জীবনানন্দ দাশ ‘কবিতার কথা’য় বলেছিলেন, ‘কবিতা মুখ্যত লোকশিক্ষা নয়; কিংবা লোকশিক্ষাকে রসে মণ্ডিত করে পরিবেশন-না, তাও নয়; কবির সে রকম কোনো উদ্দেশ্য নেই।’ জীবনানন্দ দাশের এই উক্তির বিরোধিতার চিহ্নরূপেই যেন আজকের কবি লোকশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চান। এ প্রবন্ধে কবি আরও লিখেছেন, ‘তার প্রতিভার কাছে কবিকে বিশ্বস্ত থাকতে হবে; হয়তো কোনো একদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতার সঙ্গে তার কবিতাবৃত্ত প্রয়োজন হবে সমস্ত চরাচরের জীবের হৃদয়ে মৃত্যুহীন স্বর্ণগর্ভ ফসলের ক্ষেতে বুননের জন্যে।’ কবির সৎচিন্তার কাছে আর সবই তুচ্ছ। কবি স্রষ্টা ও দ্রষ্টা বলেই তার সৎচিন্তার উৎস স্বকৃত। কেউ কবির জন্য কোনো পথ সৃষ্টি করে রাখে না। কবি হাঁটেন অজানা পথে; উপকবি কবির সৃষ্টপথে। প্রথমজন উদ্ভাবক, দ্বিতীয়জন অনুকারক। অনুকারকের পক্ষে সৃজনকৌশল আয়ত্ত করা অসম্ভব। তার চলা অন্যের সৃষ্ট পথে। গন্তব্য সুনিশ্চিত। দৃষ্টিসীমার বাইরের কিছুই সে দেখতে পায় না। দিগন্তরেখার বাইরে তার দৃষ্টি অচল। অজানালোকের গহন পথে কল্পনাশক্তি অর্থহীন। সর্বত্রই তার প্রথাসম্মত পদচারণা। বৃত্তের বাইরে সে ভীতু। সংশয়ী সত্যোচ্চারণে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘সত্য যে কঠিন, তাই কঠিনেরে ভালোবাসিলাম’। রবীন্দ্রনাথ আকস্মিক চমক দেখানোর জাদুকর নন। কঠিনকে ভালোবেসে নিরন্তর পরিচর্যায় হয়ে উঠেছেন বিস্ময়কর। দেশ-কালের সীমা ছাড়িয়ে পরিণত হয়েছেন সর্বজনীনে। এ সত্য ছন্দমুক্তির তপস্যা করার সময় স্মরণ রাখা বাঞ্ছনীয়। কঠিনতম পথকে যে ভয় পায়, তাকে চিন্তার দৈন্য গ্রাস করে ষোলআনাই। নির্বিশেষ কাব্যভঙ্গি সমস্বরে পর্যবসিত। স্বতন্ত্র স্বর অর্জনের জন্য ছন্দ বিবর্জিত নয়, ছন্দবৈচিত্র্যই উত্তম উপায়। ব্যতিক্রমে সমস্ত আয়োজনই হতে পারে অক্ষম আক্রোশে বিপর্যস্ত। ছন্দে যার সিদ্ধি অর্জিত, মহৎ কবিতাও তার মন ও মনীষায় সংবর্ধিত। কবিতার প্রকর্ষ সাধনে কবির ভূমিকাই মুখ্য। ছন্দপ্রকরণই কবিতাকে ভাবালুতার স্তর থেকে আজকের প্রজ্ঞাপূর্ণ পথে বিবর্তিত করেছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘কবি’ কবিতায় প্রশ্ন তুলেছিলেন ‘শব্দে শব্দে বিয়া দেয় যেই জন’, সে ঘটকই কি কবি? উত্তরকালে কবি ও ঘটকের ভূমিকাকে অভিন্নরূপে বিবেচনা করেছেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘কাব্যের মুক্তি’ শীর্ষক প্রবন্ধে। তাঁর মতে, ‘পাত্র-পাত্রীর মিলনেই তার উপকারীতার শেষ; তার পরে তার নাম কারও স্মরণে রইল বা না রইল তা নিয়ে মাথা ঘামানো হাস্যকর।’ এ প্রবন্ধের অন্যত্র বলেছেন, ‘প্রত্যখান কবিকে সাজে না, এবং কালজ্ঞান ভিন্ন তার গত্যন্ত নেই।’ কালজ্ঞান ভিন্ন কবির গত্যন্তর নেই, সত্য; কিন্তু কবি প্রত্যাখ্যানের পরিবর্তে সব ডাকে সাড়া দেবেন, এমনটাও কি যুক্তিনিষ্ঠ? এ প্রসঙ্গে আবু হাসান শাহরিয়ার ‘কবিতা অকবিতা অল্পকবিতা’ শীর্ষক একগদ্যে লিখেছেন, ‘‘তিনিই কবি, যিনি অকুণ্ঠে ‘না’ বলেন, ‘হতে পারে’ বলেন; কিন্তু কখনোই ‘জ্বি হুজুর’ বা ‘আজ্ঞে হুজুর’ বলেন না।’’
