[পর্ব-১৩]
আমার মনে হয় কিক জানিস, শিমুলের দিকে তাকায় রাতুল। মেয়েটা অনেক দিন ঘুমায় না।
রুমে ঢুকে রাতুল আর মৌরি অবাক তাকিয়ে থাকে ঘুমন্ত মিলির মুখের ওপর। ঘুমিয়ে গেলে মানুষের মুখের ওপর একটা নিবিড় সুখের পর্দা এসে দাঁড়ায়।
-তুই কী করে বুঝলি? প্লেটে অবশিষ্ট থাকা গরুর মাংস আর তন্দুরি খেতে খেতে প্রশ্ন করে মৌরি।
-আমরা রুমে ঢুকেছি প্রায় দশ মিনিট। অনেক কথা বললাম, এই শব্দের তোড়ে মিলির ঘুম ভেঙে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ভাঙেনি।
-রাইট, রাতুলকে সমর্থন করে শিমুল আহসান। ও যখন রুমে ঢুকলো তখনই বেশ ক্লান্ত লাগছিল। বললো, দুপুর থেকে খাওয়া হয়নি। রুটি আর মাংস খেয়ে শুয়ে পড়লো। আর সঙ্গে সঙ্গে ঘুম।
কলার ধরে মৌরি, তোকে আমি মেরে ফেলবো শিমুল।
-নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে প্রশ্ন করে, কেন আমি কী করলাম?
-তোর জন্যই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড মিলির আজ এই অবস্থা। ওর যদি কোনো ক্ষতি হয়, তোকে ছাড়বো না।
-মৌরি! হালকা ধমক দেয় রাতুল, এখন মাথা গরম করার সময় নয়। তুমি বুঝতে পেরেছ আমরা এক ভয়াল ঘটনার সামনে দাঁড়িয়েছি।
-মানে?
-মানে? মানে খুব সোজা। এই মেয়েটি, মিস মিলি মাহজাবীন এখানে এসেছে নিশ্চয়ই চলে যাবার জন্য নয়। শিমুলের সঙ্গে থাকার জন্য এসেছে। কিন্তু মিলির বাবা সরকারের আমলা। ক্ষমতার রশি হাতের মুঠোয়। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী মাত্র। কী দিয়ে লড়াই করবো অসম ক্ষমতার সঙ্গে?
রুমের মধ্যে দুই পাশে দুটি খাট। দুইটা টেবিল। চারটে চেয়ার। একটা বড় কিন্তু ভাঙা আলনা। ওরা চেয়ারে আর খাটে বসে আলাপ করেছ। শিমুল আহসান বসেছে ঘুমন্ত মিলির পাশে, নিজের ঘাটে।
-লড়াই? কিসের লড়াই? অবাক প্রশ্ন করে শিমুল।
-হালায় তো নিম্নশ্রেণীর গাধা। বোধবুদ্ধি মিলির ঘুমন্ত সেক্সি মুখ দেখে হারিয়ে ফেলেছ? রাগের ভান করে রাতুল আহমেদ, আরে গাধা, মিলি এসেছে কতক্ষণ?
-দুই ঘণ্টা তো হবেই।
-ওকে ঘরে বাসায় না পেয়ে ওর বাপ মা কী করছে? ওর বাপ গোলাম রব্বানী পুলিশে খবর দিয়েছে। বলেছে, আমার অবিবাহিত নাবালিকা কন্যাকে অপহরণ করেছে।
-আরে তাই তো! অশরীরী ভয়ের স্রোত পিঠের শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যায় শিমুলের। এখন কী হবে রাতুল?
-ভয় পেলেতো চলবে না, যখন ঘরে এসে প্রবেশ করেছে প্রেমিকা। আমরা লড়াই করবো, মৌরির দিকে তাকায় রাতুল, তুমি কী বলছ?
-আমি তোমার সঙ্গে একমত রাতুল। মিলি আমাদের বন্ধু। যেহেতু ও সব ছেড়ে আমাদের কাছে এসেছে, আমাদের সাধ্য কম কিন্তু চেষ্টা করবো, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, দৃঢ় গলায় বলে মৌরি।
-গুড। দায় নিজের কাধেই তুলে নেয় রাতুল, লড়াইয়ে নামার আগে জানা দরকার প্রধান আসামির বক্তব্য। তাকায় শিমুলের দিকে, তোর ইচ্ছে বল আমাদের।
-তোরা আমার জন্য যুদ্ধে নামছিস, আমি নিশ্চুপ থাকবো? আমিও তোদের সঙ্গে যুদ্ধ করবো। খুক খুক কাশি দেয় শিমুল আহসান।
ঘুম ভাঙে মিলির। চোখ মেলে অচেনা জায়গায় দেখে ভড়কে গেলে উঠে বসে। এবং মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি মনে করে নিজেকে সামলে নেয়, তোরা কখন এলি?
