॥ এক ॥
আমরা যারা এরিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব পড়ে বড় হয়েছি, তারা প্রায়ই এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে পড়ি যে, প্রকৃত কবিতা মূলত ট্র্যাজিক আঙ্গিকেরই হয়। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, সেই আদি থেকেই সাহিত্যে রম্য, ব্যঙ্গ, স্যাটায়ার চলে আসছে। খ্রিস্টপূর্ব ৬৫ সালে জন্মেছিলেন কুইন্তাস হোরাসিয়াস ফ্লাক্কাস, যাঁকে ইংরাজি ভাষাজগত হোরেস নামে চেনে। হোরেস সেই সময়ে জন্ম নিয়েছিলেন, যখন রোম রিপাবলিক থেকে সাম্রাজ্যে রূপান্তরিত হয়। তখন হোরেসের ব্যঙ্গ কবিতা সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিরূপ হয়ে ওঠে। সেই থেকে এই ধারা ক্রম বিকশিত হয়েছে। পৃথিবীর সেরা কয়েকজন স্যাটায়ারিস্ট লেখকের নাম বলতে গেলে যাদের নাম আসে, তারা হলেন—এরিস্টোফেনিস, প্লেটো, জুভেনাল, সস্যুর, এরাসমাস, জোনাথন সুইফট, ভলতেয়ার, আম্ব্রোস বিয়ার্স, জর্জ অরওয়েল।
সুপ্রাচীনকাল থেকে এথেন্স ছিল গভীরভাবে রাজনৈতিক শহর। রাজনীতির ক্ষেত্রে গণতন্ত্রে যা হয়, যারা দায়িত্বে থাকে তাদের সম্পর্কে জনগণ জানতে বুঝতে চায়, আর তাদের নিয়ে হাস্যরস করতে চায়। এরিস্টোফেনিস তার সময়ের সব রাজনীতিক, চিন্তাবিদ এমনকী নাট্যকারদের নিয়ে পর্যন্ত ব্যঙ্গ করেছেন। তার নাটক ‘পাখির শহরের সন্ধানে’ যেমন অবাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে রচিত, তেমনি অতি পরিচিত বিষয়ে তিনি লিখেছেন ‘জুরি সার্ভিস’। তবে সবই ভরা ছিল রম্য হাস্যরসাত্মক ভাষায়।
তেমনি সাধারণভাবে আমরা প্লেটোকে দার্শনিক বলে জানি। তাই অনেকের মনে হতে পারে প্লেটো খুব ভারী বিষয়ের লেখক। কিন্তু বিশদ বিচারে আমরা দেখতে পাব, প্লেটো সবসময় ডায়ালগের মাধ্যমে ব্যঙ্গ করে লিখতে পছন্দ করতেন। সক্রেটিসের মুখে অন্যের সঙ্গে আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে কটাক্ষ করতেন তিনি সমাজের কানুনকে, অজ্ঞতাকে। আর আমরা কি জানি না, প্লেটোর রিপাবলিকে কবিদের ঠাঁই হবে না বলে তিনি কবিদেরও কম কটাক্ষ করেননি!
