বিহঙ্গ রাত
ঘুমরাত নেমে এলে বেদনা ও ব্যথার প্রহর সূচিত হয়
হাড়ের ক্ষয় হয় পুরান পাথরের মতো ধীরলয়ে ঢেউয়ে
অসুক, আমি বিজয়ী পরাস্থ করেছি দেহ তোমায় হাত পাতো
আমার দ্বারে, তোমার বন্ধুরা আজ কোথায়?
মানুষ যাতনা দ্রুত শুরু হলে পশুহয় পুরুষ পঙ্খী সাঁজ
নারী রূপ, বেহায়া রাতের দৈর্ঘ্য বাড়ে ব্যথার দন্তে বাড়ে
ধার, এবার শুরু হোক কামড়ের আঘাত, সহন কপোতজেগে
মনের জোর কত মানিক তোমার?
ঘুমরাতে ঘুমাও দেখি আমাকে ফেলে আমি জেগে থাকি
কোষে কোষে রক্তের ধ্বমনিতে কলব রূপে।
ক্ষুধা
ক্ষুধার অরণ্যে ভোগ পাখি কিচির মিচির করছে
সুবেহ সাদেক চলছে,আর ক্ষণ পর প্রভাত আসবে
ক্ষুধার বার্তা নিয়ে ততক্ষণে মরে যাবে নাড়ি ভুড়ি
জারক রসে কিলবিল করা কৃমি-পোকা হজম।
তবুও
ক্ষুধা তুই বেঁচে থাক, পরম যত্নে
শিরদাঁড়া সোজা রাখ গৌরভের গাম্ভীর্যে।
অরণ্য রোদন
অতঃপর মেঘও ঝরে যায় বৃষ্টির মতো
আকাশ মুক্ত হয়, মানুষেরা হাসে ফুলের মতো।
আমার মেঘেরা প্রতিদিন শিলাস্তরে জমাট বাঁধে
গহীনের অতলান্তে
বৃষ্টির বীজ বুনবো বলে হৃদজমিনে লাঙ্গল চালাই
অথচ
তুমি শাদা মেঘের জ্যোৎস্না বিলাও
কাশবনে অরণ্য রোদনে।