-এই তো, রাতুলের খাট ছেড়ে মৌরি যায় শিমুলের খাটে। বসে মিলি কাছে হাত ধরে।
-তোদের আমি ভীষণ বিপদে ফেলে দিয়েছি? কুণ্ঠিত গলা মিলি মাহজাবীনের।
-জি ম্যাম। আপনাকে দেখেই আমার কখনোই মনে হয়নি, আড়াই দিনের প্রেমে আপনি পিতার ঘর ছেড়ে বরিশালের এই ছাগলের জন্য চলে আসতে পারেন, যদিও বলছে মৌরি শ্লেষের স্বরে। কিন্তু বলার মধ্যে এক ধরনের প্রশ্রয় ছিল। আপনি মহান প্রেমিকা!
মৌরির বলার ঢংয়ে সবাই হাসে।
-শিমুল, হাসির শেষে বলে রাতুল, মিলি আর তুই রাতে কই থাকবি?
মিলি মাহজাবীন আর শিমুল আহসান পরস্পর তাকিয়ে, তাকায় ওদের দিকে।
-বুঝলি না গাধা? মিলি তোর সঙ্গে থাকার জন্য তো এসেছে। তুই তো ওকে বিয়ে করবি। না কি? বিয়ে না করলে এক ঘরে থাকবি কী করে? সুতরাং এখন বিয়ের আয়োজন করতে হচ্ছে।
-এখনই বিয়ের আয়োজন? আমূল চমকে ওঠে মিলি মাহজাবীন।
-বিয়ে না হলে দুজনে একসঙ্গে থাকবি কী করে? মৌরি বলে।
-তাই বলে এখনই?
-কেন বিয়ে করতে চাস না শিমুলকে?
লজ্জায় মাথা নামিয়ে নেয় মিলি। বিয়ে? বিয়ে বা সংসার করার জন্যই তো নেমে এসেছে বাপের সংসার ছেড়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে গোটা ঘটনাটা কেমন অগোছালো, অসহিষ্ণু, অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে। এক ধরনের তীতিক্ষা, গভীর দুঃখবোধের ক্রিয়া মনের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। বিয়ে! বাবা মায়ের কত আয়োজন? মাস দুই আগে বাসায় ঘরোয়া আড্ডায় বলেছে গোলাম রব্বানী, আমার একমাত্র মেয়ের বিয়ে। যতটা সম্ভব রাজকীয় করে দেবো। ওদের বাসর হবে হোটেল সোনারগাঁয়ে।
আমি কী করলাম? যা করলাম, ঠিক করলাম তো? শিমুলের বাবা-মা -বোন আমাকে কিভাবে গ্রহণ করবে?
ক্ষেপে যায় আসমা, তোমার মাথা খারাপ হয়েছে? জানো হোটেল সোনারগাঁয়ের একটা রুমের একরাতের ভাড়া কত?
-জানি। পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু আমার মেয়ের বিয়েটা অন্যরকম হবে। ওর মনে কোনো কষ্ট থাকুক, আমি চাই না। সবার চেয়ে একটু আলাদা করে দিতে চাই।
-করো তোমার যা ইচ্ছে। ঈষৎ গর্বের সঙ্গে মেনে নেয় আসমা রব্বানী।
সেই মেয়ে মিলি মাহজাবীনের বিয়ে হচ্ছে, শিমুল আর রাতুলদের মেসে? মনটা কি খুব বিষণ্ন হয়ে পড়ছে মিলির? বিয়ের প্রসঙ্গ আসতেই থমকে যায় মিলি ভেতরে ভেতরে, আমি যা করলাম, করছি, ঠিক করছি তো? কেমন হবে শিমুলের সঙ্গে আমার দাম্পত্য? ও কি আমাকে বুঝবে? নাকি ভোগের পর ফেলে দেবে নর্দমায়? জীবনে যাই ঘটুক, আমি বশিরউদ্দিনকে মেনে নিতে পারেবো না।
-মিলি মাহজাবীন? ডাকে রাতুল।
-বল!
