॥পর্ব-৫ ॥
১৭.
ব্যারেজের কিছু ভালো দিক আছে, তোমরা কি কায়ো কবার পান?
না, না, আহসান ভাই তোমরা কন। (দর্শকের সম্মিলিত স্বর)
শোনেন, তিস্তা ব্যারেজ হামার গলার কাটা আছিলো না। এইটা হইল বাংলাদেশের আইডিয়াল ব্যারেজ। ইরিগেশনের জন্যে এইদোন ব্যারেজ বাংলাদেশের কোনোটে নাই। মাছ চাষ, ধানচাষসহ সোগে সম্ভব ক্যানেলের পানিত। হামার বেশি পানি দরকার হয় না, অল্পতেই হয়, জমি ভিজে। হামরা শুক্যান মওশুমত হাজার দেড়েক পানি পাইলেও কাম চালাবার পাইনো হয়। অ্যাক সময় ছয়-সাত হাজার কিউসেক পানি আছিল। পরে চাইর হাজার কিউসেক আছিল। তিস্তা নিয়া ২০০৩ সালের এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইপোর্ট মতে, ‘ফ্ল্যাড প্লেইন এলাকা হিসেবে বাংলাদেশের মোট আবাদি জমির প্রায় ১৪ ভাগ কাভার করেছে তিস্তা। যা দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৭.৩ শতাংশ মানুষের জন্য সরাসরি জীবিকার ব্যবস্থা করেছে।’ ইয়ার খালি ব্যাড সাইড নয়, ভালো দিকও আছে। হামার গোটা অংপুর, দিনাজপুর, বগুড়াসহ সাতখান জেলায় সেচ দিবার লক্ষ নিয়া তৈয়র হয় তিস্তা সেচ প্রকল্প। ১৯৯৩ সালত চালু হওয়া এই প্রকল্পে লক্ষমাত্রা আছিল সাত নাখ পঞ্চাশ হাজার। সেচ সুবিধা দেওয়া গেইছে এক নাখ এগারো হাজার চাইর শ’ ষাট হেক্টর জমিনত। সেচযোগ্য জমির পরিমাণ আছিল পাচ নাখ চল্লিশ হাজার হেক্টর। সেচ খাল আর পানি ভাগের কার্যক্রম দুইটা ধাপে উন্নত হইছে। পরথম ধাপত আছিল এক নাখ বিরাশি হেক্টর জমিন। সোগমিলি এক নাখ বত্রিশ হাজার হেক্টর সেচযোগ্য জমি আছিল। বাকি যা আছিল ওইগল্যা দ্বিতীয় ধাপে উন্নত সেচকামের অধীনত নিয়া আইসে। কওয়া হয় এই প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রায় চাইর গুণ। চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বারো গুণ। মেঘনা-ধনাগোদা প্রকল্পের চায়া চল্লিশ গুণ বড়। আরো কওয়া হয়, ভুইয়ের আবাদ বাড়া ছাড়াও এই প্রকল্পের সেচখালগুইলা মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন, চিত্তবিনোদন আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাইছে।
১৯৯৩-৯৪ শস্য বছর থাকি উত্তর আর পশ্চিম এলাকার ১২খান উপজেলায় আউশ-আমন ধান উৎপাদনের জন্যে এই প্রকল্প চালু হয়। পরে ২০০৬-০৭ শস্য বছর থাকি খাদ্যের উৎপাদন বাড়াবার জন্যে বোরো মওশুমত সেচকাম বাড়ায়। আমন মওশুমত মোট সেচযোগ্য ৭৯ হাজার ৩ শ’ ৭৯ হেক্টর এলাকায় সবকুইনা সেচের সুবিধায় আইনবার পায়। বোরোর আবাদের বেলায় না পায়।
ভাই, তোমরা এইদোন ধরি ধরি সোগ বুঝি দেন বলিয়ায় তোমার কথা শুইনবার মন চায়। (দর্শক-১)
মোর কথা শুনতে তোমার ভালো নাগে জানি খুশি হনু। হামরা বোরোর আবাদত ভুই সেচের সুবিধায় ক্যান আইনবার না পাই, কবার পান?
