(পর্ব-১১)
কবি জসীম উদ্দীন ছিলেন অসম্ভব রকমের নরম মনের মানুষ। গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গ্রামীণ মানুষের জন্য অভিন্ন আত্মার আকুতি ফুটে উঠতো তার কবিতায়। খুব সাদাসিধে পোশাক পরতেন। খদ্দরের পাজামা-পাঞ্জাবি, স্পঞ্জের স্যান্ডেল পরতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। বন্ধুরা মনে করতেন, জসীম উদ্দীন ভীষণ কৃপণ মানুষ। এ সম্পর্কে আহমদ ছফা একটি মজার ঘটনা উল্লেখ করেছেন। পাকিস্তান সরকার রেডিও-টিভিতে রবীন্দ্রসংগীতের সম্প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে এর প্রতিবাদে বই প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই বইয়ের জন্য কবির লেখা আনতে তার বাসায় যান আহমদ ছফা। ছফার বর্ণনাটি এরকম—‘‘আমি যখন কবির বাড়িতে হাজির হলাম তখন দুপুর বেলা। আকাশে প্রচণ্ড রোদ। কবি সাহেব তার এক নাতিকে নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমার পা ধুলোতে ভরে গেছে। কবি সাহেব আ-হা-হা করে উঠলেন, ‘তুমি অনেক কষ্ট করে এসেছ। একটু জলপান খাও।’ আমার ক্ষুধা ছিল। কবি সাহেব নিজে বাড়ির ভেতরে গিয়ে মাত্র দুটো নাইস বিস্কুট এবং এক গ্লাস পানি দিয়ে বললেন, ‘খেয়ে একটু ঠাণ্ডা হও।’ ঠাণ্ডা হবো কী? আমার মাথায় রক্ত বয়ে গেলো। আমার ধারণা ছিল কবি সাহেব চিড়া দেবেন, দই দেবেন, তাতে নারিকেল থাকবে এবং অন্তত দুটো পাকা কলা নির্ঘাত পাওয়া যাবে। জলপানের আকার-প্রকার দেখে আমার ইচ্ছা হলো গ্লাসটা ছুড়ে ফেলে দেই। কিন্তু পারলাম না। যে ফুটফুটে বাচ্চাটি বিস্কুট দুটো ছোট হাত দিয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে ধরেছে, তাকে কষ্ট দিতে পারলাম না। সুতরাং, কবির আনা জলপান ভক্ষণ করলাম। শরীরের রাগটি তখনো নামেনি। কিছু একটা করা প্রয়োজন। কবি সাহেবকে তো তার বাড়িতে গিয়ে গালমন্দ করা যায় না? আমি তার দিকে না তাকিয়ে বাগানে ঢুকে বললাম, ‘কবি সাহেব, জলপান তো করলাম এখন আপনার বাগান থেকে কিছু ফুল নেই।’ তিনি ফুল নেওয়ার কথা শুনে আমার দিকে বড় বড় চোখ পাকিয়ে বললেন, ‘আমরা ফুলকে পুজা করি, ছিঁড়ি না।’ আমি বললাম, ‘কবি সাহেব, ফুলের ব্যাপারে আমার একটা আলাদা থিওরি আছে। আমরা গাছ লাগাই, জল দেই, সার দেই, ফুলের বাবার সাধ্য নেই যে না ফোটে।’ এ কথা বলে আমি একটা একটা করে বাগানের সব ক’টা ফুল ছিঁড়ে চাদরে ভরে নিয়েছিলাম। কবি সাহেব অবাক-বিহ্বল দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। কোনো কথা বললেন না। আমি যখন ফুল নিয়ে চলে আসছি, তার দিকে তাকিয়ে দেখি—সারা চোখে পানিতে ভরে গেছে। আরও একটি নতুন পরিচয় পেলাম। ইনি হলেন কবি জসীম উদ্দীন। ফুলের শোকে যিনি শিশুর মতো কাঁদতে পারেন। তার কাব্য লোকে ভালোবাসবে না কেন?’’
