সতেরো শতকের ফরামসি লেখক লা রোশফুকোর (১৬১৩-১৬৮০) একাধারে নন্দিত এবং নিন্দিত বই ‘ম্যাক্সিমস’। ম্যাক্সিম মানে প্রবচন। লা রোশফুকোর সময়ে ম্যাক্সিম বলতে বোঝাতো মানবচরিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত, স্বচ্ছ, সুসংবদ্ধ প্রবাদপ্রতিম বাক্য। আকর্ষণীয় শব্দবিন্যাসে গঠিত গূঢ় সত্য নিরূপণকারী বাক্যনির্মাণের এই ব্যাপারটি ওই সময়ের অভিজাতদের অবসর বিনোদন ছিল। রোশফুকোর প্রবচনে দেখা যায়, মানব চরিত্রের নির্মোহ ও নির্মম বিশ্লেষণ।
ইউরোপের বিভিন্ন লেখক প্রবচন লিখেছিলেন। এগুলোকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী অ্যাফরিজম, অ্যাডেজ, কোট, পেনসি, সেন্টেনশিয়া ইত্যাদি বলে। তবে তাদের বেশিরভাগের কবিতা বা গল্প-উপন্যাসে বলা নিগূঢ় সত্যগুলো ক্রমে প্রবচনপ্রতিম হয়ে ওঠে। যেমন চসারের ‘দ্য কমপ্লিট প্রোজ অ্যান্ড পোয়েট্রি’ বইয়ের উক্তি—The greatest scholars are not usually the wisest people –ক্রমে প্রবচন হয়ে ওঠে। কিন্তু লা রোশফুকোই প্রথম তাঁর বক্তব্য সরাসরি প্রবচন আকারেই লেখেন। পরে ইউরোপে অনেকেই তার অনুসরণে প্রবচন লেখেন। তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন হুমায়ুন আজাদ (১৯৪৭-২০০৪)। ‘হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ’ বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন।
আবদ্ধ, ধর্মান্ধ এবং অগভীর চেতনার মানুষেরা লা রোশফুকোকে প্রাণভরে গালিগালাজ করেছেন। আর একটু বিবেচনাসম্পন্ন ও যুক্তিবাদীরা ম্যাক্সিমের অমোঘ সত্যবচনের মুখোমুখি হয়ে অস্বস্তিতে পড়ে গেলেও, প্রশংসা করেছেন অকাতরে। ম্যাক্সিমগুলো আধুনিকতার কারণে নিজকালে সমালোচিত এবং উত্তরকালে সমাদৃত হয়েছে।
রোশফুকোর প্রবচনগুলোকে টিএস এলিয়ট বলেছেন ‘নির্দয়’। তার ম্যাক্সিমগুলো কদাকার সত্য, যা একদণ্ডও শান্তি দেয় না। নিজের ভাবমূর্তি কল্পনা করে নিজেকেই শিউরে উঠতে হয়। ম্যাক্সিমগুলো অপ্রিয় কিন্তু অনিবার্য সত্য, তাদের বলা যায় ‘সত্যের মতো বদমাশ’। ১৬৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ‘ম্যাক্সিম’-এর প্রথম সংস্করণে লা রোশফুকো লিখেছিলেন, ‘এ হলো মনুষ্যহৃদয়ের এক আলেখ্য। এগুলো সবাইকে খুশি করবে না। কারণ, এগুলো বড় বেশি বাস্তব, ততটা তোষামুদে নয়’। ফরাসি ভাষার প্রথম নারী ঔপন্যাসিক মাদাম দ্য লাফাইয়েৎ, যিনি লা রোশফুলোর বান্ধবী ছিলেন, ম্যাক্সিম পড়ে স্তম্ভিত হয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘কতখানি নীচ হলে এ সমস্ত জিনিস কল্পনা করা যায়!’ ত্রয়োদশ লুইয়ের একদা প্রেমিকা মাদমোয়াজেল দ্য ওফতর বলে ওঠেন, ‘বই পড়ে মনে হচ্ছে পৃথিবীতে পাপপুণ্য বলে কিছু নেই!’ লা ফঁতেনের মতে, ‘এই ম্যাক্সিমগুলো যেন মনুষ্যচরিত্রের এক অস্বস্তিকর আয়না, যার থেকে দূরে থাকা যায় না’। শোনা যায়, দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট ছাত্রদের ম্যাক্সিম থেকে উদ্ধৃতি দিতেন এবং মহাকবি গ্যেটের সংগ্রহেও ম্যাক্সিম ছিল। আর নিটসে মত প্রকাশ করেছেন, ‘লা রোশফুকো হচ্ছেন মনোবিশ্লেষণের সেই গুরু, যিনি অন্ধকারেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেন’। অনেকের মতে, লা রোশফুকো প্রথম ক্লাসিক মনস্তাত্ত্বিক।
নারীদের সম্পর্কে তার কিছু বক্তব্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর। এগুলো পড়ে অনেকেই তাঁকে নারীবিদ্বেষী বলে মত দেবেন। সম্ভবত, তৎকালীন অভিজাত ফরাসি নারীদের জীবনযাত্রার কৃত্রিমতা তার বিরক্তির কারণ হয়েছিল। আবার এক জায়গায় তিনি বলেছিলেন, ‘বুদ্ধিমতী মেয়েদের কথাবার্তা আমি পুরুষদের চেয়ে বেশি পছন্দ করি, তাদের মধ্যে এমন একটা নম্রতা রয়েছে, যা পুরুষদের থাকে না। আর এছাড়াও আমার মনে হয়েছে, মেয়েরা আরও পরিষ্কার করে কোনো বিষয় বোঝাতে পারে, আরও চমৎকারভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে’। বন্ধুত্বকে তিনি বলেছেন এক ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যেখানে নাকি পারস্পরিক স্বার্থের দিকে লক্ষ রেখে সুযোগ-সুবিধার আদান-প্রদান হয়।
লা রোশফুকো ১৬১৩ সালে এক সম্ভ্রান্ত ফরাসি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে তার উপাধি ছিল ‘মারসিয়াকের রাজকুমার’। ১৬৫০ সালে তার পিতার মৃত্যুর পর তিনি ডিউকের উপাধি পান। সতেরো শতকের ত্রিশের দশকে তার রাজসভায় প্রবেশ ঘটে। তখন ফ্রান্স তাদের উজ্জ্বল রাজনৈতিক সময় পার করছিল। রাজদরবারের কুটিল পরিবেশে তার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়। তাই তার প্রবচনগুলোতে মানবমনের অন্ধকার দিকটিই বেশি আবিষ্কৃত। রাজনীতির নানা মারপ্যাঁচে তিনি আশাহত, অবসন্ন ও বিধ্বস্ত হন। প্রভাবশালী কার্ডিনাল রিশল্যুর সঙ্গে তার বেশ কিছু বিষয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।
উল্লেখ্য, কার্ডিনাল রিশল্যু ফ্রান্সের সর্বকালের আলোচিত রাজনীতিবিদদের একজন। আলেক্সান্ডার দ্যুমার বিখ্যাত থ্রি মাস্কেটিয়ার্স উপন্যাসে কার্ডিনাল রিশল্যু খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। নানা সময় বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে রোশফুকোকে কারাবাস, নির্বাসন ইত্যাদি ভোগ করতে হয়।
