অধরার ঝলসানো উঠানে শুকনো পাতাদের মিছিলে শিশির মাখা
. আদর,
শীত রাতগুলো শুধু স্পর্শেই বাঁচতে ইচ্ছে করে
নিবারণ আজ একজোড়া হাত চাই—পরিচিত হাত—ঝিনুকের খোলস
খুলে বের হোক মুক্তা। চকচকে দানাগুলো সামলে রাখার সুখ চাই
সমস্ত অহমজুড়ে আজ থাক বুকের উত্তাপ—
. মুছে দিক গ্লানি শোকতাপ।
.
আদমের গন্ধের মতন আবাবিল বার্তা নিয়ে যদি আসে
ভোরে খেজুর রসের হাড়িতে যেভাবে মুখ রাখে
শালিক—নিবিড় অনুভবে,
আমিও তেমন একজোড়া হাত চাই
বিশ্বাসের প্রথম প্রহর থেকে জীবনের পড়ন্ত বেলায়
আকুলতা আমার ভেতর।
ফজরের আজানের মতো আমার কানের
. ভেতর তুমি বাজবে।
.
নিবারন শীত রাতে নেমে এলো কবিতার রাত
এই রাতে চাই শুধু তোমার কোমল দুটি হাত
বাহুতে আঁকড়ে ধরে ঠোঁটের ভেতর রাখো ঠোঁটের বারতা,
আজ অন্য কিছু দেখব না—শুনব না।
জগতের সব যুক্তি আজ নিশিতে নিপাৎ যাক।
আজ চেয়ে দেখো তুমি—সেজেছে শরীর
আমার এখানে জাতিভেদ নেই,নেই কোনো ইস্যু,
নেই কোনো সাইক্লোন,বন্যা-মহামারী
রাজনৈতিক দলের অত্যাচার নেই,সংখ্যালঘু নেই
রোহিঙ্গা নেই,এখানে নেই সীমান্তের কাঁটাতার।
দেখো শুধু, দেখো দেখো—শরীরে শরীরে জেগে থাকা স্বপ্নের খেলা!
এসব সামলে নিতে দুটি হাত চাই।
তোমাকে এই রাতের উষ্ণতার কসম দিলাম
জলের কোরাসে শুধু তুমি ভেসে থাকো এইবার
সোনালি জোনাক আর শিশিরের কোমল কসম—
. তোমাকে চাই আমার।
.
আর চাই নির্ভরতার কঠিন দুটি হাত।
আগলে রাখার বুকে—চাই শেষের কবিতা!
এসো নিবারন মিশে যাই এমন শীতের ভাঁজে
আগলে রেখো আমার দ্রোহের সমস্ত কোলাহল
. তোমার দুটি হাতে।
সকল সংশয় ভুলে আমি তোমার দুহাতে তুলে দেব এই
মাটির শরীর। আগুন-বাতাস-জল ছুঁয়ে দেখবার
ছলে ছুঁয়ে দেখো তাকে—এই শীতে তোমার দু’হাতে…