[পর্ব-২৪: প্রাইমারি স্কুল পর্ব]
ম্যাকগাইভার দেখা শেষে যে যার বাড়ির পথ ধরলাম। এবারও কাকা বাড়িতে নেই। সুতরাং আমার অবাধ স্বাধীনতা। পরদিন ক্লাস ফাইভের বার্ষিক পরীক্ষার ফল দেবে। একদিকে আনন্দ, অন্যদিকে ভয়। আনন্দ এই ভেবে যে, আরও একটি ক্লাস শেষ হবে। সিক্সে পড়তে পারবো। ভয় এই ভেবে যে, যদি ফেল করি, তাহলে মান-ইজ্জত আর থাকবে না। আবার পাস করলেও শঙ্কা। নতুন স্কুলে অর্থাৎ চরক্লার্ক জুনিয়র হাইস্কুলে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হতে হবে। সেখানে আবার সেলিমের মতো একরোখা কোনো একজনের সঙ্গে দেখা হবে না তো? সেও যদি অতর্কিত হামলা চালিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়, তখন কী করবো? আচ্ছা মানুষ এমন কেন, হঠাৎ নতুন কাউকে সহজে গ্রহণ করতে পারে না কেন? এই প্রশ্ন বহুবার নিজেকে করেছি, উত্তর পাইনি। তবে কাউকে জিজ্ঞাসা করার সাহসও হয়নি।
রাতের খাওয়ার শেষে খাটে ছটফট করছি। ঘুম আসছে না। হঠাৎ মনে হলো, বালিশের নিচে ‘কিশোর পত্রিকা’ রেখেছি। আছে কি না, দেখি। হাত দিতেই দেখি, ঠিকই আছে। হারিকেনের আলো বাড়িয়ে দিলাম। লেপমুড়ি দিয়েই বসলাম খাটের কিনারে। কিন্তু পত্রিকা কয়েক পাতা উল্টানোর পরই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম। মনে হলো—‘নাহ! কী লিখেছে এসব ছড়া-কবিতা! এরচেয়ে তো ভালো আমিও লিখতে পারি।’ ভাবতে ভাবতেই খাতা-কলম টেনে নিলাম। কী নিয়ে লিখবো? রবীন্দ্রনাথ নিয়ে, নজরুল? নাহ! এর চেয়ে ভালো আমাদের বাড়ি নিয়ে লিখি। কয়েক লাইন লেখা হয়ে গেলো। রাসেলকে ডেকে তুললাম, অনেক আবেগ-আগ্রহ ঢেলে দিয়ে পড়ে শোনালাম। বললাম, ‘কেমন হলো?’ রাসেল কোনো মন্তব্য করলো। কেবল একটা লম্ব হাই তুলে আবারও শুয়ে পড়লো। আর বললো, ‘ভাইজ্জি ঘুমান। কাল ভোরে ভোরে উঠতে হবে। স্কুলে রেজাল্ট দিবো।’
দীর্ঘভূমিকার পর তিনি নাম ঘোষণা শুরু করলেন। প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নাম ঘোষণা শুরু। প্রথমে যার নাম ঘোষণা করলেন, সে ফসিউল আলম। অর্থাৎ ধনু কাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে আসাদুল হক। অর্থাৎ খোকন। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে খায়রুল বাসার। এরপরই ক্লাসে চাপা গুঞ্জন শুরু হলো।
রাসেলের কথায় আমি দমে গেলাম—‘নাহ! কবিতার মর্ম এরা বুঝবে না।’ অগত্যা আবারও শুয়ে পড়লাম।
পরদিন ভোরে ঘুম ভাঙলো রাসেলের ডাকে। সে আমাকে তুলে দিয়ে চলে গেলো তাদের বাড়ি। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে নতুন লুঙ্গি-শার্ট, তারপরও টুকটুকে লাল চাদর পরে হাজির—‘চলেন, স্কুলে যাই।’ আমার তখন স্কুলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই। কী হবে স্কুলে গিয়ে? রেজাল্ট তো পরেও জানা যাবে। আবার ভাবনায় ছেদ পড়ে। রাসেল-ইসমাইলের পীড়াপীড়িতে বের হতে বাধ্য হই।