লা রোশফুকো অসম্ভব যুক্তিবাদী। তিনি কোনো তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেননি, শুধু মানুষের অন্তরের অধ্যয়ন করেছেন। লোভে, আত্মদর্পে, স্বার্থে প্রতিনিয়ত আমাদের যে স্খলন, তাকেই কথার রূপ দিয়েছেন তার ম্যাক্সিমের বাক্যে। তার প্রিয় কাজ ছিল বই পড়া এবং বিশেষ করে বুদ্ধিমান মানুষদের তা পড়ে শোনানো, কারণ তা বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনার সূত্রপাত করে। রোশফুকো ইউরোপের রেনেসাঁর ভাবধারা গ্রহণ করেছিলেন। তার প্রবচনগুলোতে ধর্ম ও ঈশ্বরের ভয়ে ভীত কোনো কথা নেই। তবে তার প্রবচনগুলোকে নীতিশিক্ষার বলে প্রচার করে তার চিন্তাধারার ওপর ধার্মিকতা আরোপের একটা চেষ্টা আগাগোড়াই ছিল। রোশফুকো ঈশ্বরকে অস্বীকারও করেননি, আবার স্বীকারও করেননি, যা তার সময়ের নিরিখে অসাধারণ। রোশফুকোর ম্যাক্সিমগুলোকে লোকে নানা সমালোচনা করলেও তার জীবদ্দশায় ম্যাক্সিম বইয়ের পাঁচটি সংস্করণ বেরোয়। সেসময়ের তুলনায় একে অভাবনীয় সাফল্য বলতে হবে।
মিথ্যা ছলনা চাতুরিপূর্ণ; কিন্তু পাশাপাশি তা প্রলুব্ধকরও। তার আকর্ষণ এড়ানো যায় না। তাই মানুষ তাকে আগ্রহের সঙ্গে গ্রহণ করে। আর সত্য বাস্তবিক; তাই অনাকর্ষণীয়, নির্দয়, নিষ্ঠুর। রোশফুকো সত্যের কুশ্রী আয়নাটিই আমাদের সামনে রাখেন আর আয়নার প্রতিকৃতিটি আমাদের দিকেই বিদ্রূপাত্মক হাসি হাসে। তার তীক্ষ্ণ যুক্তি মিথ্যার মনোহারী কল্পলোকটিকে ভেঙে চুরে দেয়। তবে অতি সত্যকথনের কারণে মনে হয়, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে সুখী ছিলেন না। একটু মিথ্যার ছটা না থাকলে জীবন নীরস হয়ে পড়ে। তবে কেন নীরস, কদর্য কিছু প্রবচনের জন্য আমরা রোশফুকোকে গ্রহণ করব? তার উত্তর পাওয়া যায় স্যাঁৎ বভের মূল্যায়নে, ‘যতই আমরা জীবনের পথে এগোই, সমাজ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বাড়ে, ততই আমরা বুঝতে পারি তিনি কতখানি নির্ভুল’।
চিন্ময় গুহর অনুবাদে লা রোশফুকোর কয়েকটি ম্যাক্সিম:
- অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের সদগুণগুলি ছদ্মবেশী দোষ ছাড়া কিছু নয়। যাকে আমরা সদগুণ বলি প্রায়ই তা শুধু বিচিত্র কর্ম ও স্বার্থের সমাহার, ভাগ্য বা প্রচেষ্টাবলে যা একত্রিত হয়েছে। শুধুমাত্র বীরত্ব বা সততার জোরে পুরুষেরা বীর বা মহিলারা সৎ হয় না।
- আমাদের ভাবাবেগগুলিকে যতই আমরা ধার্মিকতা আর আত্মমর্যাদার মোড়ক দিয়ে ঢেকে রাখি না কেন, ঠিক তারা আবরণ ভেদ করে দৃষ্টিগোচর হয়।
- এই দয়াশীলতাকে গুণ হিসেবে জাহির করা হয়, কিন্তু এর আসল কারণ হলো দাম্ভিকতা, কখনো বা আলস্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভয় এবং প্রায় সর্বদাই তিনটিই একসঙ্গে।