এথেন্সের মতো রোমও ছিল রাজনীতির উত্তপ্ত শয্যা। রোমে স্যাটায়ার দুটি ধারায় বিকশিত হয়। প্রথম ধারা হোরেসকে অনুসরণ করে, যিনি খুব ভদ্র ভাষায় কবিতার মধ্য দিয়ে মানুষের ত্রুটিকে চিহ্নিত করতেন। অন্য ধারাটি ছিল, অধিকতর কর্কশ, অথচ কাব্যিক—জুভেনালের আঙ্গিকে, এমনকী কখনো সে ভাষা মারাত্মক অশ্লীলও। তির্যক ভাষা ও ধারালো জিহ্বার জন্য জুভেনালকে শাস্তিও পেতে হয়েছে। তবে তার কটাক্ষগুলো পরিণত হয়েছিল প্রবাদে।
সস্যুর-এর ‘কেন্টারবারি টেলস’ ইংরেজি সাহিত্যের উৎকৃষ্টতম কাব্য। এটি আমাদের মেডিয়াভিল মানস-এর অন্তর্লোক, সামাজিক অবস্থা আর সমাজকে কেটেকুটে দেখায়। তার নাটকীয় আয়নাকে একটি তীর্থযাত্রীর দলের দিকে নিক্ষেপ করে লেখক মানুষের কিছু সমস্যাকে তুলে ধরেন।
রেনেসাঁ যুগের লেখক ইরেসমাস এর কথা বলতেই হবে, যিনি বাইবেলি টেক্সট-এর প্রতিতুলনা করে তার স্যাটায়ার রচনা করেছেন। তিনি একজন মহান সংস্কারকও বটে। ইরাসমাস-এর গ্রন্থ ‘ইন প্রেইজ অফ ফলি’ (In praise of Folly) – ভ্রান্তির বন্দনায়। এটি লেখা হয়েছে দেবী ফলি-র বাণী হিসেবে। যেখানে বয়সের সব দোষ প্রশংসা পাচ্ছে। এতে যুবা-বৃদ্ধ, মা হওয়া নারী, বিদ্যান, সাধু, রাজা ও যাজক সবাইকেই খোঁচা দেওয়া হয়। সবাই খোঁচা খাচ্ছে বলেই হয়তো কেউ আর বিশেষভাবে মনে আঘাত পায় না। তারচেয়েও স্যাটায়ারিক মন রয়েছে জোনাথন সুইফট-এর। তার গালিভারের ভ্রমণ বৃত্তান্ত আমরা প্রায় সবাই জানি। কিন্তু এখানে গালিভার আর লিলিপুটদের মাধ্যমে প্রচলিত সংস্কারের বিরুদ্ধে, সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আঘাত করেছেন। অসম্ভব ধারালো তার স্বর, তীক্ষ্ণ তার পর্যবেক্ষণ।
উইট জগতে ভলতেয়ার ছিলেন সবচেয়ে উইটি। তাঁর ক্যান্ডাইড হচ্ছে এমন একটি বই যা আপনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পড়ে ফেলতে পারবেন। এ হচ্ছে এক যুব ক্যান্ডাইড-এর গল্প, যে প্যানগ্লস নামে অপ্টিমিজমের এক শিক্ষক দ্বারা প্রভাবিত। প্রথম পৃষ্ঠার পরেই নানারকম ভয়ঙ্কর ব্যাপার ঘটতে থাকে। কেন হচ্ছে জানতে চাইলে প্যানগ্লস বলেন ‘সবই মঙ্গলের জন্য হচ্ছে, সব বিশ্বের সেরা বিশ্বে’। এই গ্রন্থ আঘাত করে যৌবন, বিচার, খ্রিস্টীয় সংস্কার, যুদ্ধ, শ্রেণী বিভেদ ইত্যাদি বিষয়ে প্রচলিত লোকজ অপ্টিমিজমকে।
বিয়ার্স এর ‘ডেভিল’স ডিকশনারি’ এক শতাব্দী পরেও সমান খ্যাত রয়ে গেছে। এটি শত্রুর বচসাকে ফুটো করে দিতে এক মারাত্মক সঙ্গী। এই ডেভিল’স ডিকশনারি একাধারে শব্দের ব্যাঙ্গাত্মক অর্থ দাঁড় করাচ্ছে, আপনাকে হাসাচ্ছে, আবার চমকে দিচ্ছে যখন পাঠক ভাবতে বসে তাঁর স্যাটায়ার কতটা সত্য ধারণ করে।
এমন স্যাটায়ার জগতের সঙ্গে বিংশ শতাব্দীতে যুক্ত হন আরেক মহান কবি ওগডেন ন্যাশ। যিনি সমাজকে তো ব্যঙ্গ করেছেনই, ভাষা ও ব্যাকরণকেও বুড়ো আঙুল দেখাতে দ্বিধা করেননি। বিংশ শতাব্দীজুড়ে আমেরিকার পাঠকরা তার কবিতা থেকে বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
