পর্ব-১৫
অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পান রেবেকা সুলতানা কেয়া। স্কুলের গার্ড-পিয়নদের তত্ত্বাবধান বাড়তি দায়িত্ব। বলা যায়, স্কুলের নিরাপত্তাপ্রধান। ৯টা-৫টা অফিস। নির্ধারিত সময়ের পর রাতের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রহরীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আরও ঘণ্টাখানের থাকেন। বাড়তি সময় না থাকার বিষয়ে যদিও প্রিন্সিপালের কড়া নির্দেশনা রয়েছে। ড. অংকন দারোয়ান-পিয়নদের এই বাহিনীর নাম দিয়েছেন সিকিউরিটি কাউন্সিল সংক্ষেপে এসসি।
প্রিন্সিপালের রুমে গল্প করছিলেন অংকন-রকিব। এসসি চিফের প্রসঙ্গ তুলে অংকন বলেন, তোর কাজকর্মের আগামাথা বুঝি না, কি করিস এসব? উল্টাপাল্টা লোকজনকে চাকরির জন্য স্লিপ দিয়ে পাঠাস, ব্যাপার কী?
– কার কথা বলছিস?
– কে আবার এসসি চিফ। সিকিউরিটি কাউন্সিলপ্রধান কেয়ার কথা বলছি।
– পদের নাম তো সম্মানজনক ভালোই দিলি, নিরাপত্তা পরিষদ প্রধান। বাহ্ অসাধারণ, তোকে দিয়ে হবে রে দোস্ত। কী সমস্যা তার? ঝামেলা কিছু?
– ঝামেলা-টামেলা না, কাজ ঠিকই আছে, কিন্তু এই রূপবতীকে বয়েজ স্কুলে চাকরি দেয়া কি ঠিক হলো। সব ছেলে-পুরুষের মাঝে নায়িকার মতো একটা মেয়ে ঘুরে বেড়ায়, চোখে কেমন কটকটে লাগে।
– কথাটা কেমন কওমি টাইপের হয়ে গেল না? চার-পাঁচটা আয়া স্কুলে দিনে-রাতে ঘুরে বেড়ায়, তাতে সমস্যা নেই, মেয়েটা সুন্দর হওয়ায় সমস্যা?
– ব্যাপারটা ঠিক বোঝাতে পারছি না, মানে তার দিকে তো ইচ্ছা-অনিচ্ছায় চোখ চলে যায়, নিজের কাছেই অস্বস্তিবোধ। বাইরের লোকজন এলেও তার দিকে তাকিয়ে থাকে, কিছু বলতেও পারি না।
– অন্যের কথা বাদ দে, নিজের সমস্যার কথা বল। তোর ভাবিকে নিয়ে আয়, রসায়নের সার্কুলারে দুটি নারীর সিভি দেখলাম। ড. ইলোরাসহ ওই দুজনকে নিয়োগ দিয়ে দে, দৃষ্টি চৌধারায় বিভক্ত হয়ে যাক।
– আবাসনের ব্যবস্থা হলে তাই করা দরকার। ভাবির সঙ্গে তোর যোগাযোগ হয়েছে নাকি?
– আরে না বোকা। এমনি বললাম। কন্যা ই-মেইলে চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে লিখেছে, তার মা সামনের মাসে দেশে আসছে, তিন মাস থাকবে। মেয়ের পরীক্ষা শেষে ফিরে যাবে। তাই ফান করলাম।
– ফান নয়, ভাবি এলে সত্যি সত্যি তাকে নিয়ে আসব।
– তাকে পুষতে পারবি না, বেতন অনেক। অত টাকা দিতে পারব না, পরে স্কুলের ভবন বেচতে হবে।
– আমার নিজের বেতন কমিয়ে দেব, ভাবির সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেব।
– তুই দেখি সিরিয়াস, তবু লাভ নেই, সে মরে গেলেও এই গ্রামে আসবে না। বাদ দে এসব আলাপ, সিকিউরিটি কাউন্সিল চিফকে ডাক। সে এলে তুই পাঁচ-ছয় মিনিট পর বেরিয়ে যাবি, তার সঙ্গে মামলার বিষয়ে গোপনীয় আলাপ আছে, তোর সামনে বলবে না।
কেয়া কক্ষে ঢোকেন। ব্রাউন শাড়িতে চার ইঞ্চি গাঢ় খয়েরি পাড়, কালো থ্রি-কোয়ার্টার ব্লাউজ, কালো পেটিকোট। চোখে কাজল মাখা, চুল সামনে থেকে টেনে পেছনে রাবার ব্যান্ড দিয়ে শক্ত করে বাঁধা। ঠোঁট রঙের হালকা লিপস্টিক ঠোঁটে।
রকিব জিজ্ঞেস করেন, কেমন চলছে অফিস? কাজ বুঝে নিয়েছেন?
– জি স্যার ভালো। সবে তো সাত দিন। প্রিন্সিপাল স্যার যা করতে বলছেন, তা করার চেষ্টা করছি।
– ড্রেসকোড কি প্রিন্সিপাল স্যার ঠিক করে দিয়েছেন?
– জি না স্যার। পুরো স্কুলে পাঁচজন আয়া, আমিসহ ছয়জন মহিলা। সাতজন পুরুষ গার্ড। আমরা নিজেরাই ঠিক করেছি। এতে কাজের সুবিধা, আমাদের চিনতে-ডাকতেও সহজ।
– প্রিন্সিপাল স্যার আপনাকে অফিশিয়াল ফাইলপত্রের কাজও দেবেন, বোঝার চেষ্টা করবেন। আরেকটা কথা, আপনি আয়াদের রঙের শাড়ি পরবেন না, আপনি অফিস সহকারী, ড্রেসকোড করেছেন ভালো, তবে আপনার কাপড়ের কালার একটু ভিন্ন হবে। নিজের ইচ্ছেমতো কাছাকাছি রং ঠিক করে নেবেন। অংকন, তুই কিছু বলবি?
– না। মামলার বিষয়ে ওনাকে কি যেন বলবি বলেছিলি, আলাপ সেরে নে, আমি ক্লাসে গেলাম।
অংকন বেরিয়ে যান।
– কেয়া, আপনার নিয়োগ স্কেলে হয়েছে, এই বেতন বছর বছর বাড়বে। স্কুলে বা বাইরে কোনো ঝামেলায় পড়লে প্রিন্সিপাল স্যারকে সরাসরি বলবেন, তাকে না পেলে আমাকে খুঁজে জানাবেন।
– ঝামেলা আছে স্যার। জাফর উল্লাহ স্যার আমাকে শাসিয়ে গেছেন, আমার নাকি রক্তমৃত্যু হবে। মুমিন মুসলমানের সঙ্গে বেইমানি আল্লাহ পাক পছন্দ করেন না।
– রক্তমৃত্যু কী?
– মুখে রক্ত উঠে যে মৃত্যু তাকে রক্তমৃত্যু বলে।
– জাফর আর কী বলেছেন?
– ওনার এক বন্ধু আছেন, নাম রমিজ। ভয়ংকর ডাকাত। সে আপনার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে রেখেছেন অনেক আগে, এতদিন জাফর স্যার বাস্তবায়ন করতে দেননি। ইদানীং ডাকাত রমিজ নাকি তার অনুরোধ আর শুনছেন না। তাই কখন কি হয় বলা মুশকিল।
উনি স্বপ্নে দেখছেন, আপনার আয়ু নাকি ফুরিয়ে আসছে। রমিজ বন্দুক নিয়ে আসছে আপনার জান নিতে। তাতে নাকি বাধা দিছেন প্রিন্সিপাল স্যার। দুইজনের গোলাগুলিতে তার ঘুম ভাঙে।
– জাফরের উদ্দেশ্য কি কথাগুলো আমাকে পৌঁছানো, নাকি রক্ষা করা?
– এ ক্ষেত্রে ধোঁয়াশা আছে, তাকে উদ্বিগ্ন মনে হয়নি। আপনি কি ভাবছেন স্যার?
– আমি জাফর-রমিজকে রক্ষা করতে চাচ্ছি, তারা আমার থিসিসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারা একের পর এক যা করছে, টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তারা গ্রেপ্তার হলেও আমার ক্ষতি। থিসিস জমা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যবেক্ষক বোর্ড তাদের তালাশ করবে, সে পর্যন্ত তাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। তারা এরপর কোনো কাণ্ড করেই গা-ঢাকা দেবে অথবা গ্রেপ্তার হবে, তখন কাজটা কঠিন হবে। আর মাত্র দুই মাস।
– আমার কিছু করার আছে?
