।৬।
আমাদের নখে-নখে ছোঁয়াছুঁয়ি হলো। দেখলাম, আমাদের হাত দুটো কাঠের হয়ে গেছে। দেখলাম, আমাদের হাতের আাঙুলগুলো কাঠের হয়ে গেছে। আমাদের হাতগুলো নিরেট কাঠের হয়ে গেলো চোখের সামনে। আমাদের আঙুলগুলো নিরেট কাঠের হয়ে গেলো চোখের সামনেই। আমরা আমাদের বিস্মিত চোখ দিয়ে দেখলাম। দেখলাম, রক্তমাংসের হাতগুলো, অনুভূতিময় হাতগুলো ক্রমশ লম্বা হতে হতে পরস্পরকে স্পর্শ করে ফেলল। দেখলাম, স্পর্শ করার পরপরই সেগুলো অনুভূতিহীন হয়ে গেলো। আমরা আরও দেখলাম আমাদের বিস্ময়ভরা চোখ দিয়ে, দেখলাম সেই কাঠের ওপর হাজার বছর আগের সূক্ষ্ণ কারুকাজ।
আশিক বললো, আমাদের হাতগুলো এ রকম হয়ে গেলো কেন? কিছু বুঝতে পারছিস?
আমি বললাম, আমি কোনো অনুভূতি পাচ্ছি না। তুই পাচ্ছিস? আমিও পাচ্ছি না। তুই কি বুঝতে পারছিস আমাদের হাতগুলো আর রক্ত-মাংসের নেই!
বুঝতে পারছি। আমি ছোট্ট করে উত্তর দেই।
কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি এই দেখে যে, তুই বিষয়টাকে খুবই স্বাভাবিক মনে করছিস। একটুও অবাক লাগছে না তোর!
নীরবতা।
নীরবতা।
আমার নীরবতা।
আশিকের নীরবতা।
আমাদের নীরবতা।
এই আশ্বিন-কার্তিকের কুয়াশায় নীরবতা।
এই আশ্বিন-কার্তিকের গভীর রজনীর নীরবতা।
এই আশ্বিন-কার্তিকের মধ্য-রাতের দুপুর-জোসনার নীরবতা।
এই আশ্বিন কার্তিকের শীতল বাতাসে নীরবতা।
এই চরাচরে নীরবতা।
এই ধানকাটা জমির প্রতিটি বিন্দুতে নীরবতা।
এই ধানকাটা জমির প্রত্যেক খড়-নাড়ায় নীরবতা।
এই আশ্বিন-কার্তিকের দুর্বাঘাসে নীরবতা।
এই আশ্বিন-কার্তিকের দুর্বা ঘাসের ওপর জমে থাকা শিশিরে নীরবতা।
এই দৃষ্টিসীমানায় নীরবতা।
এই দৃষ্টিসীমানার বাইরে নীরবতা।
এই সসীম এলাকায় নীরবতা।
এই অসীম এলাকায় নীরবতা।
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নীরবতা।
এতসব নীরবতার ভেতরে নিহিত নীরবতা। এইসব নিহিত নীরবতার ভেতরে বিরাজমান নিহিত নীরবতা। এইসব নিহিত নীরবতাগুলোর ভেতরে হঠাৎই যেন আমাদের চোখের পলক পড়ে যায় এর সূক্ষ্ণ কারুকাজে। ফলে, আমার বিস্মিত না হওয়ায় আশিকের বিস্ময় বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ যেমন পায় না, তেমনি, সে আগে যতটুকু বিস্মিত হয়েছিল তাও সঙ্কুচিত হয়ে আসে। তাতে, আপাত দৃশ্যমাণ আমার ভেতরে যতটা বিস্ময় খেলা করছিল বলে অনুমিত হয়, তার অভিব্যক্তিতে ততটুকুও দৃশ্যমান হয় না। দৃশ্যমান হয় না তার চোখে মুখে। দৃশ্যমান হয় না তার শরীরী ভাষায়। তাতে আমি যতটা স্বাভাবিক আছি বলে মনে হয়, তাকে আরও বেশি স্বাভাবিক বলে মনে হতে থাকে আমার।
আমি বললাম, আশিক, এইসব হাত কিংবা হাতের মতো বস্তু, কিংবা বস্তুর মতো হাত, কিংবা রক্ত মাংসের জীবন্ত প্রবাহ, কিংবা প্রবাহহীন নিরেট কাঠ—যা-ই বলিস না কেন, এর ভেতরে রয়েছে সূক্ষ্ণ কারুকাজ। তুই দেখতে পাচ্ছিস?
