[পর্ব-৩৯]
বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। এবার অপেক্ষা ফলের। সব বিষয়ে পাস করবো—পরীক্ষাও সেভাবে দিয়েছি। তবে, গণিত-ইংরেজির নম্বর টেনেটুনে ৩৩-৩৫-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কারণ গণিত-ইংরেজিতে এর বেশি অ্যানসারই করিনি। কিন্তু যা লিখেছি, কাছারিতে ফিরে মিলিয়ে দেখেছি, নির্ভুলই লিখেছি। এছাড়া বাকি বিষয়গুলোয় ৮০-৯০ নম্বর পাবো। সবমিলিয়ে ৫/৬ নম্বরে থাকবো।
রোলনম্বর যাই হোক, এসব নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাতে চাই না। এরচেয়ে ভালো দুপুরে চারটা খেয়েই সাইকেল নিয়ে বের হয়ে পড়া। প্রথমে যাবো, পশ্চিম দিকে স্লুইস গেটে। সেখান থেকে চরলক্ষ্মীর পশ্চিম পাশে ঘেঁষে দক্ষিণ দিক হয়ে পূর্বদিক দিক দিয়ে ঘুরে এছহাক মুন্সীর হাঁট সোজা আধা কিলোমিটার উত্তরে বরইতলা গিয়ে থেমেছে। সেখান থেকে চলে গেছে কোম্পানিগঞ্জের দিকে। একাই যাবো? এই দীর্ঘপথ একা একা সাইকেল চালাবো? খোকনেরও সাইকেল আছে—কিন্তু সে কি যাবে? হয়তো যাবে, হয়তো না।
বেলালকে বলা যেতে পারে—কিন্তু সে আমার মতো বাউণ্ডুলে হলেও তার সাইকেল নেই। তাকে হয় আমার সাইকেলের ক্যারিয়ারে বসাতে হবে, না হয় একটা ভাড়া নিয়ে দিতে হবে। তাও আমাদের দোকান থেকে। কী করা যায়, কী করা যায়—ভাবতে ভাবতে দুপুর হয়ে গেলো। দোকানে বসে আছি। লোকজন সাইকেল ভাড়া নিচ্ছে, ডিজেল-মোবিল কিনছে। সময় গুনছি। কখন বাবা আসবেন। এলেই কোনো একটা অজুহাতে বেরিয়ে পড়বো। বসে থাকতে ভালো লাগছে না। একদমই না।
সেদিন কথায় কথায় ব্রজলাল স্যার কার প্রসঙ্গে যেন বলেছিলেন, শয়তানের নাম নিতে না নিতেই নাকি সে হাজির হয়। আমার ক্ষেত্রেও আজ তেমন হলো না তো? বেলালের কথা ভাবতে না ভাবতেই সে এসে হাজির। এলো তো এলো একেবারেই হাঁকডাক শুরু—‘কী রে কী করিস? সারাদিন খালি দোকানে বসে থাইকলে অইবো? চল ঘুরি।’ তার কথায় অন্যসময় প্রায় বিরক্তি প্রকাশ করা আমার বদভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু আজ ভালোই লাগছে। ভালো লাগার প্রথম কারণ, বসে বসে যা ভাবছিলাম, বেলাল এসেই সেই প্রস্তাবই দিলো। বলি, ‘আরে শয়তান! এতক্ষণ তোর কথাই ভাবছি। তুই একটা সাইকেল ভাড়া নে। চল দুজন পুরো বেড়িবাঁধ ঘুরে বেড়াবো। স্লুইস গেট দিয়ে শুরু করে, শেষ করবো বরই তলায় গিয়ে।’ আমার প্রস্তাবে বেলাল তো আহ্লাদে আটখানা। বলে, ‘চল’।
বেলালের কাছে যেতেই সে ইশারায় জানতে চায়, মুড়ি-কলা কই? জবাবে হাত তুলে বলি, কাছে এসে বলছি। সব কথা খুলে বলতেই সে বলে, তুই আসলেই একটা বেকুব।
আমাদের কথার মাঝখানেই বাবা এসে হাজির। আমরাও বের হলাম। কাছারিতে ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে আরে দেরি নয়। সাইকেলের প্যাডেলে পা রাখতেই আমরা যেন মুক্তবিহঙ্গ। চলেছি পাশাপাশি। চৌরাস্তাবাজার পেছনে ফেলে বলেছি পশ্চিমে—সূর্যাস্তের দিকে। ঠিক কপালে সূর্য—তবে তেজহীন। সেই তেজহীন উত্তাপই আমাদের কাঙ্ক্ষিত। আহা! চৈত্র-বৈশাখ এলে এই সূর্যটাই কিনা হয়ে ওঠে গনগনে আগুনের চুল্লি। তখন সকালেও তীব্র গরম। গায়ের চামড়া যেন পুড়ে যাবে, ফোসকা পড়ে যাবে। অথচ এই শীতের দুপুরে কেমন মিষ্টি! বেলাল প্যাডেলে পা চালাতে চালাতে গান ধরে—‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ/ আমার মন ভোলায়রে…।’ ব্যস এই চরণই। আর পারে কি না, জানি না। তবে, এই দুই চরণের বেশি সে গায় না। আমি পারিই না। গাওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার। কিন্তু অন্য গানের দুই চরণ গুনগুন করতে পারি—‘শীতের হাওয়ার লাগল নাচন আম্লকির এই ডালে ডালে/পাতাগুলি শির্শিরিয়ে ঝরিয়ে দিলো তালে তালে।’ বিষয়টি এমন যে, বেলাল তার মতো করে গেয়ে চলেছে, আমি আমার মতো করে। কেউ কারও শ্রোতা নই, আবার দুজনই গায়ক, দুজনই শ্রোতা।
তবে, গান গাওয়া বা শোনার চেয়ে সাইকেল চালানোর নিজস্ব স্টাইলের দিকেই আমাদের ঝোঁক বেশি। বেলাল যখন সাইকেল চালায়, তখন তার পুরো শরীর দোলে। এই স্টাইল একেবারেই তার নিজস্ব। কিন্তু আমি যখন সাইকেল চালাই, তখন দুই পা ছাড়া, শরীরের কোনো অংশই নড়াচড়া করে না। অনেকটা পাথরের মূর্তির মতো বসে থাকি। মাথা সামান্য ডান দিকে কাত করে রাখি। তবে, আমার এই স্টাইল নিজস্ব নই। এই স্টাইল হেডস্যারকে (সন্তোষ চন্দ্র দাস) দেখে রপ্ত করেছি। তাও অনেক কসরত করে। আমাদের ক্লাসমেটদের অনেকেই ব্রজলাল স্যারের হস্তাক্ষর অনুকরণের চেষ্টা করে। আর আমি অনুকরণের চেষ্টা করি কাকা ও হেডস্যারের স্টাইল। কিন্তু কোনোটাই হয় না পুরোপুরি; দুই জনের মাঝামাঝি আমার একটা স্টাইল দাঁড়িয়ে গেছে।
আমার সাইকেল চালানো দেখে বন্ধুরা প্রায় হাসাহাসি করে। বলে, ‘তুই কি রোবট? এভাবে থাকিস ক্যামনে?’ আমি কোনো জবাব দেই না। চুপচাপ থাকি। আজও এভাবে চালাতে চালাতে এসে হাজির হলাম স্লুইস গেটে। এখন নদীতে পানি নেই। শুকনো। নদীর পূর্বতীরে ফসলি ক্ষেত। পশ্চিম তীরে না ক্ষেত আছে, না আছে বাড়িঘর। বেশ কিছু দূর পর্যন্ত কেবল ধূ-ধূ বালুচর। স্লুইস গেটে পূর্বপাড়ে, রাস্তার দক্ষিণ পাশে সারি সারি দোকান। দোকানগুলোর কোনোটি কসমেটিকস, কোনোটিতে চাল-ডাল-আটা-তেল-নুন-মরিচ বিক্রি হচ্ছে। কোনোটিতে চা-বিস্কুটের পাশাপাশি কলা, মুড়ি, পান, সিগারেটও আছে। একটি দোকানের সামনে সাইকেল রেখে কলা-মুড়ি নেই। এরপর সাইকেলের প্যাডেলে রাখি পা। বেড়িবাঁধ ধরে সাইকেল ছুটে চলছে দক্ষিণের দিকে। হিমেল হাওয়া কানের পাশ দিয়ে ছুরি মতো কেটে কেটে যাচ্ছে। সেদিকে আমাদের ভ্রূক্ষেপ নেই। আমাদের চোখ বেড়িবাঁধের দুই পাশে শিমের ঝোঁপ, বরই-নাটাই গাছে। আধপাকা নাটাইয়ে কোকিল, বুলবুলির ঠোঁটের চিহ্ন। কোথাও থেকে ফুড়ৎ করে উড়ে উসে মাথার ওপর দিয়ে গাছের ডালে বসছে দোয়েল। যেন তাদের মনে কোনো ডরভয় কিচ্ছু নেই। আমরা সাইকেল থামিয়ে দাঁড়াই। বেলাল বলে, ‘চল পাখির বাসা খুঁজি। পাখি ধরবো। পুষবো।’আমিও সানন্দে রাজি। সাইকেল দুটি নাটাই গাইছের সঙ্গে তালাবন্দি করি। এরপর শিমের ঝোপে ঢুকে পড়ি। আমরা কখনো পাহাড়ে যাইনি। কিন্তু বইয়ে যেভাবে পড়েছি আর বড়দের কাছে পাহাড়ের যে বর্ণনা শুনেছি, আজ মনে হচ্ছে, এই বেড়িবাঁধের ঢালু বেয়ে নামছি না, নামছি পাহাড় ভেঙে। একে পাহাড়ের ঢালু এবড়োখেবড়ো, তার ওপর শিমের ঝোপের ফাঁকে-ফাঁকে রয়েছে বরই গাছের চোরা কাঁটা। দুই হাত, পিঠে মাঝেমাঝে বিঁধে যাচ্ছে। প্রচণ্ড যন্ত্রণাও হচ্ছে। কিন্তু বেলাল দমার পাত্র নয়। আমিও বা পিছু হটি কী করে?
