মেঘ ডুবেছে
মেঘ ডুবেছে মেঘের কোলে
পাখ-পাখালির ভিড়ে,
সন্ধ্যা হলেই ফিরবে তারা
আপন আপন নীড়ে।
উড়ছে তারা সকাল দুপুর
রাত্রি আসে নেমে,
চাঁদের আলো যায় মিশে
হিজল পাতার খামে।
মাঝ রাত্রিরে কোরাস তোলে
জোনাক পোকার দল,
আজকে সবাই মনের সুখে
করবে কোলাহল।
লক্ষ্মীছাড়া
আমি নাকি এক লক্ষ্মীছাড়া ছেলে
একটু সময় পেলে,
ছুটছি জোরে অনেক দূরে
আকাশটাকে পাবো ছুঁতে
বলতে পারো কোথায় গেলে?
বলতে পারো কোথায় গেলে
চাঁদটা পাবো হাতের মুঠোয়?
বুক পকেটে বন্ধ করে
কাটবো সাঁতার সাগর জলে
আনবো তুলে
মণি-মুক্তা মুঠো ভরে।
লক্ষ্মীছাড়া সবাই নাকি
আমার মতোই হয়,
সবার মনেই থাকে শুধু
মা’র বকুনির ভয়!
অচিন মেঘের ডাকে
লাল হয়েছে পুবের কোণে
আসলো কে রাঙা আলতা পায়ে?
মেঘগুলো সব ভাসছে হাওয়ায়
পদ্মবিল রাঙিয়ে দিয়ে।
ঘর ছাড়িয়ে মাঠ পেরিয়ে
ছুটছে কে আজ আপন মনে?
কে জানে আজ কোথায় হারাই
কোন গাঁয়ের এক অচিন বনে।
নদীর তীরে ঢেউয়ের ভিড়ে
ভাসছে কি ঐ হাওয়ার দোলায়?
বালুর চরে ঘর বেঁধেছে
চলছি ছুটে পাখির মেলায়।
বৃষ্টি এলে
ছোট বেলায় বৃষ্টি এলে
নেমে যেতাম পুকুর জলে,
কখনো বা ভেলায় চড়ে
উল্টে যেতাম খেলার ছলে।
ছোট বেলায় বৃষ্টি এলে
দলবেধে সব ভিজতে যেতাম,
পুকুর ভাসা কৈ ধরতে
সারা দুপুর কাটিয়ে দিতাম।
ছোট বেলায় বৃষ্টি এলে
মা’র কোলে ঘুমিয়ে যেতাম,
ঘুমের ঘোরে মা’র সাথে
পরীর দেশে পাড়ি দিতাম।
মায়ায় ঘেরা
এই যে ছায়া, গাছের মায়া
ডাকছে পাখি
আপন মনে
হিজল তল আর শাল মহুয়ার
শিমূল বনে।
এই যে মাটি, সবচেয়ে খাঁটি
মিষ্টি ঘ্রাণে
কাছে টানে
দেয় যে দোলা আত্নভোলা
আমার প্রাণে।
এই যে সুর, যায় বহুদূর
নদীর কূলে
পথটা ভুলে
নৌকা চলে নদীর বুকে
ঢেউয়ের তালে।