- অন্যের দুঃখ সহ্য করার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে।
- আত্মাভিমানের মতো অত বড় তোষামোদকারী আর কেউ নেই।
- দর্শনের কাছে অতীত এবং ভবিষ্যৎ দুঃখ সহজেই পরাভূত হয়। কিন্তু বর্তমান দুঃখকে সে ঠেকাতে পারে না।
- সবচেয়ে নির্লজ্জ আবেগগুলিকে নিয়েও মাঝে মাঝে আমরা বড়াই করতে ছাড়ি না। কিন্তু ঈর্ষার মতো একটি ক্ষীণ ও লজ্জাজনক আবেগের কথা স্বীকার করতে আমাদের সাহসে কুলায় না।
- প্রকৃতি আমাদের অহমিকা দিয়েছে যাতে আমরা আমাদের অসম্পূর্ণতাগুলোর জানার যন্ত্রণা থেকে অব্যাহতি পেয়ে যাই।
- সত্য জগৎসংসারের যতটা না উপকার করে, সত্যের ভনিতা তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করে।
- প্রেমের পরিণাম খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে প্রেমের সঙ্গে বন্ধুত্বের চেয়ে ঘৃণার মিল বেশি।
- এমন মেয়েকে খুঁজে পাওয়া শক্ত নয় যার একজনও প্রেমিক নেই; কিন্তু যার কেবল একটিই প্রেমিক তেমন মেয়েকে খুঁজে পাওয়া কঠিন।
- আগুনের মতো প্রেমও অনবরত নাড়াচাড়া ছাড়া টিকতে পারে না। তাই আশা বা আশঙ্কা কোনোটাই না থাকলে সে মরে যায়।
- আমাদের অবিশ্বাসে অন্যদের প্রতারণার ন্যায্যতাই প্রমাণিত হয়।
- পরস্পরকে ঠকাতে না পারলে লোকে সমাজে টিকতে পারত না।
- সুবিবাহের কথা শোনা যায়, কিন্তু সুখকর বিবাহের কথা শোনা যায় না।
- অন্যদের সামনে আত্মগোপন করে থাকতে আমরা এতটাই অভ্যস্ত যে, শেষ পর্যন্ত নিজেদের কাছেও আমরা আত্মগোপন করে থাকি।
- যেসব মেয়ে প্রেমের কারণে নিজেদের সর্বনাশ করেছে প্রেমই তাদের ন্যূনতম অপরাধ।
- ধূর্ত লোকেদের প্রতারণা থেকে বাঁচতে কখনো কখনো তাদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করতে হয়।
- নিজের সমস্ত যুক্তিকে অনুসরণ করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
- বোকা লোকেদের সাহচর্য ছাড়া বুদ্ধিমানেরা প্রায়ই খুব বিব্রত বোধ করে।
- কেবল বড় বড় গুণ থাকলেই চলবে না, সেই সঙ্গে দরকার পরিমিতি।
- মেয়েদের গাম্ভীর্য এমন এক প্রসাধন যা দিয়ে তারা তাদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।
- মহিলাদের সতীত্ব অনেক সময়ই শুধু সুখ্যাতি ও বিশ্রামপ্রিয়তা।
- স্বার্থান্বেষীরা সব ধরনের ভাষায় কথা বলতে পারে, সব ধরনের লোকের ভূমিকায় অভিনয় করতে পারে। এমনকি উদাসীন লোকের ভূমিকায়ও।
- সত্যিই যদি আমরা নির্দোষ হতাম, অন্যের দোষ দেখিয়ে অতটা উল্লসিত হতাম না।
- সুখ্যাতির ভার সইতে না পেরে অনেকেই ওপরে ওঠার বদলে নিচে নেমে যায়।
- অন্যের মুখে প্রেমের কথা না শুনলে অনেক লোক কোনোদিনই প্রেমে পড়ত না।