পানিয়ে তো না পাওয়া যায়। (দর্শক-২)
পানি না পাওয়া গেইলে তো আবাদ করা যাবার নয়। বোরোর সময় পানি না যায় ভুইয়ত। যাইবে ক্যামন করি? মূলোতে তো পানি থাকে না। শুকি যায়। (দর্শক-৩)
২০১৪ সালত বোরো মৌসুমে নীলফামারী, অংপুর আর দিনাজপুর জেলার ৬৫ হাজার হেক্টর জমিনত সেচ সুবিধা দেওয়ার কথা থাকলেও সেচ দিবার পাইছে মাত্র ১৮ হাজার হেক্টর জমিনত। ২০১৫-১৬ সালত আরো কমি যায়, পানি দেওয়া যায় ১০ হাজার হেক্টর জমিনত। ২০১৭ সালত সেচকামের লক্ষ্যমাত্রা হইল ৮ হাজার হেক্টর জমি। অ্যালা নীলফামারী জেলার ডিমলা, জলঢাকা, নীলফামারী সদর, কিশোরগঞ্জ উপজেলাক সেচের আওতায় থুইছে। আবাদ থাকি বাদ গেইছে দিনাজপুর আর অংপুরের ৫৭ হাজার হেক্টর জমি। আরো আগত গেইলে জানা যাইবে ২০০৬-০৭ শস্য বছরত সেচ দেওয়া গেইছে ১১ হাজার ২ শ’ ২৩ হেক্টর জমিনত, যা সেচযোগ্য জমিনের মাত্র ১৪ ভাগ। ২০০৮-০৯ শস্য বছরত সেচ দেওয়া গেইছে ২৯ হাজার ৪ শ’ ২৫ হেক্টর জমিনত, যা সেচযোগ্য জমির ৩৭ ভাগ। ২০১৩-১৪ শস্য বছরত সেচ দেওয়া গেইছে ২৭ হাজার ৪ শ’ ৮৬ হেক্টর জমিনত, যা সেচযোগ্য জমির ৩৫ ভাগ। হামরা ২০০৬-০৭ থাকি ২০১৩-১৪ শস্য বছরত উৎপাদন কইরবার পাই নাই ৮২ নাখ ৫৪ হাজার ২ শ’ ১৮ মেট্রিক টন বোরো ধান। যার চলতি বাজার মূল্য হইল ৮ শ’ কোটি ট্যাকার উপরে। হামরা ক্যা পাইনো না এই ধান উৎপাদন কইরবার?
পানি না থাকায়। (দর্শক-৪)
হামরা ক্যা হারাইনো অ্যাতগুইলা ট্যাকা?
আবাদ কইরবার পাই নাই, এইজন্যে। (দর্শক-৫)
আবাদ কইরবার পাইনো না?
ক্যানেল শুক্যান থাকায়। (দর্শক-৬)
সেচ প্রকল্পের কৃষক বোরো আবাদ বাদ দিয়া কি আবাদে মন দিছে?
পাট আর ভুইট্টা। (দর্শক-৭)
ভুইয়ত পানি থাকে?
নদীত পানি না থাকায় ভুইয়ত এদি পানি দিতে দিতে ওদি শুকি যায়। (দর্শক-৮)
১৮
শালার ব্যাটা, তোক মুই জ্ঞান দিবার কইছং। মাটির তলার জিনিস নোভের না দোষের, যমের ভোগ না অভোগ তোক বাতলে দিবার কইছং।
কিরে মোখলেস, এতো ক্ষেপছিস ক্যানে?