॥ দুই ॥
আমেরিকান কবি, নাট্যকার ও চিত্রনাট্য লেখক ফ্রেডরিক ওগডেন ন্যাশ এর জন্ম ১৯০২ সালে, এবং মৃত্যু ১৯৭১ সালে। ন্যাশ তার পাঠকদের জীবনভর আকর্ষণ করেছেন মানব প্রকৃতি ও মানবিক দুর্বলতা বিষয়ে তার লেখার ভেতরের বিদ্রূপাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য। তার অন্য লোকের বাচ্চাদের আচরণ, সামাজিক আসক্তি ও অসুস্থতা সম্পর্কে কামড় বসানো ব্যাঙ্গাত্মক রসিকতা আর সংবেদনশীলতা তাকে স্পর্শকাতর বিষয়ে আলতোভাবে পা ফেলতে সাহায্য করেছে। তার অনন্য স্টাইলের বৈশিষ্ট হলো ব্যাকরণ ও বানানরীতির প্রতি স্বেচ্ছাচারী অবজ্ঞা। আর তার অবলীলায় শব্দের ভুল বানান পদ্যকে সুতীক্ষ্ণ করার জন্য। যখন তার অপ্রচলিত পদ্যের ধরণ তাকে সিরিয়াস কবির স্ট্যাটাস দিতে অস্বীকার করে, তখন কিন্তু ন্যাশ রয়ে যান শতাব্দীর সবচে’ বেশি পঠিত ও ঊদ্ধৃত কবি হিসেবে।
হাল্কাপদ্যের জন্য সুপরিচিত এই আমেরিকান কবি ফ্রেডরিক ওগডেন ন্যাশ এর মৃত্যুকালে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ‘তাঁর হাস্য রসাত্মক পদ্য আর তার সঙ্গে অপ্রচলিতছড়া তাঁকে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত কৌতুকপূর্ণ কবিতার রচয়িতা হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।’ ন্যাশ ৫০০-র-ও বেশি কৌতুক রসাত্মক পদ্য লিখেছেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতার মোট ১৪টি ভলিউম প্রকাশিত হয়েছে ১৯৩১ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে।
তিনি একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর কোনো পূর্বপুরুষের নামেই টেনেসিতে ন্যাশভিল শহরের নাম রাখা হয়। হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হলেও ওগডেন এক বছরের মাথায় পড়া ছেড়ে দেন। নিউইয়র্কে জন্মের পর ন্যাশ বেড়ে ওঠেন পূর্ব তীরে, কারণ তার বাবার আমদানি-রফতানির ব্যবসা তার পরিবারকে প্রদেশ থেকে প্রদেশে ঘুরিয়ে নেয়। তিনি ১৯২০-২১ সালের মধ্য নিউপোর্টের সেন্ট জর্জ স্কুল, রোড আইল্যান্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নেন। এরপর একদিন যখন আয় করতে বাধ্য করা হয়, তখন ন্যাশ অনেক ঘাটেই ঘুরেছেন।
কিছুদিন ওয়াল স্ট্রিটে কাজ, স্কুল শিক্ষকের কাজ ও কপি রাইটারের কাজ শেষ করে ১৯২৫ সালে পাবলিশিং হাউস ডাবল ডে তে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নেন। বিজ্ঞাপনের ভাষা লিখতে গিয়ে তাঁর তিনি কবিতা রচনায় ব্যপ্ত হন। ‘মুরে পাহাড়ে বসন্ত আসে’ (Spring comes to Murray hill) এভাবেই রচিত হয়। পরে দ্য নিউইয়র্কারপত্রিকায় ১৯৩০এ প্রকাশিত হয়। প্রথম কাব্য সংকলন কঠিন পথ (Hard lines) ১৯৩১ সালে প্রকাশ পায়।
