আগুন নিয়ে খেলা
জলের সাথে আগুন নিয়ে খেলা
শাড়ির ভেতর অস্ত গেল চাঁদ
মনের বাড়ি নিঠুর ঠোঁটের ফাঁকে
দেহের বাঁকে পাতা আছে ফাঁদ।
বৃষ্টি হলো বৃষ্টি হলো খুব
মনের বাড়ি লবণ-হ্রদের সাথে
শরীর ঘেমে ভিজল নিচু ভূমি
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা রাতে।
দীর্ঘতম আঙুল গেল কই
আবির রঙা পাতাল ট্রেনে চড়ে
পাখ- পাখিনী রঙ্গ করে বলে
ধর্মের কল অন্ধকারে নড়ে।
দুঃখ মহারাজ
তোমার চোখে পাখির নাচন আমার চোখে জল
দুঃখ দিয়ো দুঃখ দিয়ো আঁচল ভরা ছল।
আমার চোখে আকাশ ভাঙে তোমার চোখের ঢেউ
আমরা কত তারার মালিক জানল না তো কেউ।
বলেছিলে জলের কাছে চাঁদের কাছে যাও
দুঃখ বেচে সুখের খোঁজে ভাসাও তোমার নাও।
জল কি আমার কথা শোনে চাঁদ কি আমার কেউ?
দুঃখ দিয়ো দুঃখ দিয়ো হাজার তারার ঢেউ।
আমি জলের পাখি হব তুমি উড়াল মাছ
কষ্ট দেবে কষ্ট দেবে জলের গোপন ভাঁজ।
আকাশটাকে তোমার চোখে খুঁজতে গেলে দেখি
মনখারাপের সন্ধ্যা নিয়ে হচ্ছে লেখালেখি।
মনখারাপের রাত্রিতে আজ জলের গোপন ভাঁজ
খুলছে দেখো খুলছে দেখো দুঃখ মহারাজ।
বকুল গাছের মান ভাঙানো গান
বকুল গাছের মান ভাঙানো গান
বৃষ্টিজলে গাইতে গেলে দেখি
অবাক চোখে তাকিয়ে আছ তুমি
সোনার দেহের গন্ধে ভাসে ভূমি।
কেউ জানে না বকুল ফুলের ঘ্রাণে
ভাসছে কত মৌপোকাদের গ্রাম
জ্যোৎস্নাজলে সিক্ত বাদল রাতে
ভিজল তোমার অনিন্দ্য ডাকনাম।
তোমার নামের মধ্যখানে আমি
লুকিয়ে আছি বিনিদ্র রজনী
তোমার দেহের মাদল বাজে এত
বাজছে শোনো অলৌকিক সিম্ফনি।
কেউ দেখেনি কেউ দেখেনি সোনা
নাভির নিচে জাগছে পান্থশালা
বকুল গাছের মান ভাঙানো রাতে
শরীর যেন বকুল ফুলের মালা।