[পর্ব:৬-গ ॥ কর্ণকুন্তী সংবাদ]
তারপর থেকে টানা রিহার্সেলে চমৎকার একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় অবশেষে কর্ণকুন্তী সংবাদ কবিতাটির আবৃত্তি। যতদূর মনে পড়ে তখন অবধি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আর মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়ের পর, বহুদিন পর বাংলাদেশে আমি আর মাহিদুল ইসলামই পড়লাম এই কবিতাটি। যুক্তাক্ষরবিশিষ্ট অসংখ্য কঠিন শব্দ, হ্রস্ব ও প্রলম্বিত জটিল বাক্য কেমন করে যে একের পর এক মুখস্থ হয়েছিল সে সময়, তা আজও এক বিস্ময় আমার কাছে। আমি কোনোদিন জপে জপে কবিতা মুখস্থ করিনি।
আবৃত্তি করার জন্য নির্বাচিত কবিতা আমি পড়েছি গভীর মনোযোগে। ধ্যানে। গভীরে পাঠ করেছি। আত্মগত করেছি নীরবে। একবার দু’বার-দশবার। কোনো কোনো কবিতা পঞ্চাশবারও। কেবল রিডিং পড়েছি। আর গহীন থেকে গহীনে ঢুকেছি। শব্দ-বাক্য ঘটনার নির্মিশেষ চিরি কেটে খুঁজে খুঁজে পড়েছি এক একটি আবৃত্তি নির্মাণের প্রাক্কালে। হলের রুমমেটরা যখন বাইরে বসেছে আড্ডায়, তখন আমি পড়ে রয়েছি টিএসসিতে রিহার্সেলে। সহপাঠীরা যখন ক্লাসের ফাঁকে গল্প আড্ডায় মেতে রয়েছে কলাভবনে কিংবা আম্রকাননে ভরদুপুরে, আমি তখন টিএসসিতে করেছি রিহার্সেল। রুমমেটরা টিউটেরিয়াল আর অন্যান্য পরীক্ষার অবকাশে সন্ধ্যায় যখন নিচে মৈত্রী হলের ভেতরের মাঠে ফ্লাড লাইটের আলোয় যখন ব্যাডমিন্টন খেলেছে, আমি তখন একা নির্জন রুমে দাঁড়িয়েছি আয়নার সামনে নিয়ে কবিতা। আর এই বিদ্যাটি শিখিয়েছিলেন আমার মা। ছয় বছর বয়সে স্কুলের প্রতিযোগিতার জন্য রেডি করছিলেন আমার মা আমাকে। পড়বো কাজী নজরুল ইসলামের ‘লিচুচোর’ কবিতাটি। তখন তিনি আমাকে দাঁড় করাতেন আয়নার সামনে। সেই বিদ্যা অনুযায়ী আমি মুখস্থ কবিতার প্র্যাকটিসে দাঁড়াতাম হলের ৫০৯ নম্বর রুমের এটাচ্ড আলমারির লংলাইফ আয়নার সামনে। পড়ছি দীর্ঘ দীর্ঘতর বাক্য:
অর্জুন জননী বটে, তাই মনে গণি
দ্বেষ করিয়োনা বৎস। আজো মনে পড়ে
অস্ত্র পরীক্ষার দিন হস্তিনানগরে
তুমি ধীরে প্রবেশিলে তরুণ কুমার
রঙ্গস্থলে, নক্ষত্র খচিত পূর্বাশার
প্রান্তদেশে নবোদিত অরুণের মতো।
যবনিকা অন্তরালে নারী ছিল যত
তার মধ্যে বাক্যহীনা কে সে অভাগিনী
অতৃপ্ত ক্ষুধার সহস্র নাগিনী
জাগায়ে জর্জর বক্ষে? কাহার নয়ন
তোমার সর্বাঙ্গে দিল আশিষ চুম্বন?