একনা ক্ষেপছংয়ে। কাদির, তুই কতো, হামরা য়িন শোধ কইরবার জন্যে আলু খুজি বেড়াই, আর আইনুদ্দিন চাচা জ্ঞান দেইল এইগল্যা ভালো নোয়ায়। ওমার জ্ঞান হামরা চাছি।
জ্ঞান নিবারো গেলু, অ্যালা ভত ভতও কইরবার নাগছিস?
মুই গেছনু আলাদা কামত। আলাপ করতে করতে এই কথা আসিল।
পাইয়ে না তো। পাইলে জাননো হয়, দেখনো হয় ন্যায় আর অন্যায় কি।
কামত মন দে।
মন দিতে দিতে মনের তলায় অ্যালা খুজি পাং না। কয়দিন থাকি তো এই জঙ্গলতয়ে আছি। অন্যটে যাবু নাকি?
কুটে যাবু?
ব্যাঙের ভিটাত যাই। অটে নাকি হেন্দুর বাড়ি আছিল। শুনছং ওমরা নাকি জমিদার আছিল। দেশত গ-গোল নাগলে ওমরা ভিটা ছাড়ি পালাইছে। পরে ওই ভিটা ইমরোজ মুনশি দখলত নিছে। অয়ো তো মরি গেইল।
তাইলে অটে কিছু একটা পাওয়া যাইতে পারে। হেন্দুর ঘর তো ম্যালা কিছু মাটিত পুতি থোয়। চল যাই।
কায় তুই?
দোস্ত কাদির, কিছু শুইনবার পাছিস?
না।
কায় তুই?
আবার জিগাবার নাগছে।
মোখলেস তোর মাথার সাথে কানও গেইছে। চুপ থাকেক তো। আলু খুইজবার দে।
কায় তুই?
মুই মোখলেস? তোমরা কায়? তোমাক তো দেইখপার পাবার নাগছোং না? দেখা দ্যাও।
পাবু দেইখপার। এতো অধের্য হইলে ক্যামন করি চলবে। কাছত আইসেক?
ক্যা যাইম?
কবার নাগচোং কাছত আইসেক।
মোর ভয় নাইগবার নাগছে। না যাং।
তুই জঙ্গলত ক্যা আছছিস?
আলু খুইজবার।
পাছিস?
না।
তাইলে কি করবু?
কি আর করিম। খুজিম।
ঘণ্টাও পাবার নইস।
হয়, তোমাক কইছে।
তোর তো ট্যাকা দরকার?
হয়।
অ্যাটে ট্যাকাও আছে। নিবার চাইস?
কুটে আছে ট্যাকা?
এই দীঘিরপাড়ত। ৭খান ট্যাকার ড্যাগ আছে।
তোমরা ক্যায়, যে মোক ড্যাগের কথা কন, ট্যাকার কথা কন?
এই জঙ্গলত আইজক্যা থাকি কয়দিন আচছিস?
এক সপ্তাহ।
এক সপ্তাহ আতিপাতি করি আন্দারত আলু খুজি বেড়ালু, পাইস নাই, তোর কষ্ট দেখি মোর মনত দয়া জাগিল, এইজন্যে কনু। ভাব বাড়িল?
ভাব ক্যা বাড়বে? তোমাক দেইখপার পাং না। চিইনবার পাং না। তোমরা ট্যাকার ড্যাগের গপ্প কইরবার নাগছেন, জাইনবার তো চাইমোয়ে।
মোখলেস, মোখলেস কুটে গেলু?
মোর দোস্ত ডাইকপার নাগছে। যাওয়া নাগবে।
যা, কাইলকা আসিস মগরোবের আজানের সময়, সোগ খুলি কইম।
শালা, কুটে গেলু। কথাও কইস না।
দোস্ত, অ্যাটে আছং। পালু?
হয় পাইছোং, তলতিবার পাবার নাগছোং না। ট্র্যাক ভাড়া করি আনেক।
ক্ষেপলু ক্যা?