আশিক বললো, হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি দেখতে পাচ্ছি। আমি দেখতে পাচ্ছি। আমি দেখতে পাচ্ছি। আমি দেখতে পাচ্ছি।
আশিক যতই আমি দেখতে পাচ্ছি বলছে ততই তার স্বর উচ্চ থেকে উচ্চতর হচ্ছে। একসময় সে-স্বর বিকট চিৎকারে রূপান্তরিত হয়ে যায়। আমি তাকে খানিকটা ধমকের সুরে বলি, চিৎকার দিচ্ছিস কেন?
আশিক অত্যন্ত শান্ত কিন্তু দৃঢ়কণ্ঠে বললো এবার, সবগুলো সূক্ষ্ণ কারুকাজের ভেতরে মিহি আঙুলের রক্ত। তুই দেখতে পাচ্ছিস?
আমি কিছু বললাম না। চেয়ে থাকলাম শুধু।
এভাবে কতক্ষণ চেয়ে থাকলাম জানি না। হাত দুটো সত্যি সত্যি কাঠের হয়ে গেলো কি না—তা নিয়ে কোনো পরীক্ষা করলাম না। কেন করলাম না তাও জানি না। এমনকি রক্তমাংসের হাত হঠাৎ কাঠের হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিতও হলাম না। হাত দুটো কাঠের হয়ে যাওয়ার পর তা অবশ অবশ লাগছিল কি না, তাও পরখ করে দেখলাম না। শুধু আমার চোখ আটকে গেলো সূক্ষ্ণ কারুকাজে। বিস্মিত চোখে আমি শুধু সূক্ষ্ণ কারুকাজই দেখতে থাকি। আশিক যখন সূক্ষ্ণ কারুকাজের ভেতরে আঙুলের রক্ত প্রবাহের কথা বললো তার আগে আমার চোখে তা ধরাই পড়ল না। বুঝলাম, আশিকের দেখার চোখ আর আমার দেখার চোখের মধ্যে পার্থক্য। অবশ্য এটা হতেই পারে। সবার দেখার চোখ তো এক রকম হবে না।
আশিকের কথায় আমি কারুকাজের সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি রক্তপ্রবাহের দিকে লক্ষ্য করলাম। দেখলাম, সত্যিই সূক্ষ্ণ কারুকাজের ভেতরে যে নানারকম অলিগলি তার ভেতর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ছন্দময় রক্ত-ধারা। নদীর স্রোতের মতোই তার প্রবাহ। পার্থক্য শুধু এ স্রোতধারা খরস্রোতা নয়। প্রবল ছন্দময়। নদীর যেমন একটা বাহ্যিক স্রোত থাকে আরেকটা থাকে অন্তঃস্রোত, এ রক্ত-ধারার ভেতরেও তা লক্ষ করলাম। আমাকে নিশ্চিত হতেই হলো, যে এগুলো তো সত্যিই রক্ত! কিন্তু আশিক এগুলোকে আঙুলের রক্ত বললো কেন? এগুলো যে আঙুলের রক্ত তার প্রমাণ কী? রক্ত তো রক্তই। আঙুলের রক্ত কি আলাদা করে চেনা যায়?
আমি আশিককে বললাম, এই রক্তধারা যে আঙুলের তা বুঝলি কিভাবে? রক্ত তো রক্তই। শরীরের রক্ত আর আঙুলের রক্ত কি আলাদা?
আশিক বললো, এগুলো আঙুলের রক্তই।
আমি বললাম, কিভাবে তুই এত নিশ্চিত হলি যে, এগুলো আঙুলের রক্ত?