উপকবিরা কবির মতো শক্তিমান নন। তাই তাদের সবকিছুতেই ‘জ্বি হ্যাঁ’ বলার প্রবণতা প্রকট। কোনো কিছুকে দ্ব্যর্থহীন ‘না’ বলার সৎসাহস তাদের নেই। আত্মবিশ্বাসহীনের পক্ষে আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন হওয়া কঠিন। আত্মমর্যাদাবোধহীনের পক্ষে সৎ হওয়া অসম্ভব। যে জীবনাচারে সৎ নয়, সে শিল্পচর্চায়ও অসৎ। অসৎ ব্যক্তির পক্ষে চৌর্যবৃত্তি গ্রহণই স্বাভাবিক। অনুকরণ এবং চৌর্যবৃত্তিকে তারা বিনির্মাণ ও ঋণস্বীকারের নামে চালিয়ে দেয়। তাদের দৃষ্টিতে সাহিত্যে মৌলিকত্বের প্রসঙ্গ অবান্তর। আপনযোগ্যতার মানদ-কে সর্বজনীন মনে করার কারণেই এমন হয়। মাইকেল মধুসূদন প্রশ্ন তুলেছিলেন, কিন্তু কবিকে ঘটকের সহযাত্রী করে তোলেননি। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের চোখে কবি ও ঘটক অভিন্ন। তাই কবিকে প্রত্যাখ্যান সাজে না বলে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন। ঘটক যেমন বিনিময় প্রত্যাশী, কবিও কি তেমন? প্রকৃত কবি নগদপ্রাপ্তির মোহে অন্ধ নন বলেই অকুণ্ঠচিত্তে ‘না’ বলার ‘হতে পারে’ বলার দার্ঢ্য দেখাতে পারেন।
রবীন্দ্রনাথ যে অর্থে জীবনশিল্পী, সে অর্থে নেরুদা, হুইটম্যান ও নজরুলও। চণ্ডীদাস, বায়রন, শেক্সপিয়র, সাঁত্রে, গোর্কিও। মানুষকে অস্বীকার করে এদের সাহিত্যের ঐশ্বর্যপূর্ণ সৌধ গড়ে ওঠেনি। সমগ্র রবীন্দ্রসাহিত্যে, শেক্সপিয়রের শ্রেষ্ঠ ট্র্যাজিডিগুলো, সফোক্লিসের ট্র্যাজিডি ‘কিংইডিপাসে’ও মানবত্মার জয়ঘোষিত। কোথাও মানবতাকে লাঞ্ছিত হতে হয়নি। সৎশিল্পীর পক্ষে মানবতার অপমান সম্ভব নয়। অসম্ভব ক্ষমতা ও বিত্তের প্রতি নতজানু হওয়া। যে শক্তি ও রসগুণে রবীন্দ্রনাথের ‘বাঁশি’ কিংবা ‘সোনার তরী’ কালোত্তীর্ণ, একই শক্তি ও রসগুণে জসীম উদ্দীনের ‘কবর’ কিংবা জীবনানন্দ দাশের ‘বোধ’ কিংবা রাইনার মারিয়া রিলকের ‘দুইনো এলিজি’গুলো দেশকালের সীমার ঊধের্¦ নয়? কবিতাগুলোর অন্তর্গত সুর কোথাও কোথাও এক ও অভিন্ন হলেও সর্বত্র স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল। T. S. Eliot ব্যক্তির হতাশা ও নৈরাশ্যের প্রেক্ষাপটে আক্ষেপ করেছিলেন The Love of J. Alfred Prufrock কবিতায়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে নৈর্ব্যক্তির অভিজ্ঞানে রূপান্তর করে লিখেছিলেন I have measured out my life with coffee spoons. . সেক্ষেত্রে তার বক্তব্যের সারবত্তা পাঠকের সঙ্গে তাৎক্ষণিক মানসিক যোগযোগ ঘটাতে সক্ষম কি না, সে বিষয়ে এলিয়টের সংশয় কাটেনি। তাই The Fire Sermon কবিতার আত্মাভিমানী হয়ে ওঠেন। কবির অভিমান ঝরে পড়ে I made no comment. what should I resent?
