এক.
পাহাড়তলি গাঁও পেরিয়ে, স্বর্ণকমল ঘাট পেরিয়ে
মেঘ ছুটেছে ওই
মেঘ ছুটেছে কই?
ছোট্ট মেঘের দল ওরে ওই ছোট্ট মেঘের দল
কোনসে নদীর কূলে তোরা নাও ভিড়াবি বল।
এক যে বিলের শাপলা পাতার চাদরে
জলপিপিরা ঘুমায় বিশেষ আদরে।
দুষ্ট খোকার দল যে-বিলে ভাসায় কলার ভেলা,
তাদের সঙ্গে করতে যাবি খেলা?
নাকি দূরের কাশফুলেদের কেশরে
ধরবি সফেদ নরম নরম বেশ ওরে?
ও পাহাড়ের গা ছোঁয়া সব টুকরো মেঘের দল
বল তো আমায়, বল…।
বল তো কোথায় ভিড় জমাবি শরতে?
মেঘের পোনা স্বপ্ন বোনা তোদের প্রতি পরতে।
দুই.
বৃহন্নলা গাঁয়ের ভেতর সবুজ ছাওয়া পথ
টাট্টুঘোড়ায় চড়লে সে-পথ দুইক্রোশের রথ।
পথটা ধরে চলতে আমার জাগলো মনে সখ
চলতি পথে দেখতে পেলাম একটা ধবল বক।
বকটা দেখি কার সঙ্গে কী বলছে!
তার দু’চোখে স্বপ্ন রঙিন টলছে।
আস্তে আমি লুকাই গাছের আড়ালে
মেঘের সঙ্গে সে কথা কয়! দেখি ক্ষণিক দাঁড়ালে।
কী কথা কও? কী কথা কও? প্রশ্ন করি বককে
জওয়াব শুনে ঝড়ের বেগে কাঁপন ওঠে বক্ষে…
একটু পরে পাখনা মেলে মেঘেতে
বক মিশে যায়, বিজলি চমক বেগেতে।
আমার তখন ভাল্লাগেনি টাট্টুঘোড়ার পাখনা
আমি বরং বক-ই হবো। টাট্টু পড়ে থাকনা।
হয়তো এমন শরৎকালে মেঘে পাখা মেলব
শিউলি ফোঁটা বনের ভেতর জোট পাকিয়ে খেলব।
আম্মু গিয়ে খুঁজবে কি না? খুঁজুক, সে তার ইচ্ছে
আমি তো ভাই মেঘ হতে চাই; ইচ্ছে দোলা দিচ্ছে।