোলায়মান মেমোরিয়াল সোসাইটি’। সোসাইটিতে পঙ্গু সংখ্যা সুলতানসহ চারজন। রকিব তাদের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার করে ৮ হাজার টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়ে স্কুলের কাজে মন দেন। কিন্তু কিছুতেই কাজে মন বসছে না। মনটা পড়ে আছে রমিজের কাছে।
যৌন উত্তেজনায় কাঁপতে কাঁপতে বলেন, ওরে খানকি, তুই ধর্ষণের বিচার চাইতে থানায় গেলি ক্যান। এবার বুঝ কত ঘণ্টায় এক রাইত।
পেশা জীবনের শুরুতে রকিব জোয়ারদার সাড়ে তিন বছর চাকরি করেছেন রমিজউদ্দিন খোনকারের পাশের চেয়ারে বসে। দুজন ভালো বন্ধু। বিকৃত রুচির দুর্ধর্ষ রমিজের কাছ থেকে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটের পাশাপাশি জীবনের অলিগলিও চিনেছেন মফস্বল শহরে বেড়ে ওঠা রকিব। জীবনের অভিজ্ঞতায় তাদের সম্পর্ক অনেকটাই গুরু-শিষ্য। রকিবের স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি সবই মফস্বলের। আর রমিজ গ্রামে মাধ্যমিক পাস দিয়েই ঢাকায় ওঠেন। শুরু হয় টিকে থাকার ভয়ংকর লড়াই। এক ফাঁকে টেনেটুনে বিএ পাস।
কঠিনতম প্রাণশক্তি সম্বল করে দেড় যুগে কি না করেছেন রমিজ। হারতে আসেননি ঢাকায়। করাতকলে জীবনের রক্তরস যতটা ঝরেছে, সুদে-আসলে শতগুণ তুলে নেওয়ার প্রত্যয়। অস্তিত্ব টেকাতে রক্তমুখে জীবনযুদ্ধ। মান-অপমান-আত্মসম্মান মাড়িয়ে শুধুই দৌড়।
রকিব ইউনিভার্সিটি থেকে বেরোনোর দুই মাসের মাথায় ঢাকায় পত্রিকা অফিসে সাব-এডিটর পদে চাকরিতে ঢোকেন। ওই অফিসে কুড়ি দিনের মাথায় একই পদে যোগ দেন রমিজউদ্দিন খোনকার। যদিও পেশায় রকিবের পাঁচ-ছয় বছরের সিনিয়র তিনি। পরিচয়ের প্রথম দিনই দুজনের বন্ধুত্ব তুই পর্যায়ে নেমে আসে। নতুন চাকরিতে এমন অসাধারণ বন্ধু পেয়ে মহাখুশি রকিব। সব বিষয়ে কমবেশি জানা রমিজের প্রতি মুগ্ধতা এবং নির্ভরশীলতা বাড়তে থাকে। ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট সব চেনেন রমিজ, ড্যাপের ম্যাপ এঁকে দিতে পারেন।
রমিজের ঘটনা মনে রাখার ক্ষমতা অসীম, গল্প বানাতেও পারদর্শী। তার অসংখ্য গল্পের চরিত্র কমন কিছু নাম, যেমন জালালউদ্দিন, জমিরউদ্দিন, কালাচান। কিছু গালিও অহরহ অনায়াসে বলেন, যেমন- খানকি, মাগী, চোতমারানি, নটির পোলা। তার প্রায় প্রতিটি বাক্যে এসব শব্দ থাকেই। কিছু গল্প রমিজ অনেককে অসংখ্যবার বলেছেন, জালালউদ্দিন হাশমি স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে জমিরউদ্দিন হাশমি পরীক্ষায় ফেল করেছে। ভয়াবহ ফল বিপর্যয়। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী অষ্টম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণিতে তার অবনমন হয়েছে। পরের বছর বার্ষিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার দিন স্কুলে গিয়ে দেখেন একই অবস্থা, ছেলেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাঠিয়েছেন শিক্ষকরা। জালালউদ্দিন দৌড়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে বলেন, চোদানি তাড়াতাড়ি শাড়ির কাছা মার, পোলা ব্যাক গিয়ারে আইতাছে।
রমিজ শরীর দুলিয়ে হাসতে হাসতে জালালউদ্দিনের এই গল্প বহুবার বলেছেন রকিবকে। এ ধরনের অন্তত ডজনখানেক অশ্রাব্য জোকস রসিয়ে রসিয়ে প্রায়ই অনায়াসে বলেন। অধিকাংশ গল্প নৃশংস, অমানবিক এবং অশ্লীল আদি রসের। তিনি সবচেয়ে বেশি মজা পান ধর্ষণবিষয়ক গল্প বলার সময়-ধর্ষণের অভিযোগ দিতে এক বিকেলে থানায় গেছে এক যুবতী। রূপে-রসে টসটসে। সন্ধ্যায় ডিউটি অফিসার তার স্টেটমেন্ট নিলেন। দুই ঘণ্টা পর সেকেন্ড অফিসার আবার স্টেটমেন্ট নিলেন। এরপর সারা রাত ঘণ্টায় ঘণ্টায় অফিসাররা পর্যায়ক্রমে স্টেটমেন্ট নিলেন। ভোরে ওসি সাহেব এসে স্টেটমেন্টের জন্য সবাইকে ডাকলেন। সেই মাল এসে বলে, ওসি সাব, আর স্টেটমেন্ট দেওন সম্ভব না, স্টেটমেন্ট হাডি গেছে।
গল্পের এই পর্যায়ে রমিজ অনাবিল পুলক অনুভব করেন, যেন ঘটনা তার সামনে ঘটেছে। যৌন উত্তেজনায় কাঁপতে কাঁপতে বলেন, ওরে খানকি, তুই ধর্ষণের বিচার চাইতে থানায় গেলি ক্যান। এবার বুঝ কত ঘণ্টায় এক রাইত।
চলবে…