পরমহংসের গান
তবুও দূরেই আছ নিকটের খুব কাছাকাছি থেকে
হুগলী নদীর ঘোলা জলে তুমি আজো বসে আছ
ভৈরবী, জপে চলেছ পাগল পরমহংসের নাম।
আমি কামারপুকুর ছেড়ে দিয়ে বিভোর হয়ে আছি
নিকটের খুব কাছাকাছি তুমি আছ, তুমি আছ
গৈরিক ভবনে কাঁচবন্দি হয়ে কাঁদি আমি আর বাসনা
নারীর মধ্যে নাচে ঠাকুর, তাঁর মধ্যে মা ভবানী স্বয়ং
রক্তজবার প্রেম, আমাদের বুঝে নাই মঠের পুরুষেরা
ঘুমানোর ভঙ্গি
দম্পতির ঘুমানোর ভঙ্গি সুন্দর—চেয়ে থাকা যায়
চোখ জুড়িয়ে আসে, মন ভরে ওঠে; রাত্রিকালে
শঙ্খ বেজে ওঠে—
এতটা সক্রিয় জীবন আর কে যাপন করে?—সাপ!
পেশীরাজ্যর শীতল সৌন্দর্য দেখে মানুষের কথা
অল্প-অল্প মনে পড়ে যায়
ভোজ
আবার ক্রুশ কাঠ
ভেঙ্গে পড়েছে
আলোর প্যাকেটগুলি
আশৈশব ঝুলেছিল
হিজলের গাছে
পথের ওপারে পাখি। পাখির ওপরে গাছ। গাছের কানায় তার বাসা। বাসায় মিথের ডিম, ওম দিচ্ছেন মহামতি হোরাস।
মাথিনের কূপে মা মেরি শাওয়ার নিচ্ছেন; টেকনাফের দিকে বুদ্ধিজীবীর ঢল। ভীত বৃক্ষেরা জানে যৌনাঙ্গের ঘ্রাণে ফাল্গুন আসে এ দেশে। এই দেশে ফাল্গুন ঈসার জন্মবার। প্রিয় মাছরাঙা, চলো নিরামিষ ভোজে
রূপকথা
কক্ষচ্যুত হয়ে দেখি মানুষ রূপকথা ভালোবাসে। মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে বীণ বাজাতে চায়। প্যারালাল সংকেত শিখে এক মানুষ, কত মানুষ, পরস্পর সমাজ গঠন করতে চায়। বুদ্ধির বৃংহতি আমাদের কখনোই ছিল না। পুরনো এলিফ্যান্ট রোড ধরে তাই একবারও হাঁটিনি। কত ডিগ্রি অক্ষে হারিয়ে গেছে মিনিট সকল—আমাদের জানা নেই।
মাঝরাতে বীণ বেজে ওঠে। মানুষ রূপকথায় কচুকাটা হয়। এই শব্দ দুনিয়া দেখে না।
বন্দুকের দোকান
আসছে অতিসূর্যের দিন, তাই পাখি নিয়ে বেড়াতে গেছে সবাই
তাদের ক্রমবিলীন শব্দের থেকে শুক্রাণু ধেয়ে আসে,
আসিতেছে নাতিশীতোষ্ণ জলভাণ্ডে—
মোটামুটি সরল এই দৃশ্য থেকে লাইসেন্স তুলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
পল্টন মোড়
পুড়ে যাওয়া ঘন বন
১.
ক্রমশ বৃষ্টি নামছে। আকাশের পাত্রে অগণন ফুল কাঁদে;
কান্নার ভেতরে ক্রমশ নেমে আসে কসমিক রাত।
বৃষ্টিফোটার মতো ফুটছে ঘন বন, নক্ষত্রের ধূলা-বালির
ছায়ার লেজ ধরে আমরাও পৌঁছাবো পরমার্থের দিকে
বাতাসের গ্র্যাভেটি টেনে নিয়ে যাচ্ছে তোমার ঠোঁট
২.
মধ্য আকাশের কথা ভাবুন একবার; পরিধির পায়চারী ভাবুন
শুনুন আর্কিমিডিস, একবার চুমু খাবেন আমার প্রেমিকাকে
তার স্তনে মুখ রেখে ঘুমের আওয়াজ শোনে ঘন হরিতকি বন
আমি সেই ঘুমঘ্রাণ ভালোবেসে ফেলি, জলে ভেসে ইউরেকা বলি
লোকজ জ্যামিতি ফুঁড়ে ঘনায়মান পাতাগুলি ছাই হয়ে উড়ে যায়
আই লাভ য়্যু
ঘন অপরাহ্ন। তুমি গায়ে দিয়ে আছ শুদ্ধজামা। বৃক্ষ বসে আছে, তার কেশদাম ঝরছে
আলুথালু বাতাসে কতগুলো ডেকার উড়ে যাচ্ছে, উড়ছে ফণিমনসা— ক্যাকটাস
তোমার বিশুদ্ধ সালোয়ার। তীরবিদ্ধ মন্দিরে মদির পুরোহিত—
নিশুতি সকাল। বিষ্ণুবক্ষের মতো
গাছ, তোমার চুলের লালসা, খেয়ে ফেলব অটোরিকশা
রিকশাচিত্রের বিগত জৌলুশ।
রেডিও মেইকার। নেমে গেছে হেমন্ত, আকাশ ও স্টেজ থেকে, সন্ধ্যার ঘরে
ভাগবৎ পাঠ। ফাক্।
কামিজের ফাঁকে তেত্রিশ কোটি অ্যানালগ বিধাতার বাস
পাখিবন্দি কেঁচোদের মনোলগ, গ্র্যামাটিক আলখেল্লা
তুমি তাকে ইশারাদৃষ্টির সিগন্যাল দেবে না আর—আই লাভ ইউ লেডি মেডুসা
ওহ ডিয়ার, ওহ ডিয়ার, আই লাইক ট্যু ফাক্ ইউ