এক.
সে পথিক নয় প্রণয় পথের…
যে ভ্রান্ত হয়ে রাস্তা ভোলে,
নতুন মোহে মুগ্ধ হয়ে,
নিরুদ্দেশে যায় যে চলে।
অথবা জলের রেখায়, যায়..
বাষ্পশ্বাসে অস্তাচলে।
এ আঁচড় অমর আখর, যে
ঝড়ের বুকে বজ্র আঁকে!
নীরব লয়ের স্তব্ধ বায়ে..
মৃত্যু চোখে চক্ষু রাখে!
সূর্যের সকাল এ যে ধ্রুবতারার আমন্ত্রণ,
পথভোলা পর্ণমোচীর নব হরিৎ চিরন্তন!
মূল্যের ভাবনাবিহীন অমূল্য মাণিক রতন!
দুই.
ভয় নেই আর সূর্যজ্বালার,
অগ্নিসম তপ্ত শিখায়!
কিংবা ভীষণ শীতপ্রবাহের..
রুক্ষরাগের প্রখরতায়!
যা করার ছিল, করেছ সব,
নিয়েছ, যা প্রাপ্য হিসাব,
আমার সকল ঘরের আশা…
স্বর্ণসম ভালোবাসা…
সখা সখীর সোনার মিনার…
লুটায় জানিই এ ধূলার পর!
তিন.
ভয় নেই আর রাজ ভ্রূকুটির,
তুমি হেনেছ যা বজ্র হানার!
চাও না অন্ন বা পরিধেয়,
তৃণই বৃক্ষ সমান তোমার!
রাজদণ্ড, শিক্ষা, সৌষ্ঠব,
সব আজ এই পথ ধরে
নামো…নামো এসে এই ধূলার পরে!
চার.
বিদ্যুতেরও ভয় নেই তোমার,
ডরাও না আর বজ্রাঘাতেও!
নিন্দুকেরা যা চায় রটাক..
ভয় কর না কুৎসাতেও।
তুমি শেষ করেছ দুঃখ বেদন
মুছেছ সব হাস্যকে!…শুধু-
প্রেম আছ যত..যৌবন রত,
তোমার ও দুটি হাত ধরে-
ভুলুক.. আছে পাওনা যত
নামুক, এসে এই ধূলার পরে।
পাঁচ.
কোনো শাসক কঠোরমতি, জানি…
করবে না আর তোমার ক্ষতি!
তন্ত্রবিদ্যা বা হোক আলৌকিক, জানি..
ছোঁবে না তোমায়, তুমি রবেই ঠিক।
তোমার নীরব মায়ার মৈথুন বরে..
তুমি উজল থাকো, ওই মৃত্যুর পারে।
ছয়.
ফেরাও তোমার অধরখানি, যা মধুর ভুলেছে তার শপথ,
সরাও সে চোখ…সে মিথ্যা আলোক,
যার আঁধার ভোলায় ভোরের পথ।
তবু, মোর চুম্বন..অনুক্ষণ আনুক আনুক প্রেম অণুরণন,
তবু,ব্যর্থতায় যা বারংবার করে নিত্য নিথর বধির রোদন।