অর্জুন জননী সে যে।
‘মহাভারতে’ দেখা গেছে, কুন্তী রাজমাতা হয়েও দারুন অসহায়। তিনি ভাসুর ধৃতরাষ্ট্রের রাজনীতির যাঁতাকলে পর্যুদস্থ। বুদ্ধিমতি হওয়া সত্যেও দুর্ভাগা। পাঁচজন বলশালী পুত্রের জননী হয়েও অসহায়। তাই মহাভারত পড়ার শেষপ্রান্তে উপনীত হওয়ার পর যে কারও রাজমাতা কুন্তীর জন্য স্নেহ এবং বেদনায় চোখে জল আসতে বাধ্য। বরং কর্ণকে বীর হওয়া সত্ত্বেও কখনো কখনো নীতিচ্যুত হতে দেখা গেছে। সেখানে এমনই আঁকা হয়েছে কর্ণ’র চরিত্র, যেখানে দুর্যোধন যদি মহাবৃক্ষ হন, তবে কর্ণ তার কাঁধ। তাই তার তার করুণ মৃত্যুতে পাঠক দুঃখ পেলেও নিজেকে সংবরণ করে নিতে সক্ষম হন।
কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এ কবিতাটিতে কর্ণের চরিত্রটি মানবিক সব গুণের আকর। এখানে কর্ণের নির্ধারিত পরাজয় নির্মম এবং করুণ রসের সঞ্চার করে প্রতিনিয়তই। তাই কর্ণের পরাজয়ের মাধ্যমে সমাপ্ত কবিতাটি পাঠককে ঊর্ধ্বতর সত্তায় নিয়ে চলে। তাই রবীন্দ্রনাথের কর্ণকুন্তী সংবাদ কবিতার শেষাংশে এসে পাঠক-শ্রোতার মন কর্ণের জন্য ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে। স্রোতা পৌঁছে যায় এক সাবলিমিশনে। রোষানলে পড়েন রাজমাতা কুন্তী। কুন্তীকে রবীন্দ্রনাথ এঁকেছেন একজন চতুর কুটিল পক্ষপাতদুষ্ট রাজনীতি সচেতন মারাত্মক জন্মদাত্রীরূপে। যিনি রাজ্য, রাজবংশ এবং পঞ্চপাণ্ডবের প্রতি ভীষণ পক্ষপাতদুষ্ট। কানীনপুত্র কর্ণের কাছে এসেছেন তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে পাণ্ডুবংশে। কিন্তু অন্তরালে যে উদ্দেশ্য প্রবহমান, তা হলো কর্ণের ক্ষত্রিয় রক্ত ও বীরত্বকে তিনি অবহেলা করতে পারেননি যুদ্ধের মতো একটি মারাত্মক ক্ষেত্রে। তাই কুন্তী তার পাঁচ পুত্রের ভাবনায় ব্যাকুল।
কর্ণের বীরত্বের কারণে তিনি তটস্থ পাণ্ডবের পরাজয় আশঙ্কায়। পাণ্ডবের জয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই তিনি এসেছেন এত বছর পর। হয় কর্ণকে নিয়ে যাবেন পাণ্ডু রাজ বংশে, নয়তো পাণ্ডু রাজবংশের বিজয় নিশ্চিত করে ফিরবেন। ভাগীরথীর তীরে প্রার্থনারত কর্ণের কাছে যখন তিনি উপস্থিত হন, তখন কর্ণ প্রার্থীকে খালি হাতে ফেরান না। এটাই কর্ণের ব্রত। এর আগেও ঠিক এই সময়ে এসে কর্ণের কবচ এবং কুন্তল দুই শক্তি নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই কর্ণের কাছে তার প্রকৃত মাতার পরিচয় প্রকাশের জন্য কুন্তী এই সময়টিই বেছে নিয়েছেন। জ্যেষ্ঠ পুত্রের নৈকট্যবিহীন হওয়ার যতটা সম্ভব, ততটা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং করেছেন রাজমাতা কুন্তী রবীন্দ্রনাথের এ কবিতাটিতে। মায়ের হাতের স্পর্শ পাওয়ার প্রত্যাশায় ব্যাকুল কর্ণকে তিনি দেখিয়েছেন রাজ্যলোভ। জ্যেষ্ঠভ্রাতার সম্মান ও গৌরবের লোভ। বিগলিত করার চেষ্টা করেছেন কর্ণের অন্তরাত্মাকে সন্তানহারা মায়ের চিরায়ত বেদনার রসে। যা এই ক’টি বাক্য বিনিময়ে সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে যেকোনো পাঠক-শ্রোতার কাছে:
কুন্তী– পু্ত্র, ভিক্ষা আছে-
বিফল না ফিরি যেন
কর্ণ – ভিক্ষা, মোর কাছে!
আপন পৌরুষ ছাড়া, ধর্ম ছাড়া, আর
যাহা আজ্ঞা কর দিব চরণে তোমার
কুন্তী – এসেছি তোমারে নিতে।
কর্ণ – কোথা লবে মোরে!