বইটি বেশ সাফল্যও পেয়েছিল। ১ম বছরেই ৭ বার পুনর্মুদ্রণ হলো। আর ন্যাশ ডাবলডে-এর চাকরিটা ছেড়ে দিলেন। একই বছরেই তিনি বিয়ে করলেন ফ্রান্সিস রাইডার লিওনার্দকে। তাদের দুটো সন্তানও আসে। ন্যাশ পুরোপুরি নিজের লেখালেখিতে নিবিষ্ট হওয়ার আগে ১৯৩২ সালে নিউইয়র্কারের পক্ষে কাজ শুরু করেন।
ন্যারে ক’টি খুব পরিচিত লাইন এমন—Candy / is dandy, / But liquor / is quicker. (ক্যান্ডি / মানে ড্যান্ডি, / তবে লিকার / দ্রুততার)। তাঁর কবিতায় একটা প্রবল অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট ধারা আছে, যা পরে অনেক আমেরিকানের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, বিশেষত ডিপ্রেশনের কালে। ন্যাশ খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন মার্কিন সামাজিক জীবনকে। আর উপর্যুপরি আঘাত করেছেন ধর্মীয় নৈতিকতা আর রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের।
এখানে একটি কবিতার উল্লেখ না করলেই নয়। কত সহজ ভাষায় কবি এক গ্রীষ্মকালে বালুকাবেলায় সময় কাটাতে গিয়ে উপাসনালয়ে না যাওয়ার কথা বলেছেন।
আজ যাই নি আমি উপাসনালয়ে
আমি ইশ্বর মানি অনুভবের জন্য।
তীরে আছডে পড়া সমূদ্রের ফেনা নীল আর শাদা,
বাচ্চারা বালুকাবেলায় গড়াগড়ি যায়তিনি জানেন,
তিনি জানেন কতো স্বল্পকাল আমি থাকবো
কতো কম আয়ু পায় এই গরমকালের হাওয়া
তিনি জানেন, আমাকে বলা হয়েছে এবং করাও,
আমাদের একত্রে পার হবে দীর্ঘসময়কাল।
(আজ যাইনি আমি উপাসনালয়ে; ওগডেন ন্যাশ; অনুবাদ: জিললুর রহমান)
বিশ্বের প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে যে আদি পিতার ধারণা আমরা পাই, আদম ও তার কাহিনী, সেই আদম বা আদি পিতাকেও ব্যঙ্গ করেছেন ন্যাশ মাত্র দু’লাইনে। কবিতার নাম দিয়েছেন নীল মাছি। এতে তিনি বলেছেন, আদমের আগেও নীল মাছি ছিল। এই সামান্য কথায় অসামান্য ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করেছেন কবিতায়।
শব্দের অন্ত্যমিল ও ধ্বনি মাধুর্যের জন্য ন্যাশ শব্দ ও বানানরীতির ওপর যথেচ্ছাচার করেছেন বৈকি! তাঁর ‘মুরে পাহাড়ে বসন্ত এসেছে’ কবিতায় তিনি doggorelএর সঙ্গে মিলিয়ে gargle (গড়গড়া করা) কে goggorelলিখেছেন। Chiropodist এর সাথে অন্ত্যমিল দিতে গিয়ে বাপ্টিস্টকে Bopodist লিখতে কোনো কুণ্ঠা করেননি।
Why then do you fritter away your time on this doggerel?
If you have a sore throat you can cure it by using a good goggeral,
If you have a sore foot you can get it fixed by a chiropodist,
And you can get your original sin removed by St. John the Bopodist,
(Colombus: Ogden Nash)
মানুষের অপরিসীম ক্ষমতাকে ন্যাশ রূপকথার আদলে তুলে ধরার চেষ্টা করেন ইসাবেলা কবিতার মধ্যে। ইসাবেলা জয় করে ভালুক, ডাইনি, দৈত্যকে খুব সহজে। কিন্তু কবিতার শেষে কটাক্ষ করেন ডাক্তারকে। আর দেখা যায়, ইসাবেলা সারিয়ে তুলছে ডাক্তারকে।
Isabel met a troublesome doctor,
He punched and he poked till he really shocked her.