কবির সার্থকতা প্রত্যাখ্যানে, অস্বীকারে। সমস্ত অতীতকে আত্মস্থ করে সম্পূর্ণ রূপে নতুন পথ সৃষ্টির ভেতরই কবির শক্তি পূর্ণরূপে উন্মোচিত। কবি কারও করুণা ভিক্ষা করেন না। নিজেকে কারও করুণার পাত্র কিংবা নিজের সৃষ্টিকে কারও দয়ার দান বলেও স্বীকার করেন না কবি। তাই উচ্চারণ করতে পারেন এমন নিখিল জয়গান-‘বল বীর/ বল চির উন্নত মম শির।/ মম শির নেহারী নত শির/ ঐ শেখর হিমাদ্রির’ (বিদ্রোহী: কাজী নজরুল ইসলাম)। কবি চিন্তার ভরকেন্দ্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম। কোনো দাসত্বের শৃঙ্খল কবিকে বৃত্তাবদ্ধ করতে পারে না। উপকবিরা বৃত্তাবদ্ধ। তাই প্রেমহীন লাম্পট্যে নৈতিকতার প্রমাণ পায়, সকাম প্রেমে খোঁজে ব্যভিচার। তিনিই প্রকৃত কবি যিনি এ সবের বৃত্ত ভেঙে নিজেকে বৃত্তহীন করে তোলেন। ইয়েটস, এলিয়ট, বোদলেয়ার, কীটস, র্যাঁবো, অ্যালবেরি অ্যালস্টোন হুইটম্যান, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, সুধীন্দ্রনাথ, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শঙ্খ ঘোষ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোতে প্রজ্ঞার অনুশাসন, আবেগের সংহতি, যুক্তির শৃঙ্খলা ও ছন্দের নিপুণ প্রয়োগ লক্ষণীয়। উপকবি ও অকবি বিষয় ধরে ধরে অকবিতা লেখার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে, কবি নতুন বিষয় উপহার দেন। উভয়ের পার্থক্য-স্রষ্টা ও অনুকারকের।
‘কবিতা কেন কবিতা’ বইয়ে সুজিত সরকার কবিতার সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে, ‘কবিতা হলো বৈপরীত্যের সমন্বয়’। কিন্তু কী হিসেবে বৈপরীত্যের সমন্বয়, তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে চাননি? এই বইতেই সুজিত সরকার বলেছেন, ‘শব্দ দিয়ে রচিত হয়েও যা শব্দকে অতিক্রম করে যায়, তাই কবিতা। শব্দের সীমানা অতিক্রম করার এই ক্ষমতাই হলো ব্যঞ্জনা।’ এই ব্যঞ্জনাই প্রকৃত কবির আরাধনা। কবিমাত্রই অধরাকে ধরার সাধনায় নিরন্তর ধ্যানী। কবিমানস শব্দকে ব্রহ্ম জানেন সত্য; কিন্তু সে শব্দকে শব্দের অধিক করে তোলাই তার কাজ। সে কাজে কবি কতটা পারঙ্গম, তার ওপর নির্ভর করে কবির কাব্যবোধ, শিল্পের প্রজ্ঞা; সর্বোপরি কবিতার সিদ্ধি। কবিতা প্রসঙ্গে ম্যাকলিশের অভিমত, ‘কবিতা কিছুই বোঝায় না, কবিতা শুধুই হয়ে ওঠে।’ তবু কেউ কেউ কবিতায় অনুভবের প্রসঙ্গ উজিয়ে জ্ঞানের সন্ধান করেন। জীবনানন্দ দাশ যেমন বলেছিলেন, ‘সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’, সে রকম করে আজকের পাঠক সম্পর্কে কি বলা যায় না-সবাই কবিতার পাঠক নয়, কেউ কেউ কবিতার পাঠক? যারা কবিতার ভেতর লোকশিক্ষার উপকরণ খোঁজেন, তারা হতাশ হন; যারা কবিতায় বিজ্ঞানের সূত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করেন, তারাও।