– হুম। সাবধানে থাকবেন। ওরা যা ইচ্ছা করে ফেলতে পারে, আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না। অন্তত দুই মাস কোনো অঘটন ছাড়া পার করতে হবে। অংকন স্কুলের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব আপনাকে দিয়ে ভালো করেছে, এত দিন সব অরক্ষিত ছিল। নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দিন। আর শুনুন, আগামী সপ্তাহে আমার সাবেক কলিগ ড. ফাহমিদা আসবে স্কুল পরিদর্শনে, থাকবে সার্কিট হাউসে। সে অনেক কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইবে, সবকিছু যে জানাতে হবে তা নয়, আবার এড়িয়ে যাওয়াও ঠিক হবে না, বুঝে-ভেবে আলাপ করলেই চলবে।
ফাহমিদা এলেন না, সপ্তাহ শুরুর দিন বেলা ১১টায় মর্জিনা হাজির। সোজা ঢুকলেন প্রিন্সিপালের রুমে। রকিব অবাক হতেও ভুলে গেছেন। নির্বোধ প্রশ্ন, আরে ম্যাম আপনি? হঠাৎ শব্দটাকেও হার মানালেন। অত বড় মাপের মানুষ আগাম পূর্বাভাস ছাড়া এলে গৃহস্থ বিব্রত হওয়াই স্বাভাবিক, তাই না?
– মিস্টার রকিব বিব্রত হলে কেমন দেখায় তা দেখার ইচ্ছে হলো। ইচ্ছেটা স্বাভাবিক কিনা জানি না। তোমার মোবাইল বন্ধ রাখা স্বাভাবিক ধরে নিলাম আপাতত।
– না, কিছুই স্বাভাবিক নয়। পরিচয় করিয়ে দিই- আমার বন্ধু ড. অংকন, স্কুলের প্রিন্সিপাল, তার বিষয়ে আপনি জানেন। আর ইনি মর্জিনা বেগম, বিখ্যাত উচ্চাঙ্গসংগীত শিল্পী। রেডিও-টিভি দেখা-শোনার অভ্যাস থাকলে আমার পরিচয় করিয়ে দিতে হতো না।
– আপনার বন্ধু বর্ণনা এক ধাপ বাড়িয়ে, টিভিতে তত দেখা যায় না, বেতারে এখন তেমন কেউ যায় না বলে ডাকে, নিয়মিত প্রোগ্রাম পাই।
অংকন বলেন, রকিব প্রশংসায় কৃপণ। আপনার বিষয়ে কিছুটা তবু বলল, কারণটা ধরতে পারছি না। তার সবাইকে আমি জানি, আপনার বিষয়ে কখনো কিছু বলেনি, এই না বলাটাও রহস্যজনক। তবে আপনার মুখে শুনব না, সে কখনো বলে কিনা অপেক্ষায় থাকলাম।
– রহস্য বা জটিলতা কিছু নয়, রকিবের কাছে আমার কোনো গুরুত্বই নেই, তাই বলেনি।
রকিব বলেন, আমার বিষয়ে দুজনে ইচ্ছেমতো মন্তব্য করলে তো হবে না, আমাকেও বলতে দিতে হবে। কিছুদিন আগে ভয়ংকর ঝড়ের রাতে এই গাইকা আমার প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সেই রাতসহ তিনরাত তিনদিন আমার ভরণপোষণ করেছেন। গান যে স্পর্শ করা যায়, এই ম্যামের সঙ্গে রাত না কাটালে অজানা থাকত। শুধু গান নয়, জীবনবৈচিত্র্যে ভরপুর, কত যে দিক-বাঁক-উঁচু সবই অজানা। একটা জীবন পড়ে থাকে, তাকে জয় করতে হয়, উপভোগ জানা লাগে। বিষাদের উল্টো দিকে উৎসব, তা উল্টে তো অন্তত দেখতে হবে। তোকে সেই কয়েক ঘণ্টার উপলব্ধি বলতে যতটা সময় প্রয়োজন তা পাইনি।
পরে দীর্ঘ সময় নিয়ে পুরো গল্প শুনব বলে অংকন ক্লাসের দিকে যান।
– ড. অংকন যা বোঝার বুঝে নিয়েছেন, আর বলতে হবে না। শোনো রকিব, আমি দুই দিন তোমাদের শহরে থাকব। রাতে ঘুমোব সার্কিট হাউসে, ডিসির সঙ্গে কথা বলে এসেছি। আজ এই গ্রামে থাকব, কাল ভোরে উপকূলীয় এলাকায় যাব, কোনো কাজে নয়- ঘুরতে, তুমি যাবে? তোমার কাজ থাকলে না গেলেও সমস্যা নেই।
-হুম, যাব।
– চলো তবে, গ্রাম ঘুরে শহরে যাই। তবে শাড়ি চেঞ্জ করতে হবে আগে।
– এখনই চলুন, ঘোরাফেরার দরকার কী?
