পুরনো সম্পর্ক
অপেক্ষার ছুরি ঝুলে আছে দুপুরের গালে
চুলফিতায় মেপে নিচ্ছো পুরনো সর্ম্পক
আর আবিষ্কার করছ—অশ্রুর ঘনত্বে বেড়ে ওঠা
রক্ত-লবণের খরচা কত?
বকেয়া কিছু ছায়াদের হুড়োহুড়ি
প্রাপ্তিকে দূরে টেনে নেয়
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসে ঢুকে পড়ি।
মেটে রঙের গন্ধ; গবাদী ঘ্রাণ
প্রতীক্ষার ধোঁয়ায় উড়ে যায়।
তুমি আগের চেয়ে ছোট হয়ে গেছ
দেবীর সামনে অসহায় পূজারী—
সজনে ফুলের মতো শুকিয়ে ছিলাম
জোছনার ফাঁদে চুরি হয়ে জেনেছি—
নারীকে ভালোবাসার মোজেজা।
প্রেম
তুমি আসবে না জেনেও আমি অপেক্ষা করি!
এর ভেতর জমা রাখা সবটুকু বোকামি;
আর বোকামির বাঁশি বাজাতে বাজাতে
অন্ধ হয় যে রাখাল—
তাকে আমরা প্রেমিক বলে ডাকি।
স্নান ভিজিয়ে চলে যায় যে জোড়া নদী
তার পিছে পরম আদরে ছুটে গিয়ে
হাত বাড়াই—ফিরে এসো ভালোবাসা।
কাগুজি ফুলের তেজ
হাওয়াই মিঠাইয়ের আয়ু নিয়ে—তুমি আমায় ভালোবাসতে
আমি কুড়িয়ে নিতাম তোমার কামিজে ফোঁটা কাগুজিফুলের তেজ।
মুহূর্তে ভালোলাগায় টুপ করে তুলে নিতে;
আমার বুকের জলে বেড়ে ওঠা—একমাত্র কানখাড়া শাপলা
জোড়াপাতাকে অসহায় করে—সে নেতিয়ে পড়ে তোমার বাহুতে।
দেখতে দেখতে আমাদের পিপাসার শরীরে নোনা ধরে—
অদক্ষ নেশাতুরের মতো ধরা পড়েছি তোমার সেলোয়ারে;
সেসব তৃষ্ণায় ছিলো কেবল ভগবান দেখার মতো বিস্ময়!
পোনা-পাপে আমাকে তাই ভিজিয়েছিলে!
খেলতে খেলতে জ্যোৎস্না নিয়ে পালাতে বিচালি গাদায়
রেডি হতে হতে আমাদের মুহূর্ত অস্ত যায়;
কিন্তু আগামী চোখে পুষে রাখতাম—প্রস্তুতি পর্বের উত্তেজনা!
ভবিষ্যতে কি না বলো—একান্ত সময়ে আদিম হলে কী এমন ক্ষতি?