‘মেঘের ঘষা খেয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে চাঁদ’—এই পঙ্ক্তিটা পড়েই আমি দৌড়ে বারান্দায় যাই। জানালা দিয়ে চাঁদের তীব্র আলো আসছিল। আমার বরাবরই চাঁদের চেয়ে জোৎস্নাকে আকর্ষণীয় মনে হতো, এখনো হয়। কিন্তু এই লাইনটা ওসব মনে হওয়াহওয়ি উড়িয়ে দিলো। প্রথম যে কথাটা মাথায় আসলো তা হলো, চাঁদ দেখতে হবে। তীব্রভাবে ভেসে আসছিল বারান্দায় টবে লাগানো গোলাপের ঘ্রাণ, সেসব পরে টের পেলাম। আগে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকলাম দীর্ঘক্ষণ। এমনিতেই শ্রাবণ মাস, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ; মেঘ যাচ্ছে তো যাচ্ছে, আর এর মধ্য দিয়ে চাঁদ উঁকি দেয়ে বসে আছে। সে কি সত্যিই ঘষা খাচ্ছে মেঘের শরীরের সাথে? তাই তো মনে হচ্ছে। একটু একটু যেন কেঁপে উঠছে! এভাবেই বুঝি একটি চাঁদ কৃষ্ণপক্ষের দিকে এগোয়? আমি ভাবতে থাকি। ‘কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ’ পড়ার কথা মনে থাকে না, ‘পাপ ও পুনর্জন্ম’ পাঠের কথা মনে থাকে না, ‘চাঁদের মাটির টেরাকোটা’র কথা মনে থাকে না, গোলাপের ঘ্রাণের কথাও মনে থাকে না। একেই বোধ হয় ঘোরগ্রস্ততা বলে। চাণক্য বাড়ৈ’র প্রথম বই ‘পাপ ও পুনর্জন্ম’ শুরুতেই এভাবে আমায় ঘোরগ্রস্ত করে দেয়। বারান্দায় চাঁদের আলোয় বই খুলে আমি আওড়াতে থাকি—‘আহ্! কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ, শাণিত মেঘের থেকে— / কিমাকার পাখিদের থেকে/ তুমি আজ দূরে দূরে থাকো।’
কবিদের প্রথম বই মানেই এক ধরনের নতুন আকাঙ্ক্ষা, নতুন কিছু দৃশ্যের জন্য অপেক্ষাও। তিনি তার ধ্যানী এবং নতুন চোখ দিয়ে ঠিক কিভাবে দেখছেন, কী ভঙ্গিতে বলছেন, তা দেখতে এবং শুনতে আমরা সবসময়ই মুখিয়ে থাকি। চাণক্য বাড়ৈ নিজে বোধ হয় এই বিষয়টি জানেন, খুব ভালোভাবেই জানেন। জানেন বলেই তাঁর প্রথম বই ‘পাপ ও পুনর্জন্ম’তে তিনি বলছেন ‘হাওয়ার সমুদ্রে মৃদু ঢেউ তোলা একঝাঁক পাখি/ যেন ভ্রমণক্লান্ত জাহাজের গলুই—/ ভেসে এল নেভি-নীল গাছের জটলায়— সবুজ বন্দরে।’ কিংবা, ‘ডেকেছ ভোরের কাক, সাড়া তো দেবই—’।
কবিতা নিঃসন্দেহে অনুভূতির প্রকাশ, কিন্তু সেই প্রকাশ অবশ্যই গতানুগতিক কিংবা তরল হলে পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। সত্যি কথা বলতে বর্তমান সময়ের কবিতার পাঠক তুলনামূলকভাবে কম হলেও যে কজন আছেন, তারা অধিকাংশই সূক্ষ্মরুচিবোধসম্পন্ন। ছেলেভোলানো ছড়া দিয়ে তাদের মোহিত করবার উপায় আর নেই। পাঠক চাইলেই একটিকে ছুড়ে অন্যটিকে গ্রহণ করতে পারেন। এই প্রযুক্তির যুগে তার সামনে লাখো অপশন। হাজার কবিকে যেমন তিনি মুহূর্তের মধ্যে গ্রহণ করতে পারবেন, মুহূর্তে ছুড়েও ফেলতে পারবেন। কিংবা আপনি জোর করেও তাকে আর কবিতা পড়াতে পারবেন না। বিনোদনেরও হাজার মাধ্যম তার সামনে। এটিও এক অর্থে ঠিক যে কবিতা বিনোদনের বস্তু নয়। কিন্তু পাঠককে আটকে রাখার ক্ষমতাও