ভূগোল
কতদিন পর বৌ বৌ খেললাম বাচ্চাদের সাথে
মুখটিপে ওদের মা বলল: তুমি পারোও!
আসলে-ই কি পারি আমি, কেন পারিনি ভাঙতে বলয়?
নিজেকে প্রশ্ন করতে করতে… নিজে-ই প্রশ্নবোধক
ভাঙতে ভাঙতে ভাঙি…
. (অদৃশ্যের দেয়াল,অতৃপ্ত খেয়াল, ভূষণ)
দিন যায় দিন আসে
শুধু আমি-ই হাঁটি উল্টোরথের মেলায়
হাঁটতে হাঁটতে যখন ফিরি
. আমিহীন হয়ে যায় আমার ভূগোল
চারপাশে তুমুল হট্টগোল তবু হাঁটি…
. মহাসড়ক
বচন
১.
বিপাশা
তোমার আকাশ জুড়ে শুধু-ই পিপাসা
২.
চাতক
ঠোঁটে ওড়ে তৃষ্ণা কুয়াশা মাদক
৩.
পরশ
যতটা-ই দূরে থাকে ততটা সরস
৪.
বাদল
শীতল আবেশ ভরা রূপের মাদল
৫.
স্বপন
হাওয়ায় ভাসিয়ে তারে করেছি বপন
৬.
প্রেমিক
অনুভূতি জুড়ে ঘোর; ভাবনা ক্রমিক
৭.
চরম
চোখের চোখে কথা যত ভাববিনিময় দেখি তত বড়-ই পরম
ঢেউ
তাঁকে
নিজের ভেতর আমিরূপে গোঁসাই বাগান থাকে
ভোর
কাকের ঠোঁটে ওড়ে শুধু খুনসুটি আদর
হাসো
এক সমুদ্র জলের মত পাড় ভেঙেই আসো
যাও
একটুখানি ঘোরাও ক্ষুধা একাকী হারাও
পাবে
জগৎ জুড়ে বিষণ্নতা যখন-ই লুকাবে
বাঁশি
একলা একা বাঁজলে বাজাই হলে অবিনাশি
ওম
উষ্ণতাকে ভিজিয়ে দিলে সিগ্ধ হবে ভ্রম
হায়
উড়ে গেল সেই পাখিটি একলা নিরালায়
ঘুম
তখন আমি আমার ভিতর বড্ড যে নিঝুম
আসো
আপন মনের নিগুঢ়তায় যদি ভালোবাসো
ডিম
জন্ম-ই তার আবদ্ধতায় শীতলতায় হিম
দাস
জীবন তো নয় সব অপচয় ঘুমন্ত এক লাশ
রোদ
শেষবিকেলের নিমগ্নতায় দ্রোহে ভাসে বোধ
দেব
তোমার চুলের খোপায় ভরা সুবাসটুকু নেব
ভোগ
শরীর দিয়ে শরীর কিনি বিষের অনুযোগ
সুখ
ত্যাগের ভেতর লুকিয়ে হাসে উচ্ছ্বসিত মুখ
শেষ
তুমি আমি হই নিরালা দিগন্তে অশেষ
আলো-ছায়া
হাঁটছি রাস্তা-সমেৎ; মহাকাল যতটা অভেদ
ফুটপাতে এক পূর্ণিমা চাঁদ; মাখাচ্ছে ধূসর
জ্যোৎস্নাগুলো খলখলিয়ে ওড়ায় কবুতর
রাত বারোটার পরে—
জেগে জেগে ঘুমিয়ে থাকি নিগূঢ়তার ঝড়ে
আলো-আঁধার দেখি তখন বোধের পরস্পরে
সকাল ওড়ে নয়তো সকাল মহাকালের ঘর
শেষ দিয়ে তার হবে শুরু সৃষ্টি সহচর
পরমাত্মার পরম্পরায় নিগূঢ় অবিচ্ছেদ
ভূমিকম্প
পৃথিবী জানান দিলে কেঁপে ওঠে সভ্যতা ভাঁড়ার।
দুলে দুলে চিৎকার ডাক দেয় হুঙ্কার, আঁধার বাদাড়।
হাসতে হাসতে হাসাও আবার- মিটিমিটি চোখে বাণ।
বাঁচতে বাঁচতে ভুলে যাওয়া ভুল ঢেউ ভাঙা তুফান।
শিখতে শিখতে ভুলের দোকান খুলছে বাজার ঘাট।
মহাশক্তির মহান চেতনা ঘুমন্ত নয় মাঠ।