ঢাল বেয়ে নামতে নামতে প্রায় সমতলের কাছাকাছি এসে গেছি। এমন সময় দেখি, বেলাল হা করে তাকিয়ে আছে ঝোপের দিকে। ইশারায় জানতে চাই, ঘটনা কী? সে ডান হাতের তর্জনি দুই ঠোঁটের মাঝখানে ধরে হিসসস ধ্বনি তোলে। আমি এই ইশারায় মানে জানি। তাই চুপচাপ এগিয়ে যাই তার দিকে। কাছে গিয়ে দেখি, ছোট্ট একটা বাসা। খড়কুটো দিয়ে বানানো। তাকে দুটি ফুটফুটে ঘুঘু পাখির ছানা।
আমরা ঝোপের ভেতর ঘাসের ওপর বসে পড়ি। ফিসফিস করে বলি, কী করা যায়? বেলাল বলে, চল ছানাগুলো নিয়ে যাই। তার প্রস্তাবে আমি রাজি হই না। রাজি হই না, এই জন্য নয় যে, পাখির ছানার প্রতি আমার খুব প্রেম। রাজি হই না এজন্য যে, ছানাগুলো সে নিয়ে যাবে। তার বাড়িতে পাখির খাঁচা আছে। আমার কিছু নেই। আমি নিলেও এই ছানাগুলো কিভাবে লালনপালন করতে হয়, জানি না। মাঝখান থেকে ছানাগুলো না খেয়েই মারা যাবে। আমিই যখন নিতে পারবো না, বেলাল নেবে কেন? এমনই একটি ছোট্ট হিংসা আমার মনের ভেতর খচখচ করে। বলি, আরে ধুর। শুধু শুধু পাখিগুলোকে মারবি। তারা তাদের মায়ের কাছেই ভালো থাকবে। জানিস না—‘পাখিরা ঝোপেতে সুন্দর, শিশুরা মায়ের কোলে?’ বেলাল নিচুর স্বরে হেসে দেয়—আরে ব্যাটা কবিতার লাইন এমন না। কবিতার লাইনগুলো হলো—‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।’ তার বিদ্রূপে আমি দমে যাই না। পাল্টা বলি, এখানে বন কই? এখানে তো ঝোপঝাড়। তাই ঝোপের কথা বললাম। আর বন্য কোনো প্রাণী তো এই তল্লাটে নাই। আছে শুধু দুটি পাখির ছানা। তাহলে ‘পাখিরা’ না বলে কী বলবো?
বেলাল আমার কথার জবাব দেয় না। হামাগুড়ি দিয়ে আরও কাছে আসে। বসে গা-ঘেঁষে। বলে, খিদা লাগছে। মুড়ি-কলা বের কর। তাকে অপেক্ষা করতে বলে আবার ওপরের দিকে উঠতে থাকি। মুড়ি-কলার প্যাকেট রেখে এসেছি সাইকেলের ক্যারিয়ারে। সাইকেলের কাছে এসে চক্ষু চটকগাছ। ক্যারিয়ারে মুড়ি-কলার প্যাকেট নাই। কে যেন নিয়ে গেছে। আমার পষ্ট মনে আছে, নিচে নামার সময় ক্যারিয়ারে রেখে গেছি। কিন্তু কে নেবে? আমাদের এলাকায় কোনো জিনিস ফেলে রাখলেও তো কেউ নেয় না। অথচ সেখানে সামান্য মুড়ি-কলার প্যাকেটই গায়েব। কী আর করা, মন খারাপ করে আবার নামতে থাকি। বেলালের কাছে যেতেই সে ইশারায় জানতে চায়, মুড়ি-কলা কই? জবাবে হাত তুলে বলি, কাছে এসে বলছি। সব কথা খুলে বলতেই সে বলে, তুই আসলেই একটা বেকুব। কেউ এভাবে খাবার রাখে? এখন উপোস থাকতে হবে। বলি, উপোস থাকবো কেন, আরেকটু দক্ষিণ দিকে গেলেই তো দোকান পাবো। আবার কিনে নেবো। খাবারের সমস্যা হবে না। এখন কী করবি, বল।
একজনের মন খারাপ পাখির ছানাগুলো গুইসাপের উদরে যাওয়ায়, আরজনের মন খারাপ ছানাগুলোকে নিজের বাড়িতে নিতে না পারার।
বেলাল আমার কথার জবাব দেয় না। চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে ঘাসের ওপর। আমার বসে থাকতে আর ভালো লাগে না। আমিও তাকে অনুসরণ করি। ওপরে তাকিয়ে দেখি, শিমের লতায়-লতায় ফুটে আছে বিগুনি রঙের আশ্চর্য রকম সব ফুল। পুরো ফুল বেগুনি নয়, বেগুনি রঙের মাঝখানে হালকা সাদা আভাও রয়েছে। এই ফুলের সঙ্গে মিল আছে খেসারি ডালের ফুলের। আর মিল আছে পুকুরঘাটের পাশে ফুটে থাকা নাম না জানা ঘাসফুল। খুব ছোটবেলা পুকুর ঘাটে হাত-মুখ ধুতে গেলে এই ফুলগুলোর দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতাম। অনেক সময় ভুল যেতাম, কেন এসেছি পুকুর ঘাটে, সে কথাও। শিমফুল দেখে আমি যতটা অবাক, তারও বেশি মুগ্ধ মনে হলো বেলালকে। তবে, তার মুগ্ধতার রেশে বেশিক্ষণ থাকে না। সে ঘুরেফিরেই ঘুঘুর ছানাগুলোর প্রসঙ্গে তোলে।
সে যতই ছানাগুলো নেওয়ার কথা বলে, ততই তাকে নিরুৎসাহিত করি। বলি, থাকুক মায়ের কাছে। এতটুকুন ছানা নিয়ে কাজ নাই। শেষে অভিশাপ পাবি। আমরা আলোচনা করি। আর আমার চোখ শিমফুল—ঝোপে। তার চোখ পাখির ছানায়। সে অপলক সে দিকেই তাকিয়ে আছে। হঠাৎই শুকনো পাতার খস-খস শব্দ ভেসে আসে। বেলাল খরগোসের মতো কান খাড়া করে শোনার চেষ্টা করে। সঙ্গে আমিও। শব্দের উৎসের দিকে তাকিয়ে দেখি কিছু নেই। ততক্ষণে শব্দও মিলিয়ে যাই।
বেলাল এবার আমার দিকে আরও এগিয়ে আসে। ভয়ার্ত গলায় ফিসফিস করে। যেন আমরা সুন্দরবন কিংবা আমাজনে ঢুকে পড়েছি—পথ হারিয়ে ফেলেছি। যেন আমাদের সামনে ক্ষুধার্ত সিংহ কিংবা ক্ষিপ্র চিতা। তার ভয়ার্ত কণ্ঠের ফিসফিসানিতে আমিও ভয় পেতে শুরু করি। কী করবো, বুঝে উঠতে পারি না। হঠাৎ শুনি মসজিদ থেকে আসরের আজান ভেসে আসছে। সে দিকে মন দিতেই ঝপ করে একটা শব্দ হলো। শব্দের উৎসমুখে তাকাতেই দেখি—ঘুঘু ছানা দুটি একটি অতিকায় গুইসাপ মুখে পুরতে পুরতে পালিয়ে যাচ্ছে। এত বড় গুইসাপ জীবনে আর দেখিনি—যেন কুমির। দেখে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকি কিছুক্ষণ।
ভয় পেয়ে কতক্ষণ বিমূঢ় ছিলাম, বলতে পারি না। তবে, হঠাৎই বেলালের তীক্ষ্ণ বিদ্রূপে চেতনা ফিরে আসে। সে বলে, বললাম, ছানাগুলো নিয়ে যাই। নাহ। উনি নিতে দেবেন না। একদন জীবে প্রেম জাগলো। এবার হলো? গুইসাপ যে খেয়ে নিলো? আমি কোনো কথা বলি না। ধীরে ধীরে বেড়িবাঁধের ওপরের দিকে উঠতে থাকি। দুজনেরই মন খারাপ। একজনের মন খারাপ পাখির ছানাগুলো গুইসাপের উদরে যাওয়ায়, আরজনের মন খারাপ ছানাগুলোকে নিজের বাড়িতে নিতে না পারার। নাহ! আজ আর বেড়িবাঁধ ঘুরবো না। সাইকেল ঘুরিয়ে বাড়ির পথ ধরি দুজনেই।
চলবে…
জীবনের যতিচিহ্নগুলো-৩৮ ॥ মোহাম্মদ নূরুল হক