লন্ডনে বিবিসি’র স্টুডিওতে একবার কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে কবি জসীম উদ্দীন আবেগে হু হু করে কেঁদে ফেলেন। তার কান্নার কারণে শেষ পর্যন্ত রেকর্ডিং করা সম্ভব হয়নি। সেই কথা জানাচ্ছেন সাংবাদিক সিরাজুর রহমন, ‘‘জসীম উদ্দীন একাধিকবার আমাদের স্টুডিওতে এসেছিলেন, সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তার অন্তর থেকে নিঃসৃত বর্ণনায় ভোরের শিশিভেজা মটর লতা অথবা জ্যোৎস্না-স্নাত রাতে পুকুর ধারে লেবু ঝোঁপে জোনাকির রাশি যেন জীবন্ত হয়ে উঠতো! এক যাত্রায় তাকে আবৃত্তি করতে অনুরোধ করেছিলাম। জসীম উদ্দীন আবৃত্তির জন্য ‘কবর’ কবিতাটি বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু এমনই আবেগ দিয়ে তিনি শুরু করলেন যে, ‘সাতটি বছর ভিজিয়ে রেখেছি দু’নয়নের জলে’ পর্যন্ত আবৃত্তির পরেই এমন হু হু করে তিনি কান্না শুরু করলেন যে, সেদিন আর আবৃত্তি করা হলো না। জসীম উদ্দীনের লেখায় গ্রাম বাংলার মানুষের মনে কথা মূর্ত হয়েছে আর মর্মবাণী গানের সুরে অমর করে রেখেছেন আব্বাস উদ্দীন প্রমুখ শিল্পীরা।’’ (প্রীতি নিন সকলে: সিরাজুর রহমান)
অভিনেত্রী কানন দেবী আর নজরুলকে নিয়ে কানাঘুষার কমতি ছিল না। একবার কবি পনের-ষোল দিন ধরে লা-পাত্তা। শাশুড়ি গিরিভালা দেবী অনেক খোঁজাখুঁজির পর কবিকে পেলেন কানন দেবীর বাড়িতে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৪ সালে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন কবি বন্ধু জসীম উদ্দীনের ফরিদপুরের গ্রামের বাড়িতে। নজরুলের ছিল চায়ের নেশা। রাতের বেলা চা না পেয়ে অস্থির হয়ে ওঠেন তিনি। ওই সময় জসীম উদ্দীনের বাড়িতে চায়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। চায়ের পাতা জোগাতে গলদঘর্ম হয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনাটি জসীম উদ্দীন তার এক লেখায় উল্লেখ করেছেন এভাবে—‘তখন তিন-চার গ্রামে লোক পাঠানো হইল চায়ের অনুসন্ধানে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আলিম মাতব্বরের বাড়ি হইতে কয়েকটি চায়ের পাতা বাহির হইল। তিনি একবার কলিকাতা গিয়া চা খাওয়া শিখিয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওয়াইয়া তাজ্জব বানাইয়া দিবার জন্য কলিকাতা হইতে কিছু চা পাতা লইয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওয়াইয়া চা-পাতা যখন কম হইয়া আসিত, তখন তাহার সহিত কিছু ঘাস-পাতা মিশাইয়া চায়ের ভাণ্ডার তিনি অফুরন্ত রাখিতেন। তিনি অতি গর্বের সহিত কলিকাতা ভ্রমণের অত্যাশ্চর্য কাহিনি বলিতে বলিতে সেই পাতা কবিকে উপঢৌকন দিলেন। চা-পাতা দেখিয়া কবির তখন কী আনন্দ।’
এক সময়ের বিখ্যাত গায়িকা রানু সোম, যিনি এখন প্রতিভা বসু নামে পরিচিত, তিনি ও তার স্বামী বুদ্ধবে বসু দু’জনই নজরুলের প্রিয় ছিলেন। এই দম্পতি নজরুলকে নিয়ে কমবেশি লিখেছেন। অনেকের ধারণা প্রতিভা বসুর সঙ্গে নজরুলের হৃদয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল। ঢাকায় তাদের ওয়ারির বাড়িতে যাওয়ার সময় পথে একবার কবি গুণ্ডাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। কবির যৌবনকালে তার কাছে অনেক তরুণীই গান শিখেছেন। ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সুরেন মৈত্রের একমাত্র পরমা সুন্দরী কন্যা নোটন নজরুলের কাছে গান শিখতে গিয়ে মন হারিয়ে ফেলেন—সেই মন আর ফিরে না পেয়ে তিনি পাগল হয়ে যান। তারই জন্য নজরুল হয়তো লিখেছিলেন—‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো, তবু আমাদের দেবে না ভুলিতে…।’ সে সময়কার অনেক বিখ্যাত নায়িকা নজরুলের কাছ থেকে অনেক গান শিখে নিয়েছেন। তার গান গেয়ে সরযুবালা, কাননবালা, ইন্দুবালা, নীহারবালা, আঙুরবালা আর ফিরোজা বেগমের মতো অনেকেই বিখ্যাত হয়েছেন। প্রতিভা বসুর মতে, ‘নজরুলের যৌবন ছিল তার চোখে-মুখে সমস্ত শরীরে নদীর স্রোতের মতো বহমান এবং বেগবান। সেই বয়সে তাকে যারা দেখেন শুধু তাদেরই বোঝানো যাবে কী দু’কূলপ্লাবী আনন্দধারা দিয়ে গড়া ছিল তার চরিত্র।’ নজরুল তার গানের সংকলন ‘চোখের চাতক’ উৎসর্গ করেছেন প্রতিভা বসুকে। অসংখ্য চিঠিও লিখেছেন তাকে। দেশভাগের গোলযোগের মাঝে সেইসব চিঠি তিনি ফেলে গিয়েছিলেন ঢাকায় তাদের টিকাটুলির ‘অশ্রুকণা’ নামের বাড়িতে। কলকাতায় বসে রেডিওতে কবির মৃত্যু সংবাদ শুনে অবিরাম অশ্রুপাতের মাঝে চিৎকার করে প্রতিভা বসু বলেছিলেন, ‘উনি মারা গেলেন, মারা গেলেন।’ তার বারবার মনে পড়েছিল ওয়ারির বাড়িতে কবির সান্নিধ্য স্মৃতির কথা। মনে পড়েছিল, প্রিয় রানুর জন্য সারারাত জেগে কবি কীর্তন লিখেছিলেন—‘কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া, কাঁদিয়া গো/ যতো ভুলি ভুলি করি ততো আঁকড়িয়া ধরি/ ততো মরি সাধিয়া সাধিয়া গো…।’
অভিনেত্রী কানন দেবী আর নজরুলকে নিয়ে কানাঘুষার কমতি ছিল না। একবার কবি পনের-ষোল দিন ধরে লা-পাত্তা। শাশুড়ি গিরিভালা দেবী অনেক খোঁজাখুঁজির পর কবিকে পেলেন কানন দেবীর বাড়িতে। তখন কাননকে গান শেখাচ্ছেন কবি। ‘পাজি কোথাকার! তোমার জন্য আমরা জাত ছেড়েছি, ধর্ম ছেড়েছি। আমার মেয়ে মাথায় কলঙ্ক নিয়ে একদিন তোমার ঘর করতে এসেছিল, আজ তাকে ভুলে তুমি সিনেমার এক অভিনেত্রীর ঘরে বসে আছ? শিগগির গাড়িতে গিয়ে ওঠো।’ সেই যে কবি কাননবালার ঘর ছেড়েলিনে, আর কখনো সেখানে যাননি। কাননবালা তার আত্মজীবনী ‘সবারে আমি নমিতে’ কবির প্রতি মুগ্ধতার কথা লিখেছেন এভাবে—‘সুরের মতো অধরাকেও কথার মাধুর্যে বন্দি করার মিলন উৎসবে যিনি আত্মহারা—তাঁর কবিকৃতিকে উপভোগ করা যতখানি সহজ, ব্যক্তিত্বকে বোঝাটা ঠিক ততখানি সহজ নয়।’
বুদ্ধ বসুর মতে, ‘সব লোকই তার আপন, সব বাড়িই তার নিজের বাড়ি। শ্রীকৃষনের মতো, তিনি যখন যার তখন তার।’ (আমার যত অভিমান: কমল মোমিন)
কবি নজরুল যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা তার নিজের স্বপ্ন নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির স্বপ্ন
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছেন,‘নজরুল তো চুপ হয়ে গেলেন ১৯৪২-এ এসেই। চুপ হয়ে যাননি, আসলে তাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। শত্রুপক্ষের ভেতরে প্রথম ছিল ব্রিটিশ রাষ্ট্র। হেন নির্যাতন নাই রাষ্ট্র যা নজরুলের ওপরে চালায়নি। দ্বিতীয়ত ছিল অর্থনৈতিক সংকট। নজরুলের কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল না, ছিল না এমনকি স্থায়ী বাসগৃহও। শরৎচন্দ্রও নজরুলের মতোই জীবিকার জন্য সাহিত্যের ওপরে নির্ভরশীল ছিলেন। লেখক হিসেবে দু’জনই ছিলেন অসম্ভব রকমের জনপ্রিয়। কিন্তু শরৎচন্দ্র লিখতেন উপন্যাস ও গল্প, সেসবের কাটতি থেকে যে আয় হতো কবিতার বই থেকে সে আয় আসবার কথা নয়। আসেওনি। তাছাড়া নজরুলের ছয়টি বই ছিল নিষিদ্ধ। অভাবের কারণে কোনো কোনো বইয়ের গ্রন্থস্বত্ব তিনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তাই দেখা যায়, শরৎচন্দ্র যখন কলকাতা শহরে চমৎকার একটি বাড়ি তৈরি করেছেন নজরুল তখন পুরোপুরি উদ্বাস্তু।’