কুন্তী – তৃষিত বক্ষের মাঝে, লব মাতৃক্রোড়ে
কর্ণ মহাবীর। নীতি নৈতিকতার ধারে চকচকে। অত সহজে নিজের আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে উপকারীর উপকার ভোলার পাত্র তিনি নন। কিন্তু, ক্ল্যাসিক এক পুরাণের ছায়ার মাতৃমুখ দর্শনে ব্যাকুল, মাতৃস্পর্শলাভে ক্ষুধাতুর এক তৃষিত চরিত্রের চূড়ান্ত মানবিক রূপ এঁকেছেন রবীন্দ্রনাথ। এই লাইনগুলোতে যা স্পষ্ট:
কর্ণ – শুনিয়াছি লোকমুখে
জননীর পরিত্যক্ত আমি। কতবার
হেরেছি নিশীথ স্বপ্নে জননী আমার
এসেছেন ধীরে ধীরে দেখিতে আমায়
কাঁদিয়া কয়েছি তারে কাতর ব্যথায়
‘জননী গুণ্ঠন খোলো, দেখি তব মুখ।’
অমনি মিলায় মূর্তি তৃষার্ত উৎসুক
স্বপনেরে ছিন্ন করি। সেই স্বপ্ন আজি্
এসেছে কি পাণ্ডব জননী-রূপে সাজি
সন্ধ্যাকালে, রণক্ষেত্রে, ভাগীরথীতীরে!
এক মা-হারা সন্তানের হাহাকারের এগেনেস্টে যেখানে কুন্তী ব্যবহার করেছেন তার মাতৃরূপের প্রচ্ছায়া। হিপনোটাইজ করার চেষ্টা করেছেন বারবার সেই মনোব্যথা আর আকাঙ্ক্ষার যাতনার উপশম হিসেবে। যেকোনো মূল্যে তার পঞ্চপাণ্ডবের জয় নিশ্চিত করতে হবে। অতএব হয় কর্ণকে ফিরিয়ে নিতে হবে পঞ্চপাণ্ডবের কাছে, নয় কথা নিয়ে ফিরে যেতে হবে যে, কর্ণ কৌরবের পরাজয়ের প্রচ্ছন্ন নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র-দুর্যোধন-দুঃশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্ত কর্ণকে তিনি টলাতে পারেনি নিজস্ব ধর্ম থেকে। মাতা-পুত্রের নিচের কথোপকথনটুকুতে এই বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট হয়:
কর্ণ– সিংহাসন! যে ফিরালো মাতৃস্নেহপাশ
তাহরে দিতেছ মাতঃ, রাজ্যের আশ্বাস!
একদিন যে সম্পদে করেছ বঞ্চিত
সে আর ফিরায়ে দেয়া তব সাধ্যতীত
মাতা মোর, ভ্রাতা মোর, মোর রাজকুল
এক মুহূর্তেই মাতঃ করেছ নির্মূল
মোর জন্মক্ষণে। সুতজননীরে ছলি
আজ যদি রাজ জননীরে মাতা বলি,
কুরুপতি কাছে বদ্ধ আছি যে বন্ধনে
ছিন্ন করে ধাই যদি রাজ সিংহাসনে
তবে ধিক মোরে।
এই হলো জন্মদাত্রী কুন্তীর মোহ আর ছলনার জবাব। একজন মানবপ্রাণ যিনি জন্মমাত্র ত্যজ্য সন্তানের সমস্ত যাতনার বিষ ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নিজের শপথ থেকে দূরে যাননি। স্খলিত হয়ে পড়েননি ধাতৃমাতা রাধার প্রতি কৃতজ্ঞতার কিংবা ভালোবাসার বাঁধন থেকে। কিন্তু মাতৃআজ্ঞা তিনি ঠিকই পালন করেছেন। প্রার্থনারত অবস্থায় তাই তিনি ফেরাননি রাজমাতাকেও। শুনুন সে দীর্ঘশ্বাসে উচ্চারিত নির্মম বাণীগুলো:
কর্ণ– মাতঃ করিয়ো না ভয়।
কহিলাম, পাণ্ডবের হইবে বিজয়।
আজি এই রজনীর তিমিফলকে
প্রত্যক্ষ করিনু পাঠ নক্ষত্র-আলোকে
ঘোর যুদ্ধফল। এই শান্ত স্তব্ধ ক্ষণে
অনন্ত আকাশ হতে পশিতেছে মনে
চরম–বিশ্বাস–ক্ষীণ–ব্যর্থতায়–লীন
জয়হীন চেষ্টার সংগীত, আশাহীন
কর্মের উদ্যম–হেরিতেছি শান্তিময়.