তোক এতি-ওতি খুজিয়ায় তো সময় গেইল। আলু খোজার সময় পানু কুটে। পেছনত চায়া দেখং তুই নাই। যেদি যেদি আসনু ওদি ওদি যায়াও না পাং তোক। কোন বালের মাথাত যায়া সোন্দাছলু?
এই এটে। বড়টা চাপ দিছিল। যায়া বসনু। এইজন্যে সময় নাগিল। চল, আইজক্যা চলি যাই।
চল। আইতে তো শ্যাষ হয়া গেইল।
কি গো জাগি আছো? দরোজা খুলো।
কুটে গেছনেন?
গেছনো পরীর দেশত। প্রেম কইরবার।
ঢং ছাড়ি আসল কথা কইলে কও। নাইলে ছাড়ো। ঘুম পাইছে।
তুই ঘুমাও। মুই অ্যাকনা পর ঘুমবার নাগছোং।
বাতি বন্ধ করি দ্যাও।
আচ্ছা!
বিরবির কইরবার নাগছেন ক্যা?
কই?
মুই শুইনবার নাগছোং, আর তোমরা কন কই?
না। এমনিতে। ঘুমাও তো।
১৯
আহসান ভাই, শুইনবার নাগছি ভারত তিস্তা থাকি পানি সরে নিবার নাগছে, ব্যাপারটা কি, খুলি কইমেন? (দর্শক-১)
শোনেন, ভারত ১৯৯৬ সাল থাকি পানি সরে নিবার নাগছে। ওমরা তিস্তার জল আগত নিয়া যায় মহানন্দা নদীত। অট থাকি নিয়া যায় মেচী নদীত। অট থাকি ফুলহার নদের সাহায্যে নিয়া যায় পানি ফারাক্কার উজানত। এই পানি দিয়া ওমরা মরুভূমি তাজা করে। আর হামার পানি পাওয়া ভুই মরুভূমি হয়। ১৯৯৭ সালে শুক্যান মওশুমত হামার তিস্তাত কত কিউসেক পানি আছিল, কবার পান?
প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিউসেক। (দর্শক-২)
মাশ্লাল্লা। ঠিক কইছেন। ইয়ার পর কত করি আছিল, কবার পান?
শুনছি পানি কইমবার ধরছে, হিসাবটা ঠিক হামরা কবার পাবার নই। তোমরা কন। (সম্মিলিত স্বর)
১৯৯৯ সালত আছিল পানি প্রবাহ ১০৩৩ কিউসেক। ২০০০ সালত আছিল ৪৫৩০ কিউসেক। ২০০১ সালত ১৪০৬ কিউসেক, ২০০২ সালত ১০০০ কিউসেক, ২০০৩ সালত ১১০০ কিউসেক, ২০০৬ সালত ৯৫০ কিউসেক, ২০০৭ সালত ৫২৫ কিউসেক, ২০০৮ সালত ১৫০০ কিউসেক, ২০০৯ সালত শূন্য কিউসেক, ২০১৪ সালত ৭০০ কিউসেক, ২০১৬ সালত ৭০০ কিউসেক, ২০১৭ সালত ৫০০ কিউসেক। তাও এ পানি বাঁধ চুয়ি চুয়ি আইসে। বিশেষজ্ঞেরঘর বাঁধ চুয়ি চুয়ি আসা পানিক কিউসেকে ধরতে আজি নোয়ায়।
আহসান ভাই, তোমরা যেইদোন করি কইনেন তাতে বোঝা গেইল তিস্তার পানি বছর বছর কইমবারে নাগছে। তোমরা সোগে ক্লিয়ার করি বুঝি দিনেন। জাইনবার পর তো ব্যথা বাড়ি গেইল। (দর্শক-৩)
ব্যথা আরো আছে। আগে হামার দেশত ব্যারেজের কাছে তিস্তার জলপ্রবাহ কত আছিল, কন?