‘নজরুল ভয়ঙ্করভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন শোক ও ব্যাধির দ্বারা। চুপ হয়ে যাবার পেছনে সেটা একটা বড় কারণ। অত্যন্ত আদরের সন্তান বুলবুলকে হারিয়ে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। তার স্ত্রী প্রথমে বাতে আক্রান্ত হন, পরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।’
‘আর ছিল অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম। অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে লিখতেন, নিজের মস্তিষ্ককে কোনো প্রকার বিশ্রাম দিতেন না। সেই পরিশ্রম তার মস্তিষ্কের ওপর এমন চাপ ফেলেছিল, যেটা তার মতো অসাধারণ প্রতিভার পক্ষেও বহন করা সম্ভব হয়নি। তদুপরি তার যথার্থ চিকিৎসা হয়নি, যতটুকু হয়েছে তাও ছিল বিলম্বিত ও অপর্যাপ্ত।’
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, ‘প্রমথ চৌধুরী তার নিজের লেখায় আরবি-ফার্সি শব্দের অত্যন্ত সুন্দর ব্যবহারের জন্য খ্যাত। তিনিও তার ‘সবুজ পত্রে’ নজরুলের প্রথম জীবনের একটি কবিতা ছাপাতে রাজি হননি, কবিতাটি ছিল হাফিজের অনুকরণে লেখা। করাচি থেকে কলকাতায় এসে নজরুল তার বাল্যবন্ধু শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মেসে উঠেছিলেন, কিন্তু সেখানে থাকতে পারেননি, ব্রাক্ষণ পাচকের আপত্তির কারণে। ১৯৪২ সালে মেদিনীপুরে নারীদের এক সংবর্ধনা সভায় নজরুলের গান শুনে অভিভূত হয়ে একটি মেয়ে মঞ্চে উঠে নিজের গলার হার খুলে নজরুলকে পরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই অপরাধে তার ওপর যে সামাজিক চাপ পড়ে, তাতে মেয়েটি শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে, বাঁচার জন্য। প্রমীলার সঙ্গে বিয়ের পরে হিন্দুপাড়ায় নজরুলের জন্য ঘর ভাড়া পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল।’ (রবীন্দ্র-নজরুল সম্পর্ক এবং তার পরে, নতুন দিগন্ত ২০১৯)
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামকে আনা হলো কিছুদিন বেড়ানোর জন্য। এরপর তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি পান। দেশ বিভাগের আগে ইংরেজদের বিরোধিতা ও দেশপ্রেমের জন্য ১৯২৫ সালে ভারতেও একবার তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, ‘নজরুলের প্রভাব অসাধারণ। তার গান পড়ে আমার মতো বেরসিক লোকেরও জেলে বসে গাইবার ইচ্ছে হতো। আমাদের প্রাণ নেই, তাই আমরা এমন প্রাণময় কবিতা লিখতে পারি না। নজরুলকে বিদ্রোহী কবি বলা হয় এটা সত্যি কথা। তার অন্তরটা যে বিদ্রোহী, তা স্পষ্ট বোঝা যায়। আমরা যখন যুদ্ধে যাবো তখন সেখানে নজরুলের যুদ্ধের গান গাওয়া হবে। আমরা যখন কারাগারে যাবো, তখনো তার গান গাইবো।… কবি নজরুল যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা তার নিজের স্বপ্ন নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির স্বপ্ন।’
চলবে…