আল পথে ধরে হেঁটে হেঁটে আমরা যখন স্কুলের মাঠে হাজির, তখন বারান্দায়, রাস্তায়, ক্লাসরুমে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত, সবাই গিজগিজ করছে। কারও চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক, কারও কারও কপালে চিন্তার ভাঁজ। ধনু কাকা, খোকন, মাহমুদা, খায়রুল বাসার—এই চার জনের ভেতর প্রচণ্ড অস্থিরতা কাজ করছে। কারণও আছে। তারা চার জনই প্রতিদ্বন্দ্বী। কে কাকে টপকে যাবে, সেই উত্তেজনায় তার অস্থির। এদিকে, আনোয়ার হোসেন, আবুল হোসেন, সেলিম, বাবলু, আমি, সাইফুল, রহিমা, কাজল—আমরা নির্বিকার। আমাদের পাস করলেই হলো।
একবার ধনু কাকা আসে আমার কাছে, একবার খোকন; আরেকবার মাহমুদা তো ফের খায়রুল বাশার। প্রশ্ন একটাই, কী হবে, কার রোল এক হবে? বলি, ‘তোদের চার জনের মধ্যেই ১ থেকে ৪ হবে। এর বাইরে কেউ যাবে না।’ খোকন বলে, ‘তোর কত হতে পারে?’ বলি, ‘ছয় থেকে সাত।’ তারা চার জনই হেসে ওঠে। ধনু কাকা বলে, ‘রেজাল্ট নিয়ে তোর কোনো স্বপ্ন নাই? মনীষীরা বলে গেছেন, স্বপ্ন মানুষকে বড় করে। তাই স্বপ্ন দেখতে হয়। স্বপ্ন দ্যাখ। স্বপ্ন দ্যাখ। দেখবি রেজাল্টও ভালো হবে।’ আমি যেমন বাদাম চিবুচ্ছিলাম, তেমনই চিবুতে থাকলাম। তার কথার কোনো জবাব দিলাম না।
এরই মধ্যে দপ্তরি ঘণ্টা বাজালো। কী ব্যাপার—জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘এখন ক্লাস ওয়ান থেকে টুয়ের রেজাল্ট দেবে। ওয়ান-টু’র ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ নিজ ক্লাসে যাও।’ ওয়ান-টুয়ের রেজাল্ট দিতে দিতে দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পথে। এবার আমারও অস্থির লাগা শুরু। ক্ষুধাও লেগেছে। কী করবো, বুঝতে পারছি না। বাজার থেকে বিস্কুট-মুড়ি কিছু খেয়ে আসবো কি না, ভাবছিলাম। এরই মধ্যে দপ্তরির ডাক—‘এখন ক্লাস থ্রি থেকে ফাইভ পর্যন্ত, তিন ক্লাসের রেজাল্ট ঘোষণা করা হবে। সবাই নিজ নিজ ক্লাসে গিয়ে বসো।’ ঘোষণার সঙ্গে-সঙ্গে সবাই হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ি। সামনের সারিতে আমার জায়গা হয় না। তাই একেবারে পেছনের সারিতে গিয়ে বসি। তাহের স্যার গেলেন ক্লাস থ্রিতে, বাসার স্যার ক্লাস ফোরের রেজাল্ট ঘোষণা করছেন। আর আমাদের ক্লাসের রেজাল্ট ঘোষণা করতে এসেছেন স্বয়ং হেডস্যার। দীর্ঘভূমিকার পর তিনি নাম ঘোষণা শুরু করলেন। প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নাম ঘোষণা শুরু। প্রথমে যার নাম ঘোষণা করলেন, সে ফসিউল আলম। অর্থাৎ ধনু কাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে আসাদুল হক। অর্থাৎ খোকন। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে খায়রুল বাসার। এরপরই ক্লাসে চাপা গুঞ্জন শুরু হলো। তবে, স্যার একে-একে ১০/১১ জনের নাম বলে গেলেন। কিন্তু এত জনের মধ্যেও আমার নাম শুনতে পেলাম না।
বাবা আমাকে বললেন, ‘দ্যাখছস ইসমাইল তো সারাদিন টইটই করে বেড়ায়, আর বগা-ডাহুক ধরে। তারপরও তার রেজাল্ট ভালা।’ বাবা আরও কিছু বলতে যাবেন, মা থামিয়ে দিয়ে বললে, ‘আহ! আপনে এসব কী শুরু করেছেন, এমন দিনে এসব কয় কেউ?’ মায়ের কথায় বাবা থেমে গেলেন। আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