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় কবিতার বোদ্ধাপাঠক; গুণমুগ্ধ সমালোচক। কবিতাশ্লিষ্ট একাধিক গদ্যের বই রয়েছে তাঁর। সে রকম একটি বই ‘কবিতার পড়ার একাল সেকাল’। এ গ্রন্থে তিনি কবিতার পর কবিতা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন কী করে কবিতা পাঠককে মুগ্ধ করে। লিখেছেন কবিতার ইতিহাস কেমন, তাও। লিখেছেন, ‘কবিতার ইতিহাসটা আকাশ থেকে স্খলিত কোনো ইতিহাস নয়, একাল সেকাল পেরিয়েই আরেকটা কালের দিকে তার অভিযাত্রা।’ কবিতা কবিপরম্পরার ভাবনাসূত্রের বিনিসূতোর মালা। কোনো এককালে এক বা একাধিক কবি গুনগুন করে হয়তো কবিতা রচনা করেছিলেন মুখে মুখে, কালের বিবর্তনে মুদ্রণলিপির সৌজন্যে আজ ছাপার অক্ষরে তার অবয়ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কবিতা তাই কবির ঐতিহ্যিক প্রপঞ্চ-নেপথ্যে নিরন্তর ক্রিয়াশীল কবির আবেগ। সে আবেগ প্রজ্ঞায় সংহতিস্থ, কবির সংযমগুণে নিয়ন্ত্রিতও।
‘দি নেসেসিটি অব আর্ট’ আর্নেস্ট ফিশার রচিত শিল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক বই। এই বইয়ে শিল্পীর আবেগ সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট মত ব্যক্ত করেছেন। ফিশারের মতে, ‘ভাবাবেগ ভেতরের অনীহ ভাবটাকে কাটিয়ে তুলে প্রকৃত শিল্পীর সেবা করে; প্রকৃত শিল্পী ভাবাবেগ দ্বারা আক্রান্ত হয় না বরং ভাবাবেগকে পোষ মানায়।’ এ সম্পর্কে টিএস এলিয়ট বলেছেন, ‘শিল্পের আবেগকে নৈর্ব্যক্তিক হয়ে উঠতে হবে।’ কবিতা আবেগনির্ভর প্রপঞ্চ। কিন্তু আবেগই কবিতা নয়। আবেগের সংহতি, যুক্তির শৃঙ্খলা ও বিষয়ের সুনিয়ন্ত্রিত বিন্যাসেই কবিতা হয়ে ওঠে।
কবি প্রকৃতপক্ষে ধ্যানী। তপস্যা ব্যতীত যেমন সিদ্ধিলাভ হয় না, গভীর ধ্যান ছাড়াও কবিতার সৃজনকৌশল আয়ত্ত করা যায় না। ধ্যানসাধ্য প্রতিটি মুহূর্তই কবিতার সৃজনমুহূর্ত। কখন, কিভাবে কবিতা কবির ধ্যানের জগৎকে আন্দোলিত করে, তা একবাক্যে বলা সম্ভব নয়। ধ্যানমগ্ন কবির হৃদয়ই কবিতার অধিষ্ঠান। অকবির মেকি প্রেমকে কবিতা প্রত্যাখ্যান করে বরাবর। তাই অকবির হাজার বাক্যে যে কবিতা ধরা দেয় না, সে কবিতাই কবির প্রেমে আপ্লুত হয়।
শেষপর্যন্ত কবিতা কবিতার আন্তঃসংগঠন প্রক্রিয়ার অনিবার্য অনুষঙ্গের সুষম মিথস্ক্রিয়ায়ও পরিপূর্ণতা পায় না। মান্যতা পায় না, আঙ্গিক ও প্রকরণের নিরীক্ষালব্ধ নতুনত্বও। আবেগের সংহতি ও যুক্তির শৃঙ্খলা যখন প্রজ্ঞাশাসিত পথে অনুগমন করে, তখনই কবিতা সম্পন্ন হয়ে ওঠে। কেবল আবেগের তারল্য, অপচিন্তার বুদ্বুদ কবিতায় রূপান্তরিত হতে পারে না। আজকের কবিতায় চিন্তার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে, জ্ঞানপ্রপঞ্চের বহুরৈখিক মিথস্ক্রিয়ার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা কবির দায়। বহুমাত্রিক চেতনার সমন্বয়ের অভিব্যঞ্জিত রূপই কবিতা। এ অর্থে বিবর্তন, নৃতাত্ত্বিক জ্ঞান, ইতিহাস, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শনের অন্বয় সাধনেই একটি কবিতা সার্থক হয়ে ওঠে।
(সাহিত্যে দশক বিভাজন ও অন্যান্য-২০১০ থেকে)