– তত সমস্যা নেই। প্রিন্সিপাল স্যারের ওয়াশরুমে গেলেই চলবে আপাতত। আমি আসছি তবে।
রকিব অপ্রস্তুত। সিআইএর প্রভাবশালী কর্মকর্তা হাজির। ডিসি জেনেছেন, এরই মধ্যে এনএসআই, ডিজিএফআইর নজরদারি শুরু হয়ে গেছে। সিআইএর আরও কতজন যে আশপাশে আছে। নিরিবিলি লুকিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এই গোয়েন্দা কি মিশন নিয়ে এসেছেন বোঝা কঠিন। তাকে এড়িয়ে চলার প্রতিশোধ নেবেন কিনা কে জানে।
– মর্জিনা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে মত বদলে বলেন, এখানেই কিছু সময় বসে শহরে চলে যাব। কথা বলা যাবে? সমস্যা নেই তো?
– সমস্যা কিসের?
– তোমাকে ফোনে না পেয়ে ছুটে এসেছি। তুমি নিজেই ভয়ানক একটা সমস্যা। নিজের সুবিধামতো মোবাইল বন্ধ করে রাখো, কেউ যোগাযোগ করতে পারে না। শোনো, তুমি রাশিয়ার নানা প্রকল্পে কাজ করেছো এবং এখনো করছো, তার মানে তুমি তাদের অনেকটা এজেন্টের মতো। আমি সিআইএর লোক এটা তুমি জেনেছো, খুবই ভালো কথা, ব্যাপারটা গোপন রাখার বিষয় কি আমাকে বলে দিতে হবে? এটা তো সাধারণ স্মার্টনেস। তোমার-আমার সাক্ষাতের বিষয়ও গোপন রাখতে পারছো না।
– আমি তো কাউকে বলিনি।
– এবার শিশুদের মতো কথা বলছো। সব বিষয়ে উদাসীন হলে চলে না রকিব।
– আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
– আইটি হেলাফেলার বিষয় নয়। তুমি আমার ঘরে যা যা করেছো, সব রেকর্ড আছে। তোমার জিমেল, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকসহ সব আইডির পাসওয়ার্ড আমি জানি। তোমার সব ই-মেইল আমি পড়ি, যত পড়ি তত অবাক হই। এমনকি তোমার ডেস্কটপও আমি টেকওভার করেছি। আমি সব দেখছি তো প্রাথমিক ক্ষতি, অন্য গোয়েন্দারাও দেখছে, সর্বনাশ কোথায় গিয়ে ঠেকছে বুঝতে পারছো? তোমার ঠোঁট নাড়া, ইশারা সবকিছু মনিটরিং হয় জানো? তুমি থিসিসের খসড়ায় আমার বিষয় উল্লেখ করেছো, ভালো কথা। তা ফাহমিদাকে পাঠিয়েছো, কতটা ভালনারেবল কাজ করেছো বোঝো? বোকামির একটা সীমা থাকা দরকার। ফাহমিদাটা কে? এই সেনসিটিভ ইস্যু তাকে পাঠাতে হবে কেন?
আমার ধারণা, তোমার সব কার্যক্রম অবশ্যই এনএসআই, ডিজিএফআই জানে। এতদিন ওরা চুপ করে আছে কেন বুঝতে পারছি না। তোমার ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা লুট হয়ে যাওয়ার কথা অনেক আগেই, কারণ আমি নিজেই অনটেস্ট দুই লাখ টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে নিয়েছি পনেরো দিন আগে, তুমি টেরই পাওনি। পাবে কীভাবে, তুমি মেইল রিড করো না। ই-মেইল কেউ ওপেন করলেও তোমার মনে প্রশ্ন জাগে না। আর মোবাইল তো বন্ধই থাকে। কেমন অদ্ভুত লোক তুমি।
আমি আসার পথে সব পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে দিয়েছি। জিমেইলের পাসওয়ার্ড মোবাইলে টেক্সট করেছি। মেইল খুললে সব পাবে, নতুন পাসওয়ার্ড দিও। মনে রেখো, অফিশিয়ালি তোমার ঘোর শত্রু আমি। আমেরিকা-রাশিয়া বলে কথা।
তোমার থিসিসের খসড়া পড়েছি। ভালো লেগেছে। মেন্ডেলিজমের আরেকটু ব্যাখ্যা দরকার। ক্রোমোজোমের বিন্যাস, অর্থাৎ জননকোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। আর পঞ্চাশের মন্বন্তরের ভয়াবহতার বর্ণনা আরেকটু দিতে হবে। কারণ, থিসিসের ফোকাস ওই সময়টা।
– আপনাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছি।
– কতটা পোড়াচ্ছো, সার্কিট হাউসে গিয়ে বলছি। তোমার দুই লাখ টাকাও এনেছি সঙ্গে। এখন চলো।
চলবে…
খলিশাপুরের কুকুরগুলো এবং রকিবের থিসিস-১৪॥ মুস্তফা মনওয়ার সুজন