হে কবি তোমার জন্মদিনে
শ্রদ্ধা মোর লও,
হৃদয় নিঙ্ড়ানো ভালোবাসা
প্রজন্মরে দিয়ে যাও।
কোনো মহামানবের কথা বলছি না—সাধারণের মধ্যেও পৃথিবীতে মাঝে-মাঝে কিছু বিশেষ মানুষের আবির্ভাব ঘটে, যারা তাদের কাজের মাধ্যমে গণমানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা অর্জন করেন। আর সবার মনের মণিকোঠায় চিরদিন অমলিন হয়ে থাকেন। সেই সব ক্ষণজন্মা মানুষেরই একজন কবি ইসলাম রফিক।
আজ ২৫ এপ্রিল। আজ বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি ইসলাম রফিকের ৪৭ তম জন্মদিন। ১৯৭০ সালের আজকের এই দিনে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বড় সাগাটিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আলহাজ মো. আব্দুল বারী, মাতা মোছা. জুলেখা বেগম। তিনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর করেছেন। কর্মসূত্রে থাকেন বগুড়া।
ইসলাম রফিক একাধারে ছোটকাগজ সম্পাদক, সংগঠক, কবি, প্রাবন্ধিক ও গল্পকার। এ পর্যন্ত তার চারটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে।কবিতার—‘বিজন দ্বীপে বিশ্বাসী বালিহাঁস’।দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার কাছে ফিরে আসা’। কবির একাকিত্ব কেউ বোঝে না। একাকিত্ব উন্মোচনের সঙ্গে রহস্য মায়ায় জড়ানো জীবনের সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ চিরকালের। কবি সেই আগ্রহ, সেই যন্ত্রণাকে সুস্পষ্ট করার অন্তর্তাগিদ থেকেই তার স্বরূপ উন্মোচনের চেষ্টা করেন। সেতু নির্মাণ করতে প্রয়াসী হন। তার প্রথম গদ্যের বই প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালের একুশে বইমেলায়। নাম ‘পথে পথে শেখা, প্রেমে প্রেমে লেখা’। এই বইয়ে তিনি পাঠকদের স্মরণ করে দেন, নিঃসঙ্গতার কঠিন স্বরূপ, নিশি জাগরণের বিলম্বিত ব্যথা। কবি মাত্রই নিঃসঙ্গ; বাস করতে হয় দুঃখ, কষ্ট, অনাদর ও প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে। কেননা, কবির ভ্রমণ মেঘালোকে, ঈশানে এবং নৈঋতে। যেহেতু তিনি প্রেমবন্ধন ব্যতীত অন্য কোনো প্রলোভনে ধৃত হননি, যদি ধৃত হন সেটি কবিতা নামক অদৃশ্য প্রপঞ্চ বৈ কিছু নয়।
ইসলাম রফিক ছোটকাগজ সম্পাদকও। দীর্ঘদিন ধরে সম্পাদনা করছেন ছোটকাগজ ‘দোআঁশ’। ছোটকাগজ সম্পাদনার জন্য পেয়েছেন ‘চিহ্ন’ সম্মাননা পুরস্কার, পাঠকপণ্য পাঠশালা সম্মাননা (বগুড়া), পুনশ্চ পুরস্কার (নওগাঁ) এবং বগুড়া জেলা প্রশাসক পদক।
কবি-সম্পাদক ইসলাম রফিক সবসময় উৎসাহ জোগান তরুণদের লেখালেখিতে।আজ তার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন কবি-সম্পাদক ইসলাম রফিক।