কামাল চৌধুরীর কবিতা পাঠের আগে, তার সময়ের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। কারণ যে সময়ের মধ্যে কবি বেড়ে ওঠেন, সেই সময়পর্ব তার কবিতা বোঝার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কবির জন্ম ১৯৫৭ সালে। বেড়ে উঠেছেন বাংলাদেশ আন্দোলনের সঙ্গে। দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধ, দেশের স্বাধীনতা। অপার বিস্ময় নিয়ে তারই সঙ্গে এগিয়ে যেতে দেখেছেন সদ্যস্বাধীন একটি দেশ। স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে দেশটির এগিয়ে চলা, পিছিয়ে পড়া, হোঁচট খাওয়া আর নানা ঘাত-প্রতিঘাত সবই তার জানা। অভিজ্ঞতা দুই রকমের। এক. ঘটনার ভেতরে থেকে দেখা, দ্বিতীয়ত, বাইরে থেকে উপলব্ধি ও শুনে।
কামাল চৌধুরী একদিকে যেমন বাংলাদেশের জন্ম দেখেছেন, তেমনি দেখেছেন দেশটির গড়ে ওঠার প্রক্রিয়াও। আবার সরকারের প্রশাসন বিভাগে কাজের সূত্রে তিনি দেশের আনাচে-কানাচে যেমন ঘুরেছেন, দেখেছেন মানুষের ভেতর-বাইর, তেমনিভাবে রাষ্ট্রের এগিয়ে যাওয়া, কখনো হোঁচট খাওয়াও প্রত্যক্ষ করেছেন। আগ্রহ আর নিজের পেশাগত দায়িত্ব এই দুই-ই তাকে ভিন্ন রকমভাবে দেখতে সাহায্য করেছে। বিচার-বিবেচনায় উৎসাহী করে তুলেছে। জীবনের পাঠের সঙ্গে প্রকৃতি ও দায়িত্ববোধের পাঠ থেকে তার দেখা হয়ে উঠেছে প্রকৃতপ্রস্তবেই আলাদা। সেই দেখার মধ্যে যেমন রয়েছে; আবেগ তেমনি রয়েছে যুক্তিও। যেমন রয়েছে আত্মবিশ্বাস তেমনি রয়েছে ঋজুতা। আর এসবের সম্মিলিত উপস্থিতিই কামাল চৌধুরীর কবিতাকে করে তুলেছে তার আত্মস্বরূপের প্রতিবিম্ব।
ফলে সমকালীনতার মধ্য দিয়েও তিনি বাস্তবতাকে যেমন নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন, তেমনিভাবে তাকে করে তুলেতে সক্ষম হয়েছেন মর্মস্পর্শীও।
অভিজ্ঞতা ও জীবন, এই দুইকে তিনি কখনোই আলাদা করে তোলেননি, তাদের কাউকে ভিনদেশি বলে চিনিয়ে দিতে চাননি, বরং এই দুইয়ের সমন্বয়ে যে জীবন অন্বেষা তাকেই স্পষ্ট করে তুলতে প্রয়াসী হয়েছেন। শুরু থেকেই তার আত্মপ্রকাশের মধ্যে তিনি কখনোই সমকাল, সময় ও সমাজ সম্পর্কে নিষ্ক্রিয়তার দিকে ইঙ্গিত দেননি। কামাল চৌধুরী সততার সঙ্গেই জীবন এবং সময়কে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। তাই তার কবিতায় আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে যুক্তি, যা তিনি বিশ্বাস করেন। সেখানে কোনো দ্বন্দ্বময় অভিজ্ঞতার প্রকাশ থাকে না। অভিজ্ঞতার সৎ উপলব্ধিই তার কবিতায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে বারবার। যা আশ্চর্য সুন্দর শব্দকুশলতায় পাঠকের মনের অতলান্তে প্রবেশ করেছে। যা থেকে পাঠক খুঁজে পেয়েছেন স্নিগ্ধ অথচ সুগভীর কবিভাবনার উপস্থিতি। যা থেকে পাঠকের পক্ষে কবি ও কবিতার স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত সুর খুঁজে ফেরা সহজ হয়েছে। নিজের অবস্থান ও শেকড়কে তিনি অস্বীকার করেননি কখনোই। ফলে সমকালীনতার মধ্য দিয়েও তিনি বাস্তবতাকে যেমন নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন, তেমনিভাবে তাকে করে তুলেতে সক্ষম হয়েছেন মর্মস্পর্শীও। আর এই প্রকাশ আকাঙ্ক্ষা তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মিছিলের সমান বয়সী’থেকেই।
