আল মাহমুদের প্রথম কাব্য ‘লোক-লোকান্তর’-এর একটি কবিতা পাঠ করলে অবাক হতে হয়। ভাবি, কবি সূচনালগ্নেই কিভাবে বলে দিলেন তার পরিণতি? কী করে এটি সম্ভব? তাহলে কি কবি দ্রষ্টা? আগাম বলে দিতে পারেন ভবিষ্যৎ? অবশ্য আল মাহমুদই ‘মিথ্যেবাদী রাখাল’ কাব্যে ইশপের মিথ্যাবাদী রাখালকে নতুন কিংবদন্তীতে উপনীত করেছেন। দেখিয়েছিন—আমাদের কাছে মিথ্যেবাদী হিসেবে পরিচিত, যে মিথ্যেকথা বলার মাশুল হিসেবে অপমৃত্যুর স্বীকার হয়েছিল, সে রাখালকে তিনি দিয়েছেন একটি নতুন পরিচয়। তিনি বলেছেন, সে রাখাল মিথ্যেবাদী ছিল না, সে মৃত্যুর আগামবার্তা টের পেয়েছিল।
ভেবে অবাক হই, আল মাহমুদও তার কাব্য জীবনের ঊষালগ্নে কিভাবে টের পেয়েছিলেন তিনি একদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন? নিঃসঙ্গ হয়ে যাবেন? হবেন ক্ষত-বিক্ষত? হবে তার কবিতার বিজয়? আচ্ছা, চলুন তার ‘লোক-লোকান্তর’ কাব্যের নাম কবিতাটি পড়ে নেই আগে—
আমার চেতনা যেন একটি শাদা সত্যিকার পাখি,
বসে আছে সবুজ অরণ্যে এক চন্দনের ডালে;
মাথার ওপরে নিচে বনচারী বাতাসের তালে
দোলে বন্য পানলতা, সুগন্ধ পরাগে মাখামাখি
হয়ে আছে ঠোঁট তার। আর দুটি চোখের কোটরে
কাটা সুপারির রং, পা সবুজ, নখ তীব্র লাল
যেন তার তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল
চোখ যে রাখতে নারি এত বন্য ঝোপের ওপরে।তাকাতে পারি না আমি রূপে তার যেন এত ভয়
যখনি উজ্জ্বল হয় আমার এ চেতনার মণি,
মনে হয় কেটে যাবে, ছিঁড়ে যাবে সমস্ত বাঁধুনি
সংসার সমাজ ধর্ম তুচ্ছ হয়ে যাবে লোকালয়।
লোক থেকে লোকান্তরে আমি যেন স্তব্ধ হয়ে শুনি
আহত কবির গান। কবিতার আসন্ন বিজয়।
কবিতাটি আল মাহমুদের আত্মপরিচয়মূলক কবিতা। আর এই কবিতা দ্বিতীয় স্তবকে অর্থাৎ শেষ ছয় লাইনে নির্মাণ করেছেন তারই উত্তর-জীবনের ভাষ্য। এ কথায় তো দ্বিমত করার উপায় নেই—বর্তমানে বাংলাদেশে তিনিই সবচেয়ে নিন্দিত এবং নন্দিত কবি। যদিও কবির ক্রিয়াকলাপ, কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকে তাকে বর্জন করতে চাইলেও তার কবিতাকে অস্বীকার করার সাহস কারও নেই।
তা-ই বা বলি কী করে? হুমায়ুন আজাদ তার সম্পাদিত ‘আধুনিক বাঙলা কবিতা’ সংকলনে তো আল মাহমুদকে অন্তর্ভুক্তই করেননি। অবশ্য এ সংকলন এমন একসময় প্রকাশিত হয়েছে, যার আগেই আল মাহমুদ তার অবস্থান বাংলা সাহিত্যে সুসংহত করেছেন। এরপরও এ প্রসঙ্গের অবতারণার কিছু কারণ আছে। এছাড়া হুমায়ুন আজাদ বাংলা সাহিত্যের একজন খ্যাতিমান দিকপাল। হুমায়ুন আজাদ তার সংকলনে আল মাহমুদের কবিতা নেননি, তার মানে এই নয়—আল মাহমুদ যথেষ্ট আধুনিক কবি নয়। না, ড. আজাদও তা বলেননি। বরং ভূমিকায় তিনি আল মাহমুদের কবিতা গ্রহণ না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি নীতিগত কারণে মৌলবাদী বা শাসকগোষ্ঠীর আশ্রিতদের কবিতা নেননি। এটি সম্পাদক হিসেবে তার স্বাধীনতা। তিনি এটি করতেই পারেন। যদিও তার সংকলনে শাসকগোষ্ঠীর আশ্রিত কিছু কবিদের কবিতা তিনি গ্রহণ করেছেন। তারপরও আল মাহমুদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি তাকে সংকলন থেকে দূর রাখতে পারতেন।