আপনি অগ্রাহ্য করতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রথমেই পাঠককে যদি কেউ চমকে দিতে পারে, তাকে শুধু সৌভাগ্যবান বলব না, সে সফলও। চাণক্য বাড়ৈ বোধহয় সেটা পেরেছেন। ‘পাপ ও পুনর্জন্ম’র যেকোনো একটি পাতা ওল্টান, আপনি পেয়ে যাবেন ভালো লাগার কোনো কবিতা, কিংবা অন্তত একটি পঙ্ক্তি। আপনি নিজেই খুঁজে বের করবেন, চাণক্য বাড়ৈ’র আর কোনো কাব্যগ্রন্থ আছে কি না। তখনই আপনি পেয়ে যাবেন চাঁদের মাটির টেরাকোটা। কল্পনা, তারও তো একটা সীমারেখা আছে। তাকে ধরার জন্যও আপনাকে কিছু জায়গায় ধারাবাহিক অবস্থান করতে হবে। ধরুন, চাণক্য’র দ্বিতীয় বইয়ের নামটিই আপনাকে বলে দেবেন, উনি কোনো না কোনোভাবে চারুকলার সাথে জড়িত। নইলে কে ভাবতে পেরেছে, চাঁদের মাটি দিয়েও টেরাকোটার কথা কল্পনা করা যায়! ‘ক্লান্ত চিলের মতো শীত এসে নামল আমাদের গাঁয়ে’ কিংবা ‘রেশমি হাওয়ায় চড়ে/ রুপালি রাত্রিরা এলে নিরুত্তাপ থাকি’র সেই গাঁয়ের কথা হয়ত আপনি কল্পনা করতে পারবেন, হয়ত সে ইমেজ আপনাকে খুব নতুন কিছুর উপলব্ধি দেবে না, হয়ত সেসব রাত্রিতে আপনিও নিরুত্তাপ থাকতে পারবেন, তবে ‘তোমারও রয়েছে এক নিজস্ব চিল, যাকে আকাশে ওড়াতে তোমার সামান্য সময় নিতে হয়’। এই ‘সময়’টুকু আপনাকে নিরুত্তাপ থাকতে দেবে না, আপনাকে স্বস্তিতে বসে থাকতে দেবে না।
ভালো কবিতা আসলে কী? কবিতা কিংবা কবিকে কি সত্যিকার অর্থে কারও কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয়? কবিতা লেখার সময় একজন কবিকে সমাজ, সংস্কৃতি, দেশ, মানুষ—এসব মাথায় রাখতে হয়? এমন প্রশ্নে একেকজন একেক জবাব দেন। কেউ বলেন কবিতায় মানুষের কথা থাকতে হবে, নইলে কিসের কবিতা! শুধু তোমার উদ্ভট ভাবের কথা আমি শুনতে যাব কেন? সেসব শুনে আমার কী উপকার? মানুষের কী উপকার?
সত্যিকার অর্থে কবিতা নিজেই একটি উদ্দেশ্য। তার পেছনে আরেকটি উদ্দেশ্য থাকলে সেটি কখনোই মানসম্মত হতে পারে না। একজন কবির দায়িত্বই ভালো কবিতা রচনা। কিন্তু এখানেও একটি ফাঁক থেকে যায়। কবি তো তার পরিপার্শ্বের বাইরে যেতে পারছেন না। কল্পনা করতে হলেও পারিপার্শ্বিক কোনো একটি সম্পর্কের মধ্য দিয়ে গিয়েই করতে হয়। আর একটু খেয়াল করলেই দেখবেন প্রত্যক্ষভাবেই সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি কবিতা দায়বদ্ধ থাকছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই থাকছে।
ধরা যাক,
আজ এইখানে যে হরিণীটি বধ হবে, শুনেছি পূর্বজন্মেও সে মরেছিল একই নিয়মে। অথচ তারও ছিল কিছু স্বপ্ন—প্রেম—ছিল রিরংসা…
আমাদের অজস্র আষাঢ়ে গল্প সেইসব হরিণীর উদ্দেশে উড়ে যেতে থাকে।
