ধুলোর কাহিনি, ধূসর হৃদয়
ধুলো কী জানে নিজের জন্ম চিহ্ন?
কিংবা ধুলো কী তার পথ চেনে?
ধুলো কী জানে
ধুলোর অণু পরমাণুর ছায়া
পথিককে কী চিনে?
ধুলো কী চেনে নগর বন্দর ,পথ-ঘাট,মানুষ?
ধুলোর কাহিনি না হয় বাদ থাক
মানুষের ধূসর হৃদয়ের সাতকাহন
কী আমাদের জানার ভেতরে?
ধূসর হৃদয়ের এই কৃষ্ণপক্ষে
আমি না হয় চীন, ভারতের কিংবা
অন্যদেশের গল্প শুনি।
অচেনা ছায়ার দূরবীন
কালের পাখি গান ধরে না আর
সৃষ্টি ও সমাজ এখন কেবলই অন্ধকার
মানুষ যখন নিজেই সময়
তখন শিশিরও থমকে যায়।
নদীর ভেতরে ঢুকে পড়েছে অচেনা আকাশ বলয়
ভালোবাসা জানি নদীর জলে হবে না কোনোদিন,
নিজের কাছে নিজের ছায়া অচেনা হতে চায়
মানুষের মধ্যে যে সত্য আছেঃ
তা আর আগুন হয়ে জ্বলে না
অন্তহীন দ্বিধায় আর সংশয়
অফুরান রোদ ভোর হয়ে হাসে হৃদয়ে।
এই রোদ জানি জলের কোলাহল
হবে একদিন
টেলিপ্যাথিরর গতিতে হয়ে যাবে
ব্যাংকের ঋণ:
মানুষ সবকিছু যখন বন্ধক রাখে
মানুষ তখন হয়ে যায় ছায়ার দূরবীন।
বাণিজ্যবায়ুর গল্প নয়, মানুষের গল্প শুনি
অচেনা এক ছায়াপিণ্ড আমার দিকে চোখ বুলিয়ে
নিমিষেই উধাও,
তাকে কিছু বলার আগেই তার প্রস্থান
রাত্রির হাওয়া কেটে যায় ইস্পাতের কলে:
রাতের মরুভূমিতে ডুবে যাওয়ার আগে
না হয় জেগে থাকি রোদের অনন্ত তিমিরে।
আমাদের দিন-রাতের গল্প এখন
বাণিজ্যবায়ুর গল্প
সবকিছুই এখন পুঁজিপতির নিবিষ্ট করতলে,
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের যুগ কবেই শেষ হয়ে গেছে।
মানুষের স্বাক্ষরের অক্ষরগুলো কেমন যেন
ক্রীতদাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ।
আসুন, আমরা আমাদের আয়ুর পল অনুপল দিয়ে
মানুষের জন্যে সুন্দর একটি গল্প রচনা করি
জীবন না হয় না হোক আহামরি
আসুন কৃষ্ণরাতে আমরা আলোর পরিধি গড়ি।
নদীর আঘাটার জলে ভেসে গেছি কেবল
অকূল আধাঁরে আমার মানব পৃথিবী
আমার প্রবহমান ইতিহাসের মনে কী আছে
কে জানে?
গরিবের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে মানুষ ধনী হয়
কী এক মানববিমূঢ়তার অচেনা আগুনে
না চেনা ভোরের সাক্ষাৎ মেলে।
নীল নিখিলে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় পৃথিবীর পাখি
সময়ের অজেয় দক্ষিণসাগরগামী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
আমাদের অস্থির করে রাখে মহাজিজ্ঞাসায়।
বুলবুল নিজেকে শূন্যের হাতে তুলে দিয়ে
আবছা বায়ু হয়ে ফিরে যা।
ঘূর্ণিঝড় জানে আমার শরীর মনের
অহরগতি
এই পৃথিবীতে আমি একটিও স্থির চিহ্ন
আকঁতে পারিনি;
নদীর আঘাটার জলে ভেসে গেছি কেবল।
তাহাদের প্রণয়ের মৈথুনে মায়াবী আকাশ নেই
এখন চিঠির যুগ নেই
প্রণয়ের গুঞ্জরণ এখন
বাতাসে ভেসে আসে
সেখানে নেই হৃদয়ের কারুশিল্প
কেবলই সেখানে শরীরের অনলসংঘর্ষময়ী বাসনা !
প্রণয়ের জোনাকিরা
চিরতরে ছুটি নিয়ে গেছে অজানায়
এখন প্রণয়ের আর হৃদয়ের প্রতিভা নেই
শরীরের ইঞ্চি ইঞ্চি এখন বিদূষক বিনোদন চায়।
আহা আমার অনিরুদ্ধ প্রেম
পথ হারিয়ে কাঁদে,
কালের মাহাসাগরে তবু
আমার হৃদয়ের অঞ্জলি
তাহাদের প্রণয়ের মৈথুনে
মায়াবী কোনো আকাশ নেই।