পাড়াগাঁর বধূ আর কিশোরীরা যদি
আমার কবিতা পড়ে জলকেলি করে
কখনো সখনো কাঁদে
একজন মাঝি যদি পাল ও বৈঠার প্রেমে
আমার কবিতা থেকে গান তুলে ছুড়ে দেয় মুগ্ধ হাওয়ায়
মুক্তিযোদ্ধারা যদি মৃত্যু ও বারুদের ঘ্রাণে
ভালোবাসে আমার কবিতা
আমি সেদিন বলবো
সমস্ত প্রার্থনা আজ শেষ হয়েছে
জন্মের ঋণ আমি স্বীকার করেছি।
(জন্মের প্রার্থনা)
জীবনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আলিঙ্গন করার চেষ্টা সবসময়ই করেছেন কামাল চৌধুরী। কবিতার সঙ্গে ব্যক্তিজীবনকে মিলিয়ে দেখার পাশাপাশি তিনি সময় ও প্রতিবেশকেও স্মরণ করেছেন। ফলে তার লেখায় বিস্মৃতপ্রায় বিষয়ও বিস্তার লাভ করে, প্রকাশিত হয়ে ওঠে। বিষয়গৌরবে যেমন, তেমনি বলার ভঙ্গিমার আন্তরিকতাতেও স্বাচ্ছন্দ্য কামাল চৌধুরীর কবিতা। যেখানে শোনা যায় আর্তনাদ, শোনা যায় ফেলে আসা গ্রাম, ফেলে আসা ছেলেবেলা। অতীতের সাঁকো বেয়ে, অতীতকে স্মরণ করতে করতে তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন বাস্তবের কঠিন জমি। সত্তর দশকের রাজনৈতিক ডামাডোলের ভেতরে বেড়ে উঠেও কবিতাকে তারল্যকরণের দিকে এগিয়ে না গিয়ে তিনি শিল্পের পোড়ো জমিতে সোনা ফলানোর দিকেই মনোযোগী হয়েছেন। ফলে তার কবিতা থেকে ঝরে পড়েছে বাহুল্য। তার কবিতা থেকে ঝরে পড়েছে শব্দের মেদ, ঝরে পড়েছে অতিকথনের পাগলা ঘোড়া। এসবের এড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন, প্রকৃতি আর লোকায়ত সংস্কৃতিকে বেঁধে দিয়ে তিনি কবিতাকে করে তুলেছেন আকর্ষণীয় ও সুখপাঠ্য।
গ্রামবাংলা লোকালয় মনে রেখো আমার ঠিকানা
আমাকে বিশ্বাস করো, অবিশ্বাসী হয়ো না কখনো
আমার ভেতরে জেনো বাস করে লালন ফকির।’
(রক্তাক্ত পঙ্ক্তিমালা)
অকৃত্রিম ভাষায় লোকায়ত জীবন এবং বোধকে একসূত্রে গাঁথার সঙ্গে সঙ্গে তিনি একইসঙ্গে আশা-আকাঙ্ক্ষার সক্রিয় আশ্বাসকেও হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছেন। মানবাত্মার ক্রন্দন ধ্বনি, যা প্রতিনিয়ত আশা-নিরাশায় দোল খায়, জগতের সব নিষ্ঠুরতার মধ্য থেকেও স্বপ্ন দেখে, সব বেদনা, যন্ত্রণা এবং ক্ষোভের পরেও মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, তাকেই কালের যাত্রার ধ্বনির মধ্য দিয়ে কামাল চৌধুরী পরিচয় করিয়ে দেন। সেখানে বেজে ওঠে নতুন সুর। সেখানে সৌখিনতায় ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা রঙ-তুলির ক্যানভাসের বাইরে এসে একজন তুখোড় জীবন-শিল্পীকে খুঁজে পাওয়া যায়। যার কবিতায় ফুটে ওঠে প্রকৃতিনিষ্ঠ এক ধ্যানীর অনুভূতি। যন্ত্রসভ্যতার সমস্ত সামর্থ্যকে স্বীকার করেই জীবনের উপজীব্য হয়ে ওঠা এক গাঢ় সত্যকে তিনি অনুসন্ধান করেন; যেন দেশ, সমাজ ও প্রকৃত প্রস্তাবে মানুষের ভূগোলের ভেতরেই আবর্তিত হতে থাকে কামাল চৌধুরীর ভাবনার জগৎ। কোনো মেকি বিষয়কে ধারণ করে নয় বরং জীবনের যে জ্যোতিমর্য় মূল্যবোধ এবং দর্শন,‘আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে’ জন্ম নেয়, সেই বোধের নিভৃততম হাহাকারকে তিনি স্পষ্ট করে তোলেন। তৈরি হয় এক রোমান্টিক আবেশ, তৈরি হয় মাটির ওম, তৈরি হয় জীবনের তুখোড় সত্য পথের রেখা, উঁকি দেয় এই মাটির দর্শন।
