মাছ ও আমি
রোদ নেভানো শেষ বিকেলের বয়স যখন বাড়ে,
তখন আমি ঘর ছেড়ে যাই পদ্মা নদীর পাড়ে।
নদীর পেটে মস্ত গোলা- গোলা ভরা মাছে,
কে জানে ভাই ঐ গোলাতে কত্ত কী মাছ আছে?
আমি শুধু টেংরা, পুটি, বোয়াল, ইলিশ, চিনি-
ওদের সাথেই মনের কথা বলি প্রতিদিনই।
পড়ার জন্যে ইটশহরে যেতে হবে চলে,
শেষ বিকেলে আসব না আর পদ্মা নদীর কোলে।
আর হবে না মাছের সাথে আমার কোনো কথা,
এসব শুনে নদীজুড়ে শীতল নীরবতা।
মন যে খারাপ ভীষণ রকম নেই তো উপায় কোনো,
মাছরা তখন বললো ডেকে, ‘আরে বাপু শোনো-
একটুখানি বৃষ্টি হলেই শহর হবে নদী,
নদী পথেই আসব দেখো রাজি থাকো যদি।
তোমার সাথে আড্ডা দেব আমরা সবাই মিলে,
থাকবে কোথায় মহাখালী? আসব হাতিরঝিলে।’
আরও কত কথা ওদের কথার জলে ভাসি,
মুখ লুকিয়ে আমি তখন মিটমিটিয়ে হাসি।
ঝড় উঠেছে ঝড়
ঝড় উঠেছে ঝড়,
পাহাড় নাকি মেঘের গালে
জোরসে দিল চড়!
ঝড় উঠেছে ঝড়,
ঝড় এসে ওই দেয় উড়িয়ে
ধুলোবালি খড়।
ঝড় উঠেছে ঝড়,
ঝড়ের চোটে হচ্ছে বাতাস
গাছগুলো নড়বড়।
ঝড় উঠেছে ঝড়,
ঝড়ের ভয়ে ঘরের ভিতর
কাঁপছে নারী নর।
ঝড় উঠেছে ঝড়,
ঝড়ের অমন রাগগুলি ওই
বৃষ্টি হয়ে পড়।