মাইট ইজ রাইট
নির্ভুল নিশানায় হত্যার কৌশল তোমাকে দিয়েছে বিরাটত্ব
তোমার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কূটচালই নাকি একমাত্র সত্য
আমি জানি, এখন যে কেউ মানতে বাধ্য
আকাশে বাতাসে একচেটিয়া উচ্চরোল তোলে তোমার অধিপত্য
কোন রকম ভিন্ন সুর, ভিন্ন প্রতিধ্বনি বারুদের বিস্ফোরণে সহসাই মূর্চ্ছিত
এখন কে না বলবে, তোমার যান্ত্রিক ক্ষমতাই শ্রেষ্ঠ!
কিতাবে পড়েছি, মাইট ইজ রাইট নীতি মানবিকতার অভিধানে তুচ্ছ
সেই যুগ এখন অনবরত পদপিষ্ট
কৌশলগত ক্ষমতার ভাগীদার লুটেরা শক্তিসংঘ
নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে আকাশ সমুদ্র ভূপৃষ্ঠ আর ভূগর্ভ
প্রকাশ্য আর গোপন স্থাপনায় রচিত হচ্ছে
মানুষকে পরাজিত করার জঘন্য কৌশল
যেখানে দিগ্বিজয়ী সব মনীষা তৈরি করছে বিস্ময়কর এবং
আরো বিস্ময়কর বিধ্বংসী যত মারণাস্ত্র
মুহূর্তেই লক্ষ্যভেদ, বিস্ফোরণ এবং মনুষ্যত্ব ছিন্নভিন্ন
সভ্যতার নামে এভাবেই ঊর্ধ্বারোহণ এবং আরও উর্ধারোহণ!
সাধ্যকার সূচাগ্র স্পর্শ করে বিপুল বিশাল এই দম্ভ
আমি জানি, এখন যে কেউ মানতে বাধ্য
যখন বিভ্রান্ত মেধা ও মনীষা এখন একই নির্ধারিত সড়কে ধাবিত
সমগ্র প্রচার কৌশল একান্ত মর্জিতে প্রচারিত
পুঁজির পয়জনে আত্মাহুতি দিচ্ছে মেধা সৌন্দর্য শৌর্য
কোন রকম ভিন্ন সুর ভিন্ন প্রতিধ্বনি বারুদের বিস্ফোরণে মুহূর্তেই মূর্চ্ছিত
এখন কে না বলবে তোমার যান্ত্রিক ক্ষমতাই শ্রেষ্ঠ?
আমি জানি, এখন যে কেউ মানতে বাধ্য!
অভিনবত্ব
যদি তোমার চোখ ভাল থাকে
তুমি উপভোগ করতে পারো!
ফসফরাস বোমায় তৈরি বিধ্বংসী আলোকসজ্জা
গাজার শিশুদের রক্ত হার মজ্জা
শব্দে আগুনে ও বোমায়
ছিন্ন ভিন্ন
তুমি ব্যবহার করতে পারো
মার্কিন নীতির মতো একটি অপলক ক্যামেরা
যখন অসংখ্য ট্যাংক গানশিপ এয়ারক্রাফট
সম্মিলিত আক্রমনে তৈরি করে গোয়ের্নিকা
বধ্যভূমির শীর্ষে উড়ায় ইহুদি পতাকা
আহত মানুষেরা কাতরায় ধ্বংসস্তুপে রাস্তায়
তুমি উপলব্দি করতে পারো যান্ত্রিক ক্ষমতার অভিনবত্ব!
যদি তোমার চোখ ভাল থাকে
তুমি উপভোগ করতে পারো
নৃশংসতার আবহমান ইহুদি সৌন্দর্য
পুঁজির কল্যাণে লব্দ নিরঙ্কুশ সামরিক ক্ষমতা
নির্বিচার গণহত্যায় উদ্যত পতাকা তুলে নাচে
যেহেতো নাচার ক্ষমতা তার আছে!
যেহেতো পশ্চিমের নেপথ্য শক্তি তার অনুকূল ছায়া বিস্তার করে আছে
শৃঙ্খলিত পৃথিবীর আর্তনাদ দীর্ঘশ্বাস অথবা
নীতির নিনাদ ঢেকে যায় নির্মম সাইলেন্সারে
গোটা পৃথিবী নিঃস্তব্দ হয়ে থাকে একচেটিয়া
প্রোপাগান্ডার ভারে
বিধ্বংসী এবং কৌশলগত আক্রমনে
মানুষের স্বপ্ন স্বাধীনতা মাটিতে দলিত করে
অভিনব
অস্ত্রের ক্ষমতা!
