আজ সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে ‘অচীন দ্বীপের উপাখ্যান’ মঞ্চায়ন করবে প্রতীক থিয়েটার। ড. মুকিদ চৌধুরী রচিত ও নির্দেশিত ‘অচীন দ্বীপের উপাখ্যান’ শেক্সপিয়রের ‘দি টেম্পেস্ট’-এর অনুকরণে রচিত। নাটকে ব্যবহৃত চা-বাগান নিয়ে আবহ সঙ্গীত রচনা করেছেন ডা. সুনীল বিশ্বাস। বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন সুনীল বিশ্বাস, আমদ মাল, বিদ্যা বাক্তী, শিমুল দাস, প্লাবন বিশ্বাস, পপি বাউরী, মিলি ভূমিক, দীপ্ত বাক্তী, সুনীল বাউরী, প্রান্তিক বাক্তী, পিয়ন্ত বাক্তী, বিজিৎ আচার্য, পঞ্চম বাউরী, চন্দন মহালী, শাকিল বাউরী, তুষার রাজঘর, প্রান্থ বাক্তী প্রমুখ।
‘অচীন দ্বীপের উপাখ্যান’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে রাঢ়ের অধিপতি বিজয় সিংহ রাজত্ব থেকে নির্বাসিত হলে কন্যা সুকৃতির সঙ্গে তাকে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বঙ্গোপসাগরে। ভাসতে ভাসতে তারা সিংহল দ্বীপে আশ্রয় নেন। দেখতে দেখতে কেটে যায় অনেক বছর। একদিন, হঠাৎ, যুবরাজ সুখময়সৈন্য, রাজভ্রাতা দয়ালসৈন্য, অঙ্গরাজ্য রাঢ়ের অধিপতি সুমিত্র সিংহ (বিজয় সিংহের ভ্রাতা), প্রবীণ অমাত্য গঙ্গা আর অনেক দলবলসহ প্রাচ্য-গঙ্গার মহারাজাধিরাজ উগ্রসৈন্যের বিশাল নৌকা বঙ্গপোসাগরে, সিংহলের পথে, প্রচণ্ড ঝড়ের মুখে পড়ে। চারদিকে মেঘের গুরু গর্জন। সারেঙ অধৈর্য হয়ে আকাশের দিকে মুখ তুলে শ্বাস টানতে টানতে মাঝিদের তাড়া দিতে শুরু করে। মহারাজাধিরাজ ও তার দল অতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। একসময় বিশাল নৌকা থেকে আরোহীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। সমুদ্রের বুকে যখন এই ঘটনাটি ঘটে চলেছে ঠিক তখনই আরোহীদের চিৎকারে রাঢ়ের প্রকৃত রাজা বিজয় সিংহকে তার কন্যা সুকৃতি অনুরোধ জানায় তাদের রক্ষা করার জন্য। এর পরই নাটক মোড় নেয় নতুন বাঁকে। সূত্র: জনকণ্ঠ
মন্তব্য