-জীবনটা খেলনা কোনো পুতুল নয়। তোর বাপ মায়ের জীবনের সংসারের যে জৌলুশ ফেলে আসছো, সেই জৌলুশ কখনো পাবে না। তুমি আটপৌরে জীবনের মধ্যে ঢুকতে যাচ্ছ। এখানে বসে এই মুহূর্তে ভাবতেও পারছো না, তুমি কী হারাচ্ছো? কিন্তু এখনো সময় আছে, ফিরে যাবার। একটানা বলে থামে রাতুল আহমেদ।
মৌরি সঙ্গে সঙ্গে বলে, আমিও রাতুলের সঙ্গে একমত মিলি। এখনো সময় আছে ফিরে যাবার।
মিলি মাহজাবীন তাকায় রাতুল আর মৌরির দিকে। শেষে তাকায় শিমুলের দিকে, ধরে হাত- আমাকে কষ্ট দেবে না তো?
এমন করুণ অস্ফুট স্বরে উচ্চারণ করে শব্দ চারটি, গোটা রুমের মধ্যে একটা শোক থৈ থৈ করে নাচতে থাকে। জড়িয়ে ধরে শিমুল, না। কখনো না।
শিমুলকে জড়িয়ে ধরে নিঃশব্দে কাঁদতে শুরু করে মিলি। মিলির সঙ্গে কাঁদতে থাকে শিমুল। দুজনের কান্নার মধ্যে এক ধরনের সুখ নেচে যায়। দুজনের কান্না দেখে মৌলি আর রাতুল। কয়েক মিটিন কান্নার পর মিলিকে ধরে পাশে বসায় শিমুল।
দাঁড়ায় রাতুল, তোরা দুজনে রুমে থাক। একদম বাইরে যাবি না। আমি সব ব্যবস্থা করছি। মৌরি, আসো। দুজনে রুম থেকে বের হয়ে যায়। শিমুল আহসান দরজা বন্ধ করে।
মেসের পাঁচ রুমের মেস মেম্বার পাওয়া গেলো এগারোজনকে। রাত আটটা বাজে। সবার ফিরতে ফিরতে রাত দশটা।
অজিত রায়ের রুমে বসেছে বৈঠক। পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে মৌরি আর রাতুল। বলে, এক ঘণ্টার মধ্যে বিয়ের আয়োজন করতে হবে আমাদের।
এটা কোনো ঘটনা রাতুল? ঘাড় চুলকাতে চুলকাতে বলে সেলিম হোসেন, এই মেসে তো আমরা আটটা বিয়ে দিয়েছি। বিয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।
-আছে ঠিকই, কিন্তু এই বিয়েতে পাথর্ক্য হচ্ছে, মেয়েটির বাবা সরকারের বড় একজন আমলা। অনেক ক্ষমতা তার। বিয়ের আয়েজানের জন্য আমাদের বিপদ হতে পারে।
-হোক, আমরা সকল বিপদ মাথায় নিয়েই কাজ করবো, হাত তোলে জহির আলম। জহির আলম নিজেও প্রেম করে বিয়ে করেছে। বউ থাকে গ্রামের বাড়ি।
-এখন চাঁদা তোলো হাবিব। বিয়ের যত চাঁদা তোলে হাবিব, বাজারও করে।
হাবিব প্রশ্ন করে, এত রাতে বাজার করে রান্না বান্না করে খেতে খেতে রাত বারোটা থেকে তেরোটা বেজে যাবে। বিয়ে কখন হবে?
রান্নার দরকার নেই, বলে সৌরভ গাঙ্গুলি।
-তাইলে কী খাবি? আকাশের চাঁদের গুঁড়ো? প্রশ্ন হাসনাইনের।
-আরে না হাসনাইন, রান্নার দরকার নেই। চাঁদ্ তুলে বিরিয়ানি নিয়ে এলেই হবে। হাবিব নিজের মত জানায়।
-আমার মনে হয় হাবিবের প্রস্তাবই ঠিক, সমর্থন করে মৌরি।
সেভাবে প্রস্তাব পাস হয়ে যায় ক্যাবিনেটে। চাঁদা মাত্র তিনশো টাকা। আরও কয়েকজন এসে যায় বাইরে থেকে। বিয়ের আয়োজন হচ্ছে, শুনে নেচে ওঠে। বিয়েতে ভালো খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হয় আর হয় রাত ভরে ফূর্তি, হাসি আর আড্ডা। অনেক বিয়েতে সুরা পানের ব্যবস্থাও করেছিল।
কিন্তু রাতুল জানায়, এই বিয়েতে ফূর্তি করা যাবে না। কারণ, এখানে, আমাদের মেসে কোনো বিয়ের আয়োজন হচ্ছে কোনোভাবেই জানানো যাবে না বাইরের কাউকে। সব করতে হবে গভীর গোপনে। হাসনাইন, তুমি গিয়ে কাজিকে ডেকে নিয়ে আসবে চুপি চুপি।