বাংলা কবিতার প্রেমে পড়ে আল মাহমুদ ঘর ছেড়েছিলেন কৈশোরে। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে কর্মজীবন শুরু করেন। কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে তাকে সুদীর্ঘ পথ। তবু কাব্য-সুন্দরীকে কখনো অবজ্ঞা করেননি। ‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’, ‘সোনালি কাবিন’ পর্যন্ত আল মাহমুদকে নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু তার ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসের কারণে তিনি একপক্ষের কাছে হয়ে ওঠেন নিন্দিত। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি জীবিকার তাগিদে প্রতিক্রিয়াশীলদের একটি পত্রিকায় চাকুরি নিয়ে তাকে চিহ্নিত করা হয় রাজাকার হিসেবে। তাকে যারা নানা কারণে বর্জন করতে চেয়েছিল তাদের পালে তখন যেন হাওয়া লাগে তাকে হেয় করার জন্য, তাকে বাদ দেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রকৃত কবি যিনি, তিনি কখনোই পরাজিত হন না। তিনি জানেন, তার কবিতার বিজয় অবশ্যম্ভাবী। আল মাহমুদও পরাজিত হননি। তার প্রথম পর্বের কবিতায় মার্কসবাদ ও পরবর্তী সময়ের কবিতায় ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যবহার পরিলক্ষিত হলেও সেগুলো কবিতাই। কোনো পন্থীর প্রচারপত্র নয়। তিনি কাব্যরচনায় নিরপেক্ষ থাকতে পেরেছেন। তাই কাব্যলক্ষ্মীও তাকে দিয়ে গেছে অকৃপণ হাতে।
আল মাহমুদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তিনি মৌলবাদী কবি। দ্বিতীয় অভিযোগ তিনি রাজাকার। প্রথম অভিযোগ খণ্ডাতে আল মাহমুদ নিজেই বলেছেন, ‘‘আমাকে মৌলবাদী বলা হচ্ছে। কিন্তু আমার কবিতায় তার চিহ্ন বা প্রমাণ তারা বের করতে পারবে না। তাই আমাকে সমালোচনা থেকে বাদ দিতে চেষ্টা করেছে। আমার কবিতাগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’, ‘সোনালি কাবিন’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না’ ও ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’—এই বইগুলোর যে ধারাবাহিকতা তাতে প্রথম বইয়েই পাওয়া যাবে আমি যে ফ্যামিলি থেকে এসেছি অর্থাৎ মুসলিম পরিবারের ইডিয়মগুলো ব্যবহার করেছি। সবচেয়ে যে বইটিকে বামপন্থী বলা হয়, তাদের আগ্রহ যেটিতে বেশি, তাতে ‘প্রত্যাবর্তনের লজ্জা’ বলে একটি কবিতা আছে, সেখানে কোরআনের একটা আয়াত আছে—‘ফাবি আইয়ি আলা ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’। আমি আমার ঐতিহ্য ধর্মকে পরিত্যাগ করে এসেছি, এটা তারা কখনোই প্রমাণ করতে পারেনি। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে তারা গালিগালাজ করে।’’
কিন্তু আল মাহমুদের কবিতা পাঠ করলে বোঝা যায়, তার কবিতায় ধর্ম শুধু প্রেরণা হিসেবে এসেছে কিন্তু তিনি সব সময় মানুষের কথাই বলেছেন, মানুষের পক্ষেই থেকেছেন। এছাড়া ধর্ম যদি সাহিত্যের অনুষঙ্গও হয়, তবে তা দোষের কিছু নয়, যদি সেটা সাহিত্য পদবাচ্য হয়ে ওঠে। কেননা আমাদের প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগের সাহিত্য ছিল ধর্মনির্ভর। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য উপনিষদের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত। এখন দুয়েকজন চঞ্চলমতি নাবালক যদি রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করে, খারিজ করে তাতে রবীন্দ্রনাথের কিচ্ছু আসে যায় না। রবীন্দ্রনাথ বাঙালির সংস্কৃতির আষ্টেপৃষ্ঠে সেলাই করা হয়ে গেছেন। এখন ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আমাদের রবীন্দ্রনাথের কাছে যেতেই হবে। উপায় নেই।
