বাংলাতে পাই সুখ
আজ সকালে হেসে উঠে
বললো মধু কবি
আমায় নিয়ে রঙতুলিতে
আঁকো দেখি ছবি।
মায়া কানন শমির্ষ্ঠা আর
কপোতাক্ষের কূল
বাংলামায়ের খোঁপায় গোঁজা
পদ্মাবতীর ফুল।
আরো আঁকো কৃষ্ঞকলি
বুড়োশালিকের লেজ
লেডির সাথে বীরঙ্গনা
মেঘনাদের তেজ।
আঁকো দেখি তিলোত্তোমার
রুপেরই ঝিলিক
বঙ্গভাষার ব্রজাঙ্গনা
সভ্যতার লিরিক।
পাখি আঁকো মনের মতো
আঁকো মায়ের মুখ
বাংলাতে আজ ফিরে এসে
পাই খুঁজে সব সুখ।
বাংলার পাখি
একটি পাখি উঠলো ডাকি
বললো কানে কানে
পঁচিশ তারিখ সকাল বেলা
ভরবে গানে গানে।
সাগরদাঁড়ির মধু কুন্জে
বসবে তারার মেলা
একটি পাখি আসবে উড়ে
কাঁটবে সুখের বেলা।
মনের কথা বলবে খুলে
কপোতাক্ষের তীরে
হাজার পাখি গাইবে যে গান
এই পাখিকে ঘিরে।
যে পাখিটা উড়তো বেজায়
কেশেবপুরের গায়
চড়তো ঘোড়া ঘুরতো সে যে
খাপছাড়া এক নায়।
খুঁজবে সবাই নিবেই চিনে
সেই মুখেরই ছবি
যে আমাদের বাংলার পাখি
বিশ্বের মহাকবি।
খুকু ও গঙ্গা ফড়িং
দুষ্টু ফড়িং কোথাই থাকো
কোথায় তোমার ঘর
গহন বনের কোন সে বনে
কোনসে তেপান্তর?
ফড়িং তুমি চপল মেয়ে
সত্যি করে বলো
বন্ধু হতে চাও যদি ভাই
আমার সাধে চলো।
দেব তোমায় অনেক আদর
ভালোবাসার রঙিন চাদর
সকাল হলে ঘুম ভাঙাব
আলতা রঙে পা রাঙাবো
থাকবে আমার গাঁয়।
বলল ফড়িং শোনো খুকু
নিলাম তোমার আদরটুকু
বন্ধু তুমি ভালো থেকো
পড়লে মনে আবার ডেকো
তখন তোমায় ভালোবেসে
আসবো আমি হাওয়ায় ভেসে
তোমার আঙিনায়।