ঠিকাছে বস। কাজি ডাকার কাজটা হাসনাইনই করে। কাজি ডাকার দায়িত্ব পেয়ে রুম থেকে চলে যায় হাসনাইন।
রাত দশটার দিকে বিয়ে হলো। কাবিন হলো মাত্র, একশো এক টাকা। কাজী জহির মিয়া কোনোভাবেই রাজি হচ্ছি না। কাজির ধারণা, এত কম টাকায় বিয়ে হলে নিজের উপহারের টাকা কম পাবে। বলে, আইনে তো এতো কম টাকায় কাবিন করা আইনে নেই।
আইনে তো অনেক কিছুই থাকে না, কিন্তু প্রতিদিন অফিসে আদালতে কোটি কোটি বেআইনি কাজ কারবার চলে। জবাব দেয় সৌরভ গাঙ্গুলি।
বাইরে, আইন আদালতে কী হয়, আমি জানি না। কিন্তু বিয়ে শাদির ব্যপারটা পবিত্র বন্ধন। এই পবিত্র বন্ধনে বেআইনি কাজ করা ঠিক হবে না। বিশেষ করে কণের জন্য এটা খুব বিপজ্জনক।
-কেন বিপজ্জনক? কনে সেজে অপেক্ষা করছে মিলি মাহজাবীন। হাতের কাছে যা পওয়া গেছে, তাই দিয়ে সাজিয়েছে মৌরি।
কনের প্রশ্নে ঘাবড়ে যায় কাজি জহির মিয়া। অবাকও খানিকটা। এমনিতে পালিয়ে বিয়ে করছে। আবার প্রশ্ন তোলে কাবিনের টাকা কম হওয়ার পক্ষে!
-মা জননী, বিয়ে-শাদি মহার সৃষ্টিকর্তার বিধান। এবং এই বিধানে মেয়ের বা কনের যেকেনো ভবিষতের কোনো ক্ষতি না হয়, সেইজন্যই…
-ক্ষতি হলে আমার হবে, আপনি বিয়ের কাজ শেষ করুন।
মিলি মাহজাবীনের কথায় কিছু করার থাকে না। মন খারাপ করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে দুই মিনিটের মোনাজাত করে যখন দাঁড়ায়, তখন রাতুল হাতে দুই হাজার টাকা গুঁজে দিলে গোমরা মুখে হাসি ফোটে। রাত সাড়ে দশটার দিকে মেসের সবাই রুম থেকে চলে যাওয়ার পর রাতুল আর মৌরিও দুই বন্ধুর সুখ কামনা করে বের হয়ে যায়। রুমের মধ্যে দুজন, মিলি আর শিমুল।
পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখে রাতুল, মেসের সবাই। রুম থেকে তিন দিনে কোথাও বের হয় না মিলি আর শিমুল। তিনদিন পরে একটা দল পাঠায় সমরঘাটে রাতুল। মেসের বন্ধুদের দিয়ে সাজিয়েছে দলটি। সবার কাছে ফোন। লক্ষ্ রাখছে, কোনো পুলিশি তৎপরতার। ঢাকা সদরঘাট থেকে নাবিক লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যে সাড়ে ছটায়। সেই হিসাব করে ধানমন্ডির শংকর থেকে একটা অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে রওয়ানা করে নতুন দম্পতি সদরঘাটের দিকে। মিলিকে বোরকা পরানো হয়েছে। সদরঘাটে পৌঁছে কোনো ঝামেলা ছাড়াই নাবিক লঞ্চে ওঠে শিমুল আর মিলি। আগেই একটা রুম ভাড়া করেছে রাতুলের দল।
মেসের পাহারাদাররা অপেক্ষা করে সদরঘাটের টার্মিনালে, লঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে। লঞ্চ ছাড়লে সবাই হাসিমুখে ফিরে যায় মেসে।
নাবিক সদরঘাট ছেড়ে জুরাইন পার হলে, ক্যাবিনের দরজা খুলে দুজনে বাইরে এসে দাঁড়ায়। মিলির প্রথম নদী পথে যাত্রা, সবকিছু ওর চোখে অন্যরকম লাগে। নদীর দিগন্ত আর সন্ধ্যার আবছা আলোয় আকাশের লাল আবিরের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে মিলি, এই যাত্রা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? আমি কী করলাম? যা করলাম, ঠিক করলাম তো? শিমুলের বাবা-মা -বোন আমাকে কিভাবে গ্রহণ করবে? গ্রামের মানুষের মনে অনেক ট্যাবু থাকে। সেই ট্যাবুর আঘাতে আঘাতে আমি ফালা ফালা হয়ে যাবো? শিমুল কি আমাকে…
চলবে…