আল মাহমুদকে অনেকে রাজাকার বলেন। আমাদের দেশে রাজাকার হিসেবে কাদের চিহ্নিত করা হয়? যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জন্মলগ্নে এর বিরোধিতা করেছিলেন। যারা পাকিস্তানকে পক্ষে সাফাই গেয়েছেন, যারা পাকিস্তানকে এই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলে সমুন্নত রাখতে চেয়েছেন। তখন কি আল মাহমুদ পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছিলেন? না, তিনি তখন মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই কাজ করেছিলেন। তবু তাকে কেন রাজাকার বলা হয়? তাকে রাজাকার বলা হয়, কারণ তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর অনোন্যপায় হয়ে একটি বিতর্কিত পত্রিকায় যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি কেন এই কাজটি করেছিলেন? কারণ অবসর গ্রহণের পর জীবিকা নির্বাহের জন্য তার অন্যকোনো পথ খোলা ছিল না। এখন তার অন্য কোনো পথ খোলা ছিল কি না—এই নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক চলতে পারে। ওই পত্রিকায় শ্রম দেওয়অর জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যেতে পারে। কিন্তু ওই পত্রিকার আদর্শ তার সাহিত্যে, কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে, তা বলা যাবে না। হ্যাঁ, স্বীকার করছি বা অস্বীকার করার উপায় নেই, তিনি তার আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অনেক কাজ করেছেন, তিনি টিকে থাকার জন্য দ্বৈতনীতি অবলম্বন করেছেন। তিনি এক সময় বলেছিলেন,
মাৎস্যন্যায়ে সায় নেই, আমি কৌম সমাজের লোক
সরল সাম্যের ধ্বনি তুলি নারী তোমার নগরে,
কোনো সামন্তের নামে কোনদিন রচিনি শোলোক
শোষকের খাড়া ঝোলে এই নগ্ন মস্তকের ’পরে।
পূর্ব পুরুষেরা কবে ছিলো কোন সম্রাটের দাস
বিবেক বিক্রয় করে বানাতেন বাক্যের খোয়াড়,
সেই অপবাদে আজও ফুঁসে ওঠে বঙ্গের বাতাস।
মুখ ঢাকে আলাওল—রোসাঙ্গের অশ্বের সোয়ার।
এর চেয়ে ভলো নয় হয়ে যাওয়া দরিদ্র বাউল?’
[ সোনালি কাবিন-৬, সোনালি কাবিন]
তিনি তার কথা রাখতে পারেননি, তিনি দরিদ্র বাউলের জীবন বেছে নেননি, তিনি শাসকদের দাক্ষিণ্য, পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণ করেছেন। এজন্য আমরা তাকে দোষারোপ করতে পারি, কটূক্তি করতে পারি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসবের কিছুই থাকবে না। কবি থাকবে না, সমালোচক থাকবে না। যদি সমালোচনা উৎকৃষ্ট হয়, তাহলে তা টিকবে আর টিকবে কবিতা। শত, সহস্র বাধা-বিপত্তির পরেও কবিতারই বিজয় হয়, হবে। আল মাহমুদ তাই জানেন, বিশ্বাস করেন। তিনি সচেতন তার সৃষ্টি সম্পর্কে, তার কীর্তি সম্পর্কে। তাই দৃঢ় প্রত্যয়ে বলতে পারেন, ‘… আমার মনে হয় যারা ভাষা সাহিত্য অধ্যয়ন করেনে, তারা বুঝবেন আমার প্রয়োজন ছিল। যেমন আমি বাংলা ভাষায় কিছু কাজ করেছি, গ্রামকে উত্থাপন করেছি আধুনিককালে সবার আধুনিক বিষয় হিসেবে। গ্রামের ভেঙে পরা দুঃখী মানুষের কথা বলেছি, গ্রাম্য সৌন্দর্য্যরে কথা বলেছি। এটা তো করেছি। তা ছাড়া গ্রাম্য শব্দ বা আঞ্চলিক শব্দকে আমি আধুনিক বাংলা ভাষার কাঠামোর মধ্যে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি। যেসব শব্দ প্রচলিত ছিল না, ব্যবহৃত হতো না সাহিত্যে… গ্রাম্য শব্দ হিসেবে স্থান পেত না আধুনিক সাহিত্যে, আমি সেটা ব্যবহার করার চেষ্টা করছি আধুনিক বাংলা ভাষার কাঠামোর মধ্যেই।’