এই সূক্ষ্ণ কারুকাজ যে আঙুলগুলো করেছে, সেগুলো কেটে কেটে তার রক্ত দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল এই প্রাচীন কারুকাজগুলো। যারা এগুলো করেছে, যারা করিয়েছে, যারা আঙুল কেটেছে, যারা কাটিয়েছে, যে আঙুল কাটা হয়েছে, যাদের আঙুল কাটা হয়েছে সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শুধু রয়ে গেছে রক্তের দীর্ঘশ্বাস। ওই দীর্ঘশ্বাসই এখন রক্তধারা হয়ে দেখা দিচ্ছে আমাদের কাছে।
তোর কথা ঠিক। কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়। আঙুল কাটা হলেও রক্তগুলো শুধুই আঙুলের নয়। সারাদেহের। আঙুল শুধু রক্ত প্রবাহের প্রধান সেতু হিসেবে কাজ করেছে।
এ কথা শুনে আশিকের চোখ পানিতে ভরে গেল। আশিক আবার ধরা গলায় বললো, আর বলিস না তো…
আমিও কিছু বলি না। আশিক আবার ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। আমি বুঝতে পারি সে কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে। যখন যে আটকাতে ব্যর্থ হচ্ছে তখন চেষ্টা করছে কান্নার যেন শব্দ না হয়। আমি তার দিকে চেয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
দীর্ঘশ্বাস শেষ হতেই উষ্ণ পানির এক ঝাপটা এসে লাগলো আমার চোখে মুখে। কী হতে পারে? কুয়াশা নয়। কারণ অনেক আগেই কুয়াশা কেটে গিয়ে চরাচর হয়ে উঠেছে দুধেল বর্ণ। চাঁদটি যেন চাঁদ নয়। যেন সূর্য হয়ে উঠতে চায়। প্রখর তার দীপ্তি। আশিকের চোখের পানির ঝাপটা? তাও হওয়ার নয়। কারণ চোখের পানি সব সময় ঠাণ্ডা হয়। আর আশিক ততটা কাছে নয় যে, চোখের পানি হাতে নিয়ে আমার মুখের দিকে ছুড়ে মারবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা আমাদের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেও পারছি না। প্রথমে হাঁটতে গিয়ে দেখি হাঁটতে পারছি না। তারপর হাঁটতে পারলেও এগুতে পারলাম না। তারপর যখন হাতের ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা করলাম তখন তো হাতগুলো কাঠের হয়ে গেলো। এ অবস্থায় আশিক তার চোখের পানি হাতে নিয়ে আমার মুখের দিকে ছুড়ে মারবে, প্রশ্নই ওঠে না।
এসব ভাবতে না-ভাবতেই আরেকবার চোখে মুখে এসে ঝাপটা লাগলো। এবার আরও তীব্রভাবে। তরলের পরিমাণও বেশি। চোখে লাগলো। মুখে লাগলো। বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে বোধ হয় মুখও একটু আলগা হয়ে গিয়েছিল। ফলে মুখের ভেতরেও ঢুকে গেল সে-তরল। নোনা স্বাদ। বিশ্রী গন্ধ। এ তরল কিছুতেই পানি হতে পারে না। চোখের পানি তো নয়ই। তাহলে! তাহলে কী এইসব?
এসব ভাবতে না-ভাবতেই আরেকবার ঝাপটা দিলো। এবার আরও তীব্রভাবে। এবার শুধু চোখ মুখ চুল ভিজিয়ে দিলো না, শরীরও খানিকটা ভিজিয়ে দিলো।
আমি ধাতস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি। বোঝার চেষ্টা করছি কী হচ্ছে। কোত্থেকে এইসব তরল আসছে। আমি কি চিৎকার দিলাম? বুঝতে পারছি না। চিৎকার দেওয়া আমার স্বভাবের বাইরে। কি জানি! আশিকের চিৎকার শুনলাম। বলছে, দোস্ত, ভয় পাস না। এগুলো রক্ত।
আমি খানিকটা উচ্চস্বরে বললাম, এত রক্ত কোত্থেকে এলো! এগুলোর রং তো নীল। রক্ত কখনো নীল রঙের হয়?
আশিক বললো, কাঠের ভেতরের রক্তপ্রবাহই এত রক্তের উৎস। ভালো করে তাকিয়ে দেখ।
আমি ভালো করে তাকালাম। দেখলাম, সত্যিই তো সূক্ষ্ণ কারুকাজের ভেতরে যে ছন্দময় রক্ত-প্রবাহ ছিল তা যেন হঠাৎই উত্তাল হয়ে উঠেছে। এমনকি আগের অন্তস্ত প্রবাহ থেকে বের হয়ে তারা বাইরেও চলে আসছে।
এবারের ঝাপটায় সারাশরীরই ভিজে গেলো। ঝাপটা ক্রমশ আসতে লাগরো। ঝাপটার বেগও ক্রমশ বাড়তে লাগলো। আমরা ক্রমশ ভিজতে থাকলাম। তরলের আঘাত থেকে চোখ মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু হাত তো অনুভতিহীন হয়ে গেছে। ফলে চোখে মুখের অস্বস্তি বাড়তেই থাকলো। অস্বস্তি এমন এক পর্যায়ে চলে এলো, হতাশ আমরা, অনুভতিহীন হাতের আমরা, কাঠের হাতদুটো সঞ্চালন করবার চেষ্টা করলাম। পারলাম না কিছুই করতে।
ইতোমধ্যে তরল তথা রক্তের পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে আমাদের কোমর অব্দি পৌঁছে গেছে। কোমন পর্যন্ত তরলের অধিকারে চলে যাওয়া এই চরাচর এক নীলের ঢেউয়ে কম্পমান। আগের দুধেল বর্ণ চরাচর এখন নীলের সঙ্গে মিলে-মিশে আরেক অপূর্ব রূপ ধারণ করেছে। আগে যেমন কুয়াশা মাটি ও ঘাসের ওপরে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে যেত এখন নীলের সাতে চলছে সে-খেলা। আমরা অনুভব করলাম এ তরল তথা রক্তের উচ্চতা ক্রমশ বাড়ছে। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের আবিষ্কার করলাম এক-বুক তরলের ভেতরে। আমি আশিককে খুঁজতে লাগলাম। কারণ আশিককে দেখতে পাচ্ছি না। আশিকের কথাও শোনা যাচ্ছে না।
আমি ডাকলাম, আশিক।
আশিক খুব কাছ থেকে জবাব দিলো, বল।
আমি বিস্মিত হলাম, তুই এত কাছে! তুই এরকম চুপ করে আছিস কেন? তুই কোনো কথা বলছিস না কেন? এত নীল তরলের কারণ কী, তুই জানিস?
