নতুন শতকে নতুন কবি মামুন রশীদের কবিতা নিয়ে দুই কথা বলতে চেয়েছি এ কারণে যে, আমরা মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে রয়ে গেছি পুরনোয়। পুরনো নিয়ে আর যে নতুনে হাঁটা যাবে না, এই কথাটি এখনো মনে-প্রাণে গ্রহণ করে নতুন হয়ে উঠতে পারছি না। জীবনের সব ক্ষেত্রেই যে এই জগদ্দল চেপে বসে আছে, তা থেকে ত্রাণ যতদ্রুত মিলবে, ততই সব দিক থেকে মঙ্গল। কারণ অভ্যেস-রুচির বদলটা খুব জরুরি। জরুরি বলেই আমাদের বদলাতে হবে। কায়েমি স্বার্থের মতো কেউ কেউ বদলকে গ্রহণ না করে নতুনের বাদ্য বাজান যত্রতত্র। আর টিকিয়ে রাখতে চাইছেন সেই ব্যবস্থাটি, যা মানুষকে পশ্চাৎপদ রাখে এবং শোষণ শাসনের ক্ষেত্র তৈরি করে। নতুন তারা দিতে পারঙ্গম হন না বা দিতে চান না। বাস্তবে নতুন পেতে হলে যেতে হবে নতুন মানুষের কাছে। পুরনোপন্থীরা নয়। দুই একজন কিছুটা ঝলকে উঠছেন, জানি না তারা কতটুকু প্রতিকুলতা কাটিয়ে তাদের ভুবন তৈরি করতে পারবেন। এজন্য সাহসের দরকার।
একসময় মলয়রায় চৌধুরী এই নতুনেই প্রবেশ করতে গিয়ে ভুগেছেন, কিন্তু তার ভাবনা এক্কেবারে বিফলে যায়নি। যদিও অনেক জঞ্জাল তৈরি হয়েছে নতুনের নামে, সে হয় কিন্তু কবিতার শরীর ভাঙার যে ক্রিয়া তিনি শুরু করেছিলেন, আজকের আধুনিক কবিরা সে দিকে ফিরছে অনেকটা। হয়তো আমাদের এই শতকের কবিরা কবিতার বিষয়ে, রূপে, উদ্দেশ্যে জীবনসত্যকে প্রতিষ্ঠা দিতে পারবেন স্লোগানে নয়, উগ্ররাজনীতির ভাষায়ও নয়, শিল্পের নান্দনিক পাঠে। কারণ কবিতায় নতুন দর্শন যুক্ত হচ্ছে। রবীন্দ্র দর্শন নয় বরং ফ্রয়েড, লাঁকার মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ। তরুণ কবিরা হাইডেগার কিয়ের্কেগাদ ও শশ্যুর ভাষাতত্ত্ব ফ্রয়েডের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে চান। আমরা কোথাও কোথাও তার প্রয়োগও লক্ষ করি। অস্তিত্ববাদ, পরাবাস্তবতাবাদ, অধিবাস্তবতাবাদ, কাঠামোবাদ ও উত্তরাধুনিকতা তাদের কাব্য শরীরে চিহ্নিত করা যায। এই হলো আশা। আবার হতাশারও কারণ আছে। না বুঝে, না শুনে, না পড়ে ও জেনে একটা বিভ্রান্তির প্রয়োগও সৃষ্টিকে শিল্পগুণচ্যুত করতে পারে। হতে পারে জগাখিচুড়ি। তবু সম্ভাবনার সুর শানাইটি অনেকটাই বাজতে শুরু করেছে এই সময়ের কবিদের লেখায়।
কবিতার জন্য কবির সময়কাল নির্ণয় প্রয়োজন। এমনকী কবির উচিত, তার কবিতাটির রচনাকালকে কবিতার সঙ্গে যুক্ত করা। যেন যে কেউ কবিতায় তার শুরুর সময়টা জেনে নিতে পারে, এ কারণে যে তার সময়ে সমাজ-রাষ্ট্র-রাজনীতির কিরকম ঘূর্ণাবর্তের প্রতিফলন ধারণ করে আছে, চিন্তা ও চেতনায় তা আলোক ফেলতে পারছে। তা জানা প্রয়োজন। জরুরি হচ্ছে তার কাব্যকৃতি নিয়ে পাঠক প্রতিক্রিয়া কেমন তা যেকোনো কবি লেখকের জন্য প্রস্তুতিতে দরকারি।