এই পথে দৃশ্যগুলো খুব পরিচিত
রুপালি মাছের ঝাঁক
মধ্যরাতে জেলে নৌকো, হারিকেন টিমটিমে আলো
সেই গ্রাম সেই মানুষেরা
এইসব দৃশ্য দেখে দেখে
গভীর অতল থেকে তুলে নিয়ে নুড়ি
নদী ছুটে যাবে তার হারাবার পথে।সবাই হারাতে চায়, ভাটিয়ালি মাঝি মাল্লা পদ্মার কুবের
নদী শুধু পেয়ে যায় পথ; নিজের ঠিকানা।
(নদী পেয়ে গেছে চাকা)
কামাল চৌধুরী কবিতায় নির্জনতার সন্ধান করেননি। অন্তরের নিভৃত সত্যকে অনুসন্ধান করলেও তা কখনোই নির্জনতার প্রতীক হয়ে ওঠেনি। নীতি ও মূল্যবোধের প্রকাশে তিনি আন্তরিক। তার কবিতায় উত্তাপ আছে, আশাবাদ আছে, আছে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। সভ্যতার চরম সংকটেও তিনি স্থির। লোকায়ত জীবন এবং বোধকে আত্মস্থ করলেও তিনি মধ্যযুগকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াসী নন। বরং জাগরণে যে দ্বিধা, তাকে কাটিয়ে উঠে সংকটের পথ থেকে বেরিয়ে এসে আলোর দিকেই তার অঙ্গুলি নির্দেশ।
তার কবিতার আঙিনায় মাটি ও মানুষের ভাবনার স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল উপস্থিতি কোনো সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত দেয় না। বরং জীবনের সমস্ত উপাদানকে ব্যবহার করে তিনি নির্মাণ করেন এক প্রত্যাশা পৃথিবী।
বিপন্নবোধ তাকে তাড়িত করলেও, তিনি সেখানেই ভীত হয়ে থেমে যাননি, সেই বোধকেই প্রত্যয়দৃঢ়তা দিয়ে বের করে এনেছেন আগামীর দিকে। উপলব্ধি করেছেন বাস্তবের অনুভূতির সঙ্গে। যেন গতানুগতিকতার বাইরে এসে প্রকাশিত হয় আশ্বাস ও আস্থার ভিত। যাতে ফিরে আসে লুপ্ত বিশ্বাস। নৈরাশ্যের পথ থেকে বেরিয়ে এসে রাত্রিশেষের আহ্বান শোনা যায়।
সানগ্লাসে মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায়, মরা জীবনের খুলি
রোদে পুড়ে চিক চিক করে, করোটিতে জেগে ওঠে ফুল
চৈত্রে এক মোহন বাগান ক্ষিপ্র হয় স্নায়ুতন্ত্রে, মন্ত্রমুগ্ধ
গুম হয়, স্বপ্ন হয়, তারপর জাগরণ হয়ে ভেঙে পড়ে
খান খান প্রাসাদের মতো; সমুদ্যত বাস্তব তখন।ক্রাচে ভর দিয়ে যে যুবক হাঁটে রাজপথে
খোলাচুল ওড়ে যার খরতপ্ত প্রবল বাতাসে
সে তো সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি আমাদের, পঙ্গুতায় অসহায়!বাংলাদেশ
তাঁকে তুমি খোলা চোখে দ্যাখো, ভালোবাসো
ভুল করে কোনোদিন করুণা করো না।
(ক্রাচের যুবক)
কামাল চৌধুরী শিরদাঁড়া সোজা করে শব্দকে শিল্পের কারখানায় স্থাপন করেন। ফলে নৈরাশ্যের হতাশায় তিনি কখনোই নিমজ্জিত হন না। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ভাবনাকে ফেলে তিনি কবিতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার সাহস দেখিয়েছেন। তাই ভিন্ন ভিন্ন অনুষঙ্গও মিলিয়ে যায় তার কবিতায়। যাতে করে অন্ধকারের ধ্বসের ভেতর থেকেও প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে আত্মপ্রত্যয়ী ও বিশ্বাসী প্রদীপ। আকুতি ও ইঙ্গিত নয়, তিনি এর বাইরে এসে মমত্বের সঙ্গেই নিজের চিন্তাগত বৈশিষ্ট্যকে ফুটিয়ে তোলেন।
মানুষের যত দেশ আছে সব সাদা।
সাদাকে অনেকে রঙ বলে না। রঙধনুর সাত রঙে সাদা নাই
তবু আমাদের বাচ্চাদের ইশকুলের জামা, শান্তির কবুতর সাদা
কবিতা লেখার খাতাও সাদা
কালো মানুষের দেশে আমরা এখনো সাদা-কালো!