- সত্যিকার প্রেমের সঙ্গে ভূতের খুব মিল আছে। সকলেই ও দুটোর কথা বলে, কিন্তু প্রায় কেউই দেখেনি।
- প্রশংসা পাওয়ার জন্যই সাধারণত আমরা অন্যের প্রশংসা করে থাকি।
- আত্মবিশ্বাসহীন লোকের পক্ষে সহজতম পন্থা হল নীরবতা।
- সকলেই তাদের স্মৃতিশক্তি নিয়ে আক্ষেপ করে, কিন্তু বিচারশক্তি নিয়ে নয়।
- যে মনে করে গোটা পৃথিবীকে বাদ দিয়ে শুধু নিজেকে নিয়েই থাকা সম্ভব, সে বিরাট ভুল করে। কিন্তু যে ভাবে তাকে বাদ দিয়ে কারুর চলবে না সে আরও বড় ভুল করে।
- সকলেই হৃদয় দিয়ে প্রশংসা করে, মস্তিষ্ক দিয়ে প্রশংসা করার সাহস নেই বলে।
- অসাধারণ প্রতিভার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো হিংসুটেরাও তার প্রশংসা করতে বাধ্য হয়।
- যেরকম তাড়াহুড়ো করে লোকে কৃতজ্ঞতা থেকে মুক্ত হতে চায় তা প্রায় অকৃতজ্ঞতারই নামান্তর।
- কেউই মুক্তহস্তে কিছু দেয় না, শুধু উপদেশ ছাড়া।
- কোনো অভিসন্ধি নয়, বেশিরভাগ সময়ই বিশ্বাসঘাতকতার আসল কারণ হলো দুর্বলতা।
- আমরা যখন প্রশংসাবাক্যকে অস্বীকার করি তখন আমরা দ্বিতীয়বার প্রশংসিত হতে চাইছি বলে ধরে নিতে হবে।
- বড় বড় লোকেদেরই বড় বড় দোষ মানায়।
- মাঝে মাঝে আমরা মনে করি আমরা তোষামোদকে ঘৃণা করছি, কিন্তু আসলে আমরা তোষামোদকে ঘৃণা করি না, করি তোষামোদের বিশেষ ধরণটিকে।
- আমাদের ঘৃণা যখন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে তখন যাদের ঘৃণা করি তাদের চেয়েও নিচে নেমে যাই।
- আমাদের সবচেয়ে ভাল কাজগুলোর জন্য আমরা কম লজ্জা পেতাম না যদি লোকে জানতে পারত আসলে কী উদ্দেশ্যে আমরা সেগুলি করেছি।
- ছোট ছোট অদূরদর্শিতার চেয়ে বড় রকমের বিশ্বাসঘাতকতাকে মেয়েরা সহজে ক্ষমা করে।
- অধিকাংশ মেয়েই বন্ধুত্বের সন্ধান পায় না, কারণ ভালোবাসার গন্ধ পেলেই তারা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
- মননশীল নির্বোধের মতো অস্বস্তিকর আর কেউ নেই।
- প্রথম প্রেমের সময় মেয়েরা ভালোবাসে প্রেমিককে, অন্য সময় প্রেমকে।
- মানুষে মানুষে ঝগড়াঝাঁটি মোটেই এত দীর্ঘস্থায়ী হতো না, যদি দোষটা সত্যিই একপক্ষের হতো।
- আমরা খুব সহজে অন্যদের খুঁতগুলোকে গালমন্দ করি, কিন্তু কখনোই সেগুলোর সাহায্যে নিজেরগুলো শুধরে নেই না।
- প্রেম ও বিচক্ষণতা একে অন্যের জন্য নয়। ভালোবাসা বাড়লে বিচক্ষণতা কমে যায়।
- কোনো এক বিশেষ ব্যক্তিকে চেনা সমগ্র মানবজাতিকে চেনার চেয়ে শক্ত।
- যে লোকটি কাউকে খুশি করতে পারে না সেই লোকটির চেয়ে যে লোকটিকে কেউই খুশি করতে পারে না সে অনেক বেশি অসুখী।
- কারও চরিত্রে হাস্যকর কিছু পাওয়া না গেলে বুঝতে হবে যথেষ্ট ভালো করে খোঁজা হয়নি।