বাকি সব নাম ঘোষণা শেষ হলে আমি পেছন থেকে হাত তুলি। স্যার বলেন, ‘কী? কিছু বলবি?’ বলি, ‘জি স্যার। আমার নাম তো বলেননি। আমি পাস না ফেল, কিচ্ছু বুঝিনি স্যার।’ অন্যসময় হলে হয়তো হেডস্যার ক্ষেপে যেতেন, বলতেন কান ধরে দশমিনিট দাঁড়িয়ে থাক। আজ ক্ষেপলেন না। খুব নরম স্বরে কাছে ডাকলেন। গেলাম। বললেন, ‘তুই এতই ছোট্ট যে, যেমন তোকে অন্যদের আড়ালে দেখা যায় না, তেমনি তুইও কারও কথা ঠিকমতো শুনতে পাস না। তোর যখন এত সমস্যা, তখন পেছনে গেলি ক্যান? সামনেই তো বসতে পারতি।’ বলি, ‘স্যার, সামনে জায়গা পাই নাই। তাই পেছনে বসেছি। আমি কি পাস করেছি?’ স্যার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, ‘হা রে তুইও পাস করেছিস। তুই পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিস।’
রেজাল্ট ঘোষণার পর খুব অল্প কয়েকজনেরই মন খারাপ ছিল। বাকিদের মধ্যে বেশ উৎফুল্লের ভাব। এবার রাস্তা দিয়েই বাড়ির পথ ধরি। চৌরাস্তা বাজারে যেতেই দেখা হয়ে গেলো আশরাফ মামার সঙ্গে। তিনি তখন ছিদ্দিক ডাক্তারের চা দোকানের সামনে। বললেন, ‘কী ভাগিনা, রেজাল্ট কী?’ বলি, ‘পাস করেছি।’ রোল কত—জানতে চাওয়ার আগেই বলি, ‘পাঁচ।’ তার আশেপাশে আরও কয়েকজন ছিলেন। তারা বললেন, ‘ও পাঁচ? এক-দুই-তিন নয়? এটা কোনো পাস হইলো? টেনেটুনে পাস মনে অয়!’ তাদের কথায় খুবই মর্মাহত হই। কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারি না। মাথা নিচু করে বাড়ির দিকে পা বাড়াই।
ঘরে বাবা-মাকে সালাম করে পাসের কথা বলতেই তারা দুজন আমাদের দুই ভাইকে বুকে জড়িয়ে নেন। ইসমাইলের রেজাল্ট আমার চেয়ে ভালো ছিল। তাই বাবা আমাকে বললেন, ‘দ্যাখছস ইসমাইল তো সারাদিন টইটই করে বেড়ায়, আর বগা-ডাহুক ধরে। তারপরও তার রেজাল্ট ভালা।’ বাবা আরও কিছু বলতে যাবেন, মা থামিয়ে দিয়ে বললে, ‘আহ! আপনে এসব কী শুরু করেছেন, এমন দিনে এসব কয় কেউ?’ মায়ের কথায় বাবা থেমে গেলেন। আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
আমাদের ওই সময়ে চৌরাস্তা বাজারে ছিদ্দিক ডাক্তারের দোকানে কেবল রসগোল্লা পাওয়া যেতো। হাটবারে বাজারে গেলে খাওয়া হতো। কিন্তু কেউ পরীক্ষায় পাস কলে তেমন মিষ্টি খাওয়ানোর প্রচলন ছিল বলে মনে পড়ে না। তবে, বাজারে বয়স্ক কারও সঙ্গে দেখা হলে তখন হয়তো বলতেন, ‘কই মিষ্টি খাওয়াও।’ অথবা বলতেন, ‘জিলাপি খাওয়াও।’ পরীক্ষা পাস উপলক্ষে কেউ বাড়িতে মিষ্টি বা জিলাপি কিছুই নিতো বলে মনে পড়ে না।
আরও আরও অনেক কণ্ঠের ভয়ার্ত চিৎকারে আমার কানে ঢুকে যাচ্ছে। সেই মর্মন্তুদ চিৎকার কানে ঢুকতে না ঢুকতেই দুই চোখে যেন রাজ্যের ঘুম নেমে আসতে থাকে।