সাদার সুবিধা এই
একে ইচ্ছেমতো লাল করা যায়, কালোও করা যায়।
(সাদা কালো)
সত্তরের দশকের অস্থির সময়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেই কামাল চৌধুরী নিজেকে খুঁজে ফিরেছেন। ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন স্থির এবং ধ্যানী এক কবির প্রতিচ্ছবি। যেখানে পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সময়কালকে তিনি বিপ্লবী ধারার বিপরীতে, স্লোগানধর্মিতার বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। সব দ্বিধা, সংশয়কে ঝেড়ে ফেলে তিনি কবিতার মানচিত্রে আশাভঙ্গের বিপরীত দিকটিই জ্বালিয়ে রাখতে চেয়েছেন। এতে তার কবিতায় যেমন আশালোকের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তেমনিভাবে পাওয়া যায় নৈরাশ্যের বিপরীত দিকটিও। তার কবিতায় হা-পিত্যেশ নেই, রয়েছে তৃষ্ণার উত্তাপ। তার কবিতায় স্লোগান নেই, রয়েছে রাজনীতি সচেতনতা। তার কবিতার আঙিনায় মাটি ও মানুষের ভাবনার স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল উপস্থিতি কোনো সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত দেয় না। বরং জীবনের সমস্ত উপাদানকে ব্যবহার করে তিনি নির্মাণ করেন এক প্রত্যাশা পৃথিবী।
পৃথিবীটা ঘোর সন্ধ্যাবেলা
ডাক দিচ্ছে, ডাক দিচ্ছে। আর
বলছে, ‘এই তুই আমাকে নিবি’
আমার তো মাটি নেই দাঁড়াবার!আমি নেব, আমি নেব, আমার জঠরে
কত রাত্রি বড় হল কত দিন জন্ম নিলো
এখন যে যার মতো গেছে
তাড়া আছে পাশা খেলবার!ঘোড়া যায়, হাতি যায়, রাজ্য যায়
শেষাবধি অন্দরবাসিনী?হে মাটি পৃথিবীপুত্র
আমি তোকে কতটুকু চিনি?
(হে মাটি পৃথিবীপুত্র)
কামাল চৌধুরী তার কবিতায় বিপন্নতার সুর শোনান না। চির বিষণ্নতাকে আঁকড়ে ধরেন না। তিনি কোনো নির্লিপ্ততার ভেতর দিয়ে কবিতাকে এগিয়ে নিয়ে যান না। মানব অস্তিত্বের সব বোধ ও বেদনাকে ধারণ করে তিনি বারবার মুখ ফিরিয়ে আনেন আশালোকের দিকে। তিনি ইঙ্গিত দেন জীবনের আশার প্রদীপের দিকে। আশাভঙ্গের বেদনাকে তিনি চিরসঙ্গী করে তোলেন না। জীবনের বিশাল জিজ্ঞাসার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা শেষ সত্যের দিকে সমগ্র আগ্রহকে তিনি কেন্দ্রীভূত করে রাখেন। নাগরিক আভিজাত্য নয় বরং যে অনুসন্ধিসুৎ মন, যা ফেলে আসা মাটির টানে বারবার অস্তিত্বের শেকড় ধরে নাড়িয়ে দিয়ে যায়, গোড়া থেকেই কামাল চৌধুরী সেই আশালোকের দিকেই নিজের সৃষ্টিকে ক্রিয়াশীল রাখেন। সময়ের মাত্রা ব্যবহার ও তার প্রয়োগের কৌশল যেমন তার পরিপূর্ণ দক্ষতার নির্দশন তেমনি তার কবিতাকে নিজস্ব সময়ের বাইরেও পঠিত হওয়ার সুস্পষ্ট স্বাক্ষর বহন করে।