আমাকে গ্রহণ করো
আমাকে গ্রহণ করো, ব্ল্যাকহোল।
অন্ধকারাচ্ছন্ন হতাশা আমার
আমাকে পূর্ণগ্রাস করো
আমাকে নিক্ষেপ করো
ব্ল্যাকহোলের অনন্ত গইহবরে।
আমি আর ফিরতে চাই না
পাথারে দুনিয়ায়।
জীবনদাশের মতো পুনর্জীবন চাই না
হারাতে চাই অসীমের ব্ল্যাকহোলে
প্রাণপ্রতিম অনন্ত ব্ল্যাকহোল
আমাকে গ্রহণ করো।
কুসুমের বিভা
সে এক আশ্চর্য কুসুম
শুধু মায়া ছড়ায়, জড়ায়
যখন কাছে যাই তখনই কাঁদো কাঁদো
স্বরে চুষে নেয় লোহিত কণিকা
তারপর ঘুম পাড়িয়ে দেয়
যতই দূরে সরে যাই মায়ার কান্দন,
আমার বিবেক কান্না সইতে পারে না
যখনই কান্না থামাতে কাছে যাই
তখনই রক্তাবনীল রূপ ধারণ করে
শুধু মোহন মায়ায় কাছে ডাকে
মোনালিসার মতো ক্রুঢ় হাসি হাসে
এ এক আশ্চর্য কুসুম আমার চারপাশে
আমাকে নিয়ত মোহাবিষ্ট রাখে
আমি ক্রমাগত নিথর হই পাথারে।
সেগুনপাতা
বৃক্ষের যখন শৌর্যবীর্য থাকে
পাতার তেমন গুরুত্ব থাকে না
নদীতে জোয়ার থাকলে মাছেরা জানে না বিষযন্ত্রণা
দানবাকৃতি বাঁধ জানে জল ও মাছের মর্ম,
তখন শ্যাওলাও আদরনীয়
জেলে জানে সাগরে নুইন্যা তাড়াতে কাছিমের হয় দরকার
তবে কি বহুজাতিক মৎস্যশিকারি জাহাজ
তা কী করে বুঝবে?
তার পুঁজি আহরণ দরকার।
অসরকারি হাসপাতাল জানে কীভাবে রোগলালন করতে হয়
জানে ঔষুধ কারখানা কীভাবে পথ্যি বিকাতে হয়।
আমি জানি ওসবের আর প্রয়োজন নাই তাহাদের কাছে
আমিও ঝরে যাওয়া পাতা ক্লোরোফিল দেবার ক্ষমতা কই
তাহলে ভোটহীন হাইব্রিড নেতার পাতার কী প্রয়োজন?
এখানে আগাছার মতো পঙ্গপাল আসে
ভিড় করে বহু মকসুদে।
কষ্ট করে কেনই বা বাছুর লালন,
দুগ্ধজাত গাভী পোষণ খরচ বাড়ে।
সুবিধার সময় এখনি বয়ে যায়
চেটেপুটে চুষে নাও যত তাড়াতাড়ি।
জানি অ্যান্টিক যতই পুরানো হয়, মুল্য ততই বাড়ে
ধৈর্য্য ধরি, জনতা জাগবেই, সাড়া দেব তখনই।
আমি সেই সেগুন পাতা কাটলেও রক্ত ঝরে, ছিঁড়লেও
শুকালেও কাজে লাগে, পচলেও জৈবসার।
আমি সেই সেগুনপাতা,
জনতা জানে, তোমরা জানে না।