এক.
সে এক অদ্ভুত নেশা!
তোমার মুখের মতো
তাসের রঙের হাসির মতো
অদ্ভুত!
তারপর
তোমাকে আর দেখা হয়নি
কোনোদিন,
না জন্মে, না বিরহে।
সে এক অদ্ভুত নেশা!
তাড়নায় তোমাকে পেয়ে
বুকের শূন্যতায়
চিরকাল আপন রেখেছে।
রূপ এক অদ্ভুত নেশা!
দুই.
সে চলে যাবার সময়
মন পুড়ছিল।
চোখ জ্বলছিল
অশ্রুর ঢলে-
সে চলে গেলে।
চলে যাবার পর
সব শান্ত হলো
নীরব, নিশ্চুপ
জমকালো!
শূন্যতার মতো সুনসান;
মন ডুবেছিল
নিশ্চুপতায়-
মন পুড়েছিল
নীরবতায়
সে চলে যাবার পর
রূপ ধরেছিল প্রশাখায়।
তিন.
রিপুবশে
মনকে পাহারা না দিয়ে
ছেড়ে দেই, সে ছুটে যাক যেখানে খুশি।
তোমাদের বারান্দায়
মহানন্দায়।
স্রোতে হয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে
নায়রের সমস্ত বিষাদ
বিচ্ছেদ, ও অনুরাধা
হে রাই,
তোমাকে ভেবে সদাই
অনুরূপে
ক্লান্ত হয়েছি।
চার.
পাতালের দূরত্ব খুব বেশি নয়।
সে-ও ডাকে সময়ে-অসময়ে।
বালিদের অসুস্থ সময়
মানুষ চেনে না।
শুধু হেরে যেতে থাকে গান
রূপের বিনাশের সাম্পান;
বিষাদের কানে
লেগে আছে
ধূলিদের কণা!
আপন স্বভাব জানায়
ভাবনা ফুরিয়ে যায়
অপরূপ মানুষের মন
রূপে ও মাকালে
কত কী আগলাতে চায়!
কার মন, কোন ধন।
পাঁচ
না মুখ, না পৃষ্ঠদেশ
না আপন সুরত দেখা যায়
না অন্তঃপ্রাণ
আয়না ছাড়া
হেরার গভীরে জাগে
আপনার রূপ
সে-ও সুনসান
পরম্পরা
আয়নার ভিতর ঝিম মেরে আছে
ঝিমঝাম
লক্ষ যোনি
কোথা হতে এসে
তড়পায়
কাঁপে আবে জমজম
কোথা থাকে মনে আজাজিল যম?
আয়নায়
কোন ইশারায় ভেঙে পড়ে
সিনাজুরি, সহসা কাচের নম
আপনায় জান
সাদাকালো রুহের আসমান!