শেষ পঙ্ক্তিতে এসে এক ধরনের নির্মোহভাব লক্ষ্য করা যায়। অথচ এই নির্মোহ ভাবই স্যাটায়ারের ভঙ্গিতে আঘাত করতে থাকে পাঠককে। আমরা নিজেদের বড় সুশীল প্রমাণ করতে চাই, বড় মানবিক প্রমাণ করতে চাই, কিন্তু সেসব চাওয়া বড় বড় কথাতেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। আমাদের পাশেই বধ হয় মানুষ, তার কানের পাশে বসে আমরা নীতিকথা বলি, মুখোশে থাকে কষ্টের রঙ, আর মুখে স্বস্তির, যাক আমি তো বেঁচে আছি! এভাবে একের পর একজনের মৃত্যু আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে, আর আমরা একইভাবে বড় বড় কথাবার্তায় রত। এই সূক্ষ্ম খোঁচাটা একজন কবির পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। আপনাদের সাথে একজন কবির পার্থক্য হচ্ছে, আপনাদের কথা মানুষ সকালে শুনলে বিকেলে ভুলে যায়, আর একজন কবির কথা বিকেলে শুনলে অন্তত এক জন্ম মনে রাখে।
চাণক্য বাড়ৈয়ের প্রথম বই ‘পাপ ও পুনর্জন্ম’ প্রকাশিত হয়েছে ২০১২-এর অমর একুশে গ্রন্থমেলায়, আর দ্বিতীয় বই ‘চাঁদের মাটির টেরাকোটা’ ২০১৫-এর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত। মাঝখানে তিন বছর তিনি নিজেকে আরও গুছিয়েছেন। আরও প্রস্তুত হয়ে এসেছেন।
আমাদের আয়না ছিল না কোনোদিন—নিজেকে দেখতে হলে আমাকেই দেখে নিত সে—আমিও তার মুখ দেখে কাটিয়েছি আয়নার দায়—
আধুনিক কবিতা ঠিক কী জন্য আধুনিক? সে কি তার বর্ণনা-চিন্তাভাবনা আধুনিক ভাষায় প্রকাশ করে—সেজন্য, নাকি তার দেখার ভঙ্গি আধুনিক? না কি আধুনিক পৃথিবীকে তুলে ধরে, সেজন্য আধুনিক? কেন এই সময়ে জসীমউদ্দীন আর আধুনিক নেই, কিন্তু জীবনানন্দ এখনো আধুনিক? এর উত্তরগুলো ধোঁয়াশাময়। আপেক্ষিকও।
সেদিনের কথাই ধরে নেওয়া যাক, ঈশ্বর বললেন—তোমাদের যার যা ইচ্ছা, তাই নিয়ে যাও—হাতিরা নিল শুঁড়, ঘোড়ারা টসবগে পা, বানরেরা লেজ, পাখিরা ডানা নিয়ে উড়ল আকাশে—ওহে বোকা মাছ, তোমরা ঘুমোতে চাইলে না, থাকো, এখন জলের নিচেই ডুবে থাকো, সারাক্ষণ—।
‘অমরতা হাতে বিষণ্ন আততায়ী’ নামের এই কবিতাটি কেন আধুনিক নয়? কিংবা কেন আধুনিক? যেহেতু বিষয়টি আপেক্ষিক, সুতরাং এই প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে বরং কবিতাটি পাঠ করুন। অন্যরকম এক আনন্দ পাবেন। এই কবিতা আপনাকে অন্যভাবে ভাবতে দেবে। আমরা যখন পড়ব, ‘আমরা মানুষ, প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমাদের যত খেলা—অগ্নিবৃষ্টির রাতে তুমি চেয়েছিলে মৃত্যু—আমি বিশ্বস্ত আততায়ী, তোমার জন্য নিয়ে এলাম অমরত্ব—’ তখন মানুষের প্রতি আমরা ভালোবাসা বোধ করব। এই ভালোবাসা, এই আনন্দের বাইরে আপনি কবিতার কাছে আর কী চাইতে পারেন? চাণক্য যখন নাম না জানা পাখি আর প্রজাপতিদের উদ্দেশে একটি ফানুস উড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপনি দুচোখ ভরে সেই পাখি, প্রজাপতি আর ফানুস দেখা ছাড়া আর কী দাবি করতে পারেন? চাঁদ, ফুল, প্রজাপতি, পাখি, ঈশ্বর, জীবন, গবেষণাগার যখন চাণক্যের হাত হয়ে আপনার সামনে দৃশ্যমান হবে, যখন বিমূর্ত কিছু বিস্ফোরণ আপনাকেও বিস্ফোরিত করবে—তখন আপনার আর কী আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত চাণক্যের কাছে?