অথবা, ‘এখন এ কথা বলে আর লাভ নাই যে আমি মরে গেলে আমার কবিতা পড়বে কি না। আমি জীবিত থাকতে যারা আমার কবিতা পড়ছে তারা অনেকে আমায় চেনে না। আমি তাদের কাছে অদৃশ্য ব্যাপার। দেখেনি তারা আমাকে। কিন্তু দেশব্যাপী আমি লক্ষ্য করেছি আমার কবিতা পঠিত হয়। নিশ্চয় আমার কবিতার চাহিদা এবং মানুষ হিসেবে আমি প্রভাবশালী লোক নই, তারপরও আমার কবিতা পড়ছে মানুষ। তাহলে যখন, আমি থাকব না তাকে কী? থাকা না থাকাটায় কী আসে-যায়। কবিতা তো থাকবে।’
সবচেয়ে বড় অশীতিপর বয়সেও যখন আল মাহমুদ চোখে দেখেন না, কানে শোনেন না, তখনো আল মাহমুদ কবিতা রচনায় সদা তৎপর। মুখে মুখে কবিতা বলে যান, যা আজও তার তরুণ বয়সে লেখা কবিতার মতোই সমান উজ্জ্বল, দেদীপ্যমান।
আমরা যখন বারো ঘাট ঘুরে আল মাহমুদের শত দোষ খুঁজছি, ভুলে থাকতে চাইছি, তখন ওপার বাংলার কবি মৃদুল দাশগুপ্ত তার ফেসবুকে আল মাহমুদকে নিয়ে লেখেন, ‘বয়স সামনের জুলাইয়ে (২০১৮) হবে ৮২। আঁধারাচ্ছন্ন বাংলা কবিতার প্রাঙ্গণে যে প্রদীপটি আজও দপ্ দপ্ করছে, সেই তিনি আবার অবাক করে দিলেন তাঁর সদ্য লেখা প্রেমের কবিতায়। আল মাহমুদের এ কবিতা বের হয়েছে ঢাকার প্রথম আলো সংবাদপত্রের গত একুশে ফেব্রুয়ারির ক্রোড়পত্রে।
হারানো সোনার খনি
জীবনযুদ্ধে জয়-পরাজয় খেলা
সেখানে একদা চেয়ে দেখি শেষবেলা
আমার মুখের ওপরে লালের ছিটা
ছড়িয়ে দিয়েছে ভয়ের ভেতরে ভয়
কি-বা আসে যায় যদি মানি পরাজয়।
বিজয় এখানে তুলেছে নতুন ধ্বনি
আমি কি এ দেশে হারানো সোনার খনি?
বহুদূর আমি এসেছি তো পার হয়ে
কত নদী কত পর্বত নাম ধরে
ডেকেছিল পিছে আমি কি দাঁড়াতে পারি?
অবশেষে হাত ধরেছিল এক নারী
যা কিছু আমার অতীত পিছনে ফেলে
এসেছি এখানে একটি মশাল জ্বেলে।
বাংলা কবিতায় আল মাহমুদ একটি স্বতন্ত্র ধারার নাম। প্রাসঙ্গিক হওয়ায় সরকার আমিনের ভাষায় বলতে হয়, ‘আল মাহমুদের জীবন বর্ণাঢ্য অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ, জীবনবোধ পরস্পরবিরোধী চিন্তা-চেতনায় আর্কীর্ণ। জীবনবোধের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পেছনে ক্রীয়াশীল তাঁর পরিবারের বিশ্বাসগত প্রভাব, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, পেশা ও পরিবেশগত নানা বাস্তবতা। জীবন-জিজ্ঞাসার জবার খুঁজতে গিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত অলৌকিক সত্তার দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু শিল্প ক্ষেত্রে রেখে চলেছেন সামর্থ্যরে পরিচয়।’
নিঃসন্দেহে তার এই সামর্থ্যের কারণে বাংলা কবিতা ঋদ্ধ হয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কবিতায় তার প্রভাব পড়ছে। তাই এত তর্ক, বিতর্ক, সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও, তার কীর্তির দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হতে হয়। অবাক হয়ে তারই কথা ধার বলতে হয়,
কানা মামুদ, কানা মামুদ
কোথায় পেলে ওড়ার বারুদ?
[কানা মামুদের উড়ালকাব্য, উড়ালকাব্য]
সহায়ক গ্রন্থপঞ্জী
১. কবিতা সমগ্র : আল মাহমুদ (দ্বিতীয় প্রকাশ ২০০০), অনন্যা।
২. কবিতাসমগ্র-২: আল মাহমুদ (২০০৬), অনন্যা।
৩. শামসুর রাহমান আল মাহমুদ তফাৎ সাক্ষাৎ : নাসির আলী মামুন (২০০৯), অনন্যা।
৪. বাংলাদেশের কবিতায় চিত্রকল্প: সরকার আমিন (২০০৬), বাংলা একাডেমী।
৫. সাক্ষাৎকার আল মাহমুদ: সাজ্জাদ বিপ্লব সম্পাদিত (২০০৩), ঐতিহ্য।
৬. ধর্মানুভূতির উপকথা ও অন্যান্য: হুমায়ুন আজাদ (২০০৮), আগামী প্রকাশনী
৭. ইন্টারনেট।