The doctor’s talk was of coughs and chills
And the doctor’s satchel bulged with pills.
The doctor said unto Isabel,
Swallow this, it will make you well.
Isabel, Isabel, didn’t worry,
Isabel didn’t scream or scurry.
She took those pills from the pill concocter,
And Isabel calmly cured the doctor.
(Isabel; Ogden Nash)
আর একটি দীর্ঘ কবিতা ‘কলম্বাস’ এর শেষ দিকে এসে আমরা দেখি, কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছেন, কিন্তু তার নামে আমেরিকার নাম রাখা হয়নি। আর এর ভেতর থেকে কবি সবাইকে পরামর্শ দেন ‘আবিস্কারক হয়ো না, বরং প্রমোটর হও।’
তারকাজকে অন্যান্য সমকালীন ব্যাঙ্গকার ডরোথি পার্কার, রবার্ট বেন্চলে ও এইচএল মেনক্বেনের সঙ্গে সমান তালে তুলনা করা হয়। তিনি নিয়মিত রেডিও টিভিতে কাব্যপাঠ করে ও বক্তব্য রেখে প্রচুর দর্শক শ্রোতার মন জয় করেছিলেন। এমজিএম-এর জন্য ন্যাশ ৩টি টিভি নাটকও লেখেন। এসজে পেরেলম্যানের সঙ্গে ১৯৪৩-এ লেখেন ভেনাসের একটু ছোঁয়া (One touch of Venus) যা ব্রডওয়েতে তুমুল জনপ্রিয় ছিল। ১৯৫০-এ ন্যাশ শিশুতোষ লেখায় মন দেন। এর ফলে ১৯৬২তে প্রকাশিত হয় ‘মেয়েরা অবলা’ (Girls are Silly)।
উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা:
১। Everyone But Thee and Me (Little, Brown and Company, 1962)
২। Girls Are Silly (Franklin Watts, 1962)
৩। Verses From 1929 On (Little, Brown and Company, 1959)
৪। Versus (Little, Brown and Company, 1938)
৫। I’m a Stranger Here Myself (Little, Brown and Company, 1938)
৬। Hard Lines (Simon & Schuster, 1931)
ওগডেন ন্যাশ এর কয়েকটি কবিতা
সীমা অতিক্রমে
শুরু হচ্ছে বার্ধক্য দিন
আর মধ্য বয়স ফুরায়
যেদিন বংশধরের সংখ্যা
বন্ধুদের ছাড়ায়জামাইদের জন্য বাণী
তোমার বিয়েথা চাঙা উদ্বেল রাখতে
প্রেমের কাপে, ভালোবেসে –
যখন ভুলভাল করো, মেনে নাও;
যখন যথার্থ তুমি, খামোশ!এক নীলমাছি আর এক মশা এক চিমনিতে
এক নীলমাছি আর এক মশা এক চিমনিতেবন্দী ছিলো,
তো তারা আর কীইবা করে?
মশা বলে, চলো পালাই!
চলো উড়ে যা বলে নীলমাছি।
আর তাই তারা পালায় উড়েচিমনির ফাটল গলে।সতর্ক বারতা
ওক পাখিটির কথা ভাবো
লুপ্তপ্রায়, কারণ সে ভুলেছে উড়া
আর সে কেবল হাঁটতেই পারেমানুষকে ভেবে দেখো, যে কিনা
আবার নিশ্চিহ্ন হতেই পারে
কেননা সে ভুলে গেছে কি করে হাঁটে, আর
সে উড়তে শিখেছে চিন্তা করার আগেই
অনুবাদ: জিললুর রহমান