পাললিক শিলাসন্ধিতলে
জমে আছে ঝুলকালি হৃদয়ের অদৃশ্য কার্নিশে
মানুষের প্রেমকাম তাও বুঝি বর্জ্যের ভাগাড়
ধুলি ওড়া এ জীবন ক্ষনস্থায়ী নতুন ভার্নিশে
আসেনা চমক তার। ভেঙে যায় লতাগুল্ম ঝাড়।
তুমি আমি এ নিখিলে অপাঙ্ক্তেয় পরাজিত জীব
জীবনের পলে পলে পাললিক শিলাসন্ধিতলে
নেমেছে আঁধার আর অবক্ষয় বড্ড সপ্রতিভ
মহাকাল লিখে রাখে সে হিসাব কালের বক্কলে
আমি আর কোন ছার। অন্ধকারে শিশ্নের গৌরব
দেবতারা তন্দ্রালস খায় দায় আয়েসী ভঙ্গিতে
জমে ক্লেদ অনুভবে অট্টহাসি বিত্ত ও বৈভব
সন্মানের মাপকাঠি মহাজ্ঞানী বিভোর সঙ্গীতে
অন্ধ করে দাও প্রভু এ সমাজে কেউ নই আমি
না হয় বিনাশ করো অবক্ষয় তুমি অন্তর্যামী।
মিছিলের অগ্রভাগে
রাঘব বোয়াল এসে খেয়ে নেয় সুকুমারকলা
ভীনগ্রহে ঠিক হয় আমাদের কী কী করণীয়
চলে গেছে সেইসব যারা ছিল প্রাতঃস্মরণীয়
এখন সামর্থ কই। যাবে না তো মন থেকে বলা
তোমার গরম রক্তে আজকাল শীতের প্রবাহ
মিছিলের অগ্রভাগে কারা যায় হাতে নিয়ে প্রাণ
চোখের গোলক থেকে বের হয় অগ্নি অফুরান
কিছুই করার নেই। নিজে নিজে হয়ে যাই দাহ।
পিতলা পাতিলে দেখ রান্না হয় তোমার সাহস
অদূরে দাঁড়িয়ে আছে তেলবাজ নেতারা আমার
বাকি সব অন্তরালে তৃণমূল চামার কামার
হাঁড়িতেই পড়ে থাক রান্নাকৃত সাহসের কষ
তেলজ জলজ কবি কাজ নেই থাকো ফুটপাতে
নামে কোন কাম নেই।পতাকাটা তুলে দাও হাতে।
চোখে তার জল নামে
চোখে তার জল নামে বিমোহিত বিন্দু বিন্দু কণা
বয়ে যায় নির্দ্বিধায় স্বর্ণসিক্ত স্নিগ্ধ তার ধারা
আনন্দ বন্যায় ভাসে চিত্রকল্প কাব্যিক আল্পনা
সাফল্যের সেই জলে মাতোয়ারা কবি খেই হারা
যেই চোখে বান ডাকে আনন্দের সেই চোখে শোক
কবির ভাবের মতো স্রোতস্বিনী প্রবল প্রাঞ্জল
চারদিকে অন্ধকার তবু তার ঋদ্ধ কল্পলোক
আলোর গোলক হয়ে অবিরল হাসে খলবল
নিষিদ্ধ সময় আজ দ্বিখণ্ডিত আমার সমাজ
দেখে যাও চক্ষু বুজে বিবেকের অতৃপ্ত দহন
অসভ্য লোকেরা কয় এই সবে নেই তার কাজৰ
সাফল্য পেছনে ঠেলে অবক্ষয় করেছি বহন।
খরাদগ্ধ এই দেশ বৃষ্টিহীন। প্রার্থনার মতো
নামুক বৃষ্টির গান ভরে যাক খাল বিল যতো
প্রেরণার সমৃদ্ধ নমুনা
প্রেরণার স্বচ্ছ জল বহমান স্রোতল শরীরে
আমাকেও ঋদ্ধ করে আদিগন্ত মোহিত রোদনে
উড়ে চুল গরীয়সী কালচক্রে সমুদ্র সমীরে
মিনারের পাদদেশে নীতিবাক্য চরিত্র শোধনে
পড়ে থাকে যুগ যুগ কায়মনে বৃদ্ধ পুরোহিত
মুদ্রার এ পিঠ আর উল্টো পিঠ সমানে সমান
পৌরাণিক প্রেতলোকে অবিশ্বাসী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত
কেহ কেহ অন্য প্রান্তে গেয়ে উঠে সন্নিহিত গান
তুমি সেতো তুমি নও। এ কালের পদ্মা ও যমুনা
নাতিদূরে মেঘনার ঘোলাজল দজলা ফোরাত
আমি পাই ঘ্রাণ তার প্রেরণার সমৃদ্ধ নমুনা
মহীয়সী মুগ্ধ প্রাণ পুষ্প আঁকা চুড়িভরা হাত।
বিশুদ্ধ বিশ্বাস নিয়ে জপি নাম সোনার হরিণ
বিমূর্ত স্বরনে আনি তার সেই প্রেরণার ঋণ
আমাকে সমৃদ্ধ করো
আমাকে সমৃদ্ধ করো নীলাকাশ দখিনা সমীর
বিপরীত স্রোত যেন বহুমুখী দুঃখের প্রবাহ
তেড়ে এসে চারপাশে রাতদিন করে শুধু ভিড়
ঘৃণা ভরে ছুড়ে দাও অগ্নি বর্শা আগুনের দাহ
তোমার তুলনা তুমি দিয়েছিলে সুখের পরাগ
এ কথা বলিনি প্রিয় ভুল বুঝে কেন যাবে সরে
আপন ইচ্ছায় যদি করে দাও নিজকে দুভাগ
কি আর বলার থাকে এই ঘরে নির্মোহ প্রহরে
তোমার সম্রাজ্য জুড়ে বিভেদের অবিভক্ত সুর
পরিস্ফুট হয়ে উঠে তিক্ততায় যেন নিম বৃক্ষ
চক্রবাল ভেদ করে চলে যাও বাজিয়ে নুপুর
আমাকে সমৃদ্ধ করো হে বাতাস নীল অন্তরীক্ষ।
তোমার প্রাংগন হোক দৃষ্টিহীন অপদেবতার
আলোর উদ্ভাসে ভরে যাক তার সমুহ আঁধার।