ম্যালা। (সম্মিলিত স্বর)
ম্যালা কত?
তা তো কবার না পাই। (সম্মিলিত স্বর)
এই নদীর সব চায়া বেশি গড় প্রবাহ আছিল ২ নাখ ৮০ হাজার কিউসেক। সব চায়া কম আছিল ১০ হাজার কিউসেক। বুঝনেন তো হামার অতীত কতো শক্ত?
হয়, বুঝছি। (সম্মিলিত স্বর)
নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ধরি আইখপার জন্যে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি দরকার ২০ হাজার কিউসেক। আর হামরা পাবার নাগছি?
কই পাই পানি। (সম্মিলিত স্বর)
হয়, পানিয়ে নাই। হামরা কোনো মতে পাই ৭০০-৮০০ কিউসেক। নদীর জন্যে কি থুইমেন, আর আবাদের জন্যে কি সরাইমেন? আবাদের জন্যে দরকার ১৪ হাজার কিউসেক। নদীক বাঁচি আইখপার জন্যে দরকার ৪ হাজার কিউসেক। নদীও বাঁচে না, ক্যানেলও বাঁচে না। কিসের বলে পানি চলতে থাকপে, কুটে চলিল? পানি তো নড়তে চড়তে দেখোং না। যেটে মিইচচ্যাকনা পানি দেখা যায় ওমরা তো অটেয়ে দাঁড়ে আছে। স্রোত কমাইবে, এমন কমাইল যে আর পানিয়ে আইসে না। তোমরা বাহে কন তিস্তায় পানি না থাকলে নদী মরি যাইবে। মরিয়ায় তো গেইছে। পানি নাই, স্রোত নাই, চর হইছে। আরে শ্বশুরের ব্যাটারা তোমরা এতো মিছিল-মিটিং না করি কামত নামো। হামার পানির ব্যবস্থা করো।
২০
এই যে গবেষক, চুপ মাইরা আছেন ক্যান?
মিলি, মাঝে-মধ্যে চুপচাপ থাকলে অপরপক্ষকে ভালোভাবে জানা যায়।
কী কী জানতে পেলে?
জানলাম স্বর, রাগ, ক্ষোভ, অভিমান, ভালোবাসা, সবই।
তুমি তো দেখছি সাইকোলজিস্টের মতো কথা বলছো।
তুমি যখন বলছো, তাইলে হতে পারে। তোমার-আমার সম্পর্ক-সূত্রটা একটু আলাদা ছিল তাই না?
কী রকম আলাদা?
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম, গবেষণার কাজে নীলফামারী যেতে হবে। এ এলাকার কেউ কি আছেন? মাঝরাতে দেখি তোমার মেসেজ। জানালে তোমার বাড়ি নীলফামারীতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছো। তারপর বেশ কদিন ফেসবুকে আলাপ হলো। মোবাইল নাম্বার আদান-প্রদান। সম্পর্কটা ফেসবুক থেকে ফোনবুকে গড়ালো। আলাপে আলাপে হয়তো বিশ্বাস কিংবা ভরসার সাইন খুঁজে পেলে। জানালে, আমি যেতে চাই তোমার সঙ্গে গ্রামে। বাসে বসেই স্ট্যাটাস দিলে, ফিরছি ঘুমের শহরে। কদিন বেশ শান্তিতে ঘুমানো যাবে।
হুম। অদ্ভুত মনে হলেও স্বাভাবিক।
কেন?
কারণ বর্তমানে পরিচয়গুলোর বেশিরভাগই ফেসবুক মারফতে হচ্ছে। এ মাত্রা আরো বাড়বে।
মিলি, গ্রামে ফিরছো কবে?
তাড়াতাড়িই ফিরছি। গল্পে আসো। মোখলেসকে দেবী যেতে বলেছিল, তারপর কি হলো?
শোনো…
চলছে…