কবি লেখেন তার সময়কালে নিজের দেখা, শেখা, অনুধাবন, অনুধ্যান ও অনুভব। আর সে কারণে একজন কবি তো আজ শুরু করে আজই তার প্রকাশ শেষ করেন না, তাই তাকে কোনো একটা সময়ের বৃত্তের অনুধাবক বলে চিহ্নিত করার একটা অর্থ থাকে। ।শুরু কোনো একসময়ের, পাকাপোক্ত হয়ে বা কবিতায় নিবেদিত থেকে প্রকৃত কবি হিসেবে টিকে থাকেন আর ক’জন। যারা লিখছেন, তারা স্ব-স্ব কর্মের প্রতি অন্যের দৃষ্টিপাতের প্রসঙ্গ ঘটলে আনন্দিত ও উৎসাহী হবেন—এই হলো আশা।
আজকের সাহিত্য কাব্যশিল্প যেমন মানুষের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য থেকে উদ্ভূত ভাবভাবনা দর্শন বিজ্ঞান ও মনস্তত্ত্বকে ধারণ করে এক গভীর বোধ সৃষ্টি করতে সক্ষম হচ্ছে অতীতকালের সৃষ্টিতে, তেমন সন্নিবেশ অনেকখানি কম। আর এ কাজগুলো সৃষ্টিকে অতীত থেকে আলাদা করে দিয়েছে। আজ আর পুরানো চিন্তা-চেতনা-প্রকাশ মানুষের রোচ্য নয়। নতুনরা সেই স্বর ও সুরকে ভাঙছেন, কিন্তু কাঠামোটা এখনো যৌক্তিক পর্যায়ে বদল ঘটেনি। সে খুব সহজ কাজও নয়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ যে তার সৃষ্টিতে বিপুল বিস্ময় যুক্ত করতে পেরেছিলেন, সে তার অসম্ভব মেধা ও বিশ^সাহিত্য সম্পর্কে পড়াশোনা আত্মস্থ করার ফল। তার মনোজগৎ নিবদ্ধ ছিল এক অতিন্দ্রীয় জগতের দিকে। তার গীতিকাব্য অধিকাংশ মন্ত্রসাহিত্য; আধুনিক যুগের ঋষির দৃষ্ট নব-মন্ত্র-সংহিতা’ (রবীন্দ্রনাথ ও আধুনিক বাংলা কবিতা, দেবী প্রসাদ বন্দোপ্যাধায়)। সে কারণে তার সৃষ্টির ভেতর আধুনিকতার উত্তরণ ঘটেছে ইথিকসকে সামনে রেখে। তেমন মেধা হয়তো একালে মেলা ভার, আর এযুগ আর একজন রবীন্দ্রনাথ তৈরিও করতে পারে না, যেমন পারে না মহাকাব্য সৃষ্টির উপাদান যোগাতে বা তার চাহিদা তৈরি করতে। যা-ই হোক—
‘আসলে প্রতি যুগের প্রধান কবিরা ঐতিহ্যের সংগে মিলিয়ে ছোটো-ঠোঁটে যে সব বদল করেন, তাতেই কবিতা নতুন হয়ে ওঠে, এই রকম মত কারও কারও। তারা মামুলি নিয়মেই লেখেন, কিন্তু সেই মামুলিকেই এমন করে ব্যবহার করেন যা পুরানো কবিরা করেননি। পুরানোর পুনরাবিষ্কারে মৌলিকতা থাকে এবং একই ছন্দ থেকে দুই কবি দুই রকম অর্থ তৈরি করেন। এই সব ছোট ছোট সংকোচন, প্রসারণ,সংকলন বিকলন, পরিশীলন-এ আধুনিককালের বিভিন্ন যুগচিহ্ন ধরা পড়ে’। (বুদ্ধদেব বসু, স্বদেশ সংস্কৃতি, দুএকটা শব্দ হেরফের করে)। বাস্তবে তেমন খানিকটা ঘটলেও মূল পরিবর্তনটা আসে সমাজ বিবর্তনের ধারায় যার সঙ্গে যুক্ত হয় মানুষে মানুষে সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ক্রিয়া, রাজনৈতিক বিষয়াবলি, দর্শন, ধর্ম, বিজ্ঞান, বিশ^সভ্যতার সামগ্রিক প্রভাব আর লেখকদের মনোজগতের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আয়োজন। সত্য এই যে, তারপরও এর গতি তীরতীব্র বেগা নয়, বরং সবকিছু ভাঙছে আর শ্লথ হচ্ছে এই নিয়মে। আমাদের একুশ শতকের শুরুতে আভির্ভূত কবিদের মধ্যে আমরা সেই প্রবণতাগুলো লক্ষ করতে পারি। তবু এ কথাটি অস্বীকার করা যায় না যে, সব নতুনের মধ্যে রয়েছে পুরনোর অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতার ওপর দাঁড়াতে হয় নতুনকে এবং নতুন হয়ে উঠতে হয় প্রকাশে। এটাই সভ্যতার ধারাবাহিকতা। কবি মামুন রশীদ আমাদের সেই আশা ও আস্থাকে বলবান করে চলেছেন তার কাব্যে।