ফিলিস্তিন
১.
ইতিহাসের কত পথ!
সবই গেছে ফিলিস্তিনের দিকে
মানুষের সংগ্রাম স্বাধীনতা
সূর্যোকরোজ্জ্বল দিনের আকাক্সক্ষা
অলীভ আকাশ হয়ে ছেয়ে আছে ফিলিস্তিনের বুকে
যখন সময় কোন জটিল গ্রন্থিতে বাধা পড়ে
ইতিহাসের দ্বারোদঘাটন হয় ফিলিস্তিনের পবিত্র উত্থানে
বাবেলের নবী ইব্রাহিম খুঁজে নেন সেই পথ
নীলের প্রাচীর ভেঙে নেমে আসে জনস্রোত
প্রত্যাদিষ্ট পুরুষের পদব্রজে
শোনা যায় মানুষের আগমন ধ্বনি
হে ভূমধ্য সাগরের অস্থির হাওয়া
মনে কী পড়ে না নবী সোলায়মানের গান ?
এসিরিয়া থেকে ইজিপ্ট কেনান
জেরুজালেমের পবিত্র উত্থান
এখানেই জ্বলে নবী ইয়াকুবের আত্মার আলো
আর নবী মুসা যাকারিয়া ঈসা ও ইয়াহিয়া
মানবীয় চেতনায় শুদ্ধতম প্রেমকে জাগালো
সেই প্রেম নিয়ে এলো প্রত্যাদিষ্ট জ্যোতির্ময় বাণী
সেই প্রেম পৃথিবীর মানবিক চেতনার দ্যুতি
দ্বিধা ও দ্বন্দ্বের রক্ত পার হয়ে অনিবার্য শান্তির প্রস্তুতি।
২.
পাপের ফানুসে অভিশপ্তরা খেলা করে গিরিতটে
মৃত সাগরের মোনাফেক হাওয়া ময়দানে বিষ ঢালে
নৃত্য করে জারজ ক্ষমতা আসে আনবিক যুগ
শান্তির ভূমি ফিলিস্তিনের দু:সহ দুর্ভোগ
ইতিহাস আজ বুলডোজারে প্রতিদিন হয় পিষ্ট
তেলআবিব খেলে শয়তানি খেলা জঘন্য নিকৃষ্ট
ফিলিস্তিনের বুক চিরে শুনি মানুষের হাহাকার
যন্ত্রদানবে ভর করে আসে বিতাড়িত নীল পাপ
গাজা রামাল্লা পশ্চিম তীরে রক্তের ফুল ফোটে
বন্দি পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণ পথ খোঁজে ফিলিস্তিনে।
শক্তিনীতি
তিনটি শতাব্দীজুড়ে সাম্রাজ্যবাদের নীতিহীন শক্তিনীতি
মুসলমানের রক্তে শুধু খুঁজে ফেরে পরিতৃপ্তি
ডিভাইড এন্ড রুলে বিভক্ত বিচ্ছিন্ন করে চতুর্মুখী আগ্রাসনে
রক্তাক্ত করেছে তার প্রাণশক্তি সকল্যাণ দ্বীপ্তি
ঠাণ্ডা মাথার নিষ্ঠুরতায় সমন্বিত স্থির পদক্ষেপে
শুভ্র সাদা চেতনায় ছড়িয়ে দিয়েছে কালি বিভ্রান্তির
তারপর হত্যা ও জঘন্নতায় ছিন্ন ভিন্ন করছে তার স্থিতি
মানুষের দাঁড়াবার অন্তিম আশ্রয়টুকু ভরিয়ে দিয়েছে বিষে
স্থির শান্ত জনপদে নিপুণ নীলনক্সায় জ্বালিয়ে অগ্নি কিংবা বিদ্বেষ
অলক্ষ্যে বপন করে মতভেদ বিপন্ন করছে সব মানুষের মন
তারপর বহুমুখী প্রোপাগান্ডায় চলছে আগ্রাসন
ঘৃণ্য শয়তানী নীতি নিষ্ঠুরতা আজ এই বিশ্বের নিয়তি
কতো আর সহা যায় রক্তের বন্যায় মুসলমানের দুর্ভাগ্য দুর্গতি।