এক.
আচমকা ছন্ধ্যা নাইমা আহে চৌখে, যখনই ভাবি এহন ছরত্ কাল! ছাদামেঘে এলোকেছি আকাছ বিচলি বাতাছে কাছের পাল ঢেউ খায়। তীর ছুঁয়া ছুঁয়া থাকে-কত কথার পালকি বায় মন; অনুক্ষণ, তুমি ভাইবা আমার ভ্রান্তি গোধূলী আঁকড়াইয়া ধইরা রাখবার চায় পাঁজরে-মনোরম লাল আভায় আমি ছ্বপ্ন ভাসাই!বাকাট্রা ঘুড়ির মতো। কিন্তু কেঠায় যে ছুতা টাইনা ধরে? অদৃছ্য দানব, আমার ভূগোল ছিড়া খায়। ছুখ ছামিয়ানায় কে যে দুঃখ দুঃখ ছোকের কালা ছায়া বাইন্দা দেয়? কইবার পারি না ছেই ব্যথার গল্প।
দুই.
কপালে যে ছুখ নাইক্কা জানতো কেঠা, জানলে কি আর অমন কইরা কপাল ভাঙি নিজে? কালাছায়ার নিচে পইরা থাকি!একদিন অভিমান কইরা চইলা যামু দূরে। শহীদ কাদরীর মতো হইবার পারি না। দেছ দছ দুঃখ ভুইলা যাইবার পারি না। ছুধু কষ্টে হাত বুলাইয়া থাকি, তোমার করুণ মুখের দিকে চাইয়া। ছাতির ভিতরেও কত অভিমান কাঁন্দে! বুঝি কতটা কষ্টে মন পুড়লে, মাইনছে বিবাগী হয়?
তিন.
পলাছীর পাড় ধইরা হাঁটি অধর গালে টোল! মাছরাঙা চৌখে-বিছাল ছইয়া নৌকার গান ভাছে!জলের ছলাত্ ছলাত্ ঢেউ, বিকালের লালী-হলুদ ছূর্য ভাইছা ওঠে বিলের মাঝে ।আম গাছের ডালে কোয়েল ডাইকা কি জানি কইবার চায়? আমার মনের কথা, বিন্দার কাঁটা! মনে খোঁচায়; ফুলকি চপলার মতো একলা চলা পথ, মনে কয় পিছন পিছন মন মানুছের ছায়া! ভেলকি দেখি জলে যেমন বাতাছ নাইমা আহে। দোল দিয়া যায়, অমন কইরা মনে তুমি ছুঁইয়া যাও।