এগুলো নীল তরল নয়, দোস্ত। এগুলো রক্ত। লাল রক্ত, শোষণের রক্ত। শাসন ও শোষণে এ রক্তগুলো বিষ-জর্জর হয়ে গেছে। ক্রমাগত গরল পান করে করে এগুলো হয়ে গেছে নীলান্ত নীল।
আশিকের কথা শেষ হতে না-হতেই জলোচ্ছ্বাসের মতো এক প্রবল ঢেউ স্ফীত হয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমরা আমাদের দিকে একবার মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলাম। কী যে বলতে চাইলাম আমরা আমাদের, জানি না। সেই ঢেউটি আমাদের ভাসিয়ে দিলো। আমরা দেখলাম আমাদের হাত দুটি সচল হয়ে উঠেছে। আমরা দেখলাম আমাদের হাত দুটি হয়ে উঠেছে পূর্ববৎ রক্ত মাংসল। আমরা দেখলাম আমাদের হাত দুটি স্বাভাবিক অনুভূতিশীল হয়ে উঠেছে।
অতল রক্তের ভেতরে আমরা হাবুডুবু খেতে লাগলাম। একটু সময় লাগলো ধাতস্ত হতে। তাতে কী! একটু আগের চরাচর এখন নীলান্ত নীল রক্তের দখলে। প্রবল ঢেউ শুরু হলো। শুরু হলো চাঁদ ও রক্তের প্রতিফলনে রচিত বিম্ব। শুরু হলো চাঁদের আলোয় লক্ষ কোটি রক্তকণার নীলান্ত নীল দংশন। শুরু হলো চাঁদের আলোয় লক্ষ কোটি রক্ত-ঢেউয়ের নীলান্ত নীল ঝিকিমিকি। এইসব বিম্ব, এইসব ঢেউ, এই সব নীলান্ত নীল দংশন, এইসব নীলান্ত নীল ঝিকিমিকির মাঝে আমরা দুটি প্রাণী সাঁতার কাটার প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু ক্রমশ আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যাচ্ছে যেন। আমরা আমাদের শরীরকে ভারী অনুভব করছি। বুঝতে পারছি এ অবস্থা চলতে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা আমাদের বাঁচার চেষ্টা পূর্ববৎ করতে পারব না।
তাতে আমাদের দুটি প্রাণীর রক্ত-সমাধি হওয়ার সমূহসম্ভাবনা। আমরা আমাদের জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফেললেও জীবন তো তার স্বাভাবিকত্ব রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর। তাইতো সচেতন আমি যতই জীবনের ওপর বিতৃষ্ণ হই না কেন, অবচেতন আমি ঠিকই জীবনকে রক্ষা করতে চায়।
ঢেউগুলো ক্রমশ বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হতে থাকলো। আমরা আমাদের শক্তি হারাতে থাকলাম। এর ভেতরে দূরে দুজন ব্যক্তিকে দেখা গেলো। তারা রক্তের ওপর দিয়ে শান্ত ভঙ্গিতে হেঁটে হেঁটে আসছে। একজন ক্রাচে ভর দিয়ে একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। আরেকজনের চোখে কালো রোদ-চশমা।
আশিক বললো, আমি এদের চিনি।
আমি বললাম, কে এঁরা।
আশিক বললো, একজন কর্নল আরেক জন মেজর।
চলবে…