‘জীবানানন্দ দাশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-১৫’ নিলেন রাসেল রায়হান। সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী মিলনায়তনে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন,পুরস্কার ঘোষণার পর প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘বিব্রত ময়ূর’-এর প্রথম সংস্করণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় সংস্করণের প্রস্তুতি চলছে। এর মানে,পাঠক কবিতার বইটি গ্রহণ করেছেন। আগামী ২০ বছরে এই পুরস্কার পাওয়া দু’জন কবিও যদি বাংলা কবিতায় অবদান রাখতে পারেন, সেটাই একটি বড় ঘটনা হবে।
পুরস্কার হিসেবে রাসেল রায়হানের হাতে ২৫ হাজার টাকার একটি চেক ও সনদ তুলে দেন ‘আ পোয়েট অ্যাপার্ট’-এর অনুবাদক ফারুক মঈনউদ্দীন। তিনি প্রকাশিত ‘বিব্রত ময়ূর’ কাব্যগ্রন্থটি সম্পর্কে বলেন, রাসেল রায়হানের এই কাব্যগ্রন্থটির অধিকাংশ কবিতা সংক্ষিপ্ত আকারের। তিন ফর্মার সংক্ষিপ্ত বইটি পড়তেও কম সময় লাগে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ভাবায়।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, কবি রাসেল রায়হানের কবিতায় জীবনানন্দ দাশের জীবিতাবস্থায় প্রকাশিত শেষ দিকের কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জীবনানন্দ দাশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কারের জন্য তরুণ কবিদের মধ্যে যে আকুতি তৈরি হয়েছে, দিনে দিনে তা আরও শাণিত হবে।
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রাসেল রায়হান বলেন, পুরস্কার পেলে সামান্য আলো আসে। কিন্তু তার চেয়ে ভালো লেখার চাপ তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানে রাসেল রায়হানের মা-বাবা-স্ত্রীসহ কাছের স্বজন ও সুহৃদরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথমা প্রকাশনের প্রধান সমন্বয়কারী জাফর আহমদ।
মন্তব্য