শূন্য পরিণাম। যে পক্ষের পরাজয়
সে পক্ষ ত্যজিতে মোরে কোরো না আহ্বান।
জয়ী হোক, রাজা হোক পাণ্ডবসন্তান।
আমি রব নিষ্ফলের হতাশের দলে।
জন্মরাত্রে ফেলে গেছ মোরে ধরাতলে
নামহীন, গৃহহীন। আজিও তেমনি
আমারে নির্মমচিত্তে তেয়াগো, জননী,
দীপ্তিহীন কীর্তিহীন পরাভব-‘পরে।
শুধু এই আশীর্বাদ দিয়ে যাও মোরে,
জয়লোভে যশোলোভে রাজ্যলোভে, অয়ি,
বীরের সদগতি হতে ভ্রষ্ট নাহি হই।
‘কর্ণকুন্তী সংবাদ’ আাবৃত্তির নির্মাণ—সেখানে এক দীর্ঘ দমেরও চর্চার বিষয় ছিল। পড়তে হবে জটিল বাক্য। উচ্চারণ হতে হবে শুদ্ধতম। প্রজেকশন হতে হবে এমন যে পাবলিক লাইব্রেরির প্রায় ৬০০-এর সর্বশেষ সিটে বসে থাকা স্রোতাও যেন স্পষ্ট শুনতে পান প্রতিটি শব্দ-বাক্য। ভীষণ সেনসেটিভ মাইক্রোফোনে উচ্চারিত কোনো শব্দ ফেটে গিয়ে ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না শ্রোতার কানে। ধরে রাখতে হবে রাজমাতার পারসোনালিটি আর কুটিল রাজনৈতিক চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য। আমি সেদিন রাজমাতা। বিধবা। পড়েছিলাম ইভেনসাদা ধবধবে বিধবার শাড়ি। কুন্তীর ক্যারেক্টারাইজেশন করতে গিয়ে এতটুকু বিচলিত ছিলাম না। কিংবা কোথাও এতটুকু ফাম্বলিং পর্যন্ত হয়নি কোনো শব্দ বাক্যে। মঞ্চে ছিল পিনড্রপ সাইলেন্স। আর ১২ মিনিটের একটি অসাধারণ আবৃত্তি মঞ্চায়িত হয়েছিল। সেই ২২ বছর বয়সে কী করে যে করেছিলাম এমন শ্রমসাধ্য একটি কাজ, তা কেবল ঈশ্বরই জানেন।
তবে তার ফল পেয়েছিলাম দীর্ঘ দীর্ঘ বছরেরও পর। যখন বৈশাখী টিভিতে ২০১০ সালে অর্থাৎ ১৪ বছর পর যখন আবার কবিতাটি আবৃত্তি করতে যাই রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে। কবিতার অনুষ্ঠানটির প্রযোজক ছিল তখন মশিউর। মশিউর মাসে একটি করে কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান করতো তখন। কবে কোন আবৃত্তিকার কী আবৃত্তি করবেন, তার দায়িত্ব ছিল মাহি ভাইয়ের ওপর। বিশেষত সেখানে আমাকে সিলেকশন করার প্রচ্ছন্ন নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু কর্ণকুন্তী সংবাদ করার মনস্থির করার সঙ্গে সঙ্গে মাহি ভাই আমার কথাই ভেবেছেন। আমার ছোট মেয়ের বয়স তখন ৭/৮ মাস। বড়টির সাড়ে তিন বছর। আমি প্রথমে একটু দ্বিধান্বিত হই। চৌদ্দ বছর পর এ কঠিন কবিতার বিনির্মাণ কি সম্ভব এই সাংসারিক জটাজালে! বইটি নিয়ে বসে বেশ আশ্বস্ত হই যে, হ্যাঁ সম্ভব। আমি শুরু করি নির্মাণের প্রস্তুতি। আমি ভাত রাঁধি, পড়তে থাকি, চুলায় খুন্তি নাড়াই পড়তে থাকি। আমি বাচ্চাকে স্নান করাই, পড়তে থাকি। বাচ্চা কোলে নিয়ে ঘুম পাড়াই, পড়তে থাকি। দিন সাতেকের মাঝেই টের পাই, পুরো কবিতাটি এমনকি কর্ণের অংশটিও আমার এখনো দারুনভাবে মুখস্থ আছে এবং আমি না দেখেই পুরোটা কবিতা রেকর্ড করার প্রস্তুতি নেই। তারপর দীর্ঘ সংগ্রামের পর আবার রেকর্ড হয় কর্ণকুন্তী সংবাদ কবিতার দ্বিতীয় সার্থক পরিবেশনা। ব্রডকাস্ট হয় রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীতে। সেদিন রেকর্ডিংয়ে উপস্থিত হাসান আরিফ, আহকাম উল্লাহ ছাড়া আর যারা যেমন ডালিয়া আপা, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শারমিন লাকি বিস্মিত হয়েছিলেন এই অজানা অচেনা আবৃত্তিকারের আবৃত্তি শুনে। কারণ, ততদিনে যুগের অধিককাল আবৃত্তির অঙ্গন থেকে নির্বাসনের কারণে সবাই আমার নাম ভুলে যেতে শুরু করেছেন।
চলবে…
কবিতার ডিসেকশন: নির্মাণ-৬ (খ)॥ শাপলা সপর্যিতা