২৬ শে মার্চ
এইদিন আমাদের দিয়েছিল সূর্য
অধিকার আদায়ের সেই রণতূর্য
বেজেছিল এইদিন
অধিকারে সংগ্রামে আমরাই এইদিনে
নিজস্ব স্বত্বা নিজেকেই নেই চিনে
আঁধার মাড়িয়ে যেতে
আমরা দাঁড়িয়ে যাই
আমাদের স্বাধিকার আমরাই নেই কিনে।
এইদিনে পরিচয় করি উন্মুক্ত
ডুব দেই পুনরায় শিকরের গভীরে
এইদিনে দিক-ভোলা সেই সব পাখিরা
পুনরায় এঁকে যায় মানুষের ছবিরে।
এইদিন পিতা তাঁর তর্জনী দেখালে
সবুজের মাঠ ভরে মানুষের রক্তে
রক্তের নদীতে উর্বরা হলে মাঠ
মরা লাগে পাকি আর ইবলিসি তক্তে।
এইদিন বাঙালি রাস্তায় নামল
এইদিনে দেশ আর পতাকারে কিনল
শ্বাপদের দাপটেও ডরে না যে বাঙালি
এইদিনে পাকিরাও বাঙালি চিনল।
বৃক্ষের সজীবতা এইদিনে পেয়েছি
এইদিনে পেয়েছি মুক্তির মন্ত্র
এইদিনে পতাকায় উড়িয়েছি নিজেকে
এইদিনে সুখী হয় বাঙালির অন্ত্র।
পাখি-কথা
একটা পাখি কিচির মিচির ডাকে
ধানের মাঠের ঢেউয়ের সাথে দোলে
একটা পাখি নদীতে দেয় ডুব
ঠোঁটের মাঝে একটা পুঁটি তোলে।
ঠোঁটের মাঝে এই পুঁটিটা রেখে
উড়ছে পাখি বুক করে ধুকপুক
বাসায় আছে ছোট্ট ছানাগুলো
ফিরবে মাতা তাহারা উন্মুখ।
ছানাগুলোর মুখে খাবার দিয়ে
পাখির চোখে খুশির ঝিলিক লাগে
বাচ্চাগুলো শিগ্রি উড়াল দেবে
মা যে তাকায় মায়ায়, অনুরাগে।
বাচ্চাগুলো হচ্ছে ধীরে বড়
মেলবে তারা আকাশ মাঝে ডানা
দূর কোথাও ধান কাউনের বন
সেথায় হবে তাদের আনাগোনা।
বাচ্চাগুলো আগল দিয়ে রাখে
তাঁর চোখেতে খুশির গভীর রেশ
বিশাল আকাশ করবে তারা জয়
ভরবে সুখে প্রিয় বাংলাদেশ।
এই পাখিটাই দেশের প্রতীক হয়ে
সন্তানেরে আগল দিয়ে রাখে
ছানাগুলো যোগ্য হয়ে গেছে
দেশকে তারা বুকের মাঝে আঁকে।
বুকের মাঝে দেশকে ধারণ করে
দিচ্ছে পাড়ি সাগর নদী খাল
মায়ের কথা রাখছে তারা স্মরণ
রাখছে বুকে সবুজ এবং লাল।
জোঁক
বুকের ভেতর নদী ছিল
নদীর ভেতর জল
শুকিয়ে মরা নদী দেখে
চোখ করে ছলছল!
শুকিয়ে গেছে নদীগুলো
কষ্ট কোথায় রাখি
কাঁটা তাঁরে বিঁধে থাকে
আমার দেশের পাখি।
ফেলানী সেই পাখিই ছিল
কষ্ট ছিল বুকে
রক্ত তাহার চুষে খেল
ভারত নামক জোঁকে।
আর কত জোঁক রক্ত খাবি
করবি কত খুন
পিষব তোদের পায়ের নিচে
ঢালব মুখে চুন।