ওই সময় আমাদের বাড়িতে বিশ-পঁচিশটি খেজুর গাছ ছিল। সন্ধ্যার আগে আগে বাটাল, খলুই ও মাটির ছোট কলসি কোমরে বেঁধে একেকটা গাছে উঠতাম। জায়গামতো উঠে পাটের রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে কোমর বেঁধে নিতাম আগে। এরপর ঠুকঠুক করে পাতলা করে গাছের সামান্য অংশ কেটে ঝুলিয়ে দিলাম কলসি। রাতভর একফোঁটা-একফোঁটা করে রস পড়তো। সকাল হলে কোনোটি পুরে যেতো, কোনোটিতে অর্ধেক হতো। ভোর হতে না হতে আবার সব গাছ থেকে রস নামিয়ে এনে উঠোনে চুলার কাছে এনে রাখতাম। বড় বড় ডেকচিতে দীর্ঘসময় ধরে সেই রস জ্বাল দিতেন মা। একসময় ঘন হয়ে আসতো। হালকা সবুজাভ রস ঘন হতে হতে একসময় লাল, এরপর খয়েরি রঙ ধারণ করতো। ব্যস মা চুলা দিতেন নিভিয়ে। তখন ওই রস জোলা গুড়ে পরিণত হতো। ওই গুড় হাটবারে হাটে উঠতো। বিক্রি করে তেল-নুন-পেঁয়াজ-রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেন বাবা।
সেদিন পরীক্ষা পাসের আনন্দে তাড়াতাড়ি গাছে কলসি বসাতে গেলাম। বাড়ির পূর্বপাশের বড় পুকুর পাড়ের খেজুর গাছগুলোয় আগে কলস বসালাম। এরপর কাঁধির ওপর যে কয়টি ছোট ছোট গাছ ছিল, সেগুলোতে কলস বসিয়ে দিলাম। বাকি থাকলো কাছারির দক্ষিণ পাশে যে পুকুর, সেই পুকুরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ছিল বেশ লম্বা একটি খেজুর গাছ। এবার দাঁড়ালাম সেই গাছের নিচে। হঠাৎ মনে হলো, এতগুলো গাছ কাটতে কাটতে বাটাল ভোঁতা হয়ে গেছে। একটু শান দিয়ে নেই। পুকুর পাড়ের বালিমাটিতেই বেশ কিছুক্ষণ ধরে বাটালে শান দিয়ে নিলাম। এবার কোমরে বাঁধা খলুইয়ে উপুড় করে রাখলাম বাটাল, সঙ্গে কাঠের হাতুড়ি। রস চুইয়ে চুইয়ে পড়ে গাছতলা যেমন ভিজে গেছে, তেমনি গাছও। পা পিছলে পড়ে যেতে পারি, সেই আশঙ্কায় খুব সন্তর্পণে উঠতে থাকি। কলস বসিয়ে আবার যথারীতি নেমে আসি। এবার পুকুর পাড় থেকে ধানক্ষেতে নেমেই তবে বাড়ির দিকে যেতে হবে।
কিন্তু গাছ থেকে নামলেও পুকুর পাড় থেকে হেঁটে আর জমিতে নামিনি। কারণ আমার একটি স্বভাব ছিল, উঁচুনিচু পথে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতাম না। উঁচু জায়গা থেকে নিচু জায়গায় যেতে হলে লাফ দেওয়া চাই-ই। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। পুকুর পাড় থেকে ‘ইয়া আলী’ বলে জমিতে দিলাম লাফ। সঙ্গে সঙ্গে খলুইয়ের বাটাল-হাতুড়ি ছিটকে পড়লো জমিতে। আর আমার বাম পা মাটি স্পর্শ করার আগেই তালুতে ঢুকে গেলো একজোড়া বিশাল আকারের খেজুর কাঁটা। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় আকাশ বিদীর্ণ করে ‘মা গো’ বলে দিলাম চিৎকার। তাতে হয়তো খোদার আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠেছিল এরপর কেবলই মনে হলো অজস্র গোখরা বা কেউটে সাপ বাম পায়ে ছোবল দিয়ে যাচ্ছে। তারই বিষে পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। চোখ খুলতে পারছি না। কে যেন জোর করে চোখের পাতা বুজে দিচ্ছে। প্রাণপণে চেষ্টা করছি তাকাতে। কিন্তু চোখ খুলতে পারছি না। ওই সময় মনে হলো কারা যেন চিৎকার করছে। কারা যেন দুপদাপ পা ফেলে এগিয়ে আসছে। ওরা কারা? আমার মা? মায়ের গলা শোনা যাচ্ছে, তার সঙ্গে হাজেরা আপা, তার সঙ্গে বাসন্তি, রাসেল, ইসমাইল। আরও আরও অনেক কণ্ঠের ভয়ার্ত চিৎকারে আমার কানে ঢুকে যাচ্ছে। সেই মর্মন্তুদ চিৎকার কানে ঢুকতে না ঢুকতেই দুই চোখে যেন রাজ্যের ঘুম নেমে আসতে থাকে।
চলবে…
জীবনের যতিচিহ্নগুলো-২৩॥ মোহাম্মদ নূরুল হক