শব্দ খুঁজে বেড়ানো কবির কাজ। কারণ শব্দই মোক্ষম। তাই বলে এমন ধারণা নেওয়া ঠিক নয় যে, শব্দ যা কবি খুঁজে পান, তাই শ্রেষ্ঠ। শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠে ব্যবহারে। পঙ্ক্তি নির্মাণে যে শব্দ খুবই প্রচল কিন্তু তা হয়ে ওঠে ভিন্ন ভাবনার দ্যোতক। এখানেই কবির নির্মাণগুণ। একটা শাদামাটা শব্দকেও অসাধারণ দ্যোতনায় দ্যোতিত করে দেন পাঠক মনে, শব্দটি হয়ে ওঠে নতুন। বিশ্লিষ্ট ও বৈশিষ্ট্যময়। তাই বলা হয় ‘কবিতা শব্দের শিল্প’ কিংবা ‘কবিতা কবির অন্তর-আত্মার আনন্দ উচ্চারণ’। আধুনিক কবির কাছে আকাশ মানেই বিধ্বস্ত নীলিমা, মানুষ মানেই ব্যক্তিতার নিবিড় কারাগারের কয়েদি, জীবন মানেই কাতরতার নানা অভিক্ষেপ, আর জগৎ হচ্ছে বহুমাত্রিক যন্ত্রণার মানস ইনফার্নো’ (কথাকটি খন্দকার আশরাফ হোসেনের)। কিন্তু আমরা সচেতন মানুষ বা পাঠকরা এর সঙ্গে কতটুকু একাত্ম হতে পারব, সেটা নিজ নিজ ভাবনা। কারণ জীবন বিপর্যস্ত একথা ঠিক, আবার বিপর্যস্ত জীবনক্রিয়া যে মনকেও আচ্ছন্ন করে, তাও ঠিক। এমনি শারীরিক ক্লান্তিতে মনও ক্লান্ত হয়, চেতনাও সংকুচিত থাকে। তবু জীবন কাঠামোতে রয়েছে সেই এক প্রত্যয়, যা যুগযুগ মানুষের উদ্দীপণার সংবেদ হয়ে এসেছে। সে ভেঙেছে বন্দিত্ব, জেগেছে, বাদপ্রতিবাদে মুখরিত করেছে চারদিক। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এগিযে এনেছে সভ্যতা। একটা সাধারণ উদহরণ দেওয়া যায় নেপালে মাওবাদীরা দীর্ঘ সংগ্রাম করে রাজতন্ত্রের যে উচ্ছেদ করলো, তা ওই সমাজকে সুদীর্ঘসময়ের জগদ্দল থেকে এক ধাপ উত্তরণই বটে, যদিও তারা তাদের ক্ষমতাকে সংহত করতে পারলো না। তেমনি কবির স্বপ্ন থাকে একটা শৃঙ্খলার দিকে, হয়তো তা অর্জন হয় না তার প্রার্থিত মাপে, কিন্তু তার লেখায়, প্রকাশে সমাজ বুঝতে পারে আগামীটা কেমন হওয়া দরকার। কবির কাজ মূলত চেতনা জগতকে আলোড়িত করা। এই আলোড়ন তৈরির হাতিয়ার হচ্ছে কবির কলম। সে প্রচলিত ভাষায়ই কথা বলছে, বলছে এমনভাবে যে, মানুষ তার চলমানতায় এই কণ্ঠ নতুন করে শুনছে এবং তার চেতনায় নতুন এক আশা হয়ে তার চাওয়া-পাওয়াকে সূত্রবদ্ধ করছে।
‘জীবনের পাঠ থেকে তুলে আনা সত্যকে যিনি স্বচ্ছন্দ কুশলতায় বাঙ্ময় করে তোলেন কবিতায়, তিনি মামুন রশীদ। তার কবিতায় সমকাল যেমন উচ্চারিত, তেমনি উচ্চারিত স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক অনুষঙ্গ। স্মৃতিকাতরতাও কখনো কখনো চমক নিয়ে আসে।’ কথা কটি বলেছেন ফরিদ আহমদ দুলাল তার প্রবন্ধে। মামুন বলছে ‘সময় বলে কিছু নেই।’ আসলে সময় এক অনন্ত বহমান স্রোত, যার শুরুও নেই শেষও নেই। মানুষই কেবল তার দৈনন্দিনতায় দিনরাত্রির বিভাজনে অংশভাগ করে একটা নির্ণীত সত্য তৈরি করেছে, যা সত্যের মুখোশ। এই বিবৃতি কতকটা আকস্মিকতা তৈরির ঢংয়ের ও আকর্ষণীয়। চলমান জীবনে এমনি একটা বিবৃতি চেতনাকে সজাগ করে বিষয়ের দিকে শ্রোতাকে নিবিষ্ট করে। মামুনের কাব্যে এই আকস্মিকতা একটা সম্মোহনের মতো। কান্টের মতে, কবিতায় সম্মোহন দরকার। সম্মোহন না থাকলে তা পাঠককে মোহিত করে না। যেভাবে কোনো বক্তৃতায় সম্মোহন না থাকলে শ্রোতা গ্রাহ্য হয় না। মামুনের কবিতায় তা পুরোমাত্রায় উপস্থিত। মামুন বলছে ‘বন্ধ খামের ভেতরে বয়ে বেড়ানো শূন্যতা শুধু।’ এখানে প্রারম্ভিক ভাষ্যকে নিস্তার দেয়, আর পাঠক ঘোর থেকে জেগে তার বলায় মনোযোগ টানতে পারে সহজ ভঙ্গিতে। এই শূন্যতা জগৎ ও জীবনের। এই শূন্যতা মানুষ বয়ে বেড়ায় তার অস্তিত্বে।
এ এক শরীরি ভ্রমণ।
দেহ থেকে দেহান্তরে, চক্রাকারে।
শূন্যতায় কোলাহল, বোবা অনুভূতি, দিনমান অস্থিরতা
শূন্যতায় ফিসফিস, কলকল ছলছল, স্বপ্নময় স্পর্শ।
একাগ্রতায়, আনমনে শুধু ঘুরিয়ে দেখানো নয় নিজেকে।
প্রতিবিম্ব অশরীরী মতো চলমান।
অভিমান, অনুরাগ, ভালোবাসায় দীর্ঘ দিবস।
এ শুধু ভ্রমণ নয়। এক শরীরী যাপন।
তিনি বলছেন এক শরীরী ভ্রমণের কথা, এই ভ্রমণ শরীর আর মনের। চিন্তার ও চেতনার। অনুভব ও অনুপ্রেরণার। এই ভ্রমণ সভ্যতা পরিক্রমার। কতযুগ, কতসময় অনন্ত সময়ের মধ্যের এই মানুষ, মানবগোষ্ঠীর ভ্রমণ দেহ থেকে দেহান্তরে, জীবনচক্র, কখনো শূন্যতায়, কখনো কোলাহলে, কখন হত্যা ধ্বংস কাম ও ক্রোধে কখনো ভালোবাসায়, কখনো নতুনে কখনো পেছনে ফেরায় কেবল মানুষের ভ্রমণ এক শান্ত স্নিœগ্ধ রোদকাশের প্রত্যাশা নিয়ে এই ভ্রমণ দেহের, এই ভ্রমণ মনের এই ভ্রমণ তৃষ্ণার, অনুসন্ধানের। আর এই হলো মানববংশের যাপিত জীবন। শূন্যতাই মূলত অস্তিত্ব সংকট। আর মামুন খুবই সুন্দরভাবে কয়টি পঙ্ক্তিতে সেই শূন্যতাকে রূপায়িত করতে পারলেন।
‘গ্যয়েটে ১৭৯৮ সালে গ্রিস ও রোমের ধ্রুপদী স্থপত্যের নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সুন্দর ও প্রকাশের মধ্যবর্তী একটি অবস্থার উপযোগী পদের সন্ধান করছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সুন্দর বিষয়কে তার বিভেদক ধর্মগুলোকে আহরণ করে নিয়ে তাদের দিয়েই এক পরিপূর্ণ সুন্দরের (কমপ্লিøট বিউটি) রূপ রচনা করতে। তার মতে এরূপে সুন্দরের বিভেদক গুণে শিল্পী সুন্দরে উপনীত হবে, এবং তা শেষ হবে সৌন্দর্যোলোক উত্তরণে।’ মামুন রশীদ তার নিজের কথায় বলেন এভাবে, ‘কবিতা আমাকে সাড়া দিয়েছে, এমন দাবি আমার নেই। আমি কবিতাকে ধরতে চেয়েছি, (…) কবিতা যাপনের মধ্যে আমি চেষ্টা করি নিজেকে প্রকাশের।’ এমন অনুভব একজন যথার্থ কবির কারণ কবির অতৃপ্তি সবসময় তাকে তাড়িয়ে ফেরে, আর সুন্দর থেকে সুন্দর ‘সাবলাইমে’ তার স্থিতি নির্মাণ করে। একটা মহৎ কবিতা তার ফাঁক দিয়ে কখন যে নির্মিত হয়, কবি তা কখনো টেরই পান না। মামুনের এই আর্তি কবিতার, সৃষ্টির, প্রকাশের এক অনবদ্য আর্তি।
মামুনের কবিতায় স্নিগ্ধতা আছে, আছে লবণ্যময় পঙ্ক্তিমালা। তার বাক্য নির্মাণে মনোসংযোগ লক্ষ করার মতো এবং তৃপ্তিদায়ক।