‘পাপ ও পুনর্জন্ম’ কিংবা চাঁদের মাটির টেরাকোটা আপনাকে গ্রামে হাঁটিয়ে ফেরাবে, অকস্মাৎ আপনাকে এনে দাঁড় করিয়ে দেবে আপনার পরিচিত নগরে। কিন্তু আপনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন, একটি পরিচিত দৃশ্যও আপনার পরিচিত নয়। সবারই আলাদা আলাদা রূপ, আলাদা গঠন, আলাদা আবেদন। সেসব আপনিও আগে দেখেছেন, কিন্তু কখনো অনুভব করেননি। আপনি হয়তো সবুজ একটি গাছ দেখেছেন আগেও, কিন্তু কখনো স্পর্শ করেননি তার ঠাণ্ডা শরীর, কখনো তার ভাষা বোঝেননি। বিলের ধারে বসে আপনিও চাঁদ দেখেছেন, কিন্তু তাকে রাতের কপালে টিকলি হয়ে ঝুলে থাকতে দেখেননি। গুগলি, ফড়িং, ঘাসপাতা, শামুকের বিপুল সমাহার হয়তো আপনি দেখেছেন, কিন্তু কখনো তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাননি বলে জানতে পারেননি তাদের মুগ্ধতাকে। চাণক্য তার কবিতায় সেসব উপস্থাপন করেছেন আপনার-আমার সামনে। তার কবিতায় নিছক শব্দের কচকচানি নেই, কষ্টকল্পিত চিত্রকল্প নেই, অবাস্তব উপমাও নেই। তার কবিতায় পাবেন অভিজ্ঞতা, কল্পনা আর কামনার বাস্তবিক মিশেল। নিকট থেকে দেখা জীবন এবং জীবনের দৃশ্যসমূহের সহজ বর্ণনা। সেসব বর্ণনা স্বাভাবিক, সাবলীল।
সত্যিকারের যেকোনো কবিই জীবনকে সবসময়ে দেখেন নিকটতম অবস্থান থেকে। তারা টের পান এমনসব সত্যকে যা আপনার পক্ষে নিজে থেকে টের পাওয়া আসলে অসম্ভবও। দৈবক্রমে লুব্ধক নক্ষত্রের অবস্থান জেনে গেলেও অন্ধকারে ছুটতে গিয়ে মাঝে মাঝে মাকড়শার একটি জালও যে আপনাকে আটকে দিতে পারে—এই সত্য উচ্চারণ করতে পারেন কেবল একজন কবিই। একজন সুদেষ্ণা সাহাকে অনেকদিন না দেখার হাহাকার আপনাকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে আপনারই অন্য কোনো সুদেষ্ণাকে না দেখার হাহাকারের সামনে, নক্ষত্রের মুমূর্ষু অন্ধকারের সামনে। আর তখনই হয়তো আপনার মনে উঁকি দেবে, এ কি সুদেষ্ণা নামের কোনো রমণী, না কি বিদঘুটে মাছির মতো আঁচিলঅলা এমন কোনো সত্য যাকে আপনি সবসময়েই পাশ কাটিয়ে গেছেন! চাণক্য নিকটতম অবস্থান থেকে তার দেখা জীবনকেই রচনা করেছেন। আসলে সে জীবন আমাদের।
‘আর ধ্যানস্থির বাঁশঝাড় নিজেই বেজে উঠল/ বাঁশি হয়ে’; ‘কোনো কোনো সময় এইভাবে শৈশব আর বার্ধক্য খোশগল্পে মেতে ওঠে’; ‘আমি, বাতাসের ঘ্রাণ শুঁকে বলে দিতে পারি তুমি ঘর ছেড়ে বেরোলে কি না অথবা উঠান কিংবা মাটির চাতালে দাঁড়িয়ে আছ কি না—আনমনা উদাসী ভীষণ—’; ‘গ্রীষ্ম এলে শীতের পাখিরা উড়ে যায় দূরে’; ‘এই দেখো, আমার আয়ুর করতলে কেমন আনমনে খেলা করছে মৃগশিরা নক্ষত্রের মুমূর্ষু অন্ধকার’; ‘জানো তো, জাঁদরেল শিকারি পেলে শিকার নিজেই ধরা দিতে আসে—’; ‘তারপর পা বাড়ালে, যেদিকে সঙ্গমে লুটিয়ে পড়েছে আলো ও অন্ধকার—’ ‘নিদ্রা এক অলৌকিক যান, বিনা টিকেটেই ঘুরিয়ে আনে স্বপ্নের দ্বীপ।’— এমন অজস্র মুগ্ধতার পঙ্ক্তি তুলে দেওয়া যাবে। তারচেয়ে বরং চাণক্যকে পাঠ করুন।
এতকিছুর পরেও অবিক্রিত থেকে যাবে
সার্কাসের টিকেট
কেননা, ইতিমধ্যেই ছোকড়ারা টিনের বেড়ায়
আবিষ্কার করেছে কতগুলো ফুটো এবং গণ্যমান্য
বয়স্ক যারা আছেন তাঁরাও বুঝে নিয়েছেন
দেয়ালের আড়াল থেকে সার্কাস তথা ভেল্কি দেখার মধ্যে
একপ্রকার শিশুসুলভ আনন্দও আছে।
ওই শিশুসুলভ আনন্দের লোভে আমরা বরাবরই বঞ্চিত হই সত্যিকারে সামনাসামনি সার্কাসের মজা থেকে। চাণক্যের এই কবিতার সার্কাস আপনারা সামনাসামনি বসেই উপভোগ করুন, বুঝতে পারবেন এতদিন কী স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন!