[পর্ব-২১: প্রাইমারি স্কুল পর্ব]
নাক ফেটে যাওয়ার পর সপ্তাহখানেক বিছানায় শুয়ে থাকি। স্কুলে যেতে পারি না। তাই স্কুল ছুটির পর খোকন, ধনু কাকা, আজাদ, আনোয়ার, বেলাল, আবুল হোসেন প্রায় এসে দেখে যায়। খোঁজ-খবর নেয়। আর রাসেল সার্বক্ষণিক সহচর। সবাই জানতে চায়—এখন কেমন লাগছে? আগের চেয়ে একটু ভালো কি না। কবে স্কুলে যেতে পারবো—এসব। কিন্তু বেলাল আলটপকা প্রশ্ন করে—‘কী? কেমন লাগে?’ তার প্রশ্নে নিখাদ দরদ ছিল, সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন করার ধরন ঠিক হয়নি। তাই গা জ্বলে উঠলো—মনে হলো সে দুর্ঘটনায় আহত হওয়া নিয়ে বিদ্রূপ করছে। ক্ষেপে গেলাম—‘ওই ব্যাটা বলদ! তোরে কে আয়তে কইছে? কারও জান যায়, কেউ গান গায়! যাহ! বের হ।’ আমার ধমকে সর্বদা প্রাণোচ্ছ্বল বেলাল ‘ফুটো বেলুনের মতো চুপসে’ গেলো। এর-ওর মুখের দিকে তাকায়।
তার রক্ষাকর্তা হয়ে আভির্ভূত হয় ধনু কাকা ও আনোয়ার। দুজনে প্রায় সমস্বরেই আমাকে বলে, ‘এই ব্যাটা তুই বেলালরে ধমকাছ ক্যা? হেতে খারাপ কিছু কইছেনি? ভালোমন্দ জানতে চাইছে। হয়তো প্রশ্ন করতে জানে না। কিন্তুক হেতে তো তোরে আঙ্গোর চেয়ে বেশি ভালোবাসে।’ দুই সহপাঠীর সমর্থন পেয়ে বেলালের চোখ ছলছল করে ওঠে। আর আমি চরম লজ্জায় মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ বসে থাকি। আজাদ বলে, ‘নে বেলালকে স্যরি বল।’ কী আর করা—একান্ত অনুগত বাধ্য ছাত্রের মতো বলি, ‘স্যরি!’ সঙ্গে-সঙ্গে বেলাল জবাব দেয়, ‘নো স্যরি, ইটস ওকে। উই আর অলসো ফ্রেন্ডস।’ এরপর সবার চোখে এক ঝলক চোখ বুলিয়ে বলে, ‘তোরা কী বলিস?’ ধনু কাকা বোধ হয় এই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিল। এবার মওকা পেয়ে বেলালকে জব্দ করার চেষ্টা তার—‘আরে ইংলিশ ম্যান! এই তো ডিমপাড়া মুরগির মতো কক-কক বুলি ফুটছে।’ এবার সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। কিন্তু বেলাল বিষয়টি হজম করতে পারে না আর। রাগে গজগজ করতে করতে কাছারি থেকে বের হয়ে যায়। কাছারি থেকে বের হয়ে পেছন থেকে বারকয়েক ডাকি। কিন্তু সে কর্ণপাত করে না। দ্রুত পা ফেলে। হাঁটতে থাকে। কাছারির সামনের মাঠ পেরিয়ে রাস্তা, রাস্তা পেরিয়ে ধানক্ষেতের আল ধরে। অস্তায়মান লাল সূর্যের রশ্মিকে কপালে রেখে সে হাঁটতে থাকে। সন্ধ্যার আগে আগেই বাড়ি পৌঁছে যাবে। অথচ আনোয়ারের বাড়িও কাছাকাছি। অন্যদিন হলে দুজন একসঙ্গে যেতো। কিন্তু আজ সহপাঠীদের দেওয়া আঘাত হজম করতে পারেনি। ভগ্নহৃদয়ে নিঃসঙ্গ শেরপার মতো পথ চলেছে সে। এমন করে তার চলে যাওয়ায় আমার চোখ আর্দ্র হয়ে আসে। সে দৃশ্য আনোয়ারের চোখ এড়ায় না। বলে, ‘বন্ধুকে অপমান করার সময় হুঁশ থাকে না? এখন চোখে পানি ক্যান?’ জবাবে কিছুই বলি না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকি।
বার খোকনের হাত চেপে ধরে করুণ সুরে বলি, ‘ভাই না আমার। বিদ্যা কইলাম। গল্পটা শেষ করেই পরীক্ষার পড়া ধরমু। তবু বইটা দে।’ সে তো নাছোড়বান্দা। বলে, ‘পা ধরলেও দিমু না।’ একদিকে নাকের ব্যথা, অন্যদিকে মাথার যন্ত্রণা। কী করবো, বুঝে উঠতে পারছি না। আমি তো ক্ষীণস্বাস্থ্যের।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। কদিন পরই বার্ষিক পরীক্ষা। সবাই যার যার বাড়ি চলে যায়। কেবল রয়ে যায় খোকন। আর রাসেল তো আছেই। সন্ধ্যার পর হারিকেন জ্বালিয়ে পড়ার টেবিলে বসেছি। পাঠ্যবই নয়, পড়ছি আউট বই—সেবা প্রকাশনীর ‘রহস্যপত্রিকা’। একটি মজার গল্প পড়ছিলাম। গল্পের লেখক—শায়ের খান কল্লোল। গল্প—সম্ভবত ‘সকাল বেলার ফাঁকি’। গল্পে বলা হচ্ছে, কিভাবে সেভিং ক্রিমের জায়গায় টুথ পেস্ট আর টুথ পেস্টের সেভিং ক্রিমের ব্যবহার করে বাসায় হাসির কাণ্ড ঘটে। আমি গল্পে ডুবে আছি। গল্প পড়ি, মুখ টিপে হাসি। নাকের ব্যথায় খুব হাসতেও পারি না। আমাকে আউট বই পড়তে দেখে আসাদ ক্ষেপে যায়—‘কী রে, তোর কী হইলো? দুদিন বাদে বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রস্তুতি বাদ দিয়ে আউট বই পড়োছ কিল্লাই? কালাম মামারে কমু?’
তার কথায় গ্রাহ্য করি না। আমি খাটে বসা, আসাদ বসেছিল টেবিলের দক্ষিণ দিকে চেয়ারে। হঠাৎ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে একটানে নিয়ে গেলো ‘রহস্যপত্রিকা’। ঘটনাটা এত দ্রুত ঘটে গেলো, যে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে গেলাম। কী বলবো, বুঝে উঠতে পারছি না। গল্পটা তখনো পড়া শেষ হয়নি। পৃষ্ঠাখানেক বাকি। বলি, ‘প্লিজ খোকন, বইটা দে। আর মাত্র একপৃষ্ঠা। খুব ইন্টারেস্টিং গল্প। তুই যদি পড়তি, মজা পাইতি।’ পত্রিকা তো দেয়ই না, পরন্তু ঝামটা দিয়ে বলে, ‘অ। তোর ইন্টারেস্টিং গল্পের গুষ্টি কিলাই। এমনিতেই তো প্রত্যেক পরীক্ষায় অঙ্কে ডাব্বা মারিস। ইংরেজি টেনেটুনে পাস। লাজ-শরমও নাই। বেহায়া! এসব বাজে বই পড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছোস। এবার কালাম মামা বাড়িতে আয়লে যদি না কইছি, তখন দেখিস।’
খোকনের হুমকি-ধামকিতেও আমার ভেতর কোনো পরিবর্তন আসে না। আমি তখন মরিয়া হয়ে মিনতি করি, ‘প্লিজ। জাস্ট একটা পৃষ্ঠা বাকি। ওই পৃষ্ঠা পড়ে ড্রয়ারে রেখে দিমু। আর পড়মু না। পরীক্ষার পড়া ধরমু।’ আমি যতই অনুনয় করি, খোকন ততই ইস্পাতকঠিন হতে থাকে। বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকায়। বলে, ‘এসব ফালতু বই তোরে স্বর্গে নিবো? পরীক্ষায় পাস এনে দিবো?’
ভেবে দেখলাম তার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু মন বলছে, যতই যুক্তি থাকুক, তাতে দরদ নেই। খোকন নিষ্ঠুর। নি্র্দয়। বন্ধুর মনের মূল্য দিতে জানে না। কী করি, কী করি। এদিকে আমার অসহায় অবস্থা দেখে রাসেল-ইসমাইল—দুজনেই ফুসুর-ফুসুর শুরু করে দিয়েছে। তাদের ভাষ্য অনেকটাই এমন—‘আমরা কইলে তো শোনে না। আজ খোকন ভাইছার লগে দেখি কী করে?’ আমি তাদের দিকে তাকাই। দেখি—চোখে দুষ্টুমি-প্রতিশোধের হাসি। আমি একা। নিরুপায়। ভাবি—ও্ই দুটারে আগে ঘর থেকে বের করতে হবে। তারপর একটা ব্যবস্থা। এই গল্পের শেষটা পড়তে না পারলে মাথাব্যথা করবে। যখন উত্তেজিত হয়ে যাবো, তখন আবার তোতলামি দেখা দেবে। ভয়ঙ্কর ব্যাপার। আমি তো ভালো হয়ে গেছি। কেবল উত্তেজিত হলেই তোতলামি ফিরে আসে। কিছু বলতে না পারলে কপালের দুই পাশের শিরা টনটন করে। চোখ ফেটে জল আসে। খোকন এর সবই জানে। তবু, তার দিলে দয়া হয় না। সে যেমন মেধাবী, তেমনি পরিশ্রমীও। সারাবছর যা-ই পড়ুক, পরীক্ষার আগে রাতদিন এক করে ফেলে। আজ সে আমাকে ছাড় দেবে না। পরীক্ষার পড়া পড়াবেই। হুমকি দিয়েছে—যদি না পড়ি, তাহলে কোনো দিন আমাদের বাড়িতে আসবে না। আমাকেও তাদের বাড়িতে নেবে না। কিন্তু গল্পটা তো শেষ না করলে আমার মাথাব্যথা শুরু হয়ে যাবে। নাহ! আর বেশি দেরি করা যাবে না। ড্রয়ার থেকে ৫ টাকা বের করে রাসেলেদের দিয়ে বলি—‘ক্ষুধা লেগেছে। বাজার থেকে মিষ্টি মুড়ি নিয়ে আয় এক প্যাকেট।’ তখন ৪ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট মিষ্টি মুড়ি পাওয়া যেতো। বলি, ‘মুড়ি কেনার পর বাকি একটাকা তোরা নিস। যা। দৌড় দে।
আমার হুকুম পেয়ে দুজনেই বাজারের দিকে ভো-দৌড়। এবার খোকনের হাত চেপে ধরে করুণ সুরে বলি, ‘ভাই না আমার। বিদ্যা কইলাম। গল্পটা শেষ করেই পরীক্ষার পড়া ধরমু। তবু বইটা দে।’ সে তো নাছোড়বান্দা। বলে, ‘পা ধরলেও দিমু না।’ একদিকে নাকের ব্যথা, অন্যদিকে মাথার যন্ত্রণা। কী করবো, বুঝে উঠতে পারছি না। আমি তো ক্ষীণস্বাস্থ্যের। বিপরতীতে খোকনের স্বাস্থ্য আমার ডাবল। ফলে তার সঙ্গে কুস্তিতে যাওয়া আর সিংহের সঙ্গে খরগোসের মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া একই কথা। তার শেষ কথা আমার কানে বাজতে থাকে। বাজতে থাকে। বাজতে থাকে—‘পা ধরলেও দিমু না’। মনে মনে বলি—দেখি তুই কত নিষ্ঠুর হতে পারিস। যেই ভাবা, সেই কাজ। তার হাত ছেড়ে দিলাম। তখন খোকন বসেছিল আমার পাশেই। এবার তা হাত ছেড়ে হাঁটুতে হাত রাখি। বলি—‘ভাই না। তোর পায়ে ধরলাম। তবু বইটা দে।’
পায়ের তলায় মুর্ছা যাচ্ছে খেসারির ডালের নরম কচি কচি চারা। আর টকাস টকাস শব্দে ফেটে যাচ্ছে আধা-কাঁচা নাড়ার গোড়া। পেছনে কারা যেন বলছে, ‘ধর ধর ধর’।
খোকন কী করবে, বুঝতে উঠতে পারে না হয়তো। কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার চোখে জল যেন টলমল করে। বইটা টেবিলে রাখে। বলে, ‘নে। ওই একপাতাই কিন্তুক। এর বেশি না। এরপরই পরীক্ষার পড়া পড়তে হবে। কথাটা যেন মনে থাকে।’ বই ফেরত পেয়ে তো আমি স্বর্গ পেয়ে গেছি। খোকন যা বলে, আমি তাতেই গদগদ। হ্যাঁ-হ্যাঁ বলে যাই। আর গল্পের বাকি অংশ পড়ে যাই। একসময় গল্প শেষ হয়। ‘রহস্যপত্রিকা’ ড্রয়ারে রেখে তালা মেরে দেই।
ততক্ষণে রাসেলরা মিষ্টি মুড়ি নিয়ে হাজির। মুড়ি খাওয়া শেষ হলে ফের খোকন বলে, ‘কই পড়বি না?’ বলি, ‘পড়বো। আজ হাটবার না? কতদিন বাজারে যাই না। চল একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি।’ এবার খোকন আর ‘না’ করে না। বলে, ‘চল’। তবে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। একটু ঘুরে-ফিরেই চলে আসবো। ঠিক আছে?’ বলি, ‘ঠিক আছে বাবা। এখন চল।’
বাজারে এসে সমবয়সী কাউকে পাই না। ততক্ষণে এশার নামাজের আজান পড়ে গেছে। বয়স্করা সব মসজিদের পথ ধরেছেন। মাঝবয়সীরা বাজারের পশ্চিমপাশে বাবলুদের মুদি-দোকানের সামনে ভিড় করেছেন। লক্ষ্য—বিটিভির আটটার সংবাদ। আর রাস্তার উত্তর পাশে বাদামঅলা বসেছেন। আমাদের বয়সীদের ভিড় সেখানেই। তার পাশেই কড়ই-আম-জাম গাছ ছেরা কাঠ। কারা যেন করাতকল থেকে এনে রেখেছে মাত্র।
একটাকার বাদাম কিনে খাওয়া শুরু করেছি মাত্র, অমনি বাদামের ঠোঙাটা খাবলা মেরে কে যেন নিয়ে গেলো। ডান দিকে ঘুরে দেখি সেলিম। বলি, ‘কী ব্যাপার? বাদাম খাইলে খাইবি। এ রকম করে কেউ নেয় নাকি? ব্যাটা ফাজিল। বাদাম দে।’ সেলিম বত্রিশ দাঁত বের করে হাসে—‘খোকন দ্যাখ-দ্যাখ। স্কুলের কোণায় আছাড় খাইছে যে দুদিন অয় নাই। সব ভুলি গেছে। আমারে ধমক দেয়! এবার এমন আছাড়া দিমু, নাক তো অর্ধেক ফাইটছে। আছাড় খাইয়া পুরাটাই ফাইটবো।’ সেলিমের কথায় যেন বিপদের গন্ধ পায় খোকন। সে দুজনের মাঝখানে এসে দাঁড়ায়। বলে, ‘না। দুদিন বাদে পরীক্ষা। এখন নো মারামারি।’ কিন্তু ততক্ষণে আমি এতটাই উত্তেজিত—সেলিম যে আমাকে প্রথম দেখায় আছাড় দিয়েছিল, তার প্রতিশোধ নিতে থত্থর করে কাঁপতে থাকি। ইতোমধ্যেই খোকনকে জড়িয়ে ধরে সেলিম উড়ন্ত লাথি বসিয়ে দেয় আমার কোমরে। খোকন একহাত ছিটকে দূরে দাঁড়ায়। এখন সেলিম ও আমি মুখোমুখি। লাত্থি খেয়ে আমি গুলি খাওযা বাঘের মতো গোঁ-গোঁ করতে থাকি। তোতলামি শুরু হয়ে গেছে। কোনো কথাই আর বলতে পারছি না। ঝাপটে ধরি সেলিমকে। সে কৌশলে আমাকে পেছন থেকে ধরে ফেলে। নিচে ফেলার চেষ্টা করে। আমিও কম যাই না। মাথাটা সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকিয়ে আনি, এরপর প্রচণ্ড ঝড়ের গতিতে মাথার পেছন ভাগ দিয়ে তার নাকের ওপর আঘাত করে বসি। সে ‘ও মা-গ গো’ বলে এক মর্মন্তুদ চিৎকার দিয়ে পড়ে যায় কাঠের ওপর। শুরু হয় রোনাজারি-গড়াগড়ি। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। খোকন প্রমাদ গুনতে থাকে।
হঠাৎ দেখি পূর্ব দিক থেকে ছুটে আসছেন হেড স্যারও। খোকন খপ করে আমার হাত ধরে। বলে, ‘দৌড় দে। পালাই।’ আমাদের বাড়ি বাজারের দক্ষিণ দিকে। কিন্তু দুজন এতটাই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ি যে, রাস্তা ফেলে জমিতে নেমে পড়ি। দৌড়াতে থাকি উত্তর দিকে। যে দিকে ধনু কাকাদের বাড়ি। আমরা দজুন ছুটছি রুদ্ধশ্বাসে। পায়ের তলায় মুর্ছা যাচ্ছে খেসারির ডালের নরম কচি কচি চারা। আর টকাস টকাস শব্দে ফেটে যাচ্ছে আধা-কাঁচা নাড়ার গোড়া। পেছনে কারা যেন বলছে